সুভাষ ঘরে ফেরে নাই Pdf Download – আমি সুভাষ বলছি pdf
book: Subhash Ghare Fere Nai pdf – আমি সুভাষ বলছি pdf Pdf Download link-
Book Name | আমি সুভাষ বলছি |
Writter Name | শৈলেন দে |
Publisher | বাংলাদেশি প্রকাশন |
book Type | উপন্যাস গল্প |
File Format | Pdf download |
Total Pages | 44 পৃষ্ঠা |
File size | 32 MB |
এক ইতিহাসের চেয়ে বিচিত্র উপন্যাস আর নেই । কত সাম্রাজ্যের উত্থানপতন, কত নৃশংস হত্যা আর গৌরবময় আত্মত্যাগ, কত রোমাঞ্চকর ঘটনা । ভারতবর্ষের ইতিহাসে বিষুপুর অধ্যায় বোধহয় সবচেয়ে চমকপ্রদ । মল্লভূমের রাজধানী বন-বিষুপুরের ইতিহাস । মানভূম, বীরভূম, শুরভূম, সেনভূম, বলভূম, সামন্তভূম, শিখরভূম ও তুঙ্গভূম__এই আটটি রাজ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল সেদিনের মল্লভূম সাম্রাজ্য, আর এই সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আদিমল্ল রঘুনাথ । তারপর যুগ যুগ ধরে রাজত্ব করে এসেছেন মল্লবংশের রাজারা | এই বংশেরই উনবিংশতিতম রাজা জগৎ্মল্ল প্রদ্ন্নপুর থেকে রাজধানী সরিয়ে আনলেন বিষুপুরে । একদিকে খরআ্রোত দামোদর আর অন্যদিকে গভীর শালবন, যেন প্রকৃতিই এ রাজ্যকে দুর্গে পরিণত করে রেখেছিল বহু শতাব্দী ধরে।
দিল্লির সিংহাসনে পাঠানশক্তির অবসান ঘটেছে, অভ্যুত্থান হয়েছে মোগলশক্তির ; কত যুদ্ধবিগ্রহ হিংসা হানাহানি ; সমগ্র ভারতবর্ষ স্বাধীনতা হারিয়েছে, কিন্তু বিষুপুরের রাজ্য সেদিনও কোনও বিধর্মী নবাবের আনুগত্য স্বীকার করেনি । দিল্লির কোনও+বাদশাহ, গৌড়ের কোনও সুবাদার নবাব কোনওদিন বিষ্ণপুরের প্রকৃত স্বাধীনতা অপহরণের দুঃসাহস দেখায়নি। দিল্লির সিংহাসনে যখন বাদশাহ আকরর; তখন বিষুওপুরের সিংহাসনে ছিলেন বীর হাম্বীর । দূর্ভেদ্য দুর্গ প্রাকারের বাইরে কামানের শ্রেণী গর্জন করে উঠেছিল সেদিন দাউদ খাঁর আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য । দুর্গের উত্তর দিকের পরিখা পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল দাউদ খাঁর সৈন্যদের মৃতদেহে । বাংলার নবাব সোলেমান কররানীর পরাজয়ের শোণিতরঞ্জিত স্মৃতি বহন করে আজও টিকে আছে সেই পরিখা, বিষুপুর অধিবাসীদের মুখে মুখে ছড়িয়ে গেছে তার নাম। পরিখা নয়, মুণ্ডমালার ঘাট হয়ে বেঁচে আছে সেই স্মৃতি। তারপরও একটি শতাব্দী পার হয়ে এসে দেখতে পাই, বিষুপুরের রাজসিংহাসনে আসীন হয়েছেন মল্লবংশের রাজা দুর্জন সিংহ।
শৌর্ষে অপ্রতিদ্ন্দী__বৈষ্ঞব ধর্ম, জ্যোতিষশান্তর, সঙ্গীতে, বিদ্যায় শীর্ষস্থানীয় । বহু অর্থব্যয়ে মদনমোহনের মন্দির নিমা্ণ করলেন দুর্জন সিংহ, কিন্তু সে-বিগ্রহ একদিন বিষুপুর ছেড়ে চলে গেল । সুতানুটির মিত্র-পরিবারের কাছে গচ্ছিত মদনমোহন বিগ্রহ ফিরিয়ে আনতে পারেননি মল্পরাজ চৈতন্য সিংহ। যেমন, রঘুনাথ সিংহকে যবনযুবতী লালবাঈয়ের লালসার আকর্ষণ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেননি তাঁর পাটরানী চন্ত্রপ্রভা। লালবাঈ ! বিষুরপুর ইতিহাসের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর চরিত্র । আর রাজা রঘুনাথ সিংহের নিষিদ্ধ প্রেমের স্মৃতিচিহ্ন লালবাঁধ ।