Books

বাংলাদেশের আইন pdf – Land Law Of Bangladesh pdf download

বাংলাদেশের আইন pdf download – Land Law Of Bangladesh pdf file free

যেকোন সমস্যার আইনী সমাধান বই :  ফ্রি ডাউনলোড

বইটি পড়ে যা যা জানতে পারবেন-  মামলা করার পদ্ধতি, থানায় মামলা করার নমুনা কপি, মামলা করতে কত টাকা লাগে, থানায় মামলা করার নিয়ম, জিডি কি মামলা, মামলা করার খরচ ইত্যাদি।

উপ্ক্রমণিকা  বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছায় তাহাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ছ্বারা রচিত জনগণের অধিকারের দলিল “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’ । দেশের জনগণ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, এই সংবিধান তাহারই অভিব্যক্তি, তাই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন। সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ প্রতিফলিত হইয়াছে। এই সংবিধান রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, জনগণের মৌলিক অধিকার এবং রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগের কার্যপরিধিসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়ামক দলিল । সংবিধান যেহেতু দেশের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু সংবিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ কোন আইন বৈধ নয় এবং এমন কোন আইন বা ইহার অংশ বিশেষ যদি সংবিধানের সহিত অসামঞ্স্যপূর্ণ হয়, তাহা হইলে সেই আইন বা আইনের অংশবিশেষ বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।

সর্বোপরি, সংবিধান দেশের মূল দলিল, তাই ইহার উৎস ও বিধানাবলী সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা রাষ্ট্রের কর্তব্য।  বাঙালী জাতির স্বাধিকার সংগ্রামের ইতিহাসে ১৯৭০-৭১ এর সাধারণ নির্বাচন একটি মাইলফলক উক্ত নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট ৩১৫টি আসনের পূর্ব-পাকিস্তানের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রার্থীগণকে নির্বাচিত করিয়া পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে সংবিধান প্রণয়নসহ জনগণের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার সুনিশ্চিত করিবার পক্ষে সুস্পষ্ট ম্যান্ডেট প্রদান করিয়াছিলেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন হইতে ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনের মাধ্যমে পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠির শোষণের হাত হইতে মুক্তির যে দাবী দানা বাধিয়াছিল এই নির্বাচনের বিজয় সেই দাবি পূরণের আশা জাগ্রত করিয়াছিল। কিন্ত, তদানীন্তন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা এই ‘রায়কে অমান্য করিয়া জনগণের আশাকে পদদলিত করিবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জনগণের অধিকার আদায়ের দাবীতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।

অসহয্নেগ আন্দোলন চলাকালে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তারিখে বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় রেসকোর্স ময়দানে বাংলার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ জনসভায় এক এতিহাসিক ভাষণে আপামর জনসাধারণকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা করিয়া স্বাধীনতা সংগামের জন্য প্রস্তুত হইবার ডাক দেন এবং ঘোষণা করেন “এবারের সংখাম মুক্তির সংাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” ।  তদুপরি, রক্তপাতহীন স্বাধীনতা প্রাপ্তির প্রত্যাশায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের সামরিক জান্তা এবং রাজনৈতিক নেতাদের সহিত ঢাকায় আলোচনায় বসেন। কিন্তু, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাত্রিতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালীদের উপর অতর্কিত হামলা চালাইয়া নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটন করিতে থাকে । এমতাবস্থায়, ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু, শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণা বাংলাদেশস_ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়।  ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল তারিখে বাংলাদেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ স্থাধীন-সার্বভৌম ‘ গণপ্রজাতন্ত্রী হিসাবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ঘোষণাপূর্বক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ইতোপূর্বে ঘোষিত স্বাধীনতা দৃঢ়ভাবে সমর্থন ও অনুমোদন করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারীর মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করিয়া মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা আরন্ত করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল তারিখে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের উপস্থিতিতে মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে।

বাংলাদেশের জনগণ বাঙালী জাতির অস্তিত্ব ও মর্ধাদা রক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দেয় এবং বীরত্পূর্ণ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করিয়া সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। বিজয় অর্জনের এক বৎসরের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সংবিধানের খসড়া প্রস্তুত করেন, যাহা ১৯৭২ সালের ৪ঠা নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত ও পাস হয় এবং একই বৎসরের ১৬ই ডিসেম্বর কার্যকর হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!