দুয়ারে দ্বিধার দেয়াল PDF Download (মৌরি মরিয়ম)
Book: uyare didhar deyal pdf | দুয়ারে দ্বিধার দেয়াল pdf download রিভিউ
মৌরি মরিয়ম এর বইটি রিভিউ লিখেছেন Bonna
অবশেষে বই টা পড়া হলো। ভেবেছিলাম মার্চের আগে আর পড়া হবেই না। কিন্তু আর অপেক্ষা করতে পারলাম না। প্রথমেই বলি বইটি পড়ার মাঝে একটুখানি ও একঘেয়েমি ভাব আসনি। যার জন্য পড়তে বেশি সময় লাগেনি। বই পড়া শেষ ভিতর থেকে একটি চাপা দীর্ঘশ্বাস বের হলো! কেন হলো? যারা বইটি পড়েছেন বা ফেসবুকে যারা পড়ছেন একমাত্র তারাই জানে! সারপ্রাইজ পেয়ে মানুষ যেমন চমকে উঠে, ঠিক তেমনি অবস্থা হয়েছে আমার। এখন বইয়ের কিছু চরিত্র নিয়ে বলি,
কাব্য: এই চরিত্রটিকে নিয়ে আমার ভালো লাগা ও খারাপ লাগা দুটোই কাজ করেছে।
ভালো লাগা হলো আরশিকে নিয়ে তার অনুভূতি গুলো। আরশি কে কি সুন্দর বুঝে উঠা তার! আরশির ভিতরকার নিজেকে খুঁজতে তার অবদান অনেকটাই। খারাপ লাগা তনিকার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা কেন্দ্রীয়। তার সাথে যোগ ছিল তার ছোট্ট একটি ভুল। ভুলটি আমার কাছে মারাত্মক! কেন জানিনা!
আরশি: নিজেকে আড়ালে লুকিয়ে রাখাতে শান্তি পাওয়া মেয়েটা প্রচন্ড বুদ্ধিমত্তার অধিকারী বলতেই হয়! কত সুন্দরভাবে কাব্যর কার্যকলাপ এর মানে সে বুঝে গেল। এই মেয়েটির জীবনে ভয়ংকর কিছু ঘটে গেছে ভাবতেই শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠে! শেষ রক্ষা ও বুঝি হলো না! দিন শেষে এই মেয়েটির জন্য সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগা কাজ করেছে আমার মধ্যে। আরশিরা ভালো থাকুক, সুখে থাকুক এই কামনা করি।
তিরা: চঞ্চল ধাঁচের মেয়েটি, যার প্রধান কাজ উঠতে বসতে ক্রাশ খাওয়া, কিভাবে যেন ভালোবেসে বোকা বনে গেলো! সময়ের সাথে সাথে কি সুন্দর সবকিছু বুঝতে শিখে গেলো! প্রাণবন্ত একটি চরিত্র ও খুব পছন্দের।
যাদিদ: রাগী দাপুটে ধাঁচের লোক বলা চলে। তার ভিতরে এত ইমোশন কাজ করে পরে বুঝতে পারলাম। তিরার প্রতি তার ব্যবহার কিছুটা ব্যথিত করেছে আমাকে। পরবর্তীতে আবার ভালো লাগাও শুরু হয়েছিলো! শেষে একটা কথাই মনে হলো, না এ অতোটা ও পাথুরে না যতটা ভেবেছিলাম।
রশ্নি: তার সম্পর্কে না বললেই নয়। কি সুন্দর একটি সম্পর্ক তার আর আরশির মধ্যে! আরশির জন্য তার এত বছরের সেক্রিফাইস আমার কাছে খুব বেশিই ভালো লেগেছে। মা হারা আরশির আরেক মা হয়েছে সে!
বইয়ের কিছু কিছু অংশ খুবই ভালো লেগেছে। যেমন:
তিরা-কাব্যর কিছু অংশ পড়ে হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ ছিল প্রায়! কাব্য আর তার সিগারেট এর কথপোকথন এক প্রকার বিনোদন ছিল আমার জন্য! কাব্য-আরশি কাটানো কিছু মুহূর্ত স্মৃতিতে থাকবে বেশ খানিকটা সময়। আর হ্যাঁ এই সমাপ্তির জন্য বইয়ের নামটি ছিল পরিপূর্ণ রূপে সার্থক। বইটিতে যে মেসেজ দেওয়া হয়েছে তা আমার সম্পূর্ণভাবে ঠিক মনে হয়েছে। আমারও লেখকের মতো বলতে মন চায়….
‘মানুষের জীবন বড় অদ্ভুত গতিতে চলে। এর গতিপথ কখন কোনদিকে মোড় নেবে, কেউ জানে না। কারও ছোট একটি ভুল, কিছু মিথ্যে কিংবা কারও একটুখানি রাগ হতে পারে দুটি মানুষের হাজারও দীর্ঘশ্বাস ও চোখের জলের কারণ!’
আচ্ছা মৌরিপু তুমি এত অনুভূতি নিয়ে কিভাবে লেখো বলো তো!? এই অসাধারণ কাহিনীকে প্রাণ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ কখনোই দিব না! ভালোবাসা দিব। কখনো লেখা ছেড়ো না, মনে রেখো কিছু মানুষ তোমার লেখা পড়ার জন্য আকুলতা নিয়ে অপেক্ষা করে!