সীতারাম উপন্যাস PDF Download (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর সীতারাম উপন্যাস টি ডাউনলোড করুন | Sitaram by Bankim Chandra PDF
book | সীতারাম |
Author | বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
Publisher | রহমান বুকস |
Edition | 1st, 2014 |
Number of Pages | 91 |
Country | বাংলাদেশ |
ফাইল ফরমেট | পিডিএফ ডাউনলোড |
সীতারাম উপন্যাস সারাংশ:
সাহিত্যসম্রাটের সর্বশেষ উপন্যাস এটি। সাহিত্যের বিভিন্ন ডালে বিচরনকালে তিনি সর্বশেষ হিন্দুধর্মের অনুশীলনবাদ ও ধর্মচর্চার বিষয় বিবেচনা করেই গ্রন্থটি রচনা করেছেন। হিন্দুধর্মের পুনরুত্থান ও অনুশীলনবাদ মুখ্য বিষয় হলেও সাথে আরো কিছু বিষয় প্রস্ফুটিত হয়েছে এ গ্রন্থে। যেমন- রূপসীর রূপ-লালসায় মত্ত হয়ে রাজ্য হারানো, কামনা-বাসনা ও স্ত্রি দায়িত্ত্ব অবহেলা, হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ ও ঔপনিবেশিক শাসনকাল।সম্পূর্ন উপন্যাসটি তিনটি খন্ডে বিভক্ত করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় খন্ডের নামকরণ করা হয়েছে যথাক্রমে- দিবা-গৃহিণী, সন্ধ্যা-জয়ন্তী ও রাত্রি ডাকিনী। নামগুলো উপাখ্যানের সাথে যথার্থই। মূখ্য চরিত্র হিসেবে ঘুরপাক খায়- সীতারাম, শ্রী, চন্দ্রচূড় ঠাকুর, গঙ্গারাম, নন্দা, জয়ন্তী প্রমুখ।সীতারাম হিন্দুধর্মের অন্যতম ঐতিহাসিক চরিত্র, তাই পাঠকের প্রথমেই মনে হতে পারে সেই চরিত্রের সূত্রধরেই হয়ত বইটি রচিত। কিন্তু সে ঐতিহাসিক রস খুব বেশী পায়নি এ গ্রন্থটি। আর উপন্যাসের ক্ষেত্রে যে ইতিহাস খুব বেশী জরুরী নয় তা লেখক নিজের উক্তির মাধ্যমেই উপস্থাপন করে গেছেন- “উপন্যাসলেখক অন্তর্বিষয়ের প্রকটনে যত্নবান হইবেন- ইতিবৃত্তের সাথে সমন্বয় রাখা নিষ্প্রয়োজন”।এখন কাহিনীর সূত্রপাত করা যাক- বিচ্ছেদের অনেকদিন পর স্ত্রী শ্রী কে- অশ্রুপূর্ণ, বর্ষাবাড়ি-নিষিক্ত পদ্মের ন্যায় অনিন্দ্যসুন্দরমুখী তে মুগ্ধ হয়ে সীতারাম বলিলেন-“তুমি শ্রী! এতো সুন্দরী”।
এ পর্বে পত্নীকে দেখে সীতার মনে হয়েছিলো সুন্দরী তরুনী শ্রীর রূপমাধুর্য্য যেন সীতের জীবনে আবার ‘দিবা’ হয়ে এসেছে এবং তাকে গৃহিণী হিসেবে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা সীতাকে বস করেছে।
শ্রীর নিক্ষিপ্ত তীরটা প্রথম আঘাত করলো এখানেই। এখানেই শ্রীর ভাইকে বাঁচাতে হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রথ উপাখ্যানের। বলা বাহুল্য- ঔপনিবেশিক শাসনামলের হওয়ায় সাম্রাজ্য ও ক্ষমতা কুক্ষিগত ছিলো মুসলিম নবাব ও বাদশাহ দের হাতে।দ্বিতীয় খন্ডের নাম- সন্ধ্যা-জয়ন্তী। এ খন্ডে জয়ন্তী নামের এক সন্যাসিনীর সাথে সাক্ষাৎ হয় শ্রীর এবং শ্রী ও সন্যাস ধর্ম গ্রহণে প্রভাবিত হয়। এ পর্বেই শ্রীর শারীরিক আকর্ষণে সীতারাম উন্মাদ বনে যায় এবং শ্রী কে উদ্দেশ্য করে বলে- “যা হয় হোক। আমি ভাবিয়া দেখিয়াছি, হয় তোমায় ছাড়িতে হইবে নয় রাজ্য ছাড়িতে হইবে। আমি রাজ্য ছাড়িব, তোমায় ছাড়িব না”।এভাবেই শ্রী এবং সীতার জীবনে যেন সন্ধ্যা নেমে আসে আর তিমির অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যায় সীতারাম।সর্বশেষ রাত্রি-ডাকিনীতে সেই সীতার উক্তিই পূর্ণতা পেলো। শ্রীর রূপ-লাবন্যে, কামনা-বাসনায়, অতৃপ্ত আসঙ্গলিপ্সার মোহে সীতার রাজ্য ধ্বংস হইলো। এ খন্ডেই ডাকিনী শ্রীর আসক্তে সীতার জীবনে অন্ধকার নেমে এলো। যে শ্রী দিবাকাল হয়ে সীতার জীবনে আগমিত হয়েছিলো সেই ডাকিনীই অন্তিমে সীতার দূর্ভাগ্যের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বইঃ সীতারাম [ Download PDF ]