সুবীর দাসের অংক বই Pdf Download (full)

নয়ন তাহারে পায় না দেখিতে! কাহারে দেখিতে পায় না? দেখতে পাওয়ার জন্য তো অস্তিত্ব লাগবে। সেই অস্তিত্বকেই খোঁজা হয় পুরো বইটাতে। উপন্যাসটি শুরু হয় ঢাকা ভার্সিটি এলাকায়। মেঘে ঢাকা অন্ধকারে সুমি কথা বলে একজনের সাথে কিন্তু মেঘ কেটে গেলে দেখা যায় সে কারো সাথে কথা বলছে না। বলছে নিজের সাথে। এই অসহায় অবস্থা থেকে কি সুমির মুক্তি মিলে? নাকি জড়িয়ে পড়ে আরো ঝামেলায়।

একই শহরে কয়েকটা খুন। খুনীর হদিস নেই। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার আদেশ দ্রুতই রিপোর্ট জানাতে হবে কেসের। কিন্তু কীভাবে? পিবিআই জানাচ্ছে এক ভয়াবহ তথ্য, যার ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ করছে সে কে! কী তার পরিচয়। নাসিরনগর থেকে তথ্য আসে ঐ লোক এখন নেই। সে কোথায়? সেই তথ্য জানতে হলে বইয়ের শেষে চলে যেতে হবে। শেষ অংশটাকে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।

ঢাকা থেকে কাহিনী চলে যায় রূপনগরে। লোভ, ক্ষমতা, মোহ মানুষকে অন্ধ করে ফেলে। এই লোভের বশবর্তী হয়ে মানুষ নানা কাজ করে ফেলে যার পরিণতি কি হয় তা হয়তো প্রথমে কেউ টের পায়না, আস্তে আস্তে পায়।

বইয়ের সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং চরিত্র আমান রহমান, রেহুনুমা এবং সোলেমান খাঁ। এদেরকে লেখক দারুণ ভাবে ফুটিয়েছেন।

বইয়ে উল্লেখিত অলৌকিক ঘটনাগুলো বেশ অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। একের পর এক ঘটনাগুলো লেখক গল্পের শেষে একটি সুতোয় বেঁধে দিয়েছেন তবে পুরো উপন্যাসটা এমন ভাবে এগিয়েছে যে পড়ার সময় কোনোভাবেই শেষ অংশটা কি হবে তা অনুমান করা সম্ভব নয়।

একবসায় পড়ে ফেলার মতো বই। মনোয়ারুল ইসলাম আমার প্রিয় লেখকদের একজন। উনার সব লেখাই আমার ভালো লাগে। লেখকের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

সাসপেন্স, হরর, ক্রাইম সবমিলিয়ে “নয়ন তাহারে পায় না দেখিতে”