শরীফুল হাসান Pdf Download All

শরীফুল হাসান Pdf Download (All)

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছ সবাই আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা শরীফুল হাসান এর সকল বইয়ের ডাউনলোড পিডিএফ দেয়ার চেষ্টা করব।  All Shariful Hasan Books Pdf Download links;

  • সাম্ভালা পিডিএফ
  • ছায়া সময় pdf download
  • রূপকুমারী ও স্বপ্নকুহক pdf
  • অন্ধ জাদুকর শরীফুল হাসান pdf
  • বাতিঘর প্রকাশনী pdf
  • যেখানে রোদেরা ঘুমায় pdf download
  • অদ্ভুতুড়ে বইঘর pdf
  • বিভং pdf
  • আঁধারের যাত্রী শরিফুল হাসান
  • ডার্কলি ড্রিমিং ডেক্সটার – জেফ লিন্ডসে / শরীফুল হাসান Darkly DreamingDexture By Shariful Hasan
ঋভু শরীফুল হাসান pdf links-
or

ডার্কলি ড্রিমিং ডেক্সটার জেফ লিন্ডসে / শরীফুল হাসান pdf link-

or
or
শরিফুল হাসানের বই গুলো কেমন হতে পারে তা জানার জন্য একটি বইয়ের রিভিউ দিচ্ছি: 
বই: সাম্ভালা
লেখক: শরীফুল হাসান
প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০১২
লিমিটেড এডিশন: জুন ২০২১
প্রচ্ছদ: সজল চৌধুরী
প্রকাশক: বাতীঘর প্রকাশনী
সংস্কৃত শাম্ভালা শব্দের বাংলা অর্থ শান্তিময় স্থান। শাম্ভালার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ প্রচলিত আছে। হাজার বছর ধরে চলে আসা এসব মিথ অনুসারে, এটি পৃথিবীতেই লুকোনো কোনো এক কল্পরাজ্য, যেখানে বার্ধক্য নেই, ক্ষুধা নেই, কোনো অভাব নেই, আছে শুধু শান্তি আর আনন্দ।
শাম্ভালাকে আপাতদৃষ্টিতে কল্পরাজ্যই মনে হবে, কেননা ঘুনে ধরা পৃথিবীর বাস্তবতার সাথে ক্ষুধা নেই কিংবা কোনো অভাব, হতাশা, ব্যর্থতা নেই এমন জায়গা মেলানো অসম্ভব তো বটেই, সেই সাথে এসব ব্যাপারকে রূপকথার গল্পের সাথেই কেবল তুলনা করা যায়। তবে এ বিষয়ে যেসব মিথ আছে, সেগুলোকে তলিয়ে দেখলে বেশ কিছু যোগসূত্র পাওয়া যায়, যেগুলোর কারণে শাম্ভালা নামক জায়গাটিকে কেবলমাত্র মিথ নয়, বরং মিথের চেয়ে এককাঠি উপরে জায়গা দেওয়া যেতে পারে।
প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্ম, হিন্দু ধর্মে এমন কোনো জায়গার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে যা কিনা শাম্ভালাকেই নির্দেশ করে। এ বিষয়ে বেশ কিছু মতবাদ প্রচলিত আছে। কোনো মতবাদ অনুসারে শাম্ভালা রাজ্যটি মরুভূমির নিচে অবস্থিত। তবে সবচাইতে বেশি প্রতিষ্ঠিত মতবাদটি অনুসারে, এ রাজ্যের অবস্থান তিব্বতে, বা কোনো কুয়াশাঘেরা অঞ্চলে লুকোনো অবস্থায় আছে, সঠিক সময়ে সে রাজ্য আত্মপ্রকাশ করবে। গুহায় তিব্বতী লামা রা নাকি সুদূর অতীত থেকে এখনো ধ্যানমগ্ন আছেন এই রাজ্যের আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায়। আবার কোনো কোনো মতবাদ বলে, শাম্ভালা বলে আসলে কোনো নির্দিষ্ট জায়গা নেই, প্রকৃতপক্ষে মানুষের মনের ভেতরই শাম্ভালার জন্ম হতে পারে আত্মিক শুদ্ধতার মাধ্যমে। সে যাই হোক, শাম্ভালা আসলেই আছে কি নেই সে বিষয়ে আলোচনা শেষ হবার নয়, এর কোনো প্রমাণ যেমন পাওয়া যায় না, তেমনি এ বিষয়ে ধোঁয়াশাও আছে অনেক বেশি, সেসব নিয়ে কথা না বাড়িয়ে বইয়ের প্রসঙ্গে আসা বেশি যৌক্তিক।
মিথে জায়গাটির নাম শাম্ভালা বা সাংগ্রিলা বলে উল্লেখ আছে, এছাড়াও আরো বিভিন্ন নামেই পরিচিত। তবে আলোচ্য বইটির নামকরণ করা হয়েছে ‘সাম্ভালা’। সাম্ভালা বইটি প্রথম প্রকাশ হয় ২০১২ সালে। এখন চলছে ২০২১ সাল। এতো দেরিতে বইটি পড়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর আসলেই কোনো মানে আছে কিনা আমি জানি না, কেননা অধিকাংশ পাঠক এরইমাঝে বইটি পড়ে ফেলেছেন। তারপরও, অভ্যাসের বশেই প্রতিক্রিয়া লিখতে বসা। অখন্ড সংস্করণ আমার সংগ্রহে ছিলো না, কিনবো কিনবো ভেবেও কেনা হচ্ছিলো না। এরই মাঝে লিমিটেড এডিশন বের হলে বই সংগ্রহে আসলেও পড়তে শুরু করিনি এই ভেবে যে, পড়লে তো পড়া হয়েই গেলো। একটু ধীরেসুস্থে শুরু করি নাহয়! যদিও শুরু করার পর আর ধীরে সুস্থে এগোনো হয়নি, রীতিমতো ঝড়ের গতিতে শেষ করেছি পুরোটা।
প্রথম পর্ব শুরু করার পর প্রথম যেটা মাথায় এসেছে সেটা হলো, ভালো হয়েছে অখন্ড সংস্করণটা কেনা হয়নি, এভাবে আলাদা আলাদা খন্ড হিসেবে বই হাতে নিয়ে পড়তে শান্তি শান্তি লাগছিলো।
শুরুতেই সাম্ভালা মিথের ব্যাপারে খুব সামান্য করে বলেছি। বইটির পটভূমিও মূলত এই মিথের ওপর ভিত্তি করেই রচিত। তবে তিন খন্ডের বইটিতে স্বাভাবিকভাবেই ঘটনার প্রাচুর্য এবং ঘটনার গতিপ্রকৃতির বিভিন্নতার কারণে পাঠক বইয়ের সাথে কখন জড়িয়ে যাবেন তা নিজেও টের পাবেন না, আমার নিজের অন্তত এমনটাই মনে হয়েছে। বইয়ের সময়কাল বিভিন্ন পর্যায়ে বিভক্ত। অতীত এবং বর্তমানের ঘটনা পাশাপাশি এগিয়ে চলেছে। তিন খন্ডের বইটিতে বেশ লম্বা পরিসরে কাহিনির বিস্তৃতি ঘটেছে, প্রত্যেক খন্ডকে স্বতন্ত্র বলা যাবে না, তবে পাঠকের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট ঘটনা সন্নিবেশিত হয়েছে।
নশ্বর পৃথিবীতে পাপ আর পূণ্যের অবস্থান সমান্তরাল, তা যেন রূপকের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে বইতে। কাহিনি অনুযায়ী, এখানে আছেন হাজার বছর বয়সী একজন পরিব্রাজক, যিনি দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে অর্জন করেছেন জ্ঞান। ঘটনা পরিক্রমায় উত্থান ঘটে এই পরিব্রাজকের প্রতিদ্বন্দ্বীর, যে কিনা সম্পূর্ণ বিপরীত ধরণের শক্তিতে বলীয়ান। মূলত এই দুজনের মাধ্যমেই পাপ-পূণ্যের রূপকটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
শরীফুল হাসান  এর এ বইয়ের প্রথম খন্ড অর্থাৎ সূচনা পর্বটি আমার কাছে এক কথায় চমৎকার লেগেছে। গ্রামের একজন রহস্যময় বৃদ্ধের আসল পরিচয়, শক্তিশালী একজন পিশাচ সাধক, বন্ধুর হত্যাকারীর সন্ধানে ছুটে চলা যুবক, সব কিছুই এক সুঁতোয় গাঁথা, আর পাঠককে বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবটাই ছিলো প্রথম পর্বে। এতো সাধারণ ভাবে শুরু হয়ে বইটি এমনভাবে পাঠককে টেনে ধরবে, এটা সত্যিই ভাবিনি।
স্বাভাবিকভাবেই, প্রথম খন্ড এতো ভালো লেগে যাওয়ার কারণে দ্বিতীয় পর্বের প্রতি প্রত্যাশা বেড়ে গিয়েছিলো। এক্ষেত্রে পুরোপুরি না হলেও খানিকটা হতাশ হয়েছি বলা যায়, শেষটাতে এসে বেশ অনেকগুলো ব্যাপারই বাহুল্য মনে হয়েছে। সবটা বলতে গেলে স্পয়লার হয়ে যাবে বলে সেদিকে আর যাচ্ছি না। হয়তো প্লট তৈরীর জন্য এর কিছুটা দরকারও ছিলো, কি জানি!
তবে তৃতীয় খন্ড বেশ ভালো লেগেছে, প্রথম দুই পর্ব প্লট বিন্যাসের পেছনে গেলেও তৃতীয় পর্বে এসে অবশেষে সাম্ভালা খোঁজার যাত্রা শুরু হয়। সব মিলিয়ে পুরো কাহিনিই চমৎকারভাবে শেষ হয়েছে। বইয়ের প্লট ব্যাপকভাবে বিস্তৃত,এই ব্যাপারটা দারুণ ছিলো। আগেই বলেছি, অতীত আর বর্তমানের ঘটনাগুলো সমান্তরালে এগিয়েছে। পাঠক যেমন ঘুরে এসেছেন অতীতের বিভিন্ন রাজদরবার থেকে, বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন, তেমনি বর্তমানের চোখেও পাঠক বইয়ের পাতায় ভ্রমণ করেছেন বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম, বান্দরবন, নেপাল, আর তিব্বতের পাহাড়ে। প্রথম পর্বে পিশাচ সাধকের চরিত্রটা পাঠককে যথেষ্ট আকৃষ্ট করেছে বলে আমার মনে হয়েছে। সাম্ভালার খোঁজ কি আসলেই পেয়েছিলো বইয়ের চরিত্ররা? শেষ পর্যন্ত কোন শক্তির জয় হবে, জ্ঞানী পরিব্রাজক, নাকি শক্তিশালী বিরুদ্ধ শক্তি? সবটা জানতে পাঠককে এগোতে হবে বইয়ের শেষ পাতা পর্যন্ত।
শরীফুল হাসান  এর বইটি পড়তে গিয়ে অনেকবার দ্বিধায় পড়ে গিয়েছি, যে এটা ঠিক কোন জনরার। থ্রিলার নাকি অ্যাডভেঞ্চার, সাথে মিথ,নাকি ফ্যান্টাসি? যা হোক, ফিকশনাল বইয়ের ক্ষেত্রে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে যাই না, এখানে আমার প্রধান চাহিদাই থাকে যাতে সময়টা ভালো যায়, আর এদিক দিয়ে বইটি পুরোপুরি সফল, সব মিলিয়ে সময়টা চমৎকার কেটেছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *