চন্দ্রশেখর উপন্যাস PDF Download❤️
Chandrashekhar by Bankim Chandra PDF Download
বই | চন্দ্রশেখর |
লেখক এর নাম | বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
সম্পাদনায় | মিলন রায় |
প্রকাশনী | জয় প্রকাশন |
ফাইল ফরমেট | পিডিএফ ডাউনলোড |
Edition | 1st Published, 2014 |
Number of Pages | 112 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
বইঃ চন্দ্রশেখর বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পিডিএফ ডাউনলোড লিংক:
[ Download PDF ]
বই: চন্দ্রশেখর উপন্যাস সারাংশ: চন্দ্রশেখর উপন্যাসটি ১৮৬৪ সালে ‘Indian Field’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়. আবার ইতিহাসের বিদ্যুচ্ছটায় এ উপন্যাসে রোমান্সের আভা বিচ্ছুরিত হয়েছে। হষধিমচন্র এ উপন্যাসে রাপজ লালসার সঙ্গে সংগামে পির দাম্পত্য প্রেমকে জী করেছেন। সমালোচক সুধাকর চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায় : গৃহপ্রান্তে সংসার-সীমার মধ্যে যে অবৈধ প্রেম আমাদের শান্ত জীবনাদর্শকে বারে বারে বিপর্যস্ত করে, তি সারার নিত এবং কি ভাবে নারী তার গৃহকর্ম ও বিবাহিত জীবনের সমস্ত বন্ধনকে অস্বীকার ক’রে সেই দুর্নিবার প্রেমের টানে সমাজ-সংসারের সমস্ত আহ্বান ও নিষেধকে অস্বীকার করে- “চন্দ্রশেখর’ উপন্যাসের মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্র তারই একটা চিত্র দিয়েছেন।৪ চন্দ্রশেখর’ উপন্যাস-পাঠেই এর সত্যতা পাওয়া যায়। ৪ ষোল বছরের প্রতাপ এবং আট বছরের শৈবলিনী শৈশব থেকেই এক সঙ্গে খেলাধুলা করতে করতে বড় হচ্ছিলেন। বড় হতে হতেই তাদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার জন্ম হলো। সেই ভালোবাসা ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠল। কিন্তু সামাজিক বিধি-নিষেধের প্রবল প্রাচীর ভেঙে তীদের মিলন ঘটা সম্ভব ছিল না।
চন্দ্রশেখর উপন্যাস প্রশ্ন উত্তর: তাই একদিন মাঝ-গঙ্গায় আত্মবিসর্জেনের মধ্যে দিয়ে-তীরা তাদের এই অতৃপ্ত ভালোবাসাকে চিরমিলনের দ্বারে পৌছে দিতে উদ্যত-হুলেন। প্রতাপ সাহসী, জলে ডুবলেন। শৈবলিনীর মনে দ্বিধা ছিল, মৃত্যুতে ভয় ছিল! তীর । তিনি তীরে ফিরে এলেন। এদিকে জলমগ্নরপ্রতাপকে উদ্ধার করলেন চন্দ্রের । চন্দ্রশেখর বত্রিশ বছরের যুবক। এ সময় তিনি নৌকারোহণে যাচ্ছিলেন। প্রতাপকে উদ্ধার করে তিনি তার বাড়িতে পৌছে দিলেন। সেখানে তিনি শৈবলিনীকে দেখে মুগ্ধ হলেন। চন্দ্রশেখর জ্ঞানী পত্তিত। অধ্যয়ন অধ্যাপনায় ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কায় এতদিন তিনি দারপরিগ্রহ করেন নি। শৈবলিনীকে দেখে তার সে আশঙ্কা চাপা পড়ল। তিনি শৈবলিনীকে বিবাহ করলেন। এই ছিল “চন্দ্রশেখর’ উপন্যাসের “উপক্রমণিকা ৷ উপন্যাসের শুরু হয়েছে এই ঘটনার আট বছর পরে । যখন বাংলার নবাব মীরকাসেম খা। নবাবের পত্বী দলনীবেগম এবং বেগমের ভ্রাতা গুরগণ খা নবাবের সেনাপতি । বাংলার ভাগ্যাকাশে তখন ইংরেজ নামক একখণ্ড কালো মেঘ দেখা দিয়েছে। ইংরেজের সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য । নবাব মীরকাসেম একসময় চন্দ্রশেখরের কাছে জ্যোতিষবিদ্যা শিখেছিলেন। এখন এই বিপদে তাকে নবাব মুর্শিদাবাদে ডেকে পাঠালেন। এদিকে চন্দ্রশেখরের সঙ্গে শৈবলিনীর বিবাহের আট বছর পার হয়েছে। চল্লিশ বছরের চন্দ্রশেখরের নিরুত্তাপ শান্ত জীবনের মধ্যে ্রহমচর্য ও একনিষ্ঠ অধ্যয়ন শৈবলিনীর প্রতি প্রেমপিপাসায় পরিপূর্ণ; চন্দ্রশেখর বিষয়-বিরকত, জ্ঞানচর্চায়নিরত। শৈবলিনী সম্পর্কে তার কোনো কৌতূহল নেই। শৈবলিনী তাঁর কাছে সংসারযস্ত্রের একটি প্রয়োজনীয় অঙ্গমান্র। শৈবলিনীর অনাদৃত যৌবনের অন্তরালে যে বৃতুক্ষিত মনটি ছিল তা বর্তমান জীবনের ব্যর্থতায় ও অতীত ব্যর্থপ্রণয়ের বেদনায় পরিপূর্ণ । এই কঠোর কর্তব্যে ভরা সংসার থেকে তীর যৌবন মুক্তি চায়।