Books
কারাগারের রোজনামচা Pdf Download
karagarer rojnamcha pdf download and book Review:
book Name | কারাগারের রোজনামচা Pdf Download |
Author | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান |
Publisher | বাংলা একাডেমি |
Edition | 1st Published, 2017 |
Number of Pages | 332 |
Country | বাংলাদেশ |
কারাগারের রোজনামচা বইয়ের দাম | ৪০০ টাকা |
কারাগারের রোজনামচা বই রিভিউ (সারসংক্ষেপ ও সারমর্ম)
শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারের রোজনামচা ২টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের বড় একটি অংশই কেটেছে কারাগারে। কারাগারে বসে বসে তিনি লিখে গিয়েছেন জীবনের কঠিনতম এই অধ্যায়টির কথকতা! সেই লেখাগুলোকে সম্প্রতি বই আকারে প্রকাশ করার উদ্যােগ নেওয়া হয়। বাংলা একাডেমির উদ্যােগেই এই মহান কাজটির সূচনা হয়। তারপর প্রকাশিত হলো বহুল প্রত্যাশিত “কারাগারের রোজনমচা” বইটি। লিখেছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির পিতা, বাঙালির গর্ব, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বইটির নামকরণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা এবং ভূমিকাটি লিখেছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা, দেশনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু! স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি! শৈশব থেকেই যিনি ছিলেন গণ মানুষের দাবি আদায়ে সোচ্চার। এই দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ‘ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি’।১৯৬৬ সালের এই দাবির জন্য জাতির জনককে করতে হয়েছিল কারাবরণ। এই সময়ে কারাবন্দী থাকা অবস্থায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার কথায় তিনি রচনা করেন তার এই অমর কীর্তি। বাংলার মাটি ও মানুষের জন্য তার আত্মত্যাগ প্রতিটি পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে।
“কারাগারের রোজনামচা” বইটিতে বঙ্গবন্ধুর কারাজীবনের কষ্টের কথা উল্লেখ রয়েছে। জেলখানায় তার জীবন কেমন কেটেছে, জেলখানা মানুষের গল্প,জেলখানায় বসে থেকে দেশের জন্য তার ভাবনা,সেই সংকটপূর্ণ সময়ে তার মানসিক অবস্থা, বিশেষত কারাগারের জগৎ টা কেমন ছিল—এ সবকিছু উঠে এসেছে এই বইটিতে।জেলে বসে তিনি কষ্ট পেতেন।তবে সেটা নিজের কথা ভেবে নয়, বরং তার সকল নেতাকর্মীদের কথা ভেবেই তিনি কষ্ট পেতেন।যা তাঁকে একজন শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে তুলে ধরে।
এই বইয়ে শুধুমাত্রই কারাগারের চিত্রই নয়, ফুটে উঠেছে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, পাকিস্তান সরকারের এক নায়কোচিত মনোভাব ও অত্যাচার-নির্যাতনের নানান চিত্র। ফুটে উঠেছে একজন বন্দী বাবার আকুতি, অবুঝ সন্তানের ভালোবাসা,দেশ ও মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর ভাবনা,রাজনৈতিক দর্শন।
বইটির কোনো এক পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু লিখেছেন—“চিন্তা করিও না।জীবনের বহু ঈদ এই কারাগারে আমাকে কাটাতে হয়েছে।আরও কত হবে ঠিক নেই! তবে কোনো আঘাতেই আমাকে বাঁকাতে পারবে না।খোদা সহায় আছে।” এটি ছিল ঈদের সময় বঙ্গমাতাকে লেখা বঙ্গবন্ধুর একটি চিঠি।
বইটির ভূমিকায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখেছেন—“বাংলার মানুষ যে স্বাধীন হবে,এ আত্নবিশ্বাস বারবার তাঁর (বঙ্গবন্ধু) লেখায় ফুটে উঠেছে। এত আত্মপ্রত্যয় নিয়ে পৃথিবীর আর কোনো নেতা ভবিষ্যদ্বাণী করতে পেরেছেন কি না আমি জানি না।”
তিনি আরো লিখেছেন—“তার(বঙ্গবন্ধু) জীবনের এত কষ্ট ও ত্যাগের ফসল আজ স্বাধীন বাংলাদেশ। এ ডায়েরি পড়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বাধীনতার উৎস খুঁজে পাবে। আমার মায়ের প্রেরণা ও অনুরোধে আব্বা লিখতে শুরু করেন। যতোবার জেলে গেছেন আমার মা খাতা কিনে জেলে পৌঁছে দিতেন।আবার যখন মুক্তি পেতেন তখন খাতাগুলো সংগ্রহ করে নিজে সযত্নে রেখে দিতেন।তার এই দূরদর্শিতা যদি না থাকতো তাহলে এই মূল্যবান লেখা আমরা জাতির কাছে তুলে দিতে পারতাম না।”
আসলেই তো! এমন একটি বই খুঁজে পাওয়া অনেক দুষ্কর! এই আত্মজীবনীমূলক ডায়েরিটি বাঙালিকে তার সংগ্রাম ও জাতির জনকের কথা মনে করিয়ে দিবে।বঙ্গবন্ধু ছাড়া এই দেশ কখনোই স্বাধীন হতো না— এ বার্তাটির যথার্থতা আপনি বুঝে যাবেন বইটি পড়ার মধ্য দিয়ে।
বঙ্গবন্ধুর মতো এমন একজন আদর্শবান, ত্যাগী, দেশপ্রেমিক নেতা ইতিহাসে খুব কমই আছেন। পুরোটা জীবন তিনি দিয়ে গিয়েছেন নিজ দেশের জন্য,দেশের মানুষের জন্য। সেজন্যই আজ আমরা স্বাধীন দেশে বসে স্বাধীন দেশের সুবাতাস উপভোগ করতে পারছি।
কারাগারের রোজনামচা থেকে প্রশ্ন উত্তর কুইজ প্রতিযোগিতা:
১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়াসে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের শীর্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাতের পর কিউবার মহান বিপ্লবী নেতা ‘ফিদেল কাস্তো’ বলেছিলেন—
❝ আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবুরকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব এবং সাহসিকতায় তিনিই হিমালয়।❞
হে জাতির জনক, তোমাকে বাঙালি কখনোই ভুলতে
পারবে না। তুমি না থেকেও রয়ে যাবে যুগের পর যুগ।
পড়তে আপনাকে হবেই,হয় বই নয়তো পিছিয়ে!
কারাগারের রোজনামচা থেকে উক্তি
“বঙ্গবন্ধু তুমি রবে এই বাংলায়অমর অক্ষয় হয়েযুগ থেকে যুগান্তর।”
“থালা-বাটি কম্বলজেলখানার সম্বল।”—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান