Books

(All) চেতন ভগতের বই Pdf Download

Chetan Bhagat Books pdf Download – চেতন ভগতের বই Pdf Download free links:

থৃ মিষ্টেকস্ অফ মাই লাইফ
লেখক-চেতন ভগত
ব্যাক্তিগত রেটিং ৭/১০
আচ্ছা একটা মানুষ জীবনে কয়টা ভূল করতে পারে? সংখ্যা’য় কি লেখে রাখা সম্বভ বা মনে রাখা সম্ভব? কোন একটা অথেনটিকে পড়েছিলাম “আমরা ভূলের মাধ্যমে বেড়ে উঠেছি”। অন্যদিকে লেখক চেতন ভগত তার তৃীতয় বই ‘থৃ মিষ্টেকস্ অফ মাই লাইফ’ লিখে ফেলেছেন! এত এত্ত ভূলের মধ্যে মাত্র তিনটা ভূল নিয়ে কেন একটা মানুষ বই লিখবেন, বইয়ের নাম শুনে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করছি? যেই ভূলগুলোর জন্য একটা বই লেখা হয়। মাত্র তিনটা ভূল কি? এই তিনটা ভূল সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় ২২৭ পৃষ্ঠার আস্ত একটা বায়োগ্রাফ পড়তে হবে! ব্যাক্তিগতভাবে আমি বায়োগ্রাফ/অটোবায়োগ্রাফ এর প্রতি আলাদা একাটা সফ্ট কর্ণার রয়েছে, কিন্তু আগ্রহের মতো করে বায়োগ্রাফ/অটোবায়োগ্রাফ বই পড়ার সংখ্যা ততটাই আমার আশাহতঃ।
তিনটা বন্ধু! তিনটা ভূল! তিন বন্ধু’ই বইয়ের প্রানবিন্দু। বইটা’তে সংগ্রাম, ঘুরে দাড়ানো, আত্মপ্রত্যয়, মনোবল, রাজনীতি, ধর্মচর্চা, ধর্মান্ধতা,দূৃৃর্যোগ,প্রনয় উপখ্যান,স্বপ্ন,দাঙ্গা,বিশ্বাসঘাতক,মানবধর্ম সব কিছু মিলে একটা মাষ্টারপিস মনে হয়েছে আমার কাছে। অনেক পাঠক হয়তোবা ভাবতে পারেন I’ve no good taste about book- বাট সর্যি টু স্যে দুর্দান্তরকমের একটা বই ছিলো।
তিন বন্ধু অমি,ইশান,গোবিন্দ! তিনবন্ধুর স্পেশালটি ছিলো ইশান জেলাপর্যায়ের ক্রিকেটার, গোবিন্দ স্টুডেন্ট হিসেবে খুবই ভালো যার দরুন টিউটর হিসেবে ভালো চাহিদা ছিলো অন্যদিকে অমি ধার্মিক গোছের ছেলে-হতে চেয়েছিলো বাবার মতো পুরোহিত তিন বন্ধু মিলে নতুন উদ্যোগে দোকান গড়ে তোলা। আত্মপ্রত্যয়ে হতে চেয়েছিলে অনেকগুলো দোকানের মালিক। শহরের সবচাইতো বড় মলে দোকান গড়ার স্বপ্ন! সেই স্বপ্ন ভুঃকম্পনের ফলে স্বপ্নের মতো বিধ্বস্ত হওয়া। সেখান থেকে আবার ঘুরে দাড়ানো। তার মাঝে আরেকজনের আগমন ঘটলো “আলী” যে প্রকৃতিপ্রদত্ত আলাদা সহজাত ক্ষমতা নিয়ে জন্ম নিয়েছিলো।
 “আলী” শুধু ৩ টা বল-ব্যাট করতে পারতো তাও শুধু বাউন্ডারী। এই বাউন্ডারী ছিলো আলাদা যা অন্য খেলায়াড়ের থেকে আলাদা। এবং ইশান “আলী”কে কোচিং করাতো। সেই “আলী” কে ইন্ডিয়ার জাতীয় দলে খেলানোর জন্য অষ্ট্রোলিয়া পাড়ি জমিয়েছিলে তিন বন্ধু। ঠিক এই জায়গাটা থেকে গল্পের টুইষ্ট শুরু হয়। ইশানের বোন কে গোবিন্দ প্রাইভেট পড়ান। কিন্তু ইশের বোন গোবিন্দের প্রনয়ে মর্মাহত,পাশাপাশি গোবিন্দ ও! একদিকে গোবিন্দের অস্পৃর্শ মানসিক চাহিদা অন্যদিকে বন্ধুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা! কিন্তু প্রণয়আখ্যানে বাধার সৃষ্টি হবে না? অবশ্যই হবে তা জানতে হলে বইটা পড়তে হবে।
বইটার সবচেয়ে আর্কষনীয় মূর্হুত শেষের দিকে- যেখানে ধর্মের নামে অন্যদের খুন করা হয়। আচ্ছা ব্রীফলি তুলে ধরি।
অমি’র মামা ছিলেন পাতিনেতা, যে সাম্প্রদায়িকতা বিষ ছড়াতেন। সেই মামার ছেলে একদা ট্রেনে আসার সময় মুসলিমরা পুরা ট্রেনের বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে করে অমি’র মামা’র ছেলে মারা যায়, এতে করে অমি’র মামা ক্ষিপ্ত হয়ে আলীর বাবা-মা দুজনকে ত্রিশূল দিয়ে হত্যা করে(আলীর বাবা রাজনীতি করতো সতন্ত্র থেকে) এবং সবিশেষ আলী কে খুন করার জন্য তিনবন্ধুর কাছে হানা দেয়। তিনবন্ধু আলীকে বাচাঁনোর জন্য অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করে। কিন্তু আলীর বদলে অমি’র মামা অমি কে খুন করে। তারপর ও গল্পের টুইষ্ট আছে। আর এত্তকিছু জানার জন্য বইটা পড়া আবশ্যক।
আচ্ছা তিনটা কি ভূল ছিল? যার জন্য একটা বই লেখা হয়েছে? আর আমি ও রিভ্যিউয়ের নামে ছাই-পাশ লেখছি।
১ম মিষ্টেক- ঝন নেওয়া
২য় মিষ্টেক- বইটা পড়া অাবশ্যক (পুনশ্চ -আমি ২য় মিষ্টেকটা পড়ে বই টা পড়ার প্রতি বেশি অনুপ্রানিত হইছি)
৩য় মিষ্টেক- এক মূর্হুতের জন্য আলীর সহজাত ক্ষমতার বিনষ্টকরন।
“থৃ মিষ্টেক অফ মাই লাইফ” চেতন ভগতের বইয়ের কিছু উক্তি-
“১/ নিজের চাইতে বেশি স্মার্ট লোকের সাথে কথা বলতে গেলো জীবনটা কঠিনই হয়ে যায়।
২/ বয়স্ক লোকগুলোর নিজেদের কাম প্রবণতা ঢাকার জন্য একটা ভাল উপায় আছে। আপনাকে হয়ত তার নিজের ছেলে বা মেয়ে বলে ডাকবে।
৩/ মেয়েদের ব্যাপারে একটা ভাল দিক হচ্ছো, আলাপচারিতায় বিরতির মাঝেও আপনি তাদের দিকে তাকাতে পারেন এবং এজন্যে কোন একঘেয়েমি আসবে না।
৪/ মেয়েদের মন না পাওয়ার একটা কারন আছে। কিভাবে কথা বলতে হয় ভাল ছাত্ররা তা জানেনা।
৫/ গালাগালি করা,এটা ও তো একটা সাধ-আহ্লাদ”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!