বাংলা পিডিএফ বই সমগ্র (all)
কপালকুণ্ডলা উপন্যাস Pdf Download (Full)
কপালকুণ্ডলা উপন্যাস pdf free download লিঙ্কঃ
[ Download PDF ]
বই | কপালকুণ্ডলা – kapalkundula pdf |
Author | বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
Publisher | রিয়া প্রকাশনী |
ISBN | 978984900846 |
Edition | 1st Published, 2018 |
Number of Pages | 76 |
Country | বাংলাদেশ |
ফরম্যাট | বাংলা epub bangla, MOBI Bangla, kindle bangla Ebook, Pdf free Download(পিডিএফ ডাউনলোড)google drive full |
আরও পড়ুনঃ
বইয়ের নামঃ খুন
প্রিয়মুখ রকমারি বুক রিভিউ প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে আজকে আলোচনা করব লেখক আহমেদ ফারুকের লেখা“ খুন”বইটি নিয়ে।
বইটিকে ঠিক উপন্যাস বলা যায় না উপন্যাসিকা বা নোভেলা খুব জোর বড় গল্প বলা যায়।
“খুন”গল্পের নাম শুনেই পাঠক বুঝতে পারছেন গল্পের উপজিব্য কি হতে পারে? তবে এটা থ্রিলার নাকি সামাজিক গল্প? তা বলার জন্য গল্পটা বিশ্লেষণ করা যাক।
গল্পটা শিহাব নামের একজন ব্যক্তির। যিনি একজন দুর্নীতি পরায়ণ মন্ত্রীকে খুন করে দেশ ও সমাজ কে এ ধরনের মানুষের হাত থেকে রক্ষা করতে চান। সাথে বোনাস হিসেবে আছে একজন ভাগ্য বিড়ম্বিত নারীর ত্রাতা হয়ে এ্যাভেঞ্জারের স্থান পাকা করে ফেলা। এখন নায়ক তার পরিকল্পনায় সফল হতে পারলো কি না তা জানতে হলে পড়তে হবে বইটি।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ এবার বলি বইটি পড়ে আমার কেমন লেগেছে সে কথা। বইটি পড়ে আমি হতাশ,রাগান্বিত এবং লজ্জিত। আপনারা হয়তো ভাবছেন আমার এমন ভাবার কারণ কি? একটু ব্যাখ্যা করলেই বুঝতে পারবেনঃ
পটভূমির অভাবঃ গল্প শুরু হয়েছে একদম আকস্মিকভাবে যার সাথে গল্পের সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
দুর্বল কাহিনীঃ গল্পে খুন করার পেছনে ব্যাখ্যা অত্যন্ত খেলো। খুন একটা গুরুতর অপরাধ এবং ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে এ ধরনের অপরাধ শুধু মাত্র সাইকোপ্যাথ কিলারের পক্ষেই সম্ভব। শিহাবের ক্ষেত্রে মোটিভ টা কি তার যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যার প্রয়োজন ছিল।
দুর্বল উপস্থাপনঃ গল্পে কয়েকটি চরিত্র এনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে কিন্তু কে কেন কি করছে বা করবে তার সঠিক কোন ব্যাখা নেয়। একজন দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী রূপী ভিলেন আর দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নামক কোন বস্তু নেই তাই এ্যাভেঞ্জারের ভূমিকায় নামতে হলো তারই ডান হাতকে। তিনি আবার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সাহায্য নিলেন এক পতিতা যার কোন প্রয়োজন নেই। তার উপর তার শরীর দেখে প্রেমে পড়ে যাওয়া এমন উদ্ভট গল্প হজম করা মুস্কিল।
দুর্বল চরিত্র চিত্রণঃ গল্পতে মূল চরিত্র ধরতে গেলে গোটা তিনেক কিন্তু কোন চরিত্রই পাঠকের মনে দাগ কাটতে পারে না। কারণ লেখক কোন চরিত্রই ঠিক মতো বর্ণনা করেননি। শিহাব কে যদি হিরো ধরা হয় তবে সে দেখতে কেমন ফর্সা না কালো,লম্বা না বেঁটে বয়স ত্রিশ না তেপান্ন কিছুই লেখা হয়নি। মন্ত্রী মনোজিত কুমার গুপ্ত ভিলেন বোঝা গেল কিন্তু এ ক্ষেত্রেও তার চারিত্রিক দোষ ছাড়া আর কোন বৈশিষ্ঠের উল্লেখ নেই। রিমির ঢলঢলে যৌবন আর তার শরীরের বিশেষ অঙ্গ বাদেও আরও কিছু লাগে একটা চরিত্র বর্ণনার ক্ষেত্রে এটা লেখক ভুলে গেছেন।
ভাষার ব্যবহারঃ গল্পে ভাষার ব্যবহার অত্যন্ত নিম্নমানের অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ। বর্ণনার গুনে রমণের বর্ণনাও শৈল্পিক হতে পরে কিন্তু এক্ষেত্রে তা নিচুমানের চটিতে পরিণত হয়েছে।
পরিশেষে বলতে হয় মুরাদ টাকলা ভাষা দিয়ে যেমন সাহিত্য চর্চা সম্ভব না তেমনি এ ধরনের কোন লেখাকে সাহিত্যের অংশ হিসাবে বিবেচনা করা বাংলা সাহিত্যের অবমাননা ছাড়া আর কিছু নয়।