ওঙ্কার উপন্যাস PDF আহমদ ছফা – Ongkar Ahmed Sofa Books PDF
ওঙ্কার উপন্যাস PDF রিভিউ আহমদ ছফা Ongkar Ahmed Sofa Books PDF
book | ওঙ্কার |
Author | আহমদ ছফা |
Editor | নূরুল আনোয়ার |
Publisher | Student Ways |
ISBN | 9844066085 |
Edition | 2nd Print, 2014 |
Number of Pages | 100 |
type | Pdf Download |
বই-ওঙ্কার
লেখক-আহমদ ছফা(১৯৪৩-২০০১)
প্রকার-নভেলা
মূল্য-১৫০৳
প্রকাশনা-স্টুডেন্ট ওয়েজ
রেটিং-৫/৫
সাহিত্যিকদের রিভিউঃ
বইটি সম্পর্কে আবুল ফজল বলেছেন-
” এগ্রন্থটি পাঠ করলে যে-কোন সহৃদয় পাঠকই মোহিত হবেন।স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রচন্ড আবেগ এবং অনুভূতি নিয়ে এরচাইতে উৎকৃষ্ট কিছু কোথাও লিখিত হয়েছে এমন আমার জানা নেই।”
পুস্তক সম্পাদক নুরুল আনোয়ার বলেছেন-
“আহমেদ ছফাকে এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল,বাংলা-সাহিত্যে কোন উপন্যাসটিকে ক্লাসিক উপন্যাস হিসেবে মনে করেন।তিনি কোন রকম ভূমিকা না করে জবাব দিয়েছিলেন,আহমদ ছফার ‘ওঙ্কার’।
প্রেক্ষাপটঃ
১৯৭৫ সালে বাংলা উপন্যাসে এক নতুন অধ্যায়ের সংযোজন ঘটে,সেই সংযোজনই আহমেদ ছফার উপন্যাস “ওঙ্কার”।উপন্যাসের প্রেক্ষাপট গড়ে উঠেছে একটা সহজ-সরল পরিবারের পারিবারিক ঘটনার মধ্য দিয়ে,কিন্তু লেখক ‘৬৯ এর অভ্যুত্থানের ঘটনাবলী বিস্তৃত করে পাঠকের মনে সেই সময়ের অগ্নিবীজ ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন।
সারসংক্ষেপঃ
উপন্যাসটি বর্ণিত হয়েছে উত্তম পুরুষের ভঙ্গিতে।নায়ক মধ্যবিত্ত-তালুকদার পরিবারের ছেলে যার বাবার সামাজিক মর্যাদা কমে গেলেও পারিবারিক জৌলুস অক্ষুন্ন রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে মামলা করার মাধ্যমে।
এই পর্যায়ে মোক্তার নামের প্রতিবেশীর সাথে মামলায় জড়ালে সব হারিয়ে তালুকদার সাহেব নিঃস্ব হয়ে পড়েন এবং এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে মোক্তার নিজেই দফারফা করে তার বোবা মেয়ের বিয়ে নায়কের সাথে দিয়ে।শ্বশুড়ের ক্ষমতাবলে নায়ক বাড়ি এবং চাকুরী লাভ করে।বোনকে গান শিখানোর চেষ্টায় সে একদিন দেখে তার মুক পত্নীর গান গাওয়ার আকুতি,তাতে ভালোবাসা আরো বেড়ে যায়।এতো কিছুর মধ্যে ‘৬৯ এর আন্দোলন বৌটিকে নাড়া দেয়।সেও যেন মিছিলে শামিল হতে চায়।
উপন্যাসিকার শেষে এসে পাঠক দেখতে পায় যে,নায়ক বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া এক মিছিলে মানুষের বুক ফাটা চিৎকারকে নবজন্মের আকুতি হিসেবে তুলনা করেছে।নায়কের মনে হয় বাংলাদেশের আকাশ,বাতাস,নদী,সমুদ্র,নর-নারীর হৃদয় কাঁপছে।হঠাৎ সে শুনতে পায় তার বোবা বউ জানলা সমান লাফিয়ে ‘বাঙলা’ অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে উচ্চারণ করল।তার মুখ দিয়ে বেড়িয়ে আসা রক্ত দেখে নায়ক ভাবতে বাধ্য হয়-“কোন রক্ত বেশি লাল।শহীদ আসাদের-না আমার বোবা বউয়ের?”
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
বইটি সম্পর্কে আমার বলার কিছুই নেই,যা বলার আমার রেটিং ই বলে দিয়েছে।অল্প কথায় অনেক কিছু বলে দেওয়া কিভাবে সম্ভব তা এই উপন্যাসটি না পড়লে বুঝতাম না।
তবে আমি বইয়ের কিছু বর্ণনা দিচ্ছি যা পাঠকদের আগ্রহী করে তুলবে।
উপন্যাসটির উৎসর্গিত স্থানে লেখক লিখেছেন-
“আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক
অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে
অনাকাঙ্ক্ষাই যাঁর একমাত্র আকাঙ্ক্ষা।”
এছাড়াও বইটিতে রোওশান জাহানের ইংরেজী অনুবাদ আছে যাতে একজন পাঠক এক মলাটে দুইটি বই পাচ্ছেন।এছাড়াও বইয়ে কয়েকজন সমালোচকের রিভিউ আছে,একটি পরিশিষ্ট আছে।যেখানে রশীদ করিম,মোহাম্মদ মাহ্ফুজউল্লাহ এবং সলিমুল্লাহ খান এর বই সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়া আছে যা উপন্যাসটি সম্পর্কে পাঠককে পরিপূর্ণভাবে জানতে সাহায্য করবে।
তাই পাঠকবৃন্দ আর দেরী কেন?পড়ে ফেলুন বাংলা সাহিত্যের অনবদ্য সৃষ্টি “ওঙ্কার”।
আনিস সাবেত বললেন, আমি মরে গেলেও আমার কথা উইথড্র করব না।
ছফা বললেন, তবে আমি চললাম। বলে হনহন করে হাঁটা শুরু করলেন।
হুমায়ূন আহমেদ বললেন, আনিস ভাই, ছফা ভাইকে আটকান। উনি চলে যাচ্ছেন যে!
আনিস সাবেত আয়েশি ভঙ্গিতে বললেন, ছাড়ো তো। এই রাত বিরাতে উনি যাবেন কোথায়? গাড়ি-ঘোড়া কিছুই তো পাবেন না যে ঢাকা চলে যাবেন। একটু পরে এমনিই ফিরে আসবেন।
ছফা কিন্তু ফিরে আসেননি। সারারাত হেঁটেই তিনি ঢাকা চলে গেলেন। পরে যখন আনিস সাবেত এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তখন ছফা সাহেব বলেছিলেন, সারা রাত হেঁটে ভালই হয়েছে। মাথায় নতুন একটা উপন্যাস এসেছে।
প্রাজ্ঞজন আবুল ফজল উপন্যাসটার সম্বন্ধে লিখেছেন,এ গ্রন্থটি পাঠ করলে যেকোন সুহৃদয় পাঠকই মোহিত হবেন।স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রচণ্ড আবেগ এবং অনুভূতি নিয়ে এর চাইতে উৎকৃষ্ট কিছু কোথাও লিখিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই।
ডক্টর সলিমুল্লাহ খান যেটিকে চিহ্নিত করেছেন আহমদ ছফার “আহমদ ছফা” হয়ে ওঠার জীয়নকাঠি হিসেবে।
জানেন উপন্যাসটার নাম?
ওঙ্কার।
ওঙ্কার উপন্যাসটির রচনাকাল ১৯৭২।রচনার তিন বছর পর এটি প্রকাশিত হয়। আহমদ ছফা এই উপন্যাসটি উৎসর্গ করেছেন তার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, প্রাজ্ঞ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাককে। উপন্যাসটি পরাধীন বাংলাদেশের পটভূমিকায় উনসত্তেরর গণ অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে রচিত।মোট আটটি ভাগে উপন্যাসটিকে ভাগ করা হয়েছে।উপন্যাসের নায়ক, গ্রামের এক ক্ষয়িষ্ণু তালুকদার পরিবারের সন্তান।জমি-জিরাত তার পিতার নেই তেমন, কিন্তু উত্তরাধিকারসূত্রে অহমিকা রয়ে যায়।সাধারণ মানুষ আগের মত তাকে সম্মান দিতে চায় না,বা দেয় না, কিন্তু তিনি তার অতীত অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে পারেন না। তার আভিজাত্য, কর্তৃত্ব করার মানসিকতা এগুলো এলাকার মানুষের পীড়ার কারণ হয়। তাদের কাছ থেকে আগের মত মর্যাদা না পাওয়ার শোধ তিনি তুলতে থাকেন উন্মাদের মতো তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার মাধ্যমে,ক্রমাগত তিনি হারতে থাকেন, কিন্তু পিছপা হন না।ছফার ভাষায় বললে, “ পুরনো মডেলের গাড়ি যেমন শহরের নতুন রাস্তায় ঠিকমত চলতে পারে না, ঝঞ্ঝাট লাগায়, দুর্ঘটনা বাঁধায়, ধোঁয়া ছড়ায় তেমনি আমার বাবা আমার কালের পৃথিবীতে বসবাসের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি কেবল দুর্ঘটনার জন্ম দিয়ে যাচ্ছিলেন।”
এইসব মোকদ্দমায় তার একান্ত বিশ্বস্ত লোক ছিলেন আবুনসর মোক্তার।কিন্ত মোক্তারের চোখ আবার তার সম্পত্তির দিকে।একসময়ে মোক্তারের কৌশলের কাছে তিনি পরাজিত হন, ধরাশয়ী হন।জমিজমা মোক্তার সাহেবের হস্তগত হয়।
নায়কের পরিবারের এই দুঃসময়ে অকূলের কূল হয়ে আসেন মোক্তার সাহেবই।তিনি প্রস্তাব দেন, তিনি তালুকদারের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন, বাড়ি ভিটে ফিরিয়ে দেবেন, পুরাতন বাড়িটা সংস্কার করে দেবেন। শহরে থাকার ব্যবস্থা হিসেবে একটা বাসা করে দেবেন, ছেলের একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন। এর বিনিময়ে ছেলেকে তার বোবা মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। নায়কের পরিবার যদিও প্রথমে এই প্রস্তাব মেনে নিতে চায় না তবু নায়ক বাধ্য হয়ে বিয়ে করে আবুনসর মোক্তারের বোবা মেয়েকে।
নায়ক শ্বশুরের প্রভাব-প্রতিপত্তির জোরে তার মেয়েকে বিয়ে করে শহরে ওঠে, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাজনক স্থানে চলে যায়।তাদের সাথে শহরে থাকে নায়কের বোন।
একসময় নায়ক তার বোনকে গান শেখানোর ব্যবস্থা করে। কিছুদিনের মধ্যেই তার ভালো উন্নতি হয়। এতে মন ভালো হয়ে যায় নায়কের।সে আরো বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করে তার বোবা স্ত্রীর গানের প্রতি, গানের যন্ত্রটির প্রতি প্রবল আগ্রহ। ননদটি যখন গলায় সুর তোলে সাথে সাথে সেও চেষ্টা করে সুর তুলতে। তার গলা থেকে বের হয় অন্যরকম আওয়াজ। তবু সে লুকিয়ে লুকিয়ে চেষ্টা করে সুরদেবতাকে ধরতে, ধ্যান করে তার। স্ত্রীর এই চেষ্টা নায়কের ভালো লাগে। তার প্রতি ভালোবাসা খুঁজে পায় সে, যা পায় নি বিয়ের পর থেকে একদিনের জন্যও।এরপর থেকে, দিনরাত কখোনো সে চোখের আড়াল করে না স্ত্রীকে। কাছে কাছে থেকে ভাগ করে নেয় যত “বকেয়া” ভালোবাসা।
এদিকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দ্রুত পটপরিবর্তন ঘটতে থাকে। গণ আন্দোলনের জোয়ারে আইয়ুব খানের স্বৈরশাসন কেঁপে ওঠে।আমাদের নায়ক মিছিল, শ্লোগান- বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করতো। মাঝে মাঝে বিরক্তিবোধও করত। কিন্তু মিছিলের ব্যাপারে প্রচণ্ড আগ্রহ তার বোবা স্ত্রীর। মিছিল দেখলেই, শ্লোগান শুনলেই তার স্ত্রী অন্যরকম হয়ে যায়। “শ্লোগানের আওয়াজ শুনলে আমার বউটি বিক্ষুব্ধা বাংলাদেশ হয়ে যায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হতে চায়। আর আমার বোবা স্ত্রী কথা বলতে চায়। উভয়ই তর সইতে চায় না। উভয়েরই দাবীই একরোখা।”
আসাদের মৃত্যুতে চারিদিকে তুলকালাম বেঁধে যায়। চারিদিকে ঘেরাও, জ্বালাও-পোড়াও, অভিযান। একদিন মানুষের মিছিলটাকে খুব ভালোভাবে দেখে নায়ক। মিছিলের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে দেয় তাকে। “সেদিন তাকিয়ে দেখলাম মিছিলেরও দেখবার মতো একটি নয়ন ভুলানো সৌন্দর্য আছে। আছে তাতে গতির দোলা, ছন্দের দ্যোতনা। প্রতিটি মানুষ সমগ্র মিছিলের সঙ্গে সন্নিবিষ্ট হলেও তারা সকলে আলাদা আলাদা মানুষ। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সচেতন সবাক চলিষ্ণু ঝরনা একটি আরেকটির সাথে মিশে রচনা করেছে এই গতিমান স্রোতধারা। লক্ষ প্রাণ ঐক্যের মন্ত্রে একসঙ্গে বাঁধা পড়েছে। এমন লক্ষ লক্ষ ঝরনা প্রবল প্রাণতরঙ্গে একসঙ্গে নেচে নেচে উঠছে। মনে হলো মিছিল ভয়ঙ্কর, আবার মিছিল সুন্দর, মিছিলে ধ্বনিত হয় ভাঙনের ধ্বংস নাদ, মিছিলে জাগে নব সৃষ্টির মহীয়ান সঙ্গীত। ভাষণে কোমলে কেমন আপোষ করেছে। দৃষ্টির কুয়াশা ক্রমশঃ কেটে যাচ্ছিলো। সমস্ত বিষয় যথার্থ পরিপ্রেক্ষিতে দেখতে পাচ্ছিলাম। চোখের উপর থেকে আরেকটা আলগা পর্দা যেন খসে পড়লো। সেদিনের মিছিল দেখে, ঠিক মনে হলো, মিছিলে এলে ভীরুতা, কাপুরুষতা ঠিকই ভুলে থাকা যায়। একেবারে হতোদ্যম ক্ষণজীবী মানূষকেও এই মিছিল সামান্য সময়ের জন্য হলেও মহাজীবনের আস্বাদ পান করাতে পারে।”
একদিন এরকম একটি মিছিল তার বাসার দিকে আসছে। শ্লোগানের শব্দ শুনতেই তার বোবা স্ত্রীর অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। সে দেখতে পায় তার স্ত্রী নিজ কণ্ঠ থেকে আওয়াজ বের করতে চাচ্ছে প্রাণপনে।। একসময় নায়কের মনে হয় তার স্ত্রী “বাংলা” শব্দটি উচ্চারণ করল, তখন তার কণ্ঠ থেকে রক্ত ঝরছে। নায়কের মন ফুরে একটাই প্রশ্ন জাগে- কোন রক্ত বেশি লাল? শহীদ আসাদের না তার বোবা বৌয়ের ?
“ওঙ্কার” এর কোনো চরিত্রই যেনো শুধু একটি ব্যক্তি নয়, বহু কালের বহু মানুষের ভার বহন করার শক্তি দিয়েই ছফা তাদের সৃষ্টি করেছেন। জনগোষ্ঠীর বহুকালের স্বপ্নকে তিনি সংকল্পে ও অঙ্গীকারে উন্নীত করেন একটি বোবা মেয়েকে দিয়ে, কথা বলার অসম্ভব কাজটি রক্তাক্ত উপায়ে সম্পন্ন করিয়ে,যা মূলত জনশক্তির জাগরণেরই প্রতীক।আমার আরেকজন অতি পছন্দের লেখক, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, এই উপন্যাসটি সম্বন্ধে ওনার মন্তব্য দিয়েই আজকের লেখাটা শেষ করবো।তিনি বলছেন, ওঙ্কারে আহমদ ছফা গল্প ফাঁদতে বসেননি, কাহিনীর সূত্র ধরে পাঠককে তিনি টেনে নেন এমন একটি জায়গায়, যেখানে পৌঁছে গল্পটা ভুলে গেলেও কিছু এসে যায় না, কাহিনী গৌণ হয়ে সেখানে প্রবল হয়ে ওঠে অনেক দিনের অনেক মানুষের গ্লানি, জড়তা ও শোষণ এবং গ্লানি থেকে মুক্তির রক্তাক্ত সংকল্প” ।।এরকম উক্তির পর বোধ করি এই ক্ষুদ্রকায় “মহা উপন্যাস”টি নিয়ে বলার কিছু বাদ থাকে না। পাঠককে আশ্বস্ত করতে পারি, সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদ পাবেন এ উপন্যাসটিতে।