Humayun Ahmed Books PDF All

মৃন্ময়ী উপন্যাস PDF Download (হুমায়ূন আহমেদ)

বইয়ের নাম: মৃন্ময়ী PDF Download

ক্যাটাগরি: উপন্যাস

book মৃন্ময়ী (mrinmoye pdf)
Author
Publisher
ফরমেট পিডিএফ ডাউনলোড
Edition 10th Printed, 2007
Number of Pages 112
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা

মৃন্ময়ী বই রিভিউঃ

হুমায়ূন স্যারের অন্য বই এর তুলনায় ‘মৃন্ময়ী’ বইটা কিছুটা ব্যতিক্রম বই!!
কারণ বইয়ের সবটাই রহস্যজনক-ধোঁয়াধোঁয়া!
‘মৃন্ময়ী’ বইটা পড়ে খুব ভালো লাগবে সবধরনের পাঠকের…. চমৎকার এই বইটি আপনার পড়া উচিত!
উপন্যাসের নায়িকা মৃন্ময়ী, বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে! তার বাবার নাম মইনু মিয়া! মৃন্ময়ীর দাদা একসময় দর্জি ছিলেন! তাই ভেবেছিলেন তার ছেলেও দর্জিই হবেন! তাই ছেলের নাম নিজের সাথে মিলিয়ে রেখেছিলেন!
কিন্তু মৃন্ময়ীর বাবা সবাইকে চমকে দিয়ে কর্মজীবনের শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে! পড়াশুনা চলাকালী সময় নাম এফিডেভিট করে মইনু মিয়া থেকে মইন খান হয়ে যান!
কিন্তু বাবা একসময় দর্জি ছিলেন সেই নাড়ীর টানেই মইন খান অধ্যাপনা ছেড়ে গার্মেন্টস ব্যবসায় শুরু করেন এবং গার্মেন্টসের নাম ‘মৃন্ময়ী এ্যাপারেলস’
গার্মেন্টসের নাম মৃন্ময়ীর নামে হওয়ায় মৃন্ময়ী সারাক্ষণ তার নামে ঘামের গন্ধ পায়! তাই সে ঠিক করে তার নাম ও সে বদলিয়ে ফেলবে! গল্পে দেখা যায় যে মইন খানের আজহার নামের একজন বন্ধু আছে যাকে তিনি ভয় পান! মাঝে মাঝে অতি চালাক মানুষ অতি বোকা লোকের হাতের মুঠোয়য় চলে আসে মইন খানকেও এইরকম একটা সিচ্যুয়েশনে দেখানো হয়েছে!
মৃন্ময়ী ছাড়াও মইন খানের আরেকটা পুত্রসন্তান আছে যার নাম টগর সে মৃন্ময়ীর সৎ ভাই, তবে মৃন্ময়ীকে অনেক ভালোবাসে! টগরকে ঘিরে এই উপন্যাসে কিছু রহস্য আছে….টগরের এক বন্ধু টুনু সে একজন ভয়ংঙ্কর খুনী সে মৃন্ময়ীদের বাসায় লুকিয়ে থাকতে আসে সেসময় মৃন্ময়ী তাকে যত্ন করে খেতে দেয় এই দেখে টুনুর মৃন্ময়ীর প্রতি ভালোলাগা জাগে! অপরদিকে মৃন্ময়ীর একজন স্যার ও মৃন্ময়ীকে ভালবাসে আবার অন্যদিকে আজহার সাহেবের ছেলের সাথে মৃন্ময়ীর বিয়ে ঠিক হয়ে থাকে!!
রহস্যের পরিসমাপ্তি ঘটে বইয়ের শেষের দিকে !
শুরুর দিকে মৃন্ময়ীর বাবাকে একজন বোকাসোকা লোক মনে হলেও বইয়ের শেষে তিনিই হয়ে উঠেন গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্র
ঠিক কী হয়েছিল উপন্যাসের শেষে জানতে হলে বইটি পড়তে হবে!!
আমি বলে দিলে বই পড়ার আরামটা আর পাবেন না!!

 

আমার বাবার নাম মইনু মিয়া । খুবই হাস্যকর নাম। কাঠ মিস্ত্রি বা দরজিদের এরকম নাম থাকে । আমার দাদাজান দরজি ছিলেন, এবং তিনি তার মতো করেই ছেলের নাম রেখেছেন। তিনি স্বপ্নেও ভাবেন নি, তার ছেলে গিরায় হিসাব না করে, নেনোমিটার, পিকো সেকেন্ডে হিসাব করবে । আমার বাবা মইনু মিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে জীবন শুরু করবেন।

এখন অবশ্য তার নাম মাইন খান। সেকেন্ড ইয়ারে পড়ার সময়ই তিনি
প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এফিডেভিট করে নাম বদলেছেন। তবে তার
রক্তে দরজির যে ব্যাপারটা পৈতৃক সূত্রে চলে এসেছে তা এখনো আছে। আমার
বাবা মাইন খান বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে দিয়ে গার্মেন্টসের কারখানা
দিয়েছেন। গার্মেন্টসের নাম “মৃনয়ী গ্যাপারেলস। মৃন্য়ী আমার নাম। ভালো
নাম মৃনুরী, ভাক নাম মৃ। আমার-ভাবতে খুবই খারাপ লাগে যে, বিদেশী
লোকজন বাবার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির শার্ট গায়ে দিয়ে ঘ্বুরে বেড়াচ্ছে। তাদের
ঘাড়ের সঙ্গে যে স্টিকার লেগে আছে সেখানে লেখা মুন্ময়ী। অচেনা মানুষের
গায়ের ঘামের গন্ধে আমাকে বাস করতে হচ্ছে।

বাবা যেমন ইউনিভার্সিটিতে সেকেন্ড ইয়ারে উঠে এফিডেভিট করে তীর
নাম বদল করেছেন, আমি নিজেও তাই করব। অন্য কোনো নাম ঠিক করব, যে
নাম কেউ ঘাড়ে করে ঘুরে বেড়াবে না। আমি মনে মনে নাম খুঁজে বেড়াচ্ছি।
বাবাকেও একদিন বললাম, বাবা, আমাকে সুন্দর একটা নাম দেখে দাও তো।
আমি ঠিক করেছি নাম বদলাব।

বাবা বিম্মিত হয়ে বললেন, মৃন্ময়ী তো খুবই সুন্দর নাম!

নামটায় ঘামের গন্ধ বাবা।

ঘ্বামের গন্ধ মানে কী ? বুঝিয়ে বলতো । তোর সব কথা বোঝার মতো বুদ্ধি
আমার নেই।

পরে একসময় বুঝিয়ে বলব । আজ না।

না এখনই বল। মৃনুয়ীর সঙ্গে ঘামের সম্পর্ক কী ?

উপন্যাস: মৃন্ময়ী pdf লিংকঃ

Click Here To Download

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!