Books

চোখের বালি Pdf Download রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – Chokher Bali PDF Download

Chokher Bali PDF rabindranath tagore – চোখের বালি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  pdf Download রবীন্দ্র সমগ্র

বইয়ের নাম: চোখের বালি
লেখক: শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ধরন: মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস
Title চোখের বালি
Author
Publisher
ISBN 98483095246
Edition 1st Published, 2013
Number of Pages 156
Country বাংলাদেশ
format epub bangla, MOBI Bangla, kindle bangla Ebook, Pdf free Download(পিডিএফ ডাউনলোড) google drive full
“আমরা মায়াবিনীর জাত। আমার মধ্যে কি মায়া ছিল, তা আমি ঠিক জানি নাই, তাহা তুমি জানিয়েছ। তোমার মধ্যেও কি মায়া ছিল, তাহা তুমি ঠিক জান নাই, আমি জানিয়াছি। কিন্তু মায়া ছিল, নইলে এমন ঘটনা ঘটিত না। ফাঁদ আমিও কতকটা জানিয়া এবং কতকটা না জানিয়া পাতিয়াছি। আপনিও তা করেছেন।আমাদের জাতের ধর্ম এইরূপ — আমরা মায়াবিনী।”
বলছিলাম কবিগুরুর বিখ্যাত “চোখের বালি” উপন্যাসের কিছু লাইন। সামান্য ক’টা লাইন, অথচ কী মায়ায় জড়ানো! ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিনোদিনী নামে একটা লেখা খসড়া আকারে শেষ করেন। বিনোদিনী নামের এই খসড়াটিই নাম প্রদানের ক্ষেত্রে “চোখের বালি” নামে মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয়। এই বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে দুটি চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে, যার একটি মুক্তি পায় ১৯৩৮ সালে এবং অপরটি ২০০৩ সালে মুক্তি পায়। এছাড়াও বইটির তিনটি ভাষায় অনুবাদ রয়েছে!
কাহিনি সংক্ষেপ:
সবসময় পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত মহেন্দ্রের ইচ্ছা ছিল না বিয়ের। বাড়িতে বিয়ের কথা উঠলেই সে কৌশলে এড়িয়ে চলে। গ্রীষ্মের রৌদ্রমাখানো দুপুরে হঠাৎ যেমন একরাশ স্বস্তি নিয়ে নামে বৃষ্টি, সেভাবেই আশালতা আসে মহেন্দ্রের জীবনে। মহেন্দ্র আর আশালতার জীবন যখন পূর্ণিমার চাঁদের মতো সুন্দর, ঠিক তখনি বিনোদিনীর জীবনে নামে ঘোর অমাবস্যা। স্বামীর মৃত্যু তার জীবনকে শুধু রংহীন করেছে তা না; তার আনন্দ, অহংকার, অধিকারবোধ কেড়ে নিয়েছে। সমাজ যেন তাকে অদৃশ্য কিছু বাঁধায় বেঁধে দিয়েছে!
পাঠ প্রতিক্রিয়া:
বাংলা সাহিত্যের প্রথম স্বার্থক সচেতনতামূলক সাইকোলজিক্যাল উপন্যাস হলো চোখের বালি। এটি মূলত চারটি চরিত্রকে অবলম্বন করে লিখা হয়েছে। এক অনভিজ্ঞ বালিকা বধূ, এক বাল্যবিধবা এবং দুইজন পুরুষ। প্রথমে বিনোদিনীকে মোটেও উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ কোনো চরিত্র ভাবিনি। পরে আমার এই ধারণাকে কবিগুরু কাঁচকলা দেখিয়ে দেন উপন্যাসের মাঝে এসে।
“বিনোদিনীর শেষ পরিণতি কি হবে” তা জানার প্রবল কৌতূহলে বইটা খুব তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেলি। মহেন্দ্রর লোক দেখানো কাজ এবং পুরো গল্পে আশালতার বোকা হয়ে থাকাটা বেশ বিরক্তিকর লেগেছিল আমার আছে। তবে শেষের দিকে নিজের আত্মমর্যাদার প্রকাশ ঘটিয়ে আশালতা যখন ঘুরে দাঁড়ায় তখন সবচেয়ে ভালো লাগে। রবীন্দ্রনাথের সাধু ভাষায় রচিত এই উপন্যাসটি আমার অভিভূত করেছে। এই বইয়ের কিছু উক্তি বলে আমার রিভিউর ইতি টানছি।

চোখের বালি  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রিয় উক্তি:

“উগ্র বিষ শরীরে প্রবেশ করলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তাহার চরম ফল ফলিয়া শেষ হইতে পারে ,কিন্তু বিষ মনে প্রবেশ করিলে মৃত্যুযন্ত্রণা আনে – মৃত্যু আনে না।”
“অধিকারলাভের যে মর্যাদা আছে, সেই মর্যাদা রক্ষা করিতে হইলে অধিকারপ্রয়োগকে সংযত করিতে হয়…
ভোগকে খর্ব করিলেই সম্পদের যথার্থ গৌরব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!