humayun ahmed uponnash somogro pdf free download – হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের উপন্যাস pdf download
উপন্যাস সমগ্র ১ পিডিএফ ডাউনলোড links – Download Download Download Download Download
উপন্যাস সমগ্র ২ পিডিএফ ডাউনলোড links – Download Download Download Download Download
প্রথম প্রহর – এই বসন্তে – তােমাকে – ফেরা – নক্ষত্রের রাত – কোথাও কেউ নেই
উপন্যাস সমগ্র ৩ পিডিএফ ডাউনলোড links – Download Download Download Download Download
দেবী – এইসব দিন রাত্রি – আমার আছে জল
উপন্যাস সমগ্র ৪ পিডিএফ ডাউনলোড links – Download Download Download Download Download
১৯৭১ – দূরে কোথায় – আগুনের পরশমনি – আকাশজোড়া মেঘ – প্রিয়তমেষু – অপরাহ্ন
উপন্যাস সমগ্র ৫ পিডিএফ ডাউনলোড links – Download Download Download Download Download
সম্রাট – বাসর – দ্বৈরথ – সাজঘর – অন্ধকারের গান – রজনী – চাঁদের আলােয় কয়েকজন যুবক – জনম জনম
দিনের শেষে – সমুদ্র বিলাস – গৌরীপুর জংশন – ময়ূরাক্ষী – আমাদের সাদা বাড়ি – বহুব্রীহি – মন্দ্রসপ্তক – নীল অপরাজিতা
অমানুষ – দারুচিনি দ্বীপ – দুই দুয়ারী – একজন মায়াবতী – আশাবরী – অনিল বাগচীর একদিন – পাখি আমার একলা পাখি – দি একসরসিস্ট
কৃষ্ণপক্ষ – আয়নাঘর – জলপদ্ম – হিমু – মেঘের ছায়া – তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে – পােকা – জল জোছনা – নবনী
তিথির নীল তােয়ালে – পারাপার – রূপালী দ্বীপ – ছায়াবীথী – যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ – জয়জয়ন্ত – শ্রাবণমেঘের দিন
ভয়ঙ্কর ভুতুড়ে – পিপলী বেগম – সূর্যের দিন – একি কান্ড – নুহাশ এবং – বিপদ – পুতুল – বােতলভূত
পেন্সিলে আঁকা পরী – সে ও নর্তকী – এবং হিমু – জীবনকৃষ্ণ মেমােরিয়াল হাইস্কুল – পারুল ও তিনটি কুকুর – এপিটাফ – কবি
হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম – তন্দ্রাবিলাস – মেঘ বলেছে যাব যাব – হিমুর দ্বিতীয় প্রহর – রুমালী
অপেক্ষা – মীরার গ্রামের বাড়ি – হিমুর রূপালী রাত্রি – চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস – এই মেঘ এই রৌদ্রছায়া – একজন হিমু ও কয়েকটি ঝিঝিপােকা – ইস্টিশন –
তােমাদের এই নগরে
বৃষ্টি বিলাস – শুভ্র – মৃন্ময়ী – তেঁতুল বনে জোছনা – চলে যায় বসন্তের দিন – দ্বিতীয় মানব – উড়ালপঙ্খি – নীল মানুষ – যদিও সন্ধ্যা
হুমায়ুন আহমেদের রোমান্টিক উপন্যাস pdf
- জলকন্যা হুমায়ুন আহমেদ pdf
- রংপেন্সিল হুমায়ুন আহমেদ pdf
- হুমায়ূন আহমেদ বই pdf
- আমি হুমায়ূন আহমেদ pdf
- রজনী হুমায়ুন আহমেদ pdf
- হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস সমগ্র
- হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের উপন্যাস pdf
- ফেরা হুমায়ূন আহমেদ pdf
হুমায়ুন আহমেদের রোমান্টিক উপন্যাস pdf download – সম্ভবত হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে ভাগ্যবান লেখক। জীবদ্দশায় দেখে গিয়েছিলেন অসংখ্য পুরুষ হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে হিমু সাজে, নীল রঙা শাড়ি মানেই রুপা। বাকের ভাইয়ের ফাঁসির জন্যে মিছিল হয়। রহস্যের সন্ধান পেলেই চোখে ভাসতে থাকে মোটা ফ্রেমের চশমায় চোখ ঢাকা ষাটোর্ধ্ব মিসির আলির মুখ। নাটক,চলচ্চিত্র, গান যেখানেই হাত দিয়েছেন অসম্ভব জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। লেখার বিনিময়ে অর্থ,বিত্ত,যশ,খ্যাতি কোনোকিছুরই কমতি ছিল না। যদি বলি রবীন্দ্র পরবর্তী যুগে তিনি হুমায়ূন যুগের ধারা সৃষ্টি করে গেছেন খুব একটা ভুল বলা হবে না।
চিরযুবা পুরুষ ব্যক্তিজীবনে সহধর্মিণী হিসেবে পেয়েছিলেন দুজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ববান নারীকে। প্রথমেই বলি, গুলতেকিন আহমেদের কথা।
স্বাধীনতা পরবর্তী কিছু বছর-
হুমায়ূন আহমেদের নামের আগে তখনও বিখ্যাত শব্দটি যোগ হয় নাই। ছিপছিপে গড়নের পনের-ষোলো বছরের সুন্দরী কিশোরী এল লেখকের লেখার ভক্ত হয়ে দেখা করতে। তারপরের গল্প কমবেশি আমরা সবই জানি। ধনীর আদুরে দুলালী এল নিম্নমধ্যবিত্ত লেখকের ঘরের ঘরনী হয়ে। বাসর ঘরের পরদিন দেখতে পেল,
ঘরের আসবাব,ক্যাসেট প্লেয়ার, সিলিং নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পড়শীর ঘরে। অল্পবয়সী মেয়েদের আবেগ থাকে আকাশছোঁয়া। গুলতেকিন আহমেদের স্বপ্নালু চোখের ভরসা তাই ভেঙে যায় নাই। বেশ কিছুদিন পর গর্ভবতী অবস্থায় স্বামীকে বিদায় দিতে এয়ারপোর্টে হাজির হলেন। আমাদের মত সাধারণ নারী হলে কেঁদেকেটে অস্থির হয়ে যেত। তিনি চোখের জল দিয়ে স্বামীর পিছুটান হতে চান নাই। হাসতে হাসতে বলেছেন,
-আমাদের ছেলে হলে আমি নাম রাখব আর মেয়ে হলে তুমি।
হুমায়ূন আহমেদের লেখা আমার সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতিকথা “হোটেল গ্রেভার ইন”। আমেরিকায় অবস্থান কালে স্ত্রীকে পাঠানো তিন পৃষ্ঠার চিঠি পাঠক হিসেবে পড়ার সৌভাগ্য হয় নাই।শুধু শেষ লাইনের উক্তি ছিল,
“আমি এনে দিব তোমার উঠোনে সাতটি অমরাবতী”।
কতটা প্রেম ছিল চিঠি পড়ে কাঁদতে কাঁদতে মেয়েটা সুদূর আমেরিকায় একাকী চলে এল সাত মাসের কন্যাকে কোলে নিয়ে। আইএসসি পরীক্ষা ছিল মাসখানেক পর, তারকাছে তখন স্বামীর বিরহ সবচাইতে মুখ্য ছিল।
এই মেয়েটাই আবার তিন কন্যার জননী হয়ে দেশে ফিরে ফেলে আসা পড়াশোনা শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য মার্স্টাস। হুমায়ূন আহমেদ উল্লেখ করেছিলেন,
-ছেলেমেয়েরা কে কোন ক্লাসে পড়ছেন তিনি মনে রাখতে পারতেন না।
লেখকরা যেমনি হয়, সংসার,বৈষয়িক ব্যাপার ছাড়া খাতা-কলমে আবদ্ধ চরিত্রের প্রতি আকর্ষণ থাকে বেশি।
নোভা,বিপাশা,শিলা,নুহাশ চার সন্তান প্রত্যেকেই দেশের সবচেয়ে সেরা বিদ্যাপীঠ থেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত।রাশেদ বেঁচে থাকলে সেও ভাইবোনের অনুসারী হত।একজন মা ঘর সামলে, বাচ্চাদের পড়াশোনা সামলে নিজেও বই নিয়ে বসে যেতেন। হুমায়ূন আহমেদের জীবনে যত বই পড়েছি অধিকাংশ বইয়ের চরিত্র উনিশ-কুড়ি বছরের অত্যন্ত রুপবতী কন্যা। আশ্চর্য, মধ্যবয়সী লেখকপত্নীও কিন্তু তাদের চেয়ে কোনো অংশে কম আকর্ষণীয়া ছিলেন না। প্রথম জীবনে লেখকের উৎসর্গপত্র,স্মৃতিকথায় সেই নারীর প্রতি প্রেম ঝরে ঝরে পরছিল।সেই প্রেম মাত্র পঁচিশ বছর পাড় হবার পর ফিকে হয়ে গেল!
মেহের আফরোজ শাওনের নামের সাথে “আহমেদ” যুক্ত নেই কিন্তু তিনি মিসেস হুমায়ূনের ভূমিকা পালন করছেন গত বিশ বছর ধরে। লেখকের মৃত্যুর পর টকশো,আলাপচারিতা কিংবা হুমায়ূন আহমেদের প্রয়ান দিবসে শাওন প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির হন। সাত বছরের দাম্পত্যসঙ্গীর স্মৃতিচারণ করেন। তার প্রতি লেখকের ভালোবাসা, অসম প্রেমের গল্প মুগ্ধ হয়ে শুনি। আশ্চর্য, দীর্ঘ সাত বছর লেখকের জীবনের উত্থান-পতনের সঙ্গী হয়ে অন্যজন গুলতেকিন আহমেদ থেকে খান হয়ে গেছেন।
গুলতেকিন আহমেদ নামটা শুধু বেঁচে আছে লেখকের তরুণ বয়সে লেখা উপন্যাসের উৎসর্গপত্রে,
“ভালোবেসে যদি সুখ নাহি তবে কেন,
তবে কেন মিছে ভালোবাসা”
দ্বিতীয় স্ত্রী শাওনকে নিয়ে তিনি দীর্ঘ উৎসগপত্র লিখেছেন মধ্যাহ্ন এক এবং দুইয়ে। নিউইয়র্কের আকাশে ঝকঝকে রোদ, লীলাবতীর মৃত্যু বহু স্মৃতিকথায় শাওনকে নিয়ে লেখকের আবেগপ্রবণ অভিব্যক্তি।
হুমায়ূন আহমেদের সব সিনেমার নায়িকা মেহের আফরোজ শাওন। উনার অভিনয়ের দক্ষতা অসম্ভব ভালো। উনার বয়সী আরেকজন কিশোরীও ধুমকেতুর ন্যায় অভিনয় জগতে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি শীলা আহমেদ। আগুনের পরশমনি, নক্ষত্রের রাতের ছোট্ট শীলার কৌতুহলী বড় বড় চোখের চাহনি বুকের ভেতর নাড়িয়ে দিয়ে যায়। আজ রবিবার নাটকে কঙ্কাবতী চরিত্রে প্রথম দৃশ্যে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেবার উপস্থাপন এত সাবলীল, সহজ ছিল মনে হত পাশের বাড়ির মেয়ে কথা বলতে শুরু করেছে। হুমায়ূন আহমেদের কন্যা বলে নয় শীলা আহমেদ যতক্ষণ পর্দায় থাকতেন চোখ সরিয়ে নেবার উপায় ছিল না, অদৃশ্য মায়ার বন্ধনে জড়িয়ে ফেলতেন।
সর্বদা হাসিখুশি মেয়েটা চিত্রাঙ্গন থেকে হারিয়ে গেল! যদি বলি বাবার সাথে রাগ করে ভুল বলা হয়ে যাবে কি! প্রেমিকা শাওনকে দিয়ে চলচ্চিত্র, নাটক জগতে রাজত্ব করাতে গিয়ে চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদ অন্য লবকুশদের ঠকিয়েছিলেন বৈকি। কিছুদিন আগে নিরন্তর দেখলাম, জনম জনম উপন্যাসের কাহিনী অবলম্বনে চিত্রায়িত করা। তিতলি চরিত্রের একসময়ের হার্টথ্রব নায়িকা শাবনূর। মেয়েটা নিজেকে ভেঙেচুরে তিতলির ভেতর ঢুকে গেছে। এত মনভোলানো অভিনয়, যে বেদনার গল্প ঠোঁটে উচ্চারণ করছে না সে গল্প চোখের ভাষায় ফিসফিস করে দর্শকের কানে কানে বলে যাচ্ছে। এই লাস্যময়ী এবং ঢালিউডের সবচেয়ে মেধাবী অভিনেত্রীকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ দুই একটা এক্সপেরিমেন্ট করতেই পারতেন! অথবা শ্রাবন মেঘের দিন সিনেমায় কুসুম চরিত্র। উপন্যাসে কুসুমের সাথে ডাক্তার শাহানা সমানতালে গুরুত্ব পেয়েছে। সিনেমায় কুসুম তথা শাওনকে ফোকাস করতে গিয়ে শাহানা কেমন হারিয়েই গেল। কেন?
কুসুম চরিত্রে শীলাকে মানাত না?
শাওন ভাগ্যবতী বাংলা সাহিত্যের একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিকের ভালোবাসা তিনি পেয়েছিলেন। সেই ভালোবাসা আসমুদ্রহিমাচলের চেয়েও বিশাল, সেই স্রোতে লেখকের পরিবার, তিন কন্যা,পুত্র নুহাশ,গুলতেকিন আহমেদ ভেসে গিয়েছে। তিনি হুমায়ূন আহমেদ যার অঙ্কিত হিমালয় ওরফে হিমু চরিত্রের প্রেমে পরে লক্ষ লক্ষ কন্যা নীল শাড়ি গায়ে রুপা হবার স্বপ্নে মাতে।তার দেহের বয়স যত বছরই হোক হিমু,শুভ্রের মত তার হৃদয়ের ভেতর বাস করে গেছে চিরযুবা যুবক। তিনি হাত বাড়িয়ে আহ্বান করবেন একজন রক্তে-মাংসের মানবী অগ্রাহ্য করে যাবে নিতান্তই অসম্ভব কিছু। তাই শাওনের দিয়ে আঙুল তুলে দোষারাপ করা চলে না। শাওন হুমায়ূন আহমেদের নাটকে কাজ শুরু করে শিশুশিল্পী হিসেবে। বলব,শাওনই হুমায়ূন আহমেদের ভালোবাসা,উৎসাহে মেহের আফরোজ শাওন হয়ে উঠেছেন।অবশ্যই শাওনের সেই যোগ্যতা ছিল, লেখক সাহেবের জহুরির চোখ মুক্তা চিনতে ভুল করেন নাই।
অবশ্য চন্দ্রকান্তমনির হার গলায় ধারণ করে শেষপর্যন্ত মাটির ঢেলা ভেবে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। কে জানি ভাই,স্ত্রী পুরানো হলে ডালভাত হয়ে যায় কি না!
হুমায়ূন আহমেদ এপ্রজন্মের বাংলা সাহিত্যের অবিসংবাদিত সেরা ঔপন্যাসিক। মৃত্যুর দশ বছর পরেও জনপ্রিয়তা কানাকড়ি কমে নাই। আমরা বড় হয়েছি হুমায়ূন আহমেদ পড়তে পড়তে। একবার,দুইবার বা বহুবার পড়লেও বাদশাহ নামদার,জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প, শঙ্খনীল কারাগার পুরানো হয় না। বুকশেলফে সাজানো সারি সারি সারি বইয়ের ভেতর আবদ্ধ না থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন আমাদের ঘরের মানুষ,পরিবারের অংশ।তার প্রতি ভালোবাসা,শ্রদ্ধার পাশাপাশি অভিমান, রাগও জন্মায়। তিনি তো গুলতেকিন আহমেদকে নিয়ে কোনো উপন্যাস লিখেন নাই। স্মৃতিচারণমূলক গল্পে উঠে এসেছে একজন অল্পবয়স্কা তরুণীর মুখ। যিনি পরম মমতায় লেখক এবং লেখকের পরিবারকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে ছিলেন। প্রচণ্ড মনোকষ্ট আর সাজানো সংসার চূর্ণবিচূর্ণ করে তিনি প্রস্থান করেছেন। লেখক সাহেব জানলেন না,তার ছোট্ট ছোট্ট গল্পে স্ত্রীকে নিয়ে দু’চারলাইন লিখতে গিয়েই পাঠকের মনে গুলতেকিন আহমেদের জন্যে বিশাল জায়গা দখল করে ফেলেছেন। ঠিক তার সৃষ্ট অন্যসব কল্পিত চরিত্রদের মত মানবী গুলতেকিনকে নিয়েও পাঠকের কৌতুহলের কমতি নেই,ভালোবাসাও অফুরান।
হুমায়ুন আহমেদ নিয়ে আলোচিত টকশো,গানের অনুষ্ঠানে শাওন সাত বছরের দাম্পত্য সঙ্গীর খুঁনসুটির গল্প বলে, মুগ্ধ হই।আফসোসও রয়ে যায়, পিছনে ফেলে আসা দীর্ঘ ত্রিশ বছরের গল্পের ঝুলি রয়ে গেছে গুলতেকিন আহমেদের কাছে। পাঠক তা কখনো জানবে না, কখনও না।