রাজনীতি বিষয়ক বই
(Pdf) বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বই Pdf Download
bangladesher itihash pdf Bangla book download – বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাপঞ্জি ১৯৭১-২০১১মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান এর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বই Pdf Download free link( পিডিএফ ডাউনলোড):
বাংলা দেশের ইতিহাস প্রাচীন যুগ pdf by ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার
book | পলাশী থেকে একাত্তর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বই Pdf |
Author | সাহাদত হোসেন খান |
Publisher | আফসার ব্রাদার্স |
ISBN | 9847011600500 |
Edition | 3rd Printed, 2016 |
Number of Pages | 504 |
Country | বাংলাদেশ |
Language, format | বাংলা, Pdf Download |
আরও পড়ুনঃ
রবীন্দ্রনাথ হত্যা ষড়যন্ত্র ও কতিপয় বিস্মৃত ইতিহাস pdf review –
ইতিহাসে তাঁর নাম জন সেন। অবশ্য বাঙালির ইতিহাসে তাকে নিয়ে কোনো পাতা বরাদ্দ করা হয়নি। প্রথম মহাযুদ্ধ সংক্রান্ত কোনো কোনো গবেষণাগ্রন্থে হয়ত কয়েকটি লাইন পাওয়া যেতে পারে তাঁর সম্পর্কে।
ফরাসী অধিকৃত চন্দননগরের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৮৮৭ সালে জন্ম হয়েছিল তাঁর। পিতার নাম সারদাচরণ সেন। ১৯০০ সালে কানাইলাল বিদ্যামন্দির থেকে এনট্রান্স ও দু বছর পরে এফ এ পাশ করে কলকাতার শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন। অসম্ভব মেধাবী ছাত্র ছিলেন। অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল এডুকেশনের কাছ থেকে বৃত্তি পান এবং ১৯১০ সালের জুলাই মাসে গোলকুণ্ডা জাহাজে আউটট্রাম ঘাট থেকে ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে।
বিদেশে গিয়ে লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পাশ করার পর লিডস কর্পোরেশন ইলেকট্রিক লাইটিং স্টেশনে চাকরিও পান। থাকতেন লিডসে ব্ল্যাকম্যান লেনে।
প্রথম মহাযুদ্ধের রণদামামা বেজে উঠলে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর অফিসার পদে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করলেন জন। কিন্তু তা নামঞ্জুর হল। কারণ সেই সময়ে কোন ভারতীয়কে অফিসার পদে নিয়োগ করা হত না। দমলেন না বঙ্গসন্তান বরং সাধারণ সৈনিক হিসাবেই যোগ দিলেন যুদ্ধে। সার্ভিস নম্বর ১৫/৭৯৫। ১৫ নং ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টে তিনিই ছিলেন সবথেকে শিক্ষিত এবং একমাত্র অশ্বতাঙ্গ সাধারণ সেনা, কিন্তু রেজিমেন্টে সবার কাছে খুব জনপ্রিয়। জানতেন সাত সাতটি ভাষা।
তাঁর সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া নিয়ে হয়ত পরিবারের আপত্তি ছিল। নির্ভীক জন সেন ভেতো বাঙালির মান রেখেছিলেন। বাড়িতে চিঠি লিখে জানান ‘আপনারা আমায় মার্জনা করিবেন৷ আমি বাঙালির গালে চুনকালি দিতে পারিব না’।
১৯১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ইজিপ্টে সুয়েজ খাল রক্ষার যুদ্ধে কৃতিত্ব দেখান তিনি। ফ্রান্সের সমমে থাকাকালীন ১৯১৬ সালের ২২শে মে, মাঝ রাতে আচমকা অক্ষশক্তি তাঁদের ঘাটির ওপর শুরু করে ভারী বোমাবর্ষণ। প্রথমে তাঁর পায়ে ও পরে গলায় শার্পনেলের আঘাত লাগে। সাথে সাথেই মারা যান বাঙালি সৈনিক। তার দেহকে কলিনক্যাম্প সৈনিক সেমেটারিতে পূর্ণ সামরিক মর্যাদা ও সম্মানের সাথে সমাধিস্থ করা হয়।
জনের মৃত্যুর পর লিডসের মেয়র তাঁর বড় ভাই ডাক্তার যতীন্দ্রনাথ সেনকে চিঠি লেখেন, জন সেনকে পেয়ে তাঁরা ধন্য। তাঁর বীরত্ব ও পারদর্শীতা প্রশংসনীয়। ‘He died like a soldier doing his duty and doing it well’. দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁর অর্জিত তিনটি সামরিক মেডেল, ব্যবহৃত ঘড়ি, পকেট কেস, তামাকের পাইপ ও রক্তমাখা চশমা। তাঁর কমান্ডিং অফিসার লিখেছেন His loss is felt very much throughout the whole of the company. He always showed himself to be a keen and upright soldier, and myself and the officers of this company thought a great deal of him
ইনিই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রথম বাঙালী যোদ্ধা যিনি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রান বিসর্জন দেন।
হরিহর শেঠ তাঁর মহাযুদ্ধে প্রথম বাঙালি শহিদ রচনাতে তাঁর সম্পর্কে বলেছেন, ‘তাঁহার গৌরবে দেশবাসীর গৌরব বাড়িয়াছে৷ কিন্তু সে গৌরব বুকে ধরিয়া তিনি আর স্বদেশে ফিরিতে পারিলেন না’৷ ইতিহাসবিদ ডেভিড স্টোয়ে জন সেন সম্বন্ধে বলেছেন ‘A Bengali by birth – he was also a son of Leeds.’
এদেশে তাঁর স্মরণে কিছুই নেই। শুধু চন্দননগরে একটি রাস্তার নামে রয়েছেন জন সেন বা যোহন সেনের স্মৃতিতে। যোগেন্দ্রনাথ সরনী। আসলে ওটাই ছিল তাঁর নাম। সাহেবি উচ্চারণে যোগেন্দ্রনাথ সেন হয়ে গেছিলেন জন সেন।