Books

সায়ক আমান Pdf Download (All)

All Sayak Aman books pdf free download

আরিন ও আদিম দেবতার Pdf Download উত্থান সায়ক আমান – Arin O Adim Debotar Uththan pdf by Sayek Aman
তার চোখের তারায় Pdf Download সায়ক আমান Tar Chokher Taray pdf by Sayek Aman
ভাসান বাড়ি Pdf Download সায়ক আমান – Vasan Bari pdf Sayek Aman
মাকড়সার জাল Pdf Download সায়ক আমান – Makorhsar Jal pdf by Sayak Aman
কুয়ো সায়ক আমান Kuyo pdf by Sayek Aman
মিডনাইট হরর ১ , ২  Pdf Download সায়ক আমান – Midnight Horror 1 pdf by Sayak Aman

 

All Sayak Aman books pdf free download

সায়ক আমান এর বই গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তার প্রথম যে ফিরিয়ে বইটি আমি করেছিলাম সেটি হচ্ছে ভাসান বাড়ি।

জুয়ার সাউথ পার্কসট্িট সেমেটারি, গ্রেভ নম্বর ১২৭৫, একটি বাচ্চা মেয়ের কবর। জীবনকাল-_ ১৭৯৯ থেকে ১৮০৪। একটা সময়ে এই নিদিষ্ট গ্রেভটা আমাকে বারবার টেনে নিয়ে যেত সেখানে। এজিটা বছর পাঁচেকের মেয়ে, আজ দু’শো বছর ধরে একটা সিমেন্টের স্তুপাকৃতি ঘরের নিচে শুয়ে আছে। কেউ তাকে মনে রাখেনি, কেউ তাকে দেখতে আসে না। এমন কি তার একটা ছবি পর্যন্ত আর পৃথিবী খুঁজলে পাওয়া যাবে না। একটা মানুষের মৃত্যু মানে অসংখ্য গল্পের মৃত্যু।

তার পুতুলের গল্প, সদ্য শেখা বর্ণমালার গল্প, এসব কাকে শোনায় সে এখন? হারিয়ে যাওয়া অব্যক্ত গল্পের থেকে বেশি রহস্যময় মনে হয় আর কিছু নেই। এই বইতে রহস্যের সাগরেদ স্বরূপ অলৌকিক এবং গোয়েন্দাগিরি দুটো উপাদনই মজুত, তবুও “তার চোখের তারায়” শুধু অলৌকিক-খ্রিলার উপন্যাস নয়। কিছু মৃত, হারিয়ে যাওয়া রহস্যময় প্রশ্নের উত্তর-অনুসন্ধান। সে রহস্য সমাধানে এতিহাসিক সময়কাল, প্রাটীন পুথিপত্র ও ধর্মতত্ের যে ব্যাখ্যা ব্যবহার হয়েছে তার কোনোটাই আমার মনগড়া নয়।

উপন্যাস লিখতে গিয়ে সব থেকে ভয়ানক কাজটা হলো একঝাঁক পরস্পর-বিরোধী চরিত্রের শরীরে একা ঢুকে পড়া। ভাবুন একটি প্ল্যানচেটের মিডিয়ামের ওপর একসঙ্গে অনেকগুলো আত্মা ভর করেছে। ক্ষণে ক্ষণে নানারকম গলায় কথা বলছে, নিজের প্রশ্নের নিজেই উত্তর দিচ্ছে, একসঙ্গে কাঁদছে, হাসছে, ভয় পাচ্ছে। এই উপন্যাস লিখতে গিয়ে তেমনই এক ভর হয়েছিল আমার। তবে প্লযাঞ্চেটের টেবিলে তো একা বসিনি। ধন্যবাদ মিডনাইট হরর স্টেশনের লক্ষাধিক শ্রোতাকে, যারা মাঝেমধ্যে “এবার একটা বই না লিখলে কিন্তু মিথ্যে খুনের মামলায়ু জড়িয়ে দেব”, জাতীয় হুমকি দিয়ে এসেছেন। এমন নাদুসনুদুস চেহারার একটা উপন্যাস লিখতে গেলে পরিশ্রমের সঙ্গে ঢের সাহস লাগে, সেটা তারাই জুগিয়েছেন। ধন্যবাদ আবার কিবোর্ডকে, দিবারাত্র আঙুলের ঠোকাুকির ঠেলায় যে ইতোমধ্যে বেশ কিছু *বর্ণহীন” হয়ে পড়েছে। এছাড়াও আমার গোটাতিনেক বিড়াল যারা প্রবল “ম্যাও- ম্যাও” শবে প্রেরণা হেয়তো) জুগিয়ে এসেছে আমাকে।

আর ধন্যবাদ ১২৬৫ নম্বর গ্রেভের নিচে শুয়ে থাকা পাঁচ বছরের মেয়ে মারগারেট মসক্রপকে। তার না বলা গল্প হয়তো আর শোনা হবে না কারো। বিভা পাবলিকেশন আর তার কান্ডারি অনিমেষদার কথা আলাদা করে বলার দরকার নেই। এই বইটি আপনারা কতটা গ্রহণ করবেন আমি জানি না। তবে এ বইটা নিয়ে মেলা ঝকি মুখ বুজে সহা করেছেন তারা। আপনার হাতে যে ধানের শিষটা আপাতত আছে তা তাদের বহু পরিশ্রমে বপন করা। গায়ক, আবৃত্তিকার, রাজনীতিবিদ এইসব পথে না হেটে আমি লেখক হয়েছিলাম শুধু একটা কারণে। দর্শকাসন থেকে ছিটকে আসা পচা ডিম বা জুতো খেতে হয় না এখানে। কিন্তু আজ বুক ঠুকে নেমে পড়লাম। বই পড়ে পচা কিংবা দিসশ দু”রকম ডিমই ছুড়ে দিতে পারেন আমার ইনবক্সে। বই পড়ুন বা ভূমিকাটা, আপনাদের সবার জন্য রইল অনেক ভালোবাসা… সায়ক আমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!