কার্ল সাগান কসমস Pdf Download

কার্ল এডওয়ার্ড সেগানঃ

বিখ্যাত মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী, জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী, বিজ্ঞান লেখক এবং মার্কিন মহাকাশ প্রকল্পসমূহের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তিনি বিজ্ঞান প্রচারক ও বিজ্ঞান জনপ্রিয়কারক হিসেবে বিশেষ ভাবে পরিচিত। বিজ্ঞান বিষয়ক টিভি সিরিজ কসমস: আ পারসোনাল ভয়েজ- তাকে আন্তর্জাতিক খ‍্যাতি এনে দেয়। সেগান বিজ্ঞান অনুরাগীদের বৃহৎ সংগঠন দ্য প্ল্যানেটারি সোসাইটির একজন সহ-উদ্যোক্তা। ভয়েজার মহাকাশযানের সাথে ভয়েজার গোল্ডেন রেকর্ড বার্তাটি পাঠানোয় তার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তিনি মতবাদ দেন যে বুধ গ্রহের উচ্চ পৃষ্ঠ তাপমাত্রা গ্ৰিনহাউস প্রভাবের কারণে হয়েছে, যা বর্তমানে গৃহীত হয়েছে।

২.

এইটা অসাধারণ সত্য যে, প্রাকৃতিক নিয়ম বলে একটা বিষয় আছে এবং তা সর্বত্র বিরাজমান। আপনি যদি বলেন, এইটাই ‘ঈশ্বর’ তবে আমি বলব, আমরা ঈশ্বরের উপস্থিতির অত্যন্ত সার্থক প্রমাণ পেয়েছি।

৩.

যারা ঈশ্বর-সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্থাপন করে, তারা সবাই নাস্তিক নয়। নাস্তিক হচ্ছে সে ব্যক্তি, যে নিশ্চিতভাবে জানে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই৷ যার কাছে ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।

৪.

পৃথিবীর ইতিহাসে সমস্ত যুদ্ধে যত লোক নিহত হয়েছে, বিজ্ঞান ও কৃষিপ্রযুক্তি তারচেয়েও বেশি লোকের জীবন রক্ষা করেছে।

৫.

আমরা এমন এক মহাবিশ্বে বাস করি, যেখানে তারকার অভ্যন্তরে সৃষ্টি হয় পরমাণুর, যেখানে প্রতি সেকেন্ডে জন্ম এক হাজার সূর্যের; যেখানে নবীন গ্রহমণ্ডলে সূর্যালোক ও বজ্রবিদ্যুৎ বাতাস ও পানিতে বিক্রিয়া ঘটিয়ে জন্ম দেয় জীবনের; যেখানে জৈব বিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ছায়াপথের অর্ধেক দূরত্বে অবস্থিত তারকাদের বিস্মোরণ থেকে প্রাপ্ত; যেখানে শত বিলিয়ন বার জন্ম হচ্ছে ছায়াপথের মতো অপূর্ব সুষমমণ্ডিত একটি বস্তুপিণ্ড- কোয়ার্ক, কোয়াসার, উল্কা, বরফকণা সমৃদ্ধ এক মহাবিশ্ব; যেখানে হয়তো রয়েছে কৃষ্ণগহ্বর এবং ভিন্ন প্রজ্ঞাবান জীব, যাদের বেতার সংকেত আমাদের পৃথিবীতে এসে পৌঁছাচ্ছে।

এর বিপরীতে কুসংস্কার ও ছদ্মবিজ্ঞানের মিথ্যা দাবি কতটাই মলিন, আর বিজ্ঞানকে উপলব্ধি করা কতটা জরুরি, যা মানুষের উদ্যম ও প্রচেষ্টার এক সোনালী ফসল।