তিন গোয়েন্দা ভলিয়ম ১৫২ পিডিএফ | Tin Goyenda Volume 152 Pdf Download
As always, volume 152 of the Tin Goyenda (three detective) series is bound to look good.
শামসুদ্দীন নওয়াব স্যারর তিন গোয়েন্দা ১৫২ নং ভলিয়ম এর বিবরণঃ
তিন গোয়েন্দা ভলিয়ম | ১৫২ |
Publication | সেবা প্রকাশনী |
ক্যাটাগরি: | শিশু-কিশোর: রহস্য, গোয়েন্দা, অ্যাডভেঞ্চার |
Published/ প্রথম প্রকাশ | 2020 সাল |
Pages | 605 পৃষ্ঠা |
Country | বাংলাদেশ |
লেখকের নাম: | শামসুদ্দীন নওয়াব |
তিন গোয়েন্দা ভলিয়ম ১৫২ রিভিউ:
এ পর্বের গল্পের মধ্যে পাবেন প্রাচীন বাড়ির রহস্য গল্পটি। এ বইয়ের কিছু কাহিনী পড়লে গল্পের শর্ট প্লট আঁচ করতে পারবেন।
কাহিনীঃ ২০২০ এক “ডিনারের সময়, হয়ে গেছে, ডন জলদি চলো,’ রবিন তাড়া দিল ডনকে। পোস্ট অফিস থেকে বাসায় ফিরছে ওরা, জ্যাক নানার জন্য ওখান থেকে ডাকটিকিট কিনেছে এবং চিঠি পাঠিয়েছে জ্যাক নানার হাউসকিপার মিসেস ম্যাকলিনকে । জ্যাক নানা রবিনের মার আপন চাচা । গ্রীনফিন্ডে থাকেন। তিন গোয়েন্দা আর ডনকে খুব ভাল্পরাসেন। ‘সাইডওয়ক থেকে কী যেন্ঞ্তুলে নিল ডন। টু “এই. পাথরটা দেখো । কেন চমকাচ্ছে” বলল । “ভেতরে হয়তো হীরে-টিরে কিছু লুকানো আছে।” “আমি নিশ্চিত কিছুই নেই, বলল নথি । “জানলে কীভাবে? ডনের প্রশ্ন । “কারণ হীরে আসে হীরের খনি থেকে । সে এখান থেকে বহু দূর, বলে মৃদু হাসল রবিন। “ওহ, হতাশ হলো ডন। পাথরটা পকেটে ঢুকিয়ে রাখল, রবিনের কথা যদি ভুল হয়ে থাকে এই ভেবে । এবার রবিনের নাগাল ধরে, সমান তালে দ্রুতলয়ে হেটে চলল প্রায় এক ব্লক অবধি। অবশ্য রবিন পাশের রাস্তাটির কোনা ঘুরতেই গতি শ্রথ হয়ে এল ডনের। “রবিনভাই, বলল ও, “এটা তো ভুল পথ!”
“শর্টকাট নিলে ভুল নয়, রবিন বলল। “পুরানো বিডওয়েল হাউসের ব্যাকইয়ার্ড দিয়ে বেরিয়ে এ পথ ধরে হাটা দেব,’ জানাল রবিন। ‘জ্যাক নানার বাসার দিকেই গেছে রাস্তাটা ।” “না! চেঁচিয়ে উঠল ডন । “বাড়িটা ভুতুড়ে!” “মোটেই ভূতুড়ে নয়, ডন,” জর জল জলি “নিছক প্রাচীন এক বাড়ি, যেখানে কেউ থাকে না। তাড়াতাড়ি এসো ।” ডনঠায় দীড়িয়ে রইল । “ওটা হানাবাড়ি, জেদী কণ্ঠে বলল। “হানাবাড়ি-টানাবাড়ি বাজে কথা, ডন। কমি তো জানই। তাছাড়া, আমরা তো বাড়িটায় ঢুকছি না, শ্রেফ পাশ কাটিয়ে যাচ্ছি, যুক্তি দেখাল রবিন। ডন নট নড়ন চড়ন নট কিচ্ছু। “কিশোর, মুসা আর বাঘা যূনে হয় এতক্ষণে বাসায় পৌছে গেছে, বলল রবিন “হয়তো ডিনার খাচ্ছে। কিংবা হয়তো ডিনার সেরে এখন সব ডেজার্ট সাবড়াটেই’।’ “ওরা এখনও বাসায় পৌছয়নি,” বলল ডন। তবে রবিনের পিছু-পিছু ধীর পায়ে হাটতে লাগল । “ওরা মুদির দৌকানে গেছে। পোস্ট অফিসের চেয়ে ওটা অনেক দূরে । আর ওরা সব ডেজার্ট খেয়ে ফেলবে না।” টু “বাঘা খাবে, মজা করে বলল রবিন। ডন মুচকি হাসল, বাঘা সবার ডেজার্ট খেয়ে ফেলছে কল্পনা করে। রবিন আরেকটু উসকে দিল ওকে, “মিসেস ম্যাকলিন তখন ব্রাউটনির কথা কী যেন বলছিলেন। উনি হয়তো সদাইয়ের তালিকায় ভ্যানিলা আইসক্রিমও রেখেছেন ।” ডনের চলার গতি দ্রুত হলো এবার । ডেজার্ট ভালবাসে ও, বিশেষ করে মিসেস ম্যাকলিনের বানানো স্পেশাল ব্রাউনি।
“আচ্ছা, ঠিক আছে, বলল ও। ‘শর্টকাট মেনে নিলাম। কিন্তু জোরে দৌড়তে হবে ।’ “আচ্ছা” কথা দিল রবিন। করে রেখেছে । আগাছা জন্মেছে চারদিকে । নিচু ডাল নিয়ে জায়গাটাকে আরও বিষাদময় দেখায় । মরচে ধরা বেড়ার সামনে থেমে পড়ল রবিন। গভীর শ্বাস টেনে, নুয়ে পড়া দুই লোহার রেইলিঙের মাঝখান দিয়ে পা রাখল উঠনে। এবার পিছু ফিরে সাহায্যের হাত বাড়াল ডনের উদ্দেশে । “কাজটা বোধহয় ঠিক হলো না, বলল ডন। চলে এসো, উডিনপিল আহহ এটা হত নাক বাড়ি, ব্যস। “অন্ধকার হয়ে আসছে,’ বলল ডন। “আমরা এখানে দীড়িয়ে থীকলে আধার আরও বাড়বে,” বলল রবিন। “জানি, অখুশি গলায় বলল ডন। লোহার দুই .রেইলিঙের মাঝখান দিয়ে শরীর গলিয়ে দিল। এবার উঠে দাড়িয়ে রবিনের কাছ ঘেষে এল |. “আমার পেছন-পেছন এসো)’ বলল নথি । “দৌড় দাও, ডন বলল ওকে । “দিচ্ছি” বলল রবিন। “স্টার্ট! দৌড় দিল ও। লাফিয়ে এক গাছের ডাল টপকাল, এবং ডনও লাফাল। বড়সড় এক পাথরের পাশ ঘুরে ছুটছে রবিন, অনুসরণ করল ডন । আগাছা ওদের পায়ে চাপড় মারছে। পায়ের তলা থেকে এমনভাবে বেরিয়ে আসছে গাছের পাতা যেন ওগুলো জ্যান্ত। ডন চোখ বুজতে চাইল, কিন্তু ভয় পেল পড়ে না যায়। আর পড়ে গেলে বাড়ির ভেতর থেকে হয়তো কোন কিছু বেরিয়ে এসে “এখন ঠিক আছি, জানাল ডন। বুক ভরে দম নিল । “তোমাদের দেখে মনে হচ্ছে ভূত দেখেছ, ঠাট্টা করে বলল ুসা। বিন আর ভন দু’জনেই ক্ষত জাছে দেখে উদ্বেগ বোধ করল না ও। তবে ডনের জবাবটা শুনে হাসি মুছে গেল ওর । “দেখেছি” বলল ডন। “আমরা ভূত দেখেছি।’ দু “কী? বলে উঠল কিশৌর। রবিনের দিকে চাইল “তোমরা ভূত দেখেছ? মাথা নাড়ল রবিন। “ডন কী দেখেছে জানি না, বলল । “বিডওয়েল হাউসের পাশ দিয়ে শর্টকাট নিই আমরা । এক্ট্া?শাটার না কী যেন পড়ার শব্দ পাই, তারপর দেখলাম ডন পড়িমনরি ছুটছে । সে এমন দৌড় যে নাগাল পাওয়া কঠিন!” এ সময় পেছনের দরজা খুলে গেল। উঁকি দিলেন মিসেস ম্যাকলিন। বললেন মহিলা । মুহূর্তের জন্য ভূতের কথা বেমালুম ভুলে গেল ডন। “ব্রাউনি আছে তো?’ শুধাল। “ডেজার্টের জন্যে” বললেন মিসেস ম্যাকলিন। “এখন এসো, আমাকে সদাইগুলো দিয়ে তোমরা হাত ধুয়ে নাও ।
এভাবে করেই কিশোর, মুসা আর রবিন মিলফোর্ডের কাহিনী আগাতে থাকে।