অশ্বমেধের ঘোড়া PDF Download (দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়)
বইটার নাম অশ্বমেধের ঘোড়া দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় PDF download. বঙ্গদেশে ১৮৭২ সালের আদমশুমারীতে এক চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসে । এতে দেখা যায়, মুসলমানরা দক্ষিণবঙ্গে বিপুলভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ । এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রাচীন বঙ্গের রাজধানীগুলোর সন্নিহিত এলাকার নয়। সমগ্র ‘ ব্ধীপের গোটা প্রাবনভূমিতেই তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ। দৃষ্টান্ত স্বরূপ বলা যায়, ঢাকায় মুসলমানদের সংখ্যা হিন্দুদের চেয়ে সামান্য বেশি। মালদায় মুসলমানরা জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ; মুর্শিদাবাদেও জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ; আর পাটনায় মুসলমানরা জনসংখ্যার মাত্র ১২ শতাংশ। অন্যদিকে, বাকেরগঞ্জ, ত্রিপুরা ও ময়মনসিংহের নদীবিধৌত. অঞ্চলে মুসলমানরা জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ । লোক গণনার এ তথ্য ছিল একেবারে কল্পনাতীত ।
book | অশ্বমেধের ঘোড়া ও অন্যান্য প্রবন্ধ |
Author | দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, হিমবন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় |
Publisher | বঙ্গীয় সাহিত্য সংসদ (ভারত) |
Edition | 2011 |
Country | ভারত |
Language | বাংলা |
আগেকার কয়েকটি জরিপ কাজে প্রাপ্ত তখ্যর চাইতে এ তথ্য একেবারে বিপরীত। এর আগেকার জরিপে সেই সব ভ্রান্ত তথ্যকেই মনে করা হত সঠিক বলে। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গে ও পূর্ববঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রসারের ইতিহাস চর্চা সমধিক গুরুত্পূর্ণ। এখন এ সম্পর্কে যতু সহকারে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন। প্রাচীন বঙ্গের ইতিহাস আমরা যতই-জানতে পারছি ততই এ বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে যে, বঙ্গদেশে অষ্টাদশ শতাব্দীর/পুর্বে মুসলমানদের চেয়ে হিন্দুরাই ছিল সংখ্যায় অধিক। এমনকি ষোড়শ শতাবীতে৷ পাচ জন ভুইয়া বা নৃপতির মধ্যে তিন জনই ছিলেন হিন্দু।২ হিন্দু সেনা বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা । এক উদ্যোগী আর অভিযাত্রী সেনা দল ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ শতাব্দীতে বাংলার সরলমনা সাধারণ মানুষের মধ্যে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেছে ও তাদের ধর্মান্তরিত করেছে তরবারির জোরে ।৩ টাদ-তারা খচিত পতাকা হাতে তারা অভিযান চালিয়েছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে, পূর্বাঞ্চলের গহীন অরণ্য অতিক্রম করে তারা পৌছেছে সুদূর সিলেটের নিভৃততম অঞ্চলে । ইসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত ও ধর্মীয় ভাবধারায় উজ্জীবিত তিনজন ধর্মপ্রচারকের নাম চিরম্মরণীয় । এরা হলেন__ আদম শহীদ, শাহ জালাল মুজাররফ ও করফরমা সাহেব ।৪ সুদূর অতীতে, ১৩৩৮ খ্রীষ্টাব্দে সোনারগী থেকে এক মুসলমান সুলতান€ ঙ্গের পূর্বাঞ্চল শাসন করতেন। প্রায় দেড় শো বছর ধরে মুসলমান সুলতানদের অস্থায়ী রাজধানী ছিল সোনারগী । সাম্রাজ্যের এক প্রান্তে অবস্থিত ছিল সোনারগী। সন্নিহিত এলাকায় অধিবাসীরা ছিল দুর্ধর্ষ যোদ্ধা। তা সত্বেও, বুজর্গ ও ধর্মপরায়ণ লোকেরা সমবেত হতেন সেখানে । এই প্রাটান শহরে আজও তাদের কবর আছে। ধর্মীয় আবেগ উন্মাদনার কেন্দ্র ছিল এই শহর। অত্যাচারী জালালউদ্দীনকে এখানেই যুদ্ধধদেহী মনোভাবে অনুপ্রাণিত করা হয়। তীর পরিবারের সদস্যবর্গ খোন্দকার উপাধিতে ভূষিত হতেন।
অশ্বমেধের ঘোড়া PDF Download link– download pdf here