Books

বিদ্যাকৌশল full Pdf Download (link) – Bidya Kaushal Pdf Download by Ragib Hasan

Book: Bidya Kaushal pdf download by Ragib Hasan | রাগিব হাসান বিদ্যাকৌশল full pdf book Download and review:

বিদ্যাকৌশল  বইটির বিবরণঃ

  • নামঃ বিদ্যাকৌশল: লেখাপড়ায় সাফল্যের সহজ ফরমুলা
  • লেখকঃ রাগিব হাসান
  • প্রকাশনী: আদর্শ
  • সাইজঃ ১০ mb
  • পাতাঃ ৮২ পৃষ্ঠা
  • ফরম্যাটঃ pdf(পিডিএফ)
কারো জন্য পড়াশোনা করা, ভালো ফলাফল করা, ভালো করে কিছু শেখা খুব সহজ কাজ। আবার কারো জন্য এটা খুবই কঠিন একটা কাজ।
কিন্তু কেন? মেধা? মেধা একটা ব্যাপার বটে, কিন্তু একমাত্র ব্যাপার না।
মেধা জন্মগত বটে, কিন্তু গোপন কথাটা হচ্ছে, মেধা কিন্তু কারো ভালো শিক্ষার্থী হবার প্রধান নিয়ামক নয়। অনেকগুলা ফ্যাক্টরের মধ্যে মেধা একটি মাত্র ফ্যাক্টর। আর সুখবরটা হলো চেষ্টা দিয়ে, কায়দাকৌশল শিখে মেধার কমতিটা পুশিয়ে নেয়া অবশ্যই সম্ভব।
এই বইতে ভালো করে সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করা, কোনো কিছু শেখার কায়দাকৌশল নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। ভালো ছাত্ররা এই কৌশল জানে— কিন্তু অন্যদের জানাতে চায় না।
ছাত্রজীবনে রাগিব হাসান বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসিতে বোর্ডে ৪র্থ স্থান এবং এইচএসসিতে ১ম স্থান লাভ করেন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান পেয়ে বুয়েটে ভর্তি হন এবং সব বিভাগের সেরা ফলাফলের জন্য চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল পান।
নিজ ফলাফল ছাড়াও ছাত্রজীবন এবং বর্তমান শিক্ষকতা-জীবনে প্রচুর ভালো শিক্ষার্থীদের সাথে মেলামেশার যে অভিজ্ঞতা তার ভিত্তিতেই এই বই।
বইটি সব রকমের শিক্ষার্থীদের জন্যই লেখা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়— সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাই এই বইটি পড়ে উপকৃত হবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। শুধু তাই নয়, যারা এখন শিক্ষার্থী নন, কিন্তু চাকুরি বা অন্য দরকারে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে কিছু শিখতে চান, তাদের জন্যও এই বইটি।
.
এই বইটি নিয়ে একটি ভাইরাল হওয়া ছবি কমেন্টে দেয়া হবে। আপুটির সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং প্রকাশনী থেকে তাকে সম্মাননা ও পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

বিদ্যাকৌশল বই রিভিউ

লেখক “রাগিব হাসান” বিদ্যাকৌশল  বইটি ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুবই ভালো মোটিভেশন দিবে।
বইটি থেকে আমার কিছু
ভালো লাগার ও শিক্ষনীয় টপিক____
☆☆আপনাকে দিয়ে কিছু হবে না, আপনার মাথায় কিছু নেই, অন্যের চেয়ে আপনার মেধা বা বুদ্ধি কম, এই চিন্তাধারা থেকে বিরত থাকা।
☆☆পড়ালেখা মানেই ক্লাসে ভালো, আর সার্টিফিকেটের জন্য তা কিন্তুু নয়?
পড়ালেখা মূলত নিজেকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার একটি মাধ্যমে, নিজের চিন্তার দিগন্তকে প্রসারিত করা।
☆☆পড়াকে বিশাল সমুদ্র মনে না করে ছোট জল কণার সমাহার হিসেবে দেখুন।
☆☆একটি পড়া বার বার অনুশীলন করুন।যাতে করে পড়াটি আপনি ভুলবেন না।
☆☆পড়া লিখার ফাঁকে ফাঁকে একটু ব্রেক নিন।তবে ফেসবুক রাজ্যে আসবেন না তাহলে বেরোনো মুসকিল।
☆☆যেকোনো পরিবেশই মানুষ পড়তে পারে।এখানে মনটাই আসল।
☆☆ কোনো টপিক পড়ার বা শোনার সাথে তা নোট করে রাখা। (আমার পছন্দের একটি তালিকা)
☆☆পড়ার ক্ষেত্রে Preview, Question, Reading, summary, Test অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
☆☆হাতের লিখা সুন্দর তা মার্জনীয়। কিন্তুু হাতের লিখা মুক্তার মতো হওয়ার দরকার নেই স্পষ্ট হতে হবে।
☆☆নিয়মিত নিজেকে মূল্যায়ন করুন।
☆☆পড়ালেখার পাশাপাশি মনকে সতেজ রাখার জন্য বিনোদন অত্যাবশক।
☆☆হতাশায় আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যায়,
জেদ প্রতিস্থাপনে হতাশা দূর হয়।
☆☆অবশ্যই ভালো রেজল্ট কাম্য তবে পিতামাতার জন্য পরীক্ষার ফলাফলের চেয়ে বড় ব্যাপার আপনার সন্তানটি কতটুকু শিখছে, কতটুকু জানছে তা সম্পর্কে অবগত থাকা।
 

বিদ্যাকৌশল – দ্রুতলিখন, কী করে লিখবেন দ্রুত?

আর ৫টা মিনিট সময় পেলেই শেষ করতে পারতাম …

ইশ, সবই জানি, কিন্তু লেখার সময় পাই নাই!

এই কথাগুলা কি চেনা চেনা লাগে?

পরীক্ষার হলে সময়াভাবে জানা প্রশ্নও ছেড়ে আসেন নাই, এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।

কিন্তু এর কারণ কী?

কারণ হলো হাতের লেখার ধীর গতি।

দ্রুত লিখতে না পারলে নির্ধারিত সময়ে লেখা শেষ করতে পারা যাবে না, আর জানা প্রশ্ন ছেড়ে এসে ছিড়তে হবে চুল।

আসুন দেখা যাক, কী করে দ্রুত লিখতে পারবেন।

(১) কলম ঠিকমত নিয়েছেন কি? —

কী কলমে লিখছেন, তা অনেক ক্ষেত্রেই আপনার লেখার গতিকে প্রভাবিত করে।

কেউ কেউ খসখসে কলমে লিখতে পারেন ভালো।

আবার কারো দরকার মসৃন কলম।

আপনি কোনটাতে ভালো করে লিখতে পারেন তা বের করে নিন।

এজন্য কয়েক রকমের কলম জোগাড় করে একই লেখা ঘড়ি ধরে লিখে দেখুন। যেটাতে দ্রুত লিখতে পারছেন, সেই রকমের কলমই পরীক্ষায় ব্যবহার করবেন।

বল পয়েন্ট পেন কেনার পর পর বেশ খসখসে থাকে। কিছুটা ব্যবহার করার পরে মসৃন হয়।

আমি নিজে খসখসে কলমে দ্রুত লিখতে পারতাম, তাই পরীক্ষার জন্য এক বাক্স নতুন বলপেন নিয়ে যেতাম। তবে আমার স্ত্রী, যে নিজেও খুব ভালো ছাত্রী, খসখসে কলমে একেবারেই লিখতে পারতো না, তাই সে এক বাক্স পুরানো বলপেন নিয়ে যেতো পরীক্ষা দিতে।

আপনার কোনটাতে সুবিধা, তা বুঝে সেটাই ব্যবহার করুন।

(২) খাতা কীভাবে ধরেছেন, খেয়াল করুন —

আমরা যখন বসে বসে লিখি, তখন আমাদের হাতটা কনুই বরাবর ঘুরছে। আর শব্দ লেখার সময়ে হাতের আঙুল আর কলম উঠানামা করছে।

নানা ভাবে খাতা ঘুরিয়ে দেখুন কোনভাবে লিখলে দ্রুত লিখতে পারেন।

(৩) লেখার আকার ছোট করুন —

অনেকেই রসগোল্লা সাইজের মতো বড় বড় করে লিখেন। নানা বিষয়ে প্রতি প্রশ্নের উত্তর বড় করে করে লিখলে প্রতি প্রশ্নে ৫ পৃষ্ঠা করে লেখা যায় বটে, কিন্তু সময় লাগবে অনেক।

আপনার লক্ষ্য যদি হয় দ্রুত লেখা, তাহলে আপনার লেখার আকার ছোট করে দিন। প্রতিটি অক্ষর যদি বড় এর বদলে ছোট আকারে লিখেন, তাহলে আপনার মোট সময় বেশ কম লাগবে।

.
.

(৪) কলম ঠিকভাবে ধরুন —

লেখার গতি কমে যাবার আরেকটা কারণ হলো হাতের উপরে স্ট্রেস বা চাপ পড়া।

লেখার সময়ে কলমকে বজ্রমুষ্টিতে ধরে লিখছেন নাকি?

যদি কলমের উপরে অপ্রয়োজনীয় রকমের জোর চাপ দিয়ে ধরেন, তাহলে কিন্তু আপনার হাতের আঙুলের ও হাতের তালুর পেশিতে অনেক বেশি চাপ পড়ছে। এভাবে কিছুক্ষণ লেখার পরে হাত ব্যথা হতে বাধ্য।

তাই কলমকে এভাবে জোরে না ধরার দিকে খেয়াল রাখুন।

(৫) কীভাবে অক্ষর লিখেন তা খেয়াল করুন —

প্রতিটা অক্ষর অনেকভাবে লেখা যায়। আপনি কি সবচেয়ে দক্ষ বা এফিশিয়েন্টভবে তা লিখছেন?

এক কাজ করুন, খাতা কলম নিয়ে এক এক করে প্রতিটা অক্ষর লিখুন, বাংলা ইংরেজি দুইভাবেই।

একই অক্ষরকে অনেকভাবে লেখা যায়। সবচেয়ে কম হাত নেড়ে কীভাবে এক টানে লেখা যায়, সেটা ভেবে দেখুন।

একটা উদাহরণ দেই, ইংরেজি P অক্ষরটাকে দুইভাবে লেখা যায়।

একটা উপায় হলো উপরে বামের কোনা থেকে শুরু করে প্রথমে খাড়া দাগটা উপর থেকে নিচে দিয়ে, এবং তার পরে অর্ধচন্দ্রাকার অংশটা লিখে।

অন্য উপায় হলো নিচে বামের কোনা মানে খাড়া দাগটার তলার মাথা থেকে শুরু করে নিচ থেকে উপরে গিয়ে এবং এর পরে কলম না উঠিয়েই অর্ধ চন্দ্রাকার অংশটা লিখে ফেলে।

খেয়াল করলে দেখবেন, দ্বিতীয় পদ্ধতিতে কম সময় লাগে একটু। একবারে হয়তো খুব অল্প, আধা সেকেন্ড বাঁচবে। কিন্তু বিন্দু বিন্দু জল যোগ করে যেমন মহাসাগর হয়, সেরকম সব অক্ষর থেকে অল্প অল্প করে সময় বাঁচিয়ে ফেলতে পারলে একই লেখা আপনি অনেকটাই কম সময়ে লিখতে পারবেন।

এই ভাবে দক্ষতার সাথে লেখাটা চর্চার ব্যাপার, আপনার কোন অক্ষরে বেশি সময় যাচ্ছে, সেটা একটু সময় দিয়ে হলেও বের করে ফেলেন, একবার সেটা ধরতে পারলে আপনার লেখার গতি অনেকখানিই বাড়বে।

———
দ্রুত নোট লেখা — উপরের কথাগুলা পরীক্ষার খাতায় লেখার জন্য বিশেষ করে প্রযোজ্য। কিন্তু অনেক সময়ে আপনার লক্ষ্য হলো দ্রুত ক্লাসনোট তোলা যা আপনার নিজের জন্য। সেটা কীভাবে করবেন? আসুন দেখা যাক –

— সংক্ষেপে লিখুন – ক্লাস নোট বা আপনার নিজের জন্য নোট লেখার সময়ে সম্পূর্ণ বাক্য লেখার দরকার নাই, অদরকারী শব্দ যেমন ইংরেজিতে (preposition, article, verb) এসব বাদ দিয়ে লিখতে পারেন।

— সংকেত ব্যবহার করুন – and এর বদলে & লিখুন। অথবা with এর বদলে ‘ চিহ্নটি দিন। বাংলায় লেখার সময়ে এরকম কিছু সংকেত বানিয়ে নিন। আপনার নিজের বোঝার মতো এরকম কিছু শর্টকাট সাংকেতিক জিনিষ ব্যবহার করুন।

— ভয়েস রেকর্ডারের সাহায্য নিন – অনেক সময়ে ক্লাসে দ্রুত সবকিছু লেখার সময় পাবেন না, অনেক কিছু হয়তো বাদ পড়ে যাবে। এজন্য ফোনটাকে ভয়েস রেকর্ডার হিসাবে ব্যবহার করুন। ক্লাস শেষে যেসব জায়গা বাদ পড়ে গেছে, তা এই রেকর্ডারের থেকে শুনে লিখে ফেলুন।

© Ragib Hasan

তবে, পরীক্ষার সময়, প্রশ্ন অনুযায়ী সময় বন্টন করে নিলে ভালো হয়।
আর, বল পেন কলম অর্ধেক লেখা হয়েছে, এগুলো তে মসৃণ ভাবে লেখা যায়।
আর, ক্লাসে রেকর্ড করার সময় ফোন , Air Mode ” এ রাখা উচিৎ। তা না হলে, ফোন এলে রেকর্ড করা বন্ধ হয়ে যায় । আর একটু পরপর চেক করা উচিৎ যে, ঠিক মতো রেকর্ড হচ্ছে কিনা। তা না হলে, পরে দেখলেন , একটা ফোন বা এস এম এস এসে রেকর্ড করা বন্ধ হয়ে গিয়েছে- তখন ত বিপদ এ পড়তে হবে ।

বিদ্যাকৌশল পিডিএফ ডাউনলোড লিংক

  1. বইয়ের নামঃ বিদ্যাকৌশল
  2. বইয়ের লেখকঃ রাগিব হাসান
  3. পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১২৮ টি।
  4. বইয়ের ধরনঃ ছাত্রজীবন উন্নয়ন
  5. পিডিএফ সাইজঃ ১৮ মেগাবাইট প্রায়।
  6. ডাউনলোডঃ বিদ্যাকৌশল pdf
  7. রকমারিঃ বিদ্যাকৌশল বই

Download Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!