Books
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ Pdf Download (All)- Syed Waliullah PDF Download
এখানে আজকে সকল উপন্যাস, গল্প, নাটক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ pdf download link নিয়ে এসেছি –
All Books Syed Waliullah PDF Download –
গল্প সমগ্র সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ PDF Download link –
চাঁদের অমাবস্যা সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ pdf link –
লালসালু সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ PDf link –
View Full Book, Link 2, Link 3
কাঁদো নদী কাঁদো সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ PDF Download
View or Read This Full Book, Link 2, Link 3
উজানে মৃত্যু সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ PDF Download
বই:প্রেম মেলে না
প্রেম।। এ যেনো এক অদ্ভুত এক রহস্যের নাম।কারন পৃথিবীর সেই আদি থেকেই মানুষ খুঁজতে চেয়েছে প্রেমকে, বুঝতে চেয়েছে ভালোবাসা কি!
প্রেম করে মানুষ যেমন সুখী হতে চেয়েছে আবার সুখী হবার জন্যও কেও কেও জীবনে করতে চেয়েছে প্রেম।
দিন শেষে কেও হয়তো দেখা পেয়েছে প্রেম নামক সোনার হরিণটির আবার কারো কাছে হয়তো অধরাই রয়ে গেছে প্রেমের স্বপ্নগুলো।
এমনকি জীবনে কখনো প্রেমে না জড়ানো মানুষটিও হয়তো একসময় চাতকের মতন ডানা ঝাপটে একটি দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে শেষ পর্যন্ত বর কিংবা কনের সাজে রঙিন হয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বাধ্য হয়েছে।
প্রেম যেনো এদের সবার কাছে অনেকটা দিল্লি কা লাড্ডুর মতন ব্যাপার। খেলেও পস্তাতে হয় আবার না খেলেও পস্তাতে হয়।
আসলে এতক্ষণ ধরে বলছি স্বনামধন্য বাস্তবমুখী লেখক শামা কবিরের রোমান্টিক উপন্যাস “প্রেম মেলে না”র কথা!
প্রেম মেলে না নামটা দেখেই বইটার প্রতি কিছুটা কৌতুহল জাগে।লেখক কেনো ই বা প্রেম মেলাতে চাইছেন আর কেনো ই বা প্রেম মেলাতে পারছেন না নানান প্রশ্ন এই পাঠকমনে নাড়া দিয়ে যাচ্ছিল।
সেই কৌতুহলকে যেনো আরেকটি বাড়িয়ে দিল বইটির চমৎকার প্রচ্ছদ ও সুগভীর তথ্যবহুল ফ্ল্যাপটি।
বলা হয়ে থাকে বেদনার রং নাকি নীল আর তারুণ্যের রং সবুজ!প্রচ্ছদের সেই খোলা নীল আকাশের নিচে সবুজ খোলা মাঠে দাঁড়ানো একাকী এক তরুণীর একাকীত্ব যে কোনো ভাবুক পাঠককে আকৃষ্ট করবে।
তবে এ ও বলা হয়ে থাকে যে, ডোন্ট জাজ এ বুক বাই ইটস কভার।এ ক্ষেত্রে অবশ্য বাংলায় ও বিপরীত একটা কথা প্রচলিত আছে প্রথমে দর্শনধারী তারপর গুণবিচারী!
তাই ভাবলাম বইটিকে আরেকটু গভীর থেকে দেখে নেওয়া প্রয়োজন।বই এর ফ্ল্যাপটি পড়তেই বই সম্পর্কে কৌতুহল আর ধরে রাখা সম্ভব হলো না।একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে একদল শিক্ষার্থীর চাওয়া না চাওয়া, পাওয়া না পাওয়ার গল্প আমাকে যেনো হাতছানি দিয়ে ডেকে যাচ্ছিল।
মূল গল্পটা এমন যে, নব্বই দশকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কয়েকজন তরুণ – তরুণীর চাওয়া,না – চাওয়া,পাওয়া ,না – পাওয়া ,প্রেম – অপ্রেম,বিরহ – মিলন,আনন্দ, দুঃখ নিয়ে আবর্তিত হয় উপন্যাসের কাহিনী।
কিন্তু তারা আসলে নিজেরাও জানে যে তারা আসলে কি চায়।
এদের কারো কাছে প্রেম ই সব,আবার কারো কাছে প্রেম নয় বরং বন্ধু হয়ে থাকাটাই আসল, কারো কাছে স্বাধীনতাটাই বড়ো প্রেমে আবদ্ধ থাকাটা নয়।কিন্তু এই সব কিছু ছাপিয়ে হয়তো সবাইকে মেনে নিতে হয় বাস্তবতা।অর্থ সম্পদ টা কারো কাছে প্রেমের চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায় আবার কারো কাছে পারিবারিক মিলমিশ ও সুখটাই আসল।
গল্পটি শায়না,সীমান্ত,তৌহিদ,নিলয়,অয়ন,
ইমরান, নাজিয়া, লীনাসহ আরো অনেকের।তবে আলাদা আলাদা করে এক একজন সম্পর্কে বলত চাই না। এক এক জনের চিন্তা ভাবনা , চাওয়া পাওয়া,পরিণতি এক এক রকম।তাই আমি চাই পাঠক বইটি পড়ে সেই মেলা না মেলার গল্পটি আবিষ্কার করুক।
এদের এই গল্পটি পড়তে গিয়ে তরুণ পাঠক ও হয়তোবা আনমনেই নিজেকে কোনো এক চরিত্রের মাঝে আবিষ্কার করে ফেলতে পারেন!আর প্রবীণ পাঠকরাও হয়তো পারেন ফিরে যেতে পুরনো সেই দিনের কথামালায়!আর এটাই একটা রোমান্টিক উপন্যাসের স্বার্থকতা।এখানে কোনো কাল্পনিকতা, অতিপ্রাকৃত কিছু থাকবে না বরং ব্যাক্তি ও সমাজ চেতনা প্রাধান্য পাবে।এর ঘটনা গুলো হবে বাস্তবমুখী এবং জীবনঘনিষ্ঠ। উপন্যাসটির কাহিনী , ঘটনা, বর্ণনা, চরিত্র,রস,সংলাপ,সহজ সরল প্রাঞ্জলতা মুগ্ধ করবে যেকোনো পাঠককে।এবং এদিক থেকে আমি বলবো লেখক শামা কবির একটি সফল উপন্যাস রচনায় অসাধারণ কৌশল ও দক্ষতার পরিচয় প্রদান করেছেন।
নেতিবাচকতা: ঠিক নেতিবাচকতা বলবো না।তবে একজন পাঠক হিসেবে আমার কিছু সীমাবদ্ধতা ও মনের কোণে পড়ে থাকা কিছু প্রশ্নের কথা বলে যাবো।
উপন্যাসটিতে শায়লা,সাগর,ইমরান,
অয়ন,সীমান্ত,নাজিয়া,সৌরভ,লীনা,তৌহিদ,
রিয়াদ,লাবনী,মিমি, শফিক,তনুজা,
চৈতি,লিটন,সুমনা, নিলয়,
শিউলি,আরমান,পলিন,এহসান,রাসেল,
শৈবাল,শান্ত,সুজন,রিজভী,জামিল, আমেনা বেগম,রুবি বেগম সহ আরো কয়েকটি চরিত্র নানান সময়ে সামনে এসেছে।চরিত্র গুলা অনেক সময় দ্রুত মুভ করেছে।ফলে আমার মতন ভুলোমনা পাঠক এক জনের সাথে অন্য জনকে গুলিয়ে ফেলছিলাম বারবার।তাই উপন্যাসটি আমি দুইবার পড়েছি।পাঠকদেরকে ও অনুরোধ থাকবে উপন্যাসটি দুইবার পড়ার জন্য এতে করে প্রথমবার কোনো কনফিউশন থাকলে দ্বিতীয়বার তা পুরোপুরি পরিস্কার হয়ে যাবে।
গল্পটিতে নব্বই দশকের বা সে সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর রাজনৈতিক পরিস্থিতির বর্ণনা পাওয়া যায় নি কিন্তু রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে খুব বড়ো একটা প্রভাব রাখে আমরা তা সবাই জানি। নব্বই দশকের রাজনৈতিক আবহ,আন্দোলন,শিক্ষার্থীদের অবস্থা,দেশভাবনা, ব্যাপারগুলো খুব মিস করেছি।
তাছাড়া চরিত্র গুলার বিশেষ কোনো দোষ বা গুন সেভাবে ফুটে উঠে নি। যাই হোক
পাঠক হিসেবে হয়তো কিছু আক্ষেপ ব্যাক্তিগতভাবে একজনের থাকতেই পারে কিন্তু একজন লেখক অবশ্যই বিশেষ চিন্তা করেই সবকিছুকে সাজিয়েছেন।
পরিশেষে এমন চমৎকার একটি উপন্যাসের জন্য লেখক,প্রকাশক,শিল্পী,কুশলী সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সকলের পরিশ্রম সফল হোক যেনো আরো চমৎকার চমৎকার বই তাঁরা পাঠকদেরকে উপহার দিতে পারেন। সাথে প্রিয়মুখ – রকমারির জন্য শুভকামনা।
শুভ হোক সকলের পথচলা ।
সর্বোপরি ধন্যবাদ সবাইকে।