russel pic শেখ রাসেল এর ছবি
|

শেখ রাসেল-কামাল এর জীবনী রচনা-অনুচ্ছেদ,কবিতা (Pdf) প্রশ্ন-উত্তর

জীবন বৃত্তান্ত শেখ রাসেল ও বঙ্গবন্ধু: শেখ কামাল এর জীবনী রচনা pdf ২০০ শব্দ | sheikh kamal jiboni rocona: শেখ রাসেল স্মৃতি কুইজ প্রতিযোগিতার প্রশ্ন উত্তর.

শেখ রাসেল এর জন্মদিন: অক্টোবর ১৮, ১৯৬৪, মৃত্যু – আগস্ট ১৫, ১৯৭৫. 

শেখ রাসেলের শিক্ষা জীবন: শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকায় ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্ম গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রিয় লেখক খ্যাতিমান দার্শনিক ও নোবেল বিজয়ী বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে পরিবারের নতুন সদস্যের নাম রাখেন ‘রাসেল’।

শেখ রাসেলের বেড়ে ওঠা

রাসেল জীবনের শুরু থেকেই পারিবারিক রাজনৈতিক আবহে জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন। ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ বইয়ে শেখ হাসিনা লিখেছেন,‘চলাফেরায় রাসেল বেশ সাবধানী কিন্তু সাহসী ছিল, সহসা কোনও কিছুতে ভয় পেতো না। কালো কালো বড় বড় পিঁপড়া দেখলে ধরতে যেত। একদিন একটা ওল্লা (বড় কালো পিপড়া) ধরে ফেলল, আর সাথে সাথে পিঁপড়াটা ওর হাতে কামড়ে দিল। ডান হাতের ছোট্ট আঙুল কেটে রক্ত বের হলো। সাথে সাথে ওষুধ দেওয়া হলো। আঙুলটা ফুলে গেছে। তারপর থেকে আর ও ওল্লা ধরতে যেত না। তবে ওই পিঁপড়ার একটা নাম নিজেই দিয়ে দিলো। কামড় খাওয়ার পর থেকেই কালো বড় পিঁপড়া দেখলে বলতো ‘ভুট্টো’।’

বিশাল হৃদয়ের রাসেল

‘মা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতেন। রাসেলকে কোলে নিয়ে নীচে যেতেন এবং নিজের হাতে খাবার দিতেন কবুতরদের। হাঁটতে শেখার পর থেকেই রাসেল কবুতরের পেছনে ছুটতো, নিজ হাতে ওদের খাবার দিত। আমাদের গ্রামের বাড়িতেও কবুতর ছিল। কবুতরের মাংস সবাই খেত। বিশেষ করে বর্ষাকালে যখন অধিকাংশ জায়গা পানিতে ডুবে যেত, তখন তরিতরকারি ও মাছের বেশ অভাব দেখা দিত। তখন প্রায়ই কবুতর খাওয়ার রেওয়াজ ছিল। তাছাড়া কারও অসুখ হলে কবুতরের মাংসের ঝোল খাওয়ানো হতো।… রাসেলকে কবুতরের মাংস দেওয়া হলে খেত না। ওকে ওই মাংস খাওয়াতে আমরা অনেকভাবে চেষ্টা করেছি। ওর মুখের কাছে নিয়ে গেছি, মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে…ওই বয়সে ও কী করে বুঝতে পারতো যে, ওকে পালিত কবুতরের মাংস দেওয়া হয়েছে!’
সূত্র: শেখ হাসিনা, ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’

শেখ রাসেল এর ছবি:

 

অতিথিপরায়ণ রাসেল

‘…স্বাধীনতার পর এক ভদ্রমহিলাকে রাসেলের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হল। রাসেলকে পড়ানো খুব সহজ কাজ ছিল না। শিক্ষককে ওর কথাই শুনতে হতো। প্রতিদিন শিক্ষয়িত্রীকে দুটো করে মিষ্টি খেতে হবে। আর শিক্ষয়িত্রী এ মিষ্টি না খেলে ও পড়তে বসবে না। কাজেই শিক্ষিকাকে খেতেই হেতো। তাছাড়া সবসময় ওর লক্ষ্য থাকত শিক্ষিকার যেন কোনও অসুবিধা না হয়। মানুষকে আপ্যায়ন করতে রাসেল খুবই পছন্দ করতো।’
সূত্র: শেখ হাসিনা, ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’

মাকেই আব্বা বলে ডাকত রাসেল

আব্বার সঙ্গে প্রতি ১৫ দিন পর আমরা দেখা করতে যেতাম। রাসেলকে নিয়ে গেলে ও আর আসতে চাইত না। খুবই কান্নাকাটি করত। ওকে বোঝানো হয়েছিল যে, আব্বার বাসা জেলখানা আর আমরা আব্বার বাসায় বেড়াতে এসেছি। আমরা বাসায় ফেরত যাব। বেশ কষ্ট করেই ওকে বাসায় ফিরিয়ে আনা হতো। আর আব্বার মনের অবস্থা কী হতো, তা আমরা বুঝতে পারতাম। বাসায় আব্বার জন্য কান্নাকাটি করলে মা ওকে বোঝাতেন এবং মাকে আব্বা বলে ডাকতে শেখাতেন। মাকেই আব্বা বলে ডাকত। ‘
সূত্র: শেখ হাসিনা, ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রত্যূষে একদল তরুণ সেনা কর্মকর্তা ট্যাঙ্ক দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডিস্থ ৩২ নম্বর বাসভবন ঘিরে ফেলে শেখ মুজিব, তার পরিবার এবং তার ব্যক্তিগত কর্মচারীদের সাথে শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়।শেখ মুজিবের নির্দেশে রাসেলকে নিয়ে পালানোর সময় ব্যক্তিগত কর্মচারীসহ রাসেলকে অভ্যুত্থানকারীরা আটক করে।

শেখ রাসেল সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর –

প্রশ্ন 1: কত বছর বয়সে নিহত হন শেখ রাসেল?

উত্তরঃ ১০ বছর ৯ মাস ২৮ দিন বয়সে শেখ রাসেল নিহত হন।

প্রশ্ন 2: শেখ রাসেল কোথায় জন্মগ্রহণ করে?

উত্তরঃ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন শেখ রাসেল।

প্রশ্ন : শেখ রাসেল কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?

উত্তরঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বর্বর ঘাতক চক্রের নির্মম বুলেটে প্রাণ হারাতে হয় ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শিশু রাসেলকেও।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *