Books

আমার দেখা নয়া চীন বই Pdf Download

হ্যালো বন্ধুরা, তোমাদের জন্য নিয়ে এলাম শেখ মুজিবুর রহমান এর আমার দেখা নয়া চীন Pdf free Download latest version link : amar dekha noya chin pdf book । এছাড়াও, বরাবরের মত পাঠকপ্রিয় বন্ধুদের রিকোয়েস্ট উপেক্ষা না করে আমার দেখা নয়া চীন পিডিএফ ডাউনলোড লিংক আপডেট করার সর্বাত্বক চেষ্টা করি।

লেখক শেখ মুজিবুর রহমান এর আমার দেখা নয়া চীন বইয়ের বিবরণঃ

বইয়ের নাম (book): আমার দেখা নয়া চীন
লেখকের নাম(Author) শেখ মুজিবুর রহমান
প্রকাশনী(Publisher) এবং ক্যাটাগরি(বা ধরণ)  বাংলা সাহিত্য
ফাইল ফরম্যাট (file format): epub bangla, MOBI Bangla, kindle bangla Ebook, Pdf free Download(পিডিএফ ডাউনলোড)google drive full
১ম প্রকাশ (1st Published Date) 4th Print, 2016 সাল
Number of Pages 333 পৃষ্ঠা
দেশ and ভাষা বাংলাদেশ
ফাইল সাইজ: 23 এম্বি(মেগাবাইট)

 

 আমার দেখা নয়া চীন শেখ মুজিবুর রহমান বই রিভিউ (Pdf Book Review):

আমার দেখা নয়াচীন বুক রিভিউ: রূঢ় বাস্তব অথবা কাল্পনিক জগতে পুলকিত হওয়ার আগে ও লেখক শেখ মুজিবুর রহমান এর আমার দেখা নয়া চীন PDf google drive link(লিংক) দেওয়ার আগে আড্ডার মাধ্যমে কিছু কথা বলে নিই। আমাদের বই পড়ুয়াদের অনেকের মধ্য থেকে নেওয়া রিভিউ থেকে বলতে পারিঃ কারো বন্ধু থেকে, কারো কারো ধার করে, কারো কিনে, কারো অনলাইনে পিডিএফ পড়ে – এভাবে নানা পন্থায় বই পড়া যাত্রা আরম্ভ হয় যেখানে আমার দেখা নয়া চীন বইটি দিয়েও অনেকের বই পড়া সূচনা হতে পারে ।

বিশেষ করে কারো ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিদেশী অনুবাদ বই দিয়ে এ যাত্রা শুরু, আর কারো বাংলা সাহিত্যের ছোট গল্প দিয়ে বই পড়া শুরু হয়। তো এক্ষেত্রে যদি আমার দেখা নয়া চীন বইটি দিয়ে আপনার ১ম সাহিত্য প্রবেশ আরম্ভ হয় তবে বলব যে, খুব মনোযোগ দিয়ে বইটি পড়ুন। ছট করে এক ঘন্টার মধ্যে লেখক শেখ মুজিবুর রহমান এর বইটি শেষ না করে আস্তে আস্তে পড়ুন যাতে করে সাহিত্যরস আস্বাদন করতে পারেন। জীবনে অনেক দেশী বিদেশি নানা সংস্করণ এর গল্প, উপন্যাস, অনুবাদ বই পড়ে নিজের জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধির পাশাপাশি অনুশীলন করার চেষ্টা করতে হবে, যেখানে আমার দেখা নয়া চীন বইটিও সহায়ক হবে বলে মনে করি। একটুখানি পড়াতেই বইটি অসাধারন লেগেছে আমার কাছে।

প্রিয় লেখক শেখ মুজিবুর রহমান এর লেখা আমার দেখা নয়া চীন বইটি পাঠকগণ স্বাদরে গ্রহণ করেছেন বিধায় বলতে পারি বইটি সাহিত্য জগতে বিরাট ভুমিকা পালন করবে। অবসর সময়ে আমার দেখা নয়া চীন বইটির পিডিএফ, ইপাব, মোবি ফাইল পড়ে নতুন উদ্যোমে নিজেকে আবিষ্কার করার মাধ্যমে নতুন রূপে চলতে সাহায্য করবে আশা করা যায়। , জ্ঞানের সাথেই থাকুন।

 

আমার দেখা নয়া চীন পিডিএফ ডাউনলোড by শেখ মুজিবুর রহমান লিংক(link or homepage):

Download the PDF link

 


আরও পড়ুনঃ

বই: আদর্শ হিন্দু হোটেল
“আদর্শ হিন্দু হোটেল” নামটি যেমন চমৎকার ,গল্পের কাহিনীটি তেমনি তাৎপর্যপূর্ণ।
গল্পের প্রধান চরিত্র হাজারী দেবশর্মা।
রাণাঘাটে অবস্থিত বেচু চক্কতির হোটেলে হাজারী ঠাকুর কাজ করে। মূলত হোটেলটি রেল স্টেশনের পাশেই অবস্থিত। এ কারণে হোটেলে খদ্দেরের ভিড় সব সময় লেগেই থাকতো। আরো হোটেল থাকা সত্ত্বেও বেচু চক্কতির হোটেলে খদ্দেরের ভিড় অন্যান্য হোটেলের তুলনায় বেশি ছিল এবং এই হোটেলের সুখ্যাতি বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। খদ্দের কিন্তু বারবার ছুটে আসতো শুধুমাত্র হাজারী ঠাকুরের সুস্বাদু রান্না খাওয়ার লোভে।
হাজারী ঠাকুরের সাথে হোটেলে কাজ করতো পদ্মঝি। হাজারী ঠাকুর পদ্মঝি-কে পদ্ম দিদি বলে ডাকতো এবং যথেষ্ট শ্রদ্ধা করতো। কিন্তু পদ্মঝির চোখের বিষ ছিল হাজারী ঠাকুর। তার কোন প্রশংসা শুনতেই পারতো না পদ্মঝি।
এদিকে বেচু চক্কতি পদ্মঝিকে খুবই মান্য করতো এবং প্রতিবারই এই সুযোগের মন্দ ব্যবহার করতো পদ্মঝি।
হাজারী ঠাকুরের পরিবারে ছিল তার স্ত্রী ও একটি মেয়ে। তার পরিবার থাকতো গ্রামে এবং সে বেচু চক্কতির হোটেলে থেকে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যেত। এত পরিশ্রমের পরও সে যথাযথ পারিশ্রমিক পেত না। তার সারাদিনের প্রাপ্তি ছিল পদ্মঝির খারাপ ব্যবহার এবং অপবাদ। সারাদিন খদ্দেরদের জন্য সুস্বাদু খাবার রান্না করেও তার ভাগ্যে দু’মুঠো ভাত ঠিকমতো জুটতো না। কারন যা খাবার বাঁচতো তার বেশিরভাগই নিয়ে যেত পদ্মঝি। এমনকি কারণে-অকারণে পদ্মঝি বেচু চক্কতির কাছে হাজারী ঠাকুরের নালিশ করতো। যেহেতু বেচু চক্কতির ছিল পদ্মঝির উপর অগাধ আস্থা, সেহেতু শাস্তি হিসেবে হাজারী ঠাকুরের পারিশ্রমিক থেকে কেটে নেওয়া হতো।
হাজারী ঠাকুর বরাবরই রান্নায় পারদর্শী হওয়ার কারণে অন্য হোটেল থেকেও তাকে ঠাকুর হিসেবে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। যদিও সে অন্য জায়গায় যথোপযুক্ত পারিশ্রমিক পেতে পারতো। কিন্তু বেচু চক্কতির হোটেলের সাথে তার মায়া জড়িয়ে গিয়েছে। মায়ার শক্ত বাঁধন সে কাটাতে পারবে না। তবে তার নিজের একটি হোটেল দেওয়ার স্বপ্ন ছিল। তার রান্নার হাত ভালো এবং সেইসাথে হোটেলে অনেক বছর কাজ করার ফলে তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়ে গিয়েছে।
পদ্মঝি খদ্দেরদের প্রতিনিয়তই ঠকাতো। কম পয়সায় বাসি-পচা মাছ বাজার থেকে আনতো। কিন্তু হাজারী ঠাকুরের স্বপ্ন, সে যখন নিজের হোটেল প্রতিষ্ঠা করবে তখন প্রতিটি খাবার হবে টাটকা এবং সে নিজ হাতে রান্না করবে।খদ্দেরদের সে কোন মতেই ঠকাবে না।
কিন্তু প্রয়োজন ছিল যথেষ্ট অর্থের!
দিন যায় এবং পদ্মঝির অত্যাচার আরো দ্বিগুণ হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত হাজারী ঠাকুরকে মিথ্যা অপবাদে হোটেল থেকে চাকুরীচ্যুত করে পদ্মঝি।
এসময় হাজারী ঠাকুরকে সাহায্য করে কুসুম এবং অতসী। অনেক চড়াই-উতরাই পার করার পর হাজারী ঠাকুরের স্বপ্নের দিন দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়ায়। রাণাঘাটে বেচু চক্কোতির হোটেলের কাছেই খোলা হয় “আদর্শ হিন্দু হোটেল”।
দুঃখের সময়কে পিছনে ফেলে এবার শুরু হয় হাজারী ঠাকুরের উন্নতির যাত্রা।
■ পাঠ প্রতিক্রিয়া:
▪︎ হাজারী ঠাকুরের জীবনের চড়াই-উৎরাই, হার না মানা কঠিন সংগ্রাম এবং এই সবকিছু অনুপ্রেরণা দিতে বাধ্য।
▪︎ পদ্মঝি এবং বেচু চক্কতির এত অপমান সত্ত্বেও হাজারী ঠাকুর শেষ পর্যন্ত তাদের সাহায্য করেছিল। এটি পাঠক হৃদয়ে অবশ্যই নাড়া দিবে।
▪︎ সর্বোপরি স্বপ্নপূরণে অনুপ্রেরণার যেন বড় অভাব। এই উপন‍‍্যাস মানবমনে যথেষ্ট অনুপ্ররণা যোগাতে সক্ষম। পরিশ্রম করেও অনেকে স্বপ্নের দ্বারপ্রান্তে পৌছায়। কিন্তু কারও সহযোগিতা যেন সে পথকে কিছুটা হলেও সহজ করে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!