Books
ব্যষ্টিক অর্থনীতি বই Pdf Download
ব্যষ্টিক অর্থনীতি বই pdf download free: Download this Pdf hons book
আরও পড়ুনঃ
বই: বকুলফুল
কৃষ্ণনগরের স্মিতা চৌধুরানীকে কে না চিনে! ওই যে ১২১৭ বঙ্গাব্দে জন্ম নেয়া সেই চনমনে বকুলফুলের গন্ধ বিলানো সুশ্রী, শাড়ি পরা মেয়েটি! মনে পড়েছে? আরেকটু মনে করিয়ে দেয়া যাক নাহয়। আমাদের মশাইকে মনে আছে তো? যে মশাই তার সাথে ঘটা রোমহর্ষক আর পিলে চমকে যাওয়া ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করেছিল সে মশাই। স্মিতা চৌধুরানী আর মশাইয়ের অপার্থিব প্রেমের কথা কি ভোলা যায়?
যাক গে, এই পর্বে তো আবার আমাদের মশাইয়ের ভোগান্তির শেষ নেই। বরং বলা চলে ভোগান্তিরা আরও কয়েকগুণ বেশি হাত-পা নিয়ে বেচারার পিছনে লেগে আছে। বহুত কষ্টে রাত্রি নামে যাও একটা প্রেমিকা জুটেছিল দিনশেষে জানা গেলো সেও মানুষ না, অন্য কেউ। কী জ্বালা! এ তো মহা মুসিবত!!
ওদিকে রুক্সিনী চৌধুরীর কালো ছায়া তো দিবারাত্র অনুসরণ করছে তাকে। কখনও হুমকী-ধামকি, কখনও আবার নানান প্রলোভন আসছে তার পক্ষ থেকে। কথকের জীবন থেকে সমস্যা পিছু ছাড়তেই চাচ্ছে না যেন। মাত্র সাতাশ বছর বয়সের একজন তাগড়া যুবক দিনকে দিন হারিয়ে ফেলছে তার জীবনীশক্তি, মাথার কুচকুচে কালো চুলগুলো পর্যন্ত প্রবঞ্চনা করে পেকে যাচ্ছে ক্রমশ। কেন হচ্ছে এসব? আড়ালে থেকে কে নাড়াচ্ছে এ অদৃশ্য সুতো? কী চায় সে?
এমন নানান প্রশ্নের জন্ম দেয়া গাঁথা বকুলফুল ট্রিলজির সর্বশেষ উপন্যাস ‘বাঁশি’। বাঁশিতে বকুলফুল, বিড়ালচক্ষুর সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন এক অনুষঙ্গ – বাঁশির মূর্ছনা। এ মূর্ছনা মায়া নাকি ভ্রম বুঝবার সাধ্য আছে কার!
একইসাথে মশাইকে সার্বক্ষণিক অনুসরণ করছে শতু নামক এক বৃদ্ধ। কী চায় এই কালো জোব্বা পরা বৃদ্ধ? কেন এভাবে কাঁঠালের আঁঠার মতন লেপ্টে আছে সে?
একদিকে স্মিতার আত্মার মুক্তির তাগদা, অন্যদিকে রুক্সিনী চৌধুরীর ভয়াল থাবা থেকে নিজেকে ও পরিবারকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা- সবমিলিয়ে কথক পড়েছে মহা ফ্যাসাদে। এ থেকে উত্তরণের উপায় কী! আর ওই তিন পা-ওয়ালা মূর্তিটা, যেটা প্রায় মাঝেমধ্যেই চোখ পিটপিট করে তাকায় কথকের দিকে? কখনও সখনও তো আবার দুই পা এগিয়েও আসে। সে-ই বা কী চায়? এমন অসংখ্য প্রশ্নের পোকারা যখন মাথার মধ্যে কিলবিল করবে তখন একবসায় ‘ বাঁশি’ পড়ে ফেলা ছাড়া আর কিইবা করার আছে অনুসন্ধিৎসু পাঠকদের?
২০১৯ এ বকুলফুল পড়ার মাধ্যমেই লেখকের লেখার সাথে পরিচয়। তারই ধারাবাহিকতায় পড়া হলো বিড়ালাক্ষী। এরপর খানিক সময় অপেক্ষায় পথ চাওয়ার পর হাতে এলো ‘বাঁশি’। কী লিখেছেন এসব! পরতে পরতে মুগ্ধতা। ঘটনার বর্ণনাভঙ্গি এতোটাই স্পষ্ট যে সবকিছু যেন মুহূর্তেই চাক্ষুষ হয়ে ধরা দিচ্ছিল।
এ মোটেও বকুলফুল, বিড়ালাক্ষীর মনোয়ারুল ইসলাম নয়; এ তারচেও পরিণত লেখনশৈলীর অধিকারী কেউ…
নানান ঝামেলার মধ্যেও বইটা পড়তে সেই একদিনই লেগেছে। কাহিনিতে এত বেশি টুইস্ট যে তাকে বেশিক্ষণ হাতছাড়া রেখে স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। বানান বিভ্রাট খুব কম ছিল। কাহিনির প্রাচুর্যতার কাছে তা একেবারেই নস্যি।
সবশেষে ভালো লেগেছে ‘বাঁশি’। লেখকের জন্য
শুভ কামনা