Books

নিক পিরোগ থ্রি এ এম সিরিজ pdf download

এরাইভাল নিক পিরোগ pdf

থ্রি এ এম —– নিক পিরোগ

—– সালমান হক(অনুবাদক)
বইয়ের নামঃ– থ্রি এ এম pdf
লেখকঃ– নিক পিরোগ
বইয়ের ধরনঃ– থ্রিলার(গোয়েন্দাকাহিনী)
প্রকাশকঃ– মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
প্রকাশনীঃ– বাতিঘর প্রকাশনী
প্রকাশকালঃ– ফেব্রুয়ারি ২০১৬
প্রচ্ছদঃ– ডিলান
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ– ১১০ পৃষ্ঠা
মূল্যঃ– ১৩০/= মাত্র
নিক পিরোগ, একজন আমেরিকান লেখক। ছোটো সময় থেকেই থ্রিলারটাইপ লেখালেখিতে যুক্ত ছিলেন। আমেরিকার ডেনভারে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কলেরেডো স্টেইট ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তাঁর লেখা প্রথম বই “আনফরসিন” এরপর একটা একটা করে উৎকৃষ্টমানের বই লিখে পাঠকের মন জয় করে নিয়েছেন ধারাবাহিকভাবে। তবে তার সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা “হেনরি বিনস” সিরিজ, যেটা তাঁকে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিয়েছে৷
অনুবাদক সালমান হক সম্পর্কে তেমন কিছু জানতে পারিনি। জাস্ট এটুকু জেনেছি যে তিনি ঢাকাতে জন্মগ্রহণ করেছেন আর বর্তমানে ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত আছেন৷ নিক পিরোগের এই “হেনরি বিনস” সিরিজ তাঁর প্রথম অনূদিত গ্রন্থ।
বেশ রোমাঞ্চকর একটা থ্রিলার, বিশেষ করে যারা গোয়েন্দাকাহিনী বেশী পছন্দ করে তাঁদের জন্য। শেষ এইরকম গোয়েন্দাকাহিনী পড়েছিলাম মে বি ক্লাস এইটে থাকতে। দীর্ঘ আট বছর পর আবার এরকম একটা বই!! এই বইটাতে একজন ব্যক্তির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে কিনা চব্বিশ ঘণ্টায় মাত্র এক ঘন্টা।সময় জেগে থেকে উপযুক্ত তথ্য সংগ্রহ করে একজন প্রেসিডেন্টকে বাঁচিয়ে দেয়। সংক্ষেপে বলছি…..
★★★ সংক্ষিপ্ত_বিবরণঃ–
কাহিনীটা হেনরি বিনস এর। আসলে এটা একটা রোগের নাম; গল্পে উল্লিখিত ব্যক্তির নামানুসারেই রোগটির নাম হেনরি বিনস। মজার ব্যাপার হচ্ছে আমরা সাধারণ মানুষেরা যেখানে দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাই(কমবেশিও হয়) সেখানে হেনরি বিনসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা দৈনিক একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে ঘুমায়। হতে পারে সেটা ১ ঘন্টা বা দু-ঘন্টা বা তার কাছাকাছি। গল্পের ভাষ্যমতে সারা পৃথিবীতে মাত্র তিনজন ব্যক্তির এই রোগ আছে৷ হেনরি বিনসের প্রতিদিন রাত তিনটার সময় ঘুম ভেঙে যায় এবং শুধু একঘন্টা সে জেগে থাকতে পারে এরপর আবার দীর্ঘ তেইশ ঘন্টার ঘুম! এই এক ঘন্টার মধ্যেই হেনরি বিনস তাঁর যাবতীয় সব কাজকর্ম করে নেয়। এই বিরল রোগের কারণে হেনরি বিনসকে ছেড়ে তাঁর মা-বাবা দুজনই চলে গেছে যদিও তাঁর বাবার সাথে তাঁর যোগাযোগ বিদ্যমান কিছুটা৷ “হেনরি বিনস” সিরিজের এই বইয়ের কাহিনীটা আমেরিকার চুয়াল্লিশতম প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভানকে(রূপকার্থে) নিয়ে। এপ্রিলের ১৮ তারিখ হেনরি বিনস প্রতিদিনকার মতোই ভোর তিনটার সময় জেগে ওঠেন এবং দেখতে পান যে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট তাঁরই(হেনরি বিনসের) বাসার সামনের একটি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন একটা গাড়ি নিয়ে। হেনরি বিনস একটু সন্দেহ করে ব্যাপারটাতে। পরেরদিন ঘুম থেকে উঠে বিনস নিউজে দেখতে পায় যে ঐবাড়ির একটা মেয়ে খুন হয়েছে, নাম ক্যালি ফ্রেইগ। তখন বিনস ভাবে যে প্রেসিডেন্টই হয়তো খুনটা করে পালিয়েছে। তাই বিনস চুপিসারে ক্যালির বাসায় যায়। গিয়ে দেখে মেয়েটা মরে পড়ে আছে। অনেক খোঁজাখুজি করে বিনস শুধু মেয়েটার একটা ফোন + আরেকটা(সম্ভবত খুনির) ফোন পায়। তখন সে জরুরি সেবা’র নাম্বারে একটা ফোন করে বলে এখানে একটা মেয়ের লাশ পড়ে আছে। পুলিশ এসে তদন্ত করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পর বিনসের কাছে ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ থেকে একটা ফোন আসে। রে নামের একটা মেয়ে এসে বিনসকে ক্যালির মৃত্যুর ব্যাপারে প্রশ্ন করতে থাকে। [বলে রাখা ভালো এসবই কিন্তু হচ্ছে রাত ৩-৪ টা এই ১ ঘন্টার মধ্যে কারণ বিনস শুধু এই সময়েই সজাগ থাকতে পারে] ডিটেকটিভ মেয়েটি বিনসের থেকে তেমন কোনো সদুত্তর না পেয়ে চলে যায় এবং একটুপরে চারটা বাজলে বিনস ঘুমিয়ে পড়ে।
পরদিন তিনটার সময় উঠে বিনস কিছুমিছু খেয়ে জগিংয়ে বের হয়। কিছুক্ষণ দৌড়ে বাসায় ফিরে আসে বিনস। একটু পরে বিনসের বাসায় দুজন লোক আসে। একজনকে বিনস আগে থেকেই চিনত। সে ডিটেকটিভ রে আর আরেকজন রে’র সহযোগী ক্যাল। তাঁরা(ডিটেকটিভ দু’জন) বিনসকে মৃত মেয়েটার(ক্যালি ফ্রেইগের) ব্যাপারে প্রশ্ন করে। কিন্তু বিনস সুকৌশলে সব এড়িয়ে যায়। ডিটেকটিভ দু’জন বিনসকে সন্দেহ করে। যাবার সময় ডিটেকটিভরা বিনসের বাড়ি থেকে একটা গ্লাস চুরি নিয়ে যায় বিনসের ডিএনএ এর সাথে মেয়েটার বাড়িতে পাওয়া ছাপের সাথে মিলিয়ে দেখবার জন্য। বিনস এটা বুঝতে পেরে ভাবতে থাকে আগামীকাল হয়তো তাঁকে জেলে থাকতে হবে। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে দেখল বিনস তাঁর বাসায়ই ঘুমিয়ে আছে। নিজের ভাগ্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঘুম থেকে উঠে সে ফ্রেশ হয়ে জগিংয়ে বের হয়। কিছুক্ষণ পর ডিটেকটিভ রে’র সাথে বিনসের দেখা হয় এবং রে বিনসকে বলে তাঁর সাথে যেতে। রে তাঁকে(বিনসকে) ডিটেকটিভ অফিসে নিয়ে গিয়ে মেয়েটার(ক্যালি) ব্যাপারে প্রশ্ন করতে থাকে এবং ক্যাল ও রে বিনসকে বলে যে মেয়েটার বাড়িতে বিনসের আঙ্গুলের ছাপ পাওয়া গেছে। সুতরাং বিনসের পক্ষে মেয়েটাকে হত্যার যথেষ্ট সুযোগ ছিল এবং কারণ হিসেবে রে আর ক্যাল বিনসকে বলে যে, মেয়েটাকে হয়তো বিনস পছন্দ করতো কিন্তু মেয়েটা রাজি না হওয়াতে বিনস তাঁকে মেরে ফেলেছে। তখন বিনস তা অস্বীকার করে এবং বলে যে এই মেয়েটাকে(ক্যালি ফ্রেইগ) খুন করেছে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভান এবং বিনস নিজে তাঁকে(প্রেসিডেন্টকে) মেয়েটার বাড়ি থেকে বের হতে দেখেছে। এটা শুনে তো রে আর ক্যাল হাসিতে ফেটে পড়ে। তাঁরা বলে যে একজন্য প্রেসিডেন্টের কী প্রয়োজন থাকতে পারে সাধারণ একটা মেয়েকে মারার? ক্যাল আর রে বিনসকে খুনের দায় স্বীকার করানোর অনেক চেষ্টা করে কিন্তু বারবার অস্বীকার করাতে ক্যাল বিনসকে অসম্ভব মারধোর করে। একটু সুস্থ হলে বিনস তাঁর বাবাকে একটা ফোন করে তাঁর দুর্দশার কথা জানায়। বিনসের কথা শুনে বিনসের বাবা প্রমাণ হিসেবে মেয়েটার বাড়ি থেকে আনা দুটো ফোন(একটা ক্যালি ফ্রেইগের আরেকটা খুনীর) নিয়ে আসে ডিটেকটিভ অফিসে। কিন্তু ফোনটা ছিল লকড। অনেক চেষ্টা করে তাঁরা ফোনটা আনলকড করে এবং দেখতে পায় ঐ ফোনটাতে প্রেসিডেন্সিয়াল অনেক কাজকর্মের বিষয় আছে তখন ক্যাল আর রে বিনসকে ছেড়ে দেয়। বিনস বাসায় চলে আসে কিন্তু এবার স্বয়ং প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভান লোক লাগিয়ে দেয় বিনসকে ধরার জন্য কারণ প্রেসিডেন্ট কোনোভাবে জেনে গেছে কেউ(হতে পারে বিনস) তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। কয়েকজন লোক বিনসকে ধরার চেষ্টা করে কিন্তু বিনস কোনোভাবে পালিয়ে যায় আর সারাটা রাত কাটিয়ে দেয় একটা ডাস্টবিনে আর পরবর্তী সকাল ৩ টার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
পরের দিন বিনস ডাস্টবিন থেকে বেরিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে হাঁটতে থাকে। বিনস যখন প্রথমবার ক্যালি ফ্রেইগের বাসায় গিয়েছিল তখন ক্যালি ফ্রেইগের বিড়ালটাকে নিয়ে আসছিল। সেটা বিনসের সাথেই থাকতো। বিনস তার নাম রেখেছে ল্যাসি। একদিন বাইরে থেকে যখন বিনস বাসায় পৌঁছে তখন সে দেখতে পায় ল্যাসি কিছুটা অসুস্থ। বিনস তাঁকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার দেখে ল্যাসির দেহে একটা মাইক্রোচিপ ঢোকানো। তখন বিনস ডাক্তারকে বলে সেই চিপটা বের করে সেটা স্কান করে বিড়ালটার আসল মালিকের নামটা জেনে নেয়। বিড়ালটার মালিকের নাম জেসিকা রেনয়। আসলে জেসিকা রেনয়ই আমাদের মৃত ক্যালি ফ্রেইগ।
একপর বিনস বাড়ি গিয়ে জেসিকা রেনয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে৷ অনেক খোঁজাখুঁজির পর বিনস দেখে প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভানের ইলেকশনের ভলান্টিয়ার ছিল একসময় এই জেসিকা রেনয়। জেসিকা সম্পর্কে আরো তথ্য জোগাড়ের জন্য বিনস একটা টিমকে কয়েক ডলায় প্রদান করে কিন্তু তাঁরা তেমন কিছু বিনসকে জানাতে পারে না। এর মধ্যে ডিটেকটিভ রে’র সাথে বিনসের অনেকবার সাক্ষাৎ হয়েছে। রে’র প্রতি বিনস অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। মোটকথা রে’কে সে ভালোবেসে ফেলেছে।
এরপরদিন বিনস ঘুম থেকে উঠে একটু হাঁটতে বের হয় তখন প্রেসিডেন্টের লোকজন বিনসকে তুলে প্রেসিডেন্টের কাছে নিয়ে যায়। প্রেসিডেন্ট বিনসকে বলে জেসিকার সাথে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে এবং মেয়েটা সেটারই একটা ভিডিও ক্লিপ দিয়ে প্রেসিডেন্টের থেকে লক্ষ লক্ষ ডলার মুক্তিপণ হিসেবে নিয়েছে কিন্তু মেয়েটাকে সে খুন করেনি। শেষবার যখন সে(প্রসিডেন্ট) মেয়েটার সাথে দেখা করে তখন মেয়েটা বিশ লাখ ডলার চেয়েছিল প্রেসিডেন্টের কাছে আর সে(প্রেসিডেন্ট) তা দিয়েও দিয়েছিল কিন্তু সে মেয়েটাকে মারে নি। মেয়েটাকে হয়তো কেউ টাকাটার লোভে মেরেছে৷ বিনস প্রেসিডেন্টের কথায় কিছুটা বিশ্বাস করে। কথাবার্তা শেষ হলে বিনসকে, প্রেসিডেন্টের লোকজন তাঁর বাসায় নামিয়ে রেখে যায়।
বাসায় এসে বিনস আরেকবার মেয়েটা(ক্যালি ফ্রেইগ) যে বাড়িটাতে থাকতো সেই বাড়িতে যায় এবং একটু চাবি খুঁজে পায়। চাবি দিয়ে বিনস মেয়েটার ড্রয়ার খুলে তার মধ্যে একটা রশিদ পায়। সেই রশিদটা যে দোকানের সেখানে গিয়ে বিনস দেখে মেয়েটা একটা ঘড়ি বিক্রি করেছিল। বিনস তখন ঘড়িটা নিয়ে আসে। ঘড়িটার পেছনে লেখা ছিল, “আদরের রিস্কিকে, তোমার স্বপ্নগুলো যেন সত্যি হয়। বাবা ও মা।” এই রিস্কি হচ্ছে প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভানের বেয়াড়া ছেলে। রিস্কির অনেকগুলো বদভ্যাস ছিল। বিশেষ করে নারী আর মদের অভ্যাস। বিনস এইসব কথা ডিটেকটিভ রে’কে জানায়। বিনস আরো বলে ক্যালি ফ্রেইগের আসল নাম জেসিকা রেনয় এবং তাঁর সাথে প্রেসিডেন্টের সরাসরি সম্পর্ক ছিল। এসব শুনে তো রে’র চক্ষু চড়কগাছ। কিছুক্ষণ পরে তাঁরা খবর পায় যে প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভান গ্রেফতার হয়েছেন ক্যালি ফ্রেইগকে হত্যার অপরাধে।
বিনস প্রেসিডেন্টের ছেলে রিকি সুলিভান সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে থাকে৷ অনেক কষ্ট করে রিকির সাথে দেখা করে বিনস৷ রিকির থেকে জানতে পারে, রিকির সাথে জেসিকার একটা সম্পর্ক ছিল এবং দু’জন দু’জনকে প্রচন্ড ভালোবাসতো। তখন বিনস রিকিকে জিজ্ঞেস করে প্রেসিডেন্টের(মানে রিকির বাবা) সাথে যে জেসিকার সম্পর্ক ছিল এটা কী সে(রিকি) জানতো? রিকি তাতে না বলে। এরপর বিনস প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা করে এবং তাঁকে নিয়ে প্রেসিডেন্টের প্রাক্তন স্ত্রী কিম্বারলি এ বেলসের কাছে যায়।
[এখানে একটা টুইস্ট আছে। কিম্বারলি এ বেলস আর কিম্বারলি এস বেলস দুবোন। কিম্বারলি এ বেলসের সাথে বিয়ে হয় প্রেসিডেন্টের আর কিম্বারলি এস বেলসের সাথে বিয়ে হয় পল ক্যালোম্যাটিক্স নামের একজনের সাথে।(পল ক্যালোম্যাটিক্স হচ্ছে ডিটেকটিভ ক্যাল) দুটো বিয়েই একই চার্চে হওয়াতে বিয়ের কাগজপত্রে একটু ভুল হয়ে যায়। অফিসিয়াল পেপারে প্রেসিডেন্টের সাথে বিয়ে হয় কিম্বারলি এস বেলসের আর পল ক্যালোম্যাটিক্সের সাথে কিম্বারলি এ বেলসের এমনটা লেখা হয়।]
প্রেসিডেন্ট আর কিম্বারলি এ বেলসের দাম্পত্য জীবন ভালোই যাচ্ছিল কিন্তু পরে একটু মনকষাকষিতে দু’জনের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। তখনই প্রেসিডেন্টের সাথে সম্পর্ক হয় কিম্বারলি এস বেলসের। দীর্ঘ ছ’মাস তাঁরা একসাথে থাকেন যখন কিম্বারলি এস বেলস প্রেসিডেন্টকে জানায় সে প্রেগন্যান্ট তখন প্রেসিডেন্ট তাঁকে ছেড়ে দেয়। তখন বিনস জিজ্ঞেস করে তাহলে জেসিকা(জেসি/ক্যালি ফ্রেইগ ) আসলো কোথা থেকে? প্রেসিডেন্ট তখন বলে একবার জেসিকা তাঁর(প্রেসিডেন্টের) কাছে গিয়ে দশ লাখ ডলার দাবী করে আর না দিলে সে(জেসিকা) সবাইকে বলে দিবে যে সে প্রেসিডেন্টের মেয়ে। তখন প্রেসিডেন্ট ভয়ে জেসিকাকে টাকাটা দিয়ে দেয়। এরপর তিনমাস পর্যন্ত জেসিকার সাথে প্রেসিডেন্টের আর কোনো কথাবার্তা হয়নি। জেসিকা এইসময়ে প্রেসিডেন্টের ছেলে রিকির সাথে সম্পর্কে জড়িত ছিল। তিনমাস পরে সেই সম্পর্কের নমুনাস্বরূপ একটা ছবি জেসিকা প্রেসিডেন্টেকে পাঠায় আর বিশ লাখ ডলার দাবী করে। প্রেসিডেন্ট টাকাটা নিয়ে জেসিকার(ক্যালি ফ্রেইগ) কাছে গিয়েছিল কিন্তু তখন জেসিকা(ক্যালি ফ্রেইগ) টাকাটা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। জেসিকা বলে রিকিকে সে সত্যিকার অর্থে ভালোবেসে ফেলেছে, তাঁকে কোনোভাবেই ছাড়তে পারবে না জেসিকা। কিন্তু সে(প্রেসিডেন্ট) তাঁকে মারে নি।
এরপর বিনস, বিনসের বাবা, রে আর প্রেসিডেন্ট একটা পুরোনো বাড়িতে আসে। এটা হচ্ছে প্রেসিডেন্টের প্রাক্তন প্রেমিকা কিম্বারলি এস বেলস বাড়ি। বিনস মহিলাকে(কিম্বারলি এস বেলস) জিজ্ঞেস করে তাঁর মেয়ে জেসিকার ব্যাপারে। তখন এস বেলস বলে যে তাঁর সাথে তাঁর মেয়ের(জেসিকার) শেষ দেখা হয়েছিল প্রায় দু’বছর আগে। জেসিকা তখন সে তাঁর মায়ের(এস বেলসের) কাছে অনেক টাকা চেয়েছিল। আসলে জেসিকা ছিল মদ্যপায়ী তাই তাঁর মাঝে মাঝেই টাকার প্রয়োজন হত। কিন্তু এস বেলস জেসিকাকে কোন টাকা দেয়নি৷ তখন প্রেসিডেন্ট কিম্বারলি এস বেলসকে জিজ্ঞেস করে আসলে জেসির বাবা কে? উত্তরে কিম্বারলি এস বেলস বলে জেসির আসল বাবা হচ্ছে পল ক্যালোম্যাটিক্স মানে রে’র সহকর্মী ডিটেকটিভ ক্যাল। এর মধ্যেই ডিটেকটিভ ক্যাল প্রবেশ করে। সে কিম্বারলি এস বেলসের কথা শুনেছিল। বিনস ক্যালকে বলে যে এই হচ্ছে পল ক্যালোম্যাটিক্স মানে কিম্বারলি এস বেলসের স্বামী আর জেসির/ক্যালি ফ্রেইগের বাবা৷ পল/ক্যাল এটা প্রথমে অস্বীকার করে। তখন বিনস প্রমাণ দেখায়। পল পালাবার চেষ্টা করে বিনসের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কিন্তু প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষী আবডাল থেকে পলের কপাল বরাবর গুলি করে। আসল খুনী ক্যাল/পল মারা যায় আর প্রেসিডেন্ট নির্দোষ বলে ছাড়া পেয়ে যান। গল্পের শেষটা বেশ রোমান্টিক। ডিটেকটিভ রে আর বিনসের মিলনের মাধ্যমে “থ্রি এ এম” শেষ হয়।
মোটামুটি উপভোগ্য ছিল থ্রিলারটা। দু’বার বসেই সবটা পড়া শেষ করেছি। অনুবাদে diction’টা আরেকটু উঁচুমানের হওয়া উচিত ছিল। So said by Sir Francis Bacon,
“The distilled books are like common distilled waters, flashy things.”
General level এর meaning use করা হয়েছে যাকে বলে banal system. But not disgusting at all. Whole surrounding was flashy, thrilling, attractive and enjoyable. Hope that next one won’t be as distilled as that. One learning I’ve learnt from the text that disguised one always harass you so be truthful about your attitude and concerned matters. Truth is like a pearl that not flashes only in daylight but also in darkness, too.
Begging pardon if I’ve done any mistake in the content. Thank You.
***To err is human.
or
or

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!