কাজী নজরুল ইসলাম এর জীবনী PDF + প্রশ্ন-উত্তর (সকল তথ্য) – Kazi Nazrul Islam jiboni book Pdf Download
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আজকে নিয়ে এলাম কাজী নজরুল ইসলাম এর জীবনী PDF Download – Kazi nazrul islam life story bangla:
বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতে তার বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের ৯ ডিসেম্বর তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমাবর্তনে তাকে এই উপাধি প্রদান করা হয়। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারিতে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয় একুশে পদক বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানসূচক পদক হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
নজরুলের প্রথম গদ্য রচনা ছিল “বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী“। ১৯১৯ সালের মে মাসে এটি সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সৈনিক থাকা অবস্থায় করাচি সেনানিবাসে বসে এটি রচনা করেছিলেন। এখান থেকেই মূলত তার সাহিত্যিক জীবনের সূত্রপাত ঘটেছিল। এখানে বসেই বেশ কয়েকটি গল্প লিখেছেন। এর মধ্যে রয়েছে: “হেনা, ব্যথার দান, মেহের নেগার, ঘুমের ঘোরে”। ১৯২২ সালে নজরুলের একটি গল্প সংকলন প্রকাশিত হয় যার নাম ব্যথার দান– এছাড়া একই বছর প্রবন্ধ-সংকলন যুগবাণী প্রকাশিত হয়।
এই পোষ্টের মাধ্যমে যা যা জানতে পারবেন তার তালিকা-
- কাজী নজরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনী
- বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান
- কাজী নজরুল ইসলাম pdf
- কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাপিডিয়া
- কাজী নজরুল ইসলাম এর ছবি
- কাজী নজরুল ইসলাম প্রবন্ধ
- কাজী নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস
- কাজী নজরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনী
- কাজী নজরুল ইসলাম pdf
- কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাপিডিয়া
- কাজী নজরুল ইসলাম এর ছবি
-
এক নজরে কাজী নজরুল ইসলাম এই নিয়ে সকল প্রশ্ন উত্তর (questions for bcs, job, exam)
Kazi Nazrul Islam jiboni book pdf download
বিংশ শতাব্দীর বাঙালির মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে তাকে “জাতীয় কবি“ হিসাবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তার কবিতা ও গানের জনপ্রিয়তা বাংলাভাষী পাঠকের মধ্যে তুঙ্গস্পর্শী। তার মানবিকতা, ঔপনিবেশিক শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে দ্রোহ, ধর্মীয়গোঁড়ামির বিরুদ্ধতা বোধ এবং নারী-পুরুষের সমতার বন্দনা গত প্রায় একশত বছর যাবৎ বাঙালির মানসপীঠ গঠনে ভূমিকা রেখে চলেছে।
Kazi Nazrul Islam jiboni book pdf download link-
Direct কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী বই PDF
Faq about Kazi Nazrul Islam
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলামকে বিদ্রোহী কবি উপাধি দেন কে?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের প্রতি মানুষের অত্যাচার, অবিচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ। বিশেষ করে ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে তার “বিদ্রোহী” কবিতাটি প্রকাশিত হওয়ার পর সমগ্র ভারতে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে এবং তখন থেকেই তিনি বিদ্রোহী কবি হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেন।
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রীর নাম কি?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রী প্রমীলা নজরুল, তিনিই কাজী নজরুল ইসলামের প্রেমিকা। শোনা যায় প্রমীলা দেবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাতিজি, আবার কোথাও কোথাও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাতনি বলেও শোনা যায়। নার্গিস আসার খানম বর্তমান কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার দৌলতপুর গ্রামের খাঁ বাড়ির আসমাতুন্নেসার মেয়ে। তার পিতার নাম মুন্শী আবদুল খালেক। নার্গিসের মামা আলী আকবর খান নজরুলের সাথে কলকাতায় পাশাপাশি থাকতেন। তিনি নজরুলকে তার বাড়ি কুমিল্লায় নিয়ে যান ১৯২১ সালে, উদ্দেশ্য ছিল তার পরিবারের কোন মেয়ের সাথেই নজরুলের বিয়ের ব্যবস্থা করা। নজরুলও নার্গিসকে পছন্দ করেন এবং বিয়েতে রাজি হন। কাজী নজরুল ইসলামের প্রেমিকার নাম.
এক নজরে কাজী নজরুল ইসলাম এই নিয়ে সকল প্রশ্ন উত্তর (for bcs, job, exam)
কাজী নজরুল ইসলামকে বিদ্রোহী কবি উপাধি দেন কে টা নিয়েও এখানে বিস্তারিত জানব-
তখন দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলন বিপুল উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। নজরুল কুমিল্লা থেকে কিছুদিনের জন্য দৌলতপুরে আলী আকবর খানের বাড়িতে থেকে আবার কুমিল্লা ফিরে যান ১৯ জুনে- এখানে যতদিন ছিলেন ততদিনে তিনি পরিণত হন একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মীতে। তার মূল কাজ ছিল শোভাযাত্রা ও সভায় যোগ দিয়ে গান গাওয়া। তখনকার সময়ে তার রচিত ও সুরারোপিত গানগুলির মধ্যে রয়েছে “এ কোন পাগল পথিক ছুটে এলো বন্দিনী মার আঙ্গিনায়, আজি রক্ত-নিশি ভোরে/ একি এ শুনি ওরে/ মুক্তি-কোলাহল বন্দী-শৃঙ্খলে” প্রভৃতি। এখানে ১৭ দিন থেকে তিনি স্থান পরিবর্তন করেছিলেন। ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে আবার কুমিল্লায় ফিরে যান। ২১ নভেম্বর ছিল সমগ্র ভারতব্যাপী হরতাল- এ উপলক্ষে নজরুল আবার পথে নেমে আসেন; অসহযোগ মিছিলের সাথে শহর প্রদক্ষিণ করেন আর গান করেন, “ভিক্ষা দাও! ভিক্ষা দাও! ফিরে চাও ওগো পুরবাসী“- নজরুলের এ সময়কার কবিতা, গান ও প্রবন্ধের মধ্যে বিদ্রোহের ভাব প্রকাশিত হয়েছে। এর সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে বিদ্রোহী নামক কবিতাটি। বিদ্রোহী কবিতাটি ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয় এবং সারা ভারতের সাহিত্য সমাজে খ্যাতিলাভ করে। এই কবিতায় নজরুল নিজেকে বর্ণনা করেন:-
আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের,
আমি অবমানিতের মরম বেদনা, বিষ জ্বালা, চির লাঞ্ছিত বুকে গতি ফের
আমি অভিমানী চির ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যথা সুনিবিড়,
চিত চুম্বন-চোর-কম্পন আমি থর-থর-থর প্রথম প্রকাশ কুমারীর!
আমি গোপন প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল করে দেখা অনুখন,
আমি চপল মেয়ের ভালবাসা তার কাকন চুড়ির কন-কন।
…
মহা-বিদ্রোহী রণক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত।
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়ুগ কৃপাণ ভীম রণ, ভূমে রণিবে না-
বিদ্রোহী রণক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত।
……………………..
আমি চির বিদ্রোহী বীর –
বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির উন্নত শির!
“ | ”১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই আগস্ট নজরুল ধূমকেতু পত্রিকা প্রকাশ করেন। এটি সপ্তাহে দুবার প্রকাশিত হতো। ১৯২০-এর দশকে অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলন এক সময় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এর পরপর স্বরাজ গঠনে যে সশস্ত্র বিপ্লববাদের আবির্ভাব ঘটে তাতে ধূমকেতু পত্রিকার বিশেষ অবদান ছিল। এই পত্রিকাকে আশীর্বাদ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, |
“ |
|
” |
পত্রিকার প্রথম পাতার শীর্ষে এই বাণী লিখা থাকতো। পত্রিকার ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২২ সংখ্যায় নজরুলের কবিতা আনন্দময়ীর আগমনে প্রকাশিত হয়। এই রাজনৈতিক কবিতা প্রকাশিত হওয়ায় ৮ নভেম্বর পত্রিকার উক্ত সংখ্যাটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। একই বছরের ২৩ নভেম্বর তার যুগবাণী প্রবন্ধগ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং একই দিনে তাকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে কুমিল্লা থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জানুয়ারি নজরুল বিচারাধীন বন্দী হিসেবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে এক জবানবন্দি প্রদান করেন। চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট সুইনহোর আদালতে এই জবানবন্দি দিয়েছিলেন। তার এই জবানবন্দি বাংলা সাহিত্যে রাজবন্দীর জবানবন্দী নামে বিশেষ সাহিত্যিক মর্যাদা লাভ করেছে। এই জবানবন্দীতে নজরুল বলেছেন:
“ | আমার উপর অভিযোগ, আমি রাজবিদ্রোহী। তাই আমি আজ রাজকারাগারে বন্দি এবং রাজদ্বারে অভিযুক্ত।… আমি কবি,আমি অপ্রকাশ সত্যকে প্রকাশ করার জন্য, অমূর্ত সৃষ্টিকে মূর্তিদানের জন্য ভগবান কর্তৃক প্রেরিত। কবির কণ্ঠে ভগবান সাড়া দেন, আমার বাণী সত্যের প্রকাশিকা ভগবানের বাণী। সেবাণী রাজবিচারে রাজদ্রোহী হতে পারে, কিন্তু ন্যায়বিচারে সে বাণী ন্যায়দ্রোহী নয়, সত্যাদ্রোহী নয়। সত্যের প্রকাশ নিরুদ্ধ হবে না। আমার হাতের ধূমকেতু এবার ভগবানের হাতের অগ্নি-মশাল হয়ে অন্যায় অত্যাচার দগ্ধ করবে…। | ” |
১৬ জানুয়ারি বিচারের পর নজরুলকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। নজরুলকে আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে যখন বন্দী জীবন কাটাচ্ছিলেন তখন (১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি ২২) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ তার বসন্ত গীতিনাট্য গ্রন্থটি নজরুলকে উৎসর্গ করেন। এতে নজরুল বিশেষ উল্লসিত হন। এই আনন্দে জেলে বসে আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কবিতাটি রচনা করেন।
বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান
- ১. ‘করিও ক্ষমা হে খোদা আমি গোনাহগার অসহায়।’
- ২. ‘ইয়া আল্লাহ, তোমার দয়া কত, তাই দেখাবে বলে রোজ-হাশরে দেখা দেবে বিচার করার স্থলে।’
- ৩. ‘দীন-ভিখারী বলে আমি ভিক্ষা যখন চাইবো স্বামী, শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিতে পারবে নাকো আর।’
‘আল্লাহ নামের নায়ে চড়ি যাব মদিনায়মোহাম্মদের নাম হবে মোরও ভাই নদী পথে পূবাল বায়।।চার ইয়ারের নাম হবে- মোর সেই তরণীর দাঁড়কলমা শাহাদাতের বাণী হাল ধরিবে তাঁর।খোদার শত নামের গুণ টানিবও ভাই নাও যদি না যেতে চায়।’
কাজী নজরুল ইসলাম প্রবন্ধ
কবিতা
গ্রন্থ | প্রকাশকাল (বঙ্গাব্দ) | প্রকাশকাল (খ্রিস্টাব্দ) | বিষয়বস্তু |
---|---|---|---|
অগ্নিবীণা | কার্তিক ১৩২৯ বঙ্গাব্দ | ২৫শে অক্টোবর ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ | এই গ্রন্থে মোট বারোটি কবিতা আছে। কবিতাগুলি হচ্ছে – ‘প্রলয়োল্লাস’, ‘বিদ্রোহী’, ‘রক্তাম্বর-ধারিণী মা’, ‘আগমণী’, ‘ধূমকেতু’, কামাল পাশা’, ‘আনোয়ার ‘রণভেরী’, ‘শাত-ইল-আরব’, খেয়াপারের তরণী’, কোরবানী’ ও মোহররম’। এছাড়া গ্রন্থটির সর্বাগ্রে বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ-কে উৎসর্গ করে লেখা একটি উৎসর্গ কবিতাও আছে। |
সাম্যবাদী | পৌষ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে ডিসেম্বর ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ | বইটিতে মোট ১১ টি কবিতা রয়েছে । সবগুলোতেই মানুষের সমতা নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে । |
ঝিঙে ফুল | চৈত্র ১৩৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই এপ্রিল ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দ | ছোটদের কবিতা |
সিন্ধু হিন্দোল | ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ | ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ | এই কাব্যগ্রন্থে মোট ১৯টি কবিতা রয়েছে। |
চক্রবাক | ভাদ্র ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ, | ১২ই আগস্ট ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দ | এই কাব্যে নজরুল বেদনার ছবি তুুুলে ধরেছেন; এতে রয়েছে প্রেমের অনুুুভূতি এবং অতীত সুুখের স্মৃতিচারণা। |
নতুন চাঁদ | চৈত্র ১৩৫১ বঙ্গাব্দ | মার্চ ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ। | এতে রয়েছে নজরুলের ১৯টি কবিতা। |
মরুভাস্কর | ১৩৫৭ বঙ্গাব্দ | ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দ | হজরত মোহাম্মদ সঃ এর জীবনী নিয়ে চারটি সর্গে ১৮ টি খণ্ড-কবিতা নিয়ে এই কাব্যগ্রন্থ। |
নজরুল ইসলাম: ইসলামী কবিতা | ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দ | নজরুল ইসলামের ইসলামী কবিতা সংকলন |
কবিতা ও গান
গ্রন্থ | প্রকাশকাল (বঙ্গাব্দ) | প্রকাশকাল (খ্রিস্টাব্দ) | বিষয়বস্তু |
---|---|---|---|
দোলন-চাঁপা | আশ্বিন ১৩৩০ বঙ্গাব্দ | অক্টোবর ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দ | প্রথম সংস্করণ এই কাব্যগ্রন্থে ১৯টি কবিতা ছিল। সূচিপত্রের আগে মুখবন্ধরূপে সংযোজিত কবিতা “আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে” ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ) জ্যৈষ্ঠ মাসের কল্লোল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। দোলনচাঁপা কাব্যগ্রন্থের পরবর্তী সংস্করণে ৫০ টি কবিতা সংকলিত হয়। |
বিষের বাঁশি | শ্রাবণ ১৩৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই আগস্ট ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ | এই গ্রন্থে ২৭ টি কবিতা রয়েছে। কাজী নজরুল ইসলামের বাজেয়াপ্ত ৫টি গ্রন্থের মধ্যে এটি অন্যতম। |
ভাঙ্গার গান | শ্রাবণ ১৩৩১ বঙ্গাব্দ | আগস্ট ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ | বিদ্রোহাত্মক কাব্যগ্রন্থ। ১১ নভেম্বর ১৯২৪ তারিখে তৎকালীন বঙ্গীয় সরকার গ্রন্থটি বাজেয়াফত করে ও নিষিদ্ধ করে। ব্রিটিশ সরকার কখনো এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেননি। |
চিত্তনামা | শ্রাবণ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ | আগস্ট ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ | |
ছায়ানট | আশ্বিন ১৩৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে সেপ্টেম্বর ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ | এতে রয়েছে নজরুলের ৫০টি কবিতা। |
পুবের হাওয়া | মাঘ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে জানুয়ারি ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দ | |
সর্বহারা | আশ্বিন ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ | ২৫শে অক্টোবর ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দ | সর্বহারা কাব্যগ্রন্থে ১০ টি কবিতা রয়েছে |
ফণী-মনসা | শ্রাবণ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ | ২৯শে জুলাই ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ | জিঞ্জীর কাব্যগ্রন্থে ১৬টি কবিতা রয়েছে |
সঞ্চিতা | আশ্বিন ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ, | ১৪ই অক্টোবর ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ | আটাত্তরটি কবিতা ও সতেরোটি গান মিলে একটি কাব্য-সংকলন। |
জিঞ্জীর | কার্তিক ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ, । | ১৫ই নভেম্বর ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ | |
সন্ধ্যা | ভাদ্র ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ | ১২ই আগস্ট ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দ | ২৪টি কবিতা আর গান নিয়েই এই গ্রন্থ। বাংলাদেশের রণসংগীত “চল চল চল, উর্ধ গগণে বাঝে মাদল” এই বই থেকে নেয়া হয়েছে। |
প্রলয় শিখা | অগ্রহায়ণ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ | আগস্ট ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ | |
নির্ঝর | মাঘ ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জানুয়ারি ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দ | এই গ্রন্থে মোট কবিতার সংখ্যা ২৫টি। নজরুল ইসলামের নির্ঝর বইকে অনেক সমালোচকের কাছে একটি ভাগ্যবিড়ম্বিত বই বলে মনে হয়েছে। |
সঞ্চয়ন | ১৩৬২ বঙ্গাব্দ | ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দ | |
শেষ সওগাত | বৈশাখ ১৩৬৫ বঙ্গাব্দ | ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দ | |
ঝড় | মাঘ ১৩৬৭ বঙ্গাব্দ | জানুয়ারি ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ | এতে রয়েছে নজরুলের ২৪টি কবিতা। |
সংগীত
- বুলবুল (গান) ১৯২৮
- সন্ধ্যা (গান) ১৯২৯
- চোখের চাতক (গান) ১৯২৯
- নজরুল গীতিকা (গান সংগ্রহ) ১৯৩০
- নজরুল স্বরলিপি (স্বরলিপি) ১৯৩১
- চন্দ্রবিন্দু (গান) ১৯৩১
- সুরসাকী (গান) ১৯৩২
- বনগীতি (গান) ১৯৩১
- জুলফিকার (গান) ১৯৩১
- গুল বাগিচা (গান) ১৯৩৩
- গীতি শতদল (গান) ১৯৩৪
- সুর মুকুর (স্বরলিপি) ১৯৩৪
- গানের মালা (গান) ১৯৩৪
- স্বরলিপি (স্বরলিপি) ১৯৪৯
- বুলবুল দ্বিতীয় ভাগ (গান) ১৯৫২
- রাঙ্গা জবা (শ্যামা সংগীত) ১৯৬৬
গল্পগ্রন্থ
গ্রন্থ | প্রকাশকাল (বঙ্গাব্দ) | প্রকাশকাল (খ্রিস্টাব্দ) | বিষয়বস্তু |
---|---|---|---|
ব্যথার দান | ফাল্গুন ১৩২৮ বঙ্গাব্দ | ১লা মার্চ ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ | এটি নজরুলের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। এই গ্রন্থের গল্পগুলোর ভাষা আবেগাশ্রয়ী, বক্তব্য নরনারীর প্রেমকেন্দ্রিক। |
রিক্তের বেদন | পৌষ ১৩৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জানুয়ারি ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ | মোট ৮টি গল্প আছে এতে। উল্লেখযোগ্য – রাক্ষুসী |
শিউলি মালা | কার্তিক ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ | ১৬ই অক্টোবর ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ | এই গ্রন্থে মোট ৪টি গল্প আছে। উল্লেখযোগ্য – পদ্ম-গোখরো, জিনের বাদ্শা |
হক সাহেবের হাসির গল্প | হাসির গল্প | ||
সাপুড়ে | আখ্যান |
উপন্যাস
উপন্যাস | প্রকাশকাল (বঙ্গাব্দ) | প্রকাশকাল (খ্রিস্টাব্দ) | বিষয়বস্তু |
---|---|---|---|
বাঁধন হারা | শ্রাবণ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ, | আগস্ট ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ | এটি একটি পত্রোপন্যাস। বাঁধন হারা নজরুল রচিত প্রথম উপন্যাস। করাচিতে থাকাকালীন তিনি ‘বাঁধন হারা’ উপন্যাস রচনা শুরু করেন। |
মৃত্যুক্ষুধা | মাঘ ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ | জানুয়ারি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ | লেখক এতে তুলে ধরেছেন তৎকালিন দারিদ্র্য, ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে সপরিবার মেজ-বৌয়ের মুসলিম থেকে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ। নারী জীবনের দুবির্ষহ অন্ধকার এবং সমাজের বাস্তবচিত্র এই উপন্যাসে তুলে ধরা হয়। |
কুহেলিকা | শ্রাবণ ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ | ২১শে জুলাই ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ। | ই উপন্যাসের মধ্য দিয়ে নজরুলের রাজনৈতিক আদর্শ ও মতবাদ প্রতিফলিত হয়েছে। |
- [১]
নাটক
- ঝিলিমিলি (নাট্যগ্রন্থ) ১৯৩০
- আলেয়া (গীতিনাট্য) ১৯৩১[৩]
- পুতুলের বিয়ে (কিশোর নাটক) ১৯৩৩
- মধুমালা (গীতিনাট্য) ১৯৬০
- ঝড় (কিশোর কাব্য-নাটক) ১৯৬০
- পিলে পটকা পুতুলের বিয়ে (কিশোর কাব্য-নাটক) ১৯৬৪
প্রবন্ধ এবং নিবন্ধ
- যুগবানী ১৯২২
- ঝিঙ্গে ফুল ১৯২৬
- দুর্দিনের যাত্রী ১৯২৬
- রুদ্র মঙ্গল ১৯২৭
- ধূমকেতু ১৯৬১
- রাজবন্দির জবানবন্দি
অনুবাদ এবং বিবিধ
- রাজবন্দীর জবানবন্দী (প্রবন্ধ) ১৯২৩
- দিওয়ানে হাফিজ (অনুবাদ) ১৯৩০
- কাব্যে আমপারা (অনুবাদ) ১৯৩৩
- মক্তব সাহিত্য (মক্তবের পাঠ্যবই) ১৯৩৫
- রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম (অনুবাদ) ১৯৫৮
- নজরুল রচনাবলী (ভলিউম ১-৪,বাংলা একাডেমী)১৯৯৩
সঙ্গীত গ্রন্থাবলী
- বুলবুল (১ম খন্ড-১৯২৮, ২য় খন্ড-১৯৫২)
- চোখের চাতক (১৯২৯)
- চন্দ্রবিন্দু (১৯৪৬)
- নজরুল গীতিকা (১৯৩০)
- নজরুল স্বরলিপি (১৯৩১)
- সুরসাকী (১৯৩১)
- জুলফিকার (১৯৩২)
- বনগীতি (১৯৩২)
- গুলবাগিচা (১৯৩৩)
- গীতিশতদল (১৯৩৪)
- সুরলিপি (১৯৩৪)
- সুর-মুকুর (১৯৩৪)
- গানের মালা (১৯৩৪)
কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয়। তার রচিত “চল্ চল্ চল্, ঊর্ধগগনে বাজে মাদল” বাংলাদেশের রণসঙ্গীত হিসেবে গৃহীত। নজরুলের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী প্রতি বছর বিশেষভাবে উদযাপিত হয়। নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত ত্রিশালে (বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায়) ২০০৫ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় নামক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় কবির স্মৃতিতে নজরুল একাডেমি, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি ও শিশু সংগঠন বাংলাদেশ নজরুল সেনা স্থাপিত হয়। এছাড়া সরকারিভাবে স্থাপিত হয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান নজরুল ইন্সটিটিউট– ঢাকা শহরের একটি প্রধান সড়কের নাম রাখা হয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ।