(Pdf) শেষের কবিতা পুরো উপন্যাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Pdf Download -Shesher Kobita pdf Download
বই: শেষের কবিতা pdf
লেখক:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রকাশকাল :- একুশে বইমেলা ২০১২
প্রকাশক :-আবদারুল হুদা
পৃষ্ঠা সংখ্যা :-৮০
মূল্য:-৮০৳
ব্যক্তিগত রেটিং :-৫.০০/৪.৫০
শেষের কবিতা পুরো উপন্যাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর pdf(পিডিএফ) সারসংক্ষেপ:
বাংলা উপন্যাস শিল্প ঊনিশ দশকের মধ্যভাগে প্যারীচাঁদ মিত্রের হাতে জন্মলাভ করে,বঙ্কিমচন্দ্রের হাতে সার্থক রূপ গ্রহণ করে,বিকাশ ও প্রসার লাভ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১)হাতে।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য বাংলার উনিশ শতকের রেনেসাঁস জীবনবোধ, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য চেতনা ও মানুষের আত্ম অনুসন্ধানের গভীর বিন্যাস। শিক্ষিত অভিজাত সমাজের জীবনকথা নিয়ে তিনি রচনা করেছেন ‘শেষের কবিতা’ (১৯২৯) উপন্যাসটি। লেখা ও প্রকাশের দিক থেকে এটি রবি ঠাকুরের দশত উপন্যাস। এটি প্রবাসী পত্রিকায় ছাপা হয় ১৯২৮ সালে।
উপন্যাসের প্রধান চরিত্র অমিত রায়। খুব প্রভাবশালী ধনী পরিবারের ছেলে। তার বাবা স্বনামধন্য ব্যারিস্টার ।অমিত বুদ্ধিদীপ্ত ও রোমান্টিক যুবক প্রতিপক্ষের হাতে সিদ্ধহস্ত কলকাতায় বি.এ ক্লাসে পড়ার সময় তার বাবা তাকে পড়তে পাঠায়। সেখানে পরীক্ষা দিতে দিতে বা না দিতে দিতে তার কেটে গেল সাত বছর।অবশ্য তার বাবা তার কাছ থেকে অসাধারণ কিছু প্রত্যাশা করেনি।ছাত্র অবস্থায় তার বন্ধু চেয়ে বান্ধবের সংখ্যাই বেশি। এদের মধ্যে একজন তার বোনের বান্ধবীকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিলেতেই।অমিতের দেয়া আংটি কেতকী হাতে পড়েছিল।ব্যারিস্টার হয়ে দেশে ফিরে পেশায় মনযোগ না দিয়ে, বান্ধবীর নিয়ে কলকাতা পাহাড়-পর্বতে পিকনিক করে বেড়ায়।তেমনি লিলি গাঙ্গুলীর সাথে দেখা হয় এক পিকনিকে। সেও পাহাড়ে বেড়াতে এসেছে। অমিত গল্পে গল্পে লিলিকে আকৃষ্ট করলেও শেষ পর্যন্ত আঘাত করতে দ্বিধা করে না। মেয়েদের ব্যাপারে তার আগ্রহ আছে,কিন্তু বেশিদিন লেগে থাকার উৎসাহ নেই। সম্পর্ক ভাঙতে খুব একটা সময় লাগে না অমিতের। মেয়েরা বুঝে নিয়েছে অমিত সোনার রঙের দিগন্তরেখা,দড়ি দিয়ে দিয়েই আছে তবু কিছু ধরার সময় লাগে না। মেয়েদের সম্বন্ধে ওর মন তর্ক করে,মীমাংসা আসে না।অমিতের এমন অশ্লীল আচরণের দুই বোন শিশি ও লিসি বেশ চিন্তায় পড়ে যায়।তারা সিদ্ধান্ত নেয় ভাইয়ের বিয়ে দিবে তাহলে হয়তো ভাইটি সুস্থ হবে। তার অমিতকে বলে তুমি বিয়ে করো না কেন ?উনি বলে ‘বিয়ের ব্যাপারে সকলের চেয়ে জরুরি হচ্ছে পাত্রী’ তার নিচেই পাত্র’।তার কাছে কখনো কোন মেয়ের উপযুক্ত হয়ে উঠে নি।
অমিত একবার শিলং পাহাড় বেড়াতে যায়।শিলং পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ির সাথে একটি গাড়ির ধাক্কা লাগে।সেই গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে উপন্যাসের মূল নায়িকা-লাবণ্য।
“লাবণ্য সৌন্দর্য সকাল বেলার মতো তাতে কোন অস্পষ্টতার মোহ নেই,সমস্ত বুদ্ধিতে পরিব্যপ্ত। তাকে মেয়ে মনে করে গড়বার সময় বিধাতা তার মধ্যে পুরুষের একটা ভাগ মিলিয়ে গিয়েছেন;তাকে দেখলেই বুঝা যায় তার মধ্যে কেবল বেদনা শক্তি নয় সেইসঙ্গে আছে মনের শক্তি”।
লাবণ্যের বাবা অবনীশ দত্ত কলেজের অধ্যক্ষ ।উপন্যাসে আরেকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র অবনীশ দত্তের ছাত্র শোভনলাল ,লাবণ্য কে ভালবাসতে শোভনলাল কিন্তু লাবণ্য কখনো সে আহবানে সাড়া দেয়নি।
এই দুর্ঘটনা পরি লাবণ্য অমিতের পরিচয় হয়।অমিতকে মনে ধরে লাবণ্যর এবং অমিত তার পছন্দের কথা জানাতেই তাকে সাড়া দেয়। লাবণ্য তার প্রেম এগিয়ে যেতে থাকে জ্যামিতিকহারে। শিংলয় পাহাড়ি পথে ঘুরে ঘুরে ওদের বেশ ভালোই সময় কাটে।গান,আবৃত্তি শুনে পাখিটিকে প্রকৃতিও যেন ওদের ভালোবাসার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে।অচিরেই বাস্তববাদী লাবণ্য বুঝতে পারে অমিত একেবারে রোমান্টিক জগতের সঙ্গে প্রতিদিনের সংসার হিসেব-নিকেশ চলে না।এমনিতে আপনাকে বিয়ে করার জন্যে অস্থির হয়ে উঠে কিন্তু লাবণ্যর মন সায় দেয় না শুধু অন্যের ব্যক্তিগত তর্ক-বিতর্ক,মান-অভিমানের অনিশ্চয়তার অমিতকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী অঘ্রাণ মাসে এদের বিয়ে। কলকাতা এসব আয়োজন করবেন। সেই সময় অমিতের বোন সিসি ও তার বন্ধু কেতকী শিংলয় এসে উপস্থিত হন। শেষ পর্যন্ত অমিত স্বীকার করে যে কেতকী সাথে তার ভালোবাসার সম্পর্ক। অমিত লাবণ্য এর বিয়ের খবর শুনে অমিতের দেওয়া আংটি খুলে অশ্রুসিক্ত নয়নে কাকুতি শিলং-চেরাপুঞ্জি চলে যায়। কিন্তু সে যেন গড়ায় তোলা জল,প্রতিদিন ব্যবহারের উদ্দেশ্যে আর লাবণ্য সাথে ভালোবাসা সে রইলো দিঘি; ঘরে আনবার নয়,তার মন তাতে সাতার দেবে। লাবণ্যর পরামর্শ অমিত চেরাপুঞ্জির ওখানে কয়েকদিন পর সেখান থেকে লাবণ্য শিলং ছেড়ে চলে গেছে কোন ঠিকানা রেখে যায়নি একসময় অমিত কলকাতায় ফিরে আসে তার কিছুকাল পরে অমিতের সাথে বিয়ে হয়।
লাবণ্য অমিত কে একটি চিঠি পায়, সেই চিঠির মাধ্যমে উপন্যাসের পরিসমাপ্তি ঘটে।
“কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও
নিতান্তই জাগাই আছে অন্তরীক্ষে হৃদয়স্পন্দন
চক্রে পিষ্ট আধারের বক্ষ-ফাটা তারার ক্রন্দন
…………………………………………..
তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান
গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়
হে বন্ধু,বিদায়”।