Mashrafe bin Mortaza Book Pdf Download (আপডেট)
Book | মাশরাফি pdf book |
Author | দেবব্রত মুখোপাধ্যায় |
Publisher | বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন |
ISBN | 9789787762318 |
Edition | 1st Edition, 2015 |
Number of Pages | 470 |
Country | বাংলাদেশ |
ফাইল ফরম্যাট: | epub, MOBI, Pdf free Download(পিডিএফ ডাউনলোড) |
১৯৮২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নড়াইলে ন্যাপের নেতা অ্যাডভোকেট “অতিয়ার রহমান” ও “খালেদা রহমান বেলা” এর কন্যা “হামিদা রহমান বলাকা” এর বিয়ে, “গোলাম নবী” ও “সৈয়দা রোকেয়া সুলতানা” এর ছেলে “গোলাম মুর্তজা স্বপন” এর সাথে।দাম্পত্য জীবনের শুরু টা এভাবেই। বলাকার গর্ভে তখন সাত মাসের সন্তান। একদিন নেপাল সরকার বললেন, “দেখি তো মা তোর হাত টা দে। একটু দেখি। “এরপর আস্তে আস্তে বললেন, ” তোর কোলে তো রাজপুত্র আসছে রে মা। ছেলে হবে তোর। ” সকাল ৮:৩০ শীতের কুয়াশা চিরে ভেতর থেকে পরপর দুটো চিৎকার ভেসে আসে। বলাকার প্রবল চিৎকার। পরপরই একটা নতুন প্রান, এই জগতে এক নবাগত চিকন তার স্বরে জানিয়ে দেয় সে এসেছে। প্রবল চিৎকারে যেনো পুরো বাংলাদেশ কাপিয়ে ঘোষনা করে দেয়, আমি এসেছি।আমি চলে এসেছি, রাজত্ব করবো বলে। হঠাৎ চেনা কন্ঠে কেউ বলে উঠলো, ছেলে দেখবি না বেলা? বলাকা শুধু বিষ্ময় আর মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে থাকেন -এই আমার ছেলে! এই ছেলেটাই ছিলো আমার পেটে!এতগুলো বছর পার করে আজও সেই গল্প বলতে গিয়ে বলাকার চোখ জলে ভরে ওঠে। “এত্তটুকু! এত্তটুকু ছিলো। আমি শুধু দেখলাম, কী ফর্সা একটা পুতুল। আমি বললাম এটা আমার ছেলে। ” হা এটা বলাকারই ছেলে। নাম কৌশিক। পুরো নাম মাশরাফি বিন মুর্তজা। এটা শুধুই কি একটা নাম…?উহু মোটেও না, সে তো একদলনেতা! যে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেয়। বলা হয়ে থাকে, “বাংলার বাঘেদের সর্বকালের সেরা দলনেতা! কখনো ব্যাট কখনো বা বল হাতে দেশটাকে এনার্জি দিয়েছেন। ক্ষত-বিক্ষত পা নিয়ে বারবার ঝাঁপিয়ে পড়ে রান বাঁচিয়েছেন।”আর তার পুরো কীর্তি তুলে ধরেছেন “দেবব্রত মুখোপাধ্যায় ” তার ” মাশরাফি” নামক বইটাতে। পেশায় ক্রীড়া সাংবাদিক।তিনি ‘সাকিব আল হাসানক’ নিয়ে প্রথম বই লিখেছেন। তিন পুরুষ আগের পূর্ব পুরুষ “হাজী মোল্লা” থেকে শুরু ! আর আছে কৌশিকের পুরো ইতিহাস! যা পূর্ব পুরুষ থেকে শুরু করে শেষ হয়েছে ২০১৫ সালের দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ বিজয়ের সময়ে।অসম্ভব ভালো লাগার একটা মানুষ মাশরাফি! শুধু প্রিয় ক্রিকেটার হিসেবে না। প্রিয় মানুষ হিসেবেও। দেবব্রত এই মানুষটাকে আমার চোখের সামনে তুলে ধরেছেন। আমি দেখেছি তার গুটি গুটি পায়ে বেড়ে উঠা। নানী বেলা ম্যাডাম এর কাছে শৈশব। তার সাফল্য গুলো, এমনকি যন্ত্রনা গুলোও। বলা যায় , একটা পুরো মাশরাফি আমার চোখের তারায়!অনেকে এই বই নিয়ে অনেক মন্তব্য করেছেন, যা লেখক কে নিয়ে। কিন্তু আমি বলব, আমাকে যিনি আমার প্রিয় মানুষটার নৈপত্যের কথা ( অর্ধ জীবনী) উপহার দিয়েছেন, তিনি অবশ্যই সফল। আমার মতো আরো অনেক ক্রিকেট প্রেমী মানুষ দের, প্রিয় খেলোয়ার সম্পর্কে ক্ষুধা মিটিয়েছেন। তার জন্য কৃতজ্ঞতা! লেখার মান যেমনি হোক, পুরো বইটা শেষ করতে দেবব্রতর দিন কে রাত, রাত কে দিন বানাতে হয়েছে। বিশেষ করে উনার পুত্র “শুদ্ধ” র জন্য এটা ছিলো ভয়ানক ব্যাপার। সারা দিন শেষে যেখানে তার বাবা কে একটু খানি পাওয়ার কথা ছিলো, সে সময় টা বাবা দরজা বন্ধ করে রাখে। আর সে বাইরে থেকে চিৎকার করে কাঁদে। পুত্রর কান্না কে উপেক্ষা করে তিনি বইটা শেষ করেছেন। তাও আমাদের জন্য। সে কারনেই একটা ধন্যবাদ তিনি অবশ্যই পেতে পারেন। আর মাশরাফি! টেস্টে তার এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেই। তিনি অন্যদের মতো গতিদানব নন। তবুও তিনি মাশরাফি বিন মুর্তজা!
তিনি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার। এই দেশের গতি তারকা। মাশরাফি বাংলাদেশের সফল অধিনায়ক দের একজন। মাশরাফি ক্রিকেটারদের সবচেয়ে বড় প্রেরণার নাম! কেবল ক্রিকেটার নয়, কোন জাতির ইতিহাসে এমন মানুষই আসে শতবর্ষের আরাধনায়! একজন মাশরাফি সম্পর্কে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বলেছিলেন,
“বোলার কৌশিক ভাইয়ের কথা বাদ দেন। ব্যাটসম্যান মাশরাফির কথা ভাবেন শুধু। বাংলাদেশের হয়ে কত রান করেছেন উনি? হাজার দেড়েক। এই দেড় হাজার রান দিয়ে উনি বাংলাদেশকে যে কয়টা ম্যাচ জিতিয়েছেন, তা আমরা তিন-চার হাজার রান করে করতে পারিনি। ওনার ১৫ রান মানেই ম্যাচে আমরা এগিয়ে গেলাম। শোনেন, একটা কথা বলি। কৌশিক ভাই নিজেকে নিয়ে খামখেয়ালি না করলে সে থাকত বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। কৌশিক ভাই কত বড় অলরাউন্ডার হতে পারতেন, উনি নিজেও জানেন না।”
একজন মাশরাফি বিন মুর্তজা এমনই, দিনের পর দিন দেশ টাকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন। ডাক্তারের ছুরির নিচে শরীরটাকে এলিয়ে দিয়েও পিছু না হটেন নি।নতুন উদ্যমে এগিয়ে গেছেন। তবুও নিন্দুকেরা তুচ্ছ করে বলে থাকে, “ক্যাপ্টেন কোটায় দলে চান্স পাওয়া ক্রিকেটার।” এই মাশরাফি, ব্যাট বা বল না করেও মাঠের একপ্রান্তে দাড়িয়েই দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। সত্যিকারের দলনেতারা হয় যেমন!