ভাবনা শুধরায় জন্ম জন্মান্তর দাদা ভগবান Pdf Download
বইয়ের নাম: ভাবনা শুধরায় জন্ম জন্মান্তর – Vabna Shudhray Jonmo Jonmantor
লেখকের নাম: Dada Bhagwan
ধরণঃ Bengali Spiritual Books
ক্যাটাগরি: Novels
প্রকাশনী: Dada Bhagwan Aradhana Trust
১ম প্রকাশঃ 2007 সাল
Total pages: 50 পৃষ্ঠা
PDF Size: 13 Mb
ভাষাঃ বাংলা (Bangla/Bengali)
ভাবনা শুধরায় জন্ম জন্মান্তর রিভিউ:
এতে করার কিছু নেই ! প্রশ্নকর্তা : এতে লিখেছে যে, “আমাকে শক্তি দিন, শক্তি দিন’ তাে এটা পড়লে আমি কি শক্তি পাবাে ? দাদাশ্রী : নিশ্চয়ই ! এ ‘জ্ঞানী পুরুষ’-এর শব্দ !! প্রধানমন্ত্রীর চিঠি আর এখানকার এক ব্যবসায়ীর চিঠিতে পার্থক্য নেই ?! কেন, তুমি বলাে নি কি ? হ্যা , অর্থাৎ এ ‘জ্ঞানী পুরুষ’-এর কথা। এতে বুদ্ধি খাটালে মানুষ পাগল হয়ে যাবে । এতাে বুদ্ধির থেকে উপরের বস্তু । প্রশ্নকর্তা : কিন্তু আচরণে আনার জন্যে এতে লেখা হয়েছে, এরকম করতে হবে তাে ? দাদাশ্রী : না , এ শুধু পড়ার। আচরণে নিজে থেকেই এসে যাবে। সেইজন্য এই বই (নয় কলমের) তােমার সাথেই রাখবে আর রােজ পড়বে। এর মধ্যের সমস্ত জ্ঞান। তােমার এসে যাবে। রােজ পড়তে পড়তে এর প্র্যাক্টিস হয়ে যাবে। সেইরূপ হয়ে যাবে। আজকে তােমার জানা নেই যে এতে তােমার কি লাভ হলাে ! কিন্তু ধীরে ধীরে তুমি ‘যথার্থ’ অর্থ বুঝে যাবে । এই শক্তি চাওয়াতে এর ফল পরে আচরণে চলে আসবে। সেইজন্যে তুমি ‘দাদা ভগবান’-এর কাছে শক্তি চাইবে। যা চাইবে তাই পাবে ! তাই এটা চাইলে কি হবে ? প্রশ্নকর্তা : শক্তি পাবে । দাদাশ্রী : হ্যা, এটা পালন করার শক্তি এলে তার পরে পালন করতে পারবে। এ এমনি এমনি পালন করতে পারবে না। সেইজন্যে তােমাকে বার বার শক্তি চাইতে হবে। অন্য কিছু করার নেই৷ যা লেখা আছে তা সাথে সাথেই হয়ে যাবে এমন নয় আর হওয়া সম্ভবও নয়। যেটুকু তােমার দ্বারা হবে সেটুকু তুমি জানবে যে এটুকু হলাে আর এটুকু হলাে না। তার জন্যে ক্ষমা চাইবে আর সাথে সাথে শক্তিও চাইবে তাহলে শক্তি পাবে।
শক্তি চেয়ে কার্য সিদ্ধ করাে । এক ভাইকে আমি বললাম যে, এই নয় কলমে সবকিছু সমাবিষ্ট হয়েছে। এতে কিছু বাদ যায় নি। তুমি এই নয় কলম রােজ পড়বে ! পরে সে বললাে যে, কিন্তু এ সম্ভব হবে না। আমি বললাম, “আরে, আমি কিছু করতে বলি নি। হবে না এরকম কেন বলছাে ? তুমি তাে শুধু এটুকুই বলবে যে, “হে দাদা ভগবান, আমাকে শক্তি দিন। শক্তি চাইতে বলেছি। তখন সে বললাে যে, এ তাে মজার কাজ ! লােকে তাে (সংসারে) করতেই শেখায় ! তারপর সে আমাকে বললাে, “এই শক্তি কে দেয় ? আমি বললাম ‘শক্তি আমি দিই। তুমি যা চাইবে আমি সে শক্তি দেওয়ার জন্যে তৈরী। তুমি নিজে চাইতে জানাে না তাই আমাকে শেখাতে হচ্ছে যে এইভাবে শক্তি চাও। শেখাতে হচ্ছে না কি? তখন সে বুঝতে পারলাে , পরে বললাে যে এটুকু তাে করতে পারবাে , এতেই সব সমাবিষ্ট হয়ে গেছে ! এ তােমার করার নয়, তুমি কিছু করবে না। একান্তে বসে অন্যদিনের চেয়ে দুটো রুটি বেশি খাও কিন্তু এই শক্তি চাইতে থাকো। তাতে আমাকে বললাে, এ কথা আমার পছন্দ হয়েছে। প্রশ্নকর্তা : প্রথমে তাে এই শঙ্কা হয় যে শক্তি চাইলে পাবাে কি পাবাে না ? দাদাশ্রী : এই শঙ্কা তাে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এখন এই শক্তি চাইছাে তাে ? তােমার মধ্যে এই শক্তি উৎপন্ন হওয়ার পরে এই শক্তিই কাজ করাবে। তােমার করার কিছু নেই। তুমি করলে অহংকার বেড়ে যাবে। আমি করতে যাচ্ছি কিন্তু হচ্ছে না, এরকম হয়ে যাবে। সেইজন্যে আগে শক্তি চাও। প্রশ্নকর্তা : এই নয় কলমে আমি শক্তি চাইছি যে এরকম করবাে না, করাবাে না।