(All) বিমল করের উপন্যাস Pdf + গল্প সমগ্র Pdf – Bimal Kar books pdf
Last Updated: August 2, 2021
হ্যালো বন্ধুরা, তোমাদের জন্য নিয়ে এলাম গল্প উপন্যাস বিমল কর Pdf free Download latest version link। এছাড়াও, বরাবরের মত পাঠকপ্রিয় বন্ধুদের রিকোয়েস্ট উপেক্ষা না করে গল্প উপন্যাস পিডিএফ ডাউনলোড লিংক আপডেট করার সর্বাত্বক চেষ্টা করি।
লেখক বিমল কর এর গল্প উপন্যাস বইয়ের বিবরণঃ
বইয়ের নাম (book):
গল্প উপন্যাস
লেখকের নাম(Author)
বিমল কর
প্রকাশনী(Publisher) এবং ক্যাটাগরি(বা ধরণ)
বাংলা সাহিত্য
ফাইল ফরম্যাট (file format):
epub bangla, MOBI Bangla, kindle bangla Ebook, Pdf free Download(পিডিএফ ডাউনলোড)google drive full
১ম প্রকাশ (1st Published Date)
4th Print, 2018 সাল
Number of Pages
১৫৫ পৃষ্ঠা
দেশ and ভাষা
বাংলাদেশ
ফাইল সাইজ:
৫৪৩ এম্বি(মেগাবাইট)
গল্প উপন্যাসপিডিএফ ডাউনলোড by বিমল করলিংক(link or homepage):
হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমরা এখানে বিমল করের উপন্যাস Pdf, গল্প সমগ্র Pdf download (ডাউনলোড) করার জন্য এক বিশাল লিংক কালেকশন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। Bimal Kar books pdf free download links:
রূঢ় বাস্তব অথবা কাল্পনিক জগতে পুলকিত হওয়ার আগে ও লেখক বিমল কর এর গল্প উপন্যাস PDf google drive link(লিংক) দেওয়ার আগে আড্ডার মাধ্যমে কিছু কথা বলে নিই। আমাদের বই পড়ুয়াদের অনেকের মধ্য থেকে নেওয়া রিভিউ থেকে বলতে পারিঃ কারো বন্ধু থেকে, কারো কারো ধার করে, কারো কিনে, কারো অনলাইনে পিডিএফ পড়ে – এভাবে নানা পন্থায় বই পড়া যাত্রা আরম্ভ হয় যেখানে গল্প উপন্যাস বইটি দিয়েও অনেকের বই পড়া সূচনা হতে পারে ।
বিশেষ করে কারো ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিদেশী অনুবাদ বই দিয়ে এ যাত্রা শুরু, আর কারো বাংলা সাহিত্যের ছোট গল্প দিয়ে বই পড়া শুরু হয়। তো এক্ষেত্রে যদি গল্প উপন্যাস বইটি দিয়ে আপনার ১ম সাহিত্য প্রবেশ আরম্ভ হয় তবে বলব যে, খুব মনোযোগ দিয়ে বইটি পড়ুন। ছট করে এক ঘন্টার মধ্যে লেখক বিমল কর এর বইটি শেষ না করে আস্তে আস্তে পড়ুন যাতে করে সাহিত্যরস আস্বাদন করতে পারেন। জীবনে অনেক দেশী বিদেশি নানা সংস্করণ এর গল্প, উপন্যাস, অনুবাদ বই পড়ে নিজের জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধির পাশাপাশি অনুশীলন করার চেষ্টা করতে হবে, যেখানে গল্প উপন্যাস বইটিও সহায়ক হবে বলে মনে করি। একটুখানি পড়াতেই বইটি অসাধারন লেগেছে আমার কাছে।
প্রিয় লেখক বিমল কর এর লেখা গল্প উপন্যাস বইটি পাঠকগণ স্বাদরে গ্রহণ করেছেন বিধায় বলতে পারি বইটি সাহিত্য জগতে বিরাট ভুমিকা পালন করবে। অবসর সময়ে গল্প উপন্যাস বইটির পিডিএফ, ইপাব, মোবি ফাইল পড়ে নতুন উদ্যোমে নিজেকে আবিষ্কার করার মাধ্যমে নতুন রূপে চলতে সাহায্য করবে আশা করা যায়। , জ্ঞানের সাথেই থাকুন।
সুধা পরিবারের বড় মেয়ে। বড় বলতে বয়স আর কত? ষোল। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর কলকাতার মতো ব্যয়বহুল শহরে টিকে থাকা দায়। তাছাড়া সময়টা ভয়ঙ্কর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবো হবো। কিন্তু পরিবারে মা রত্নময়ী, ছোট ভাই বাসু আর ছোট বোন আরতিকে নিয়ে যেন একটা বড়সড় খরচের ধাক্কা। গ্রামে ফিরে গিয়ে লাভ নেই। সেখানে তাদের গোলাভরা ধান নেই। জমি দিয়ে পেট ভরবে না। তাই তাদের গ্রামে ফিরে গিয়েও কাজ নেই। কিন্তু পরিবারের হাল টানবে কে? মাকে না জানিয়ে সুধা এক মেয়েদের স্কুলের মাস্টারি নেয়। পরে মা জানলেও মেনে নেয় যদিও পারিবারিক সংস্কার তাকে ব্যাপারটা মেনে নিতে কেমন একটা ধাঁধায় পড়ে গিয়েছিলেন। তবুও মেনে নিতে হয় অনেক সময়, তখন মনের দাবি রাখা সাজে না।
এভাবে শুরু হয় সুধার যাত্রা। এরপর অমলাদির সাথে পরিচয়। তাদের জীবনের সবচেয়ে উপকারী মানুষই বলা যায়। তার হাত ধরে পরে এক অফিসে কেরানির চাকরি। এবার সুধা ভেবেছিলো এত পুরুষ লোকের মধ্যে কাজ করার ব্যাপারটা মা মেনে নিতে পারবে না। কিন্তু মেনে না নেওয়ার সময় নেই তা তার মা রত্নময়ী ভালোই জানেন। উপার্জন করতে নেমে গ্রাম্য বধুর সংস্কার ধরে রাখা যায় না।
এরপর একদিন সুধার জীবনে এলো সুচারু। বেশ পরিমিত এক ব্যক্তিত্ব। সুধার সাথে তার ভাব হয়ে যায়। ধীরে ধীরে সে ভাব প্রেমের দিকে যায়। এদিকে তুখোড় যুদ্ধ ইউরোপ জুড়ে। কলকাতায় শত শত গুজব। বোমা মেরে কলকাতা সিঙ্গাপুর আর বার্মার মতো তছনছ করে ফেলবে। তাই মানুষ পাগলের মত ছুটছে গ্রামে গঞ্জে। কিন্তু হঠাৎ করে সুচারুর খেয়াল চাপলো- সে যুদ্ধে যাবে। তার মনে হলো- ছোট এই সংসারে বসে পৃথিবীকে জানা যায় না। জানতে হলে যুদ্ধের চেয়ে নিগূঢ়তম জায়গা দ্বিতীয়টি নেই। এখানে হয়তো ন্যায় অন্যায়ের বড় পর্দাটা দেখা যাবে। জীবন ও মরনকে আরো কাছ থেকে দেখা যাবে। তাই সে চলে গেলো যুদ্ধে। কিন্তু সুচারু কি ফিরে এসেছিলো? আর সুচারুই বা যুদ্ধে পেয়েছিলো নতুন কোনো দিগন্ত?
অন্যদিকে এই উপন্যাসের চমৎকার দুটি চরিত্র হলো- বাসু আর আরতি। এদের মধ্যে খুব ভাব। সুধাদিকে বাসু খুব একটা ভালো পায় না। তাদের মধ্যে সবসময় বাজে ঝগড়া লেগেই থাকে। কিন্তু আরতিকে সব কথা বলে বাসু। বাসু চরিত্রটা চমৎকার কয়েক দিক থেকে। খুবই রুক্ষ, বদমেজাজি, গুন্ডা ধরনের স্বভাবের সে। তাকে কেউ চাকরি দেয় না। কারণ অল্পতেই বাসু রেগে যায়। তার শক্তিশালী দেহকে মারামারিতে জড়ায়। এজন্য কেউ তাকে কাজ দেয় না। লেখাপড়াটা সেও ঠিকমত করেনি। তার বন্ধু গৌরাঙ্গ তার বেশ ঘনিষ্ঠজন। ঘরে বাসুকে নিয়ে সুধা প্রায় চেচামেচি করে। ঝগড়া করে মায়ের সাথে। কেন সে কাজ করে না। সেই ষোলো বছর থেকে সুধা যদি কাজ করতে পারে এখন অবধি, বাসু কেনো বসে বসে এই মৃত কুটিরের অন্ন গিলবে? এই আকালের সময়ে শরীরকে পানি করে সুধা টাকা আনে যা দিয়ে ভালোভাবে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় সেখানে বাসু কেনো রাস্তায় রাস্তায় বাজে আড্ডা দিবে? সে বড় হয়েছে। আর সবাই সবার মাথার রাগ ঝাড়ে বেচারি আরতির উপর। এজন্য ও মনে করে ওর কপালটাই সবচেয়ে খারাপ।
কলকাতায় বেশ কয়েকবার বোমা পড়ে। সেই সময়ে কলকাতার মানুষের মধ্যেকার প্রতিক্রিয়াটা খুব কাছ থেকে অনুভব করা যাবে। অনেক উপন্যাসে এই বোমা পড়ার কথাটা থাকলেও এতটা কাছ থেকে ও বিস্তারিত কেউ আলোচনা করেনি।
উপন্যাসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো গিরিজাপতি। তাঁর জীবনটাও বেশ নাটকীয়। শুরু থেকে শেষ অবধি তিনি চিন্তাশীল মানুষ। কিন্তু তাঁর অতীত বড় নাটকীয়। জগত সম্পর্কে খুব উচ্চ আশা মানুষের একজন তিনি। দায়িত্ববোধও চড়া। কিন্তু তাঁর এই দায়িত্ববোধ রাতারাতি আসেনি। তাঁর জীবনে একদিন এক অঘটন ঘটেছিলো। তিনিই ঘটিয়েছিলেন সেই অঘটন যার প্রতিক্রিয়া তাকে প্রচন্ডভাবে বদলে দিলো। কি সেই ঘটনা, কি সেই অতীত? জানতে বুঝতে হবে গিরিজাপতিকে প্রথম থেকে শেষ অবধি। ঘটনার জট খুলবে ধীরে।
গিরিজাপতি নিয়ে কিছু বললেই উপন্যাসের সাস্পেন্স নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সেদিকে না গিয়ে একটু তাঁর দুই ভাইপো আর ভাইঝির দিকে তাকানো যাক। নিখিল ও উমা তাঁর কাকার সঙ্গে কলকাতা এসেছে নিখিলের পড়াশোনার জন্য। উমা ঘরেই পড়ে। কিন্তু নিখিল পড়ার পাঠ এক প্রকার ছেড়ে দিয়ে বিপ্লবীদের দলে ভিড়ে যায়।
আমি রিভিউ লেখায় খুব একটা দক্ষ নই। এককালে হয়তো ছিলাম কিছুটা। কিন্তু এখন পারিনা। অনেক দিনের অনভ্যস্ততার দরূণ। তাই কোথায় স্পয়লার দিয়ে দিলাম নিজেও বুঝতে পারছি না। আপনারা রিভিউর চেয়ে নিচের অংশটা পড়ে যাচাই করে নিন- এই বই আপনার পড়ার মতো কিনা? এই বইটি নিয়ে খুব একটা আলাপ শুনিনা। আমি খুব করে চাই, এই বইটা খুব আলোচিত হোক কিংবা সমালোচিত। মোট কথা, এই বই আরো অনেক মনোযোগের দাবিদার। পরিণত পাঠক মাত্রই এটা খাঁটি সোনা হিসেবে গ্রহণ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
এই উপন্যাস কাদের ভালো লাগতে পারেঃ
১/ যারা ডিটেইলিং লেখা পছন্দ করেন। মানে উপন্যাসের কাল, পরিবেশ ও চরিত্র বর্ণনা খুব খুলে খুলে বলা হয়। অনেকের এই জিনিসটা বিরক্ত লাগে। কিন্তু আমার বেশ ভালো লাগে। কাহিনী জানার পাশাপাশি আবহ জানার মধ্যেও একটা মজা আছে অবশ্যই।
২/ যারা মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের উপন্যাস পড়তে পড়তে ক্লান্ত, তারা আরেকটু জীবনের জটিলতায় প্রবেশ করার জন্য নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্পের দিকে আগ্রহী হতে পারেন। আসলে এই উপন্যাস আমাদের অধিকাংশ মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য খুবই প্রাসঙ্গিক। মনে হবে এ যেন আমাদের বড় চেনা গল্প, আমাদের ঘরের কিংবা আমাদের পাশের ঘরের কারো। আর নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সাথে মধ্যবিত্ত পরিবারের পার্থক্য হলো- মধ্যবিত্ত পরিবারে সংকট থাকে একটু রয়ে সয়ে। একটা নিয়ম ও চক্র থাকে সেখানে। এবং খুব কষ্ট করে হলেও সেই ধাক্কাগুলো তারা সামলে নেয়। কিন্তু নিম্নবিত্তরা যেন সর্বদা ঘূর্ণিপাকে থাকে। সব তাড়না এত তীব্র, কামনা, ঘৃণা, ভালোবাসা সবই থাকে তুঙ্গে। এই উপন্যাসেও তেমনি ব্যাপার। তাই অন্য দশটা উপন্যাসের মধ্যবিত্ত পরিবারের মত লুকিয়ে লুকিয়ে কষ্ট পাওয়া, অভাব বোধ আর ঘৃণা এই উপন্যাসে নেই। এখানে সবই নগ্ন। সবাই এখানে বড় অসহনশীল।
৩/ যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কালের ভারতবর্ষ বিশেষত কলকাতা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তাদের জন্য। বাংলা সাহিত্যে সম্ভবত আর কোনো উপন্যাস নেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে এত সুন্দর গোছানো। অন্তত এর কাতারের। প্রশ্নটা সার্বিকতার। ওই তাতপর্যপূর্ণ সময়ে বাংলার মানুষের সমাজ, অর্থনীতি নিয়ে এমন পরিপূর্ণ লেখা নেই। হয় যুদ্ধ কিংবা সে সময়ের দুর্ভিক্ষ অধিকাংশ উপন্যাসে এসেছে পরিপার্শ্ব ও খনিকের জন্য। কিন্তু এই উপন্যাস যেন পুরো ডিস্টোপিয়ান, অভাব অনটন, যুদ্ধ, রেশনের লাইন, লাখে লাখে গ্রাম্য লোকের মৃত্যু, ঘরের মেয়েদের রাস্তায় ইজ্জত বিকিয়ে দেওয়া, লুটপাট সহ শত শত অন্ধকারের মেঘ।
যারা ইউটোপিয়ান জগতের বাইরে কাদায় জড়ানো জগত দেখতে চান তাদের জন্য এই উপন্যাস
৪/ জীবনের অর্থ, জীবন নিয়ে গভীর সব ভাবনা ও প্রশ্ন, দার্শনিকতার এমন কিছু দিক যেগুলো আমরা খুব একটা ভাবি না, কিন্তু আমাদের ভাবা উচিৎ এমন সব বিষয়ের উপর এই উপন্যাস একটি মাইলফলক। যাদের জীবনকে দর্শনের ছাঁচে ফেলে একটু কঠিন ও প্রশ্নবিদ্ধ করে করে দেখার স্বভাব আছে তাদের কাছে এই উপন্যাস অবশ্যই ভালো একটা বই।
যাই হোক আমার রিভিউ খুবই বাজে হয় জানা কথা। কিন্তু আমার রিভিউ পড়ে এই বইয়ের উপর কেউ নিরাশ হবেন না। হাতে তুলে নিন। কয়েকদিন ভ্রমণে যান। একটা ঘোর, অনেক প্রশ্ন ও জীবনের প্রতি অন্য রকম দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এই উপন্যাসের শেষ পাতাটা শেষ করবেন বলেই আমার বিশ্বাস।