Booksঅনার্স বই Pdf Download All (সকল বিভাগ লিংক)

অনার্স ২য় বর্ষের ইংরেজি বই Pdf

– hons 2nd year English book pdf – অনার্স ২য় বর্ষের ইংরেজি বই pdf download

Download

আরও পড়ুনঃ 

মেঘের অনেক রং

গ্রামীণ পটভূমিতে লেখা একটি পরিবারের কয়েকপুরুষের গল্প।এদের মাঝে কেউ কেউ মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন আবার কেউবা ক্ষমতালিপ্সু আবার কেউ নিজ দায়িত্ব পালনে পিছপা হয়না।

অসাধারণ একটা চরিত্র ভুবন। যার জন্মলগ্নকে ধরা হয়েছে অশুভ। শৈশব থেকে যে সয়ে গেছে গঞ্জনা আর অবহেলা।অথচ এর দায়ভার তার নিজের নয়।তারপরেও কারো প্রতি কোন ক্ষোভ নেই, ঘৃণা-বিদ্বেষ নেই।মমতাময়ী বোন,একনিষ্ঠ প্রেমিকা আর ন্যায়ের প্রশ্নে অটল।একজন স্নেহময়ী কন্যাও আমি বলবো তাকে।সামনে নিজের অন্ধকার ভবিষ্যত জেনেও নিজের জন্মদাতাকে মানুষের চোখে ছোট হতে দেয়নি।অথচ পিতার চরিত্রের কদর্য রূপ দেখেছে নিজের চোখে।আবার ভাইয়ের বিপদে নিজে ঢাল হয়ে থেকেছে।সদ্য তারুণ্যে পা দেয়া একজন মেয়ের জন্য অনেক সাহসী একটা পদক্ষেপ।

মনসুর মিয়া আরেকটি শক্তিশালী চরিত্র। যদিও তার চরিত্রে নেগেটিভ দিক বেশী তবু গল্পের বেশীরভাগ পড়ার পরেও তার প্রতি কিছুটা সহানুভূতি কাজ করে একজন সন্তানবৎসল পিতা হিসেবে। কিন্তু গল্পের শেষে এসে তার প্রতি তৈরী হয় চরম ঘৃণা। আর এটাই গল্পের টুইস্ট।লোভ কিভাবে মানুষের সব বোধ বুদ্ধি দয়ামায়া লোপ পাইয়ে দেয় তার প্রমাণ মনসুর মিয়ার মতো মানুষেরা।ক্ষমতার লিপ্সা তাদেরকে ধীরে ধীরে নিঃসঙ্গ করে তোলে।তারা নিজেরাও বুঝতে পারে না তাদের পরিণতি কি করুণ হতে পারে।
শওকত নামের একজন যুবক।দমবন্ধ পরিবেশে বড় হয়েও নিজেকে মুক্ত রেখেছে সব পংকিলতা থেকে।বারবার পালিয়ে যেতে চেয়েছে পরিস্থিতি থেকে কিন্তু নিয়তি তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে ফেলেছে সেই পরিস্থিতির সাথেই।একসময় তাকেই করেছে পরিস্থতির নিয়ণ্ত্রক।তার মনে ছিল একটা শান্তিময় ছিমছাম জীবনের স্বপ্ন। বারবার আঘাত এসেছে সে স্বপ্নে।পাশে ছিল ভরসা করার মতো একজন।স্বপ্ন পূরণের সাহস যুগিয়েছে সে।
সমাজের খন্ড চিত্র গল্পটি। শাসক যখন লোভী আর ক্ষমতালিপ্সু হয় সাধারণ মানুষের অবস্থা তখন খাচায় আটকানো পাখির মতো হয়।না পারে উড়তে না পারে শান্তিতে বেচে থাকতে।
ভালোবাসার চমৎকার দৃষ্টান্ত গল্পটি।ভালোবাসা মানে শুধু পাশাপাশি থাকা নয়, একে অন্যের সাহসের আর ভরসার জায়গা হয়ে কঠিন সময়ে পাশে থাকার নাম ভালোবাসা।কারো স্মৃতি বুকে নিয়ে তার অপেক্ষায় থাকার নাম ভালোবাসা।
আরো কয়েকটি শক্তিশালী চরিত্র আছে গল্পে।যার মধ্যে অন্যতম মিনু।স্বল্পশিক্ষিত একজন মানুষ হয়েও কি গভীর জীবনবোধ।সহজ ভাষায় জীবনের ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার চমৎকার ব্যাখ্যা পাওয়া যায় তার কাছে।বাহ্যিকভাবে অনেক ক্ষমতাশীল হয়েও ছিলেন নিঃস্ব, রিক্ত।একটা সময়ে নিজের প্রাপ্য সম্মানটুকুও পাননি স্বামী ও পরিবারের মানুষের কাছ থেকে।
রেখার আত্মসম্মানবোধটুকু এককথায় অসাধারণ।ভালোবাসাকে হৃদয়ে ধারণ করে সে এগিয়েছে কিন্তু যখন নিজের সম্মানে আঘাত এসেছে তাকে ছেড়ে যেতে দুবার ভাবেনি।আবার প্রিয়জনের দুঃসময়ে সব ভুলে এগিয়ে এসেছে।
সোহান,তৌহিদ,মাইনুল,শিউলি,মাহতাব মিয়া,আম্বিয়া বেগম সবাই নিজ নিজ জায়গায় শক্তিশালী।মাইনুল চরিত্রের একটা পরিণতি দেখতে পেলে ভালো লাগতো।তেমনি শিউলি চরিত্রের ব্যাপ্তি আরেকটু বেশি হতে পারতো।ললিতার মৃত্যুরহস্য হুট করে সামনে চলে এলো।তা না হয়ে অন্যরকম কোন ঘটনার মাধ্যমে এলে নাটকীয়তা বজায় থাকতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!