আল মাহমুদ Pdf All – Al Mahmud Poems & Books Pdf
বন্ধুরা, আজকে আমরা আল মাহমুদ এর সকল বইয়ের ডাউনলোড লিঙ্ক নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। al mahmud kobita pdf download all Poems & Books
আল মাহমুদ সোনালি কাবিন Pdf – Sonali Kabin Pdf By Al Mahmud
যে পারো ভুলিয়ে দাও – আল মাহমুদ – je paro vuliye dao By Al Mahmood
কবি ও কোলাহল pdf আল মাহমুদ – Kobi o Kolahol pdf By Al Mahmud
আলোক পুলক শিহরণ – আল মাহমুদ Alok Pulok Shiharon pdf by Al Mahmud
পোড়ামাটির জোড়া হাঁস – আল মাহমুদ Pora Matir Jora Hash by Al Mahmud
- পানকৌড়ির রক্ত আল মাহমুদ pdf
- সোনালী কাবিন আল মাহমুদ pdf
- আল মাহমুদ কবিতাসমগ্র
- আল মাহমুদের কবিতা সোনালি কাবিন
- সোনালি কাবিন pdf
- আগুনের মেয়ে উপন্যাস
- কাবিলের বোন pdf download
- বিচূর্ণ আয়নায় কবির মুখ pdf
কবি আল মাহমুদের দ্বীনে ফেরা
এক সময় নাস্তিকতার আদর্শ লালনকারী কবি আল মাহমুদ হঠাৎ করে কিভাবে ইসলামপন্থী হয়ে গেলেন? বিস্ময় জাগানিয়া এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে একটি ইতিহাস। চলুন শুরু থেকে শুরু করি ,
১৯৩৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে আল মাহমুদের জন্ম। লেখালেখি শুরু করেন ৫০’র দশকে। কবি হিসেবে জনপ্রিয়তা পেতে তাঁর খুব একটা সময় লাগেনি।’সোনালী কাবিন’ শব্দ দুটো উচ্চারণ করলেই যার নাম সামনে আসে, তিনি হচ্ছেন কবি আল মাহমুদ। গত ৫০ বছর ধরে বাংলা কবিতার জগতে আলোড়ন তুলেছেন এই কবি।
‘সোনালী কাবিন’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে সাহিত্যানুরাগীদের মনে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান এই কবি।
কবিতা, গল্প এবং উপন্যাস – সব শাখাতেই তাঁর বিচরণ থাকলেও, আল মাহমুদ কবি হিসেবেই ব্যাপক পরিচিত।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘লোক লোকান্তর’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৩ সালে। কিন্তু কাব্যগ্রন্থ ‘সোনালী কাবিন’ আল মাহমুদকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে যায়।
আল মাহমুদের কবিতা বাংলাদেশের অনেক কবিকে প্রভাবিত করেছিল।
আল মাহমুদের কবিতার বিষয়বস্তুতে প্রথম দিকে গ্রামের জীবন, বামপন্থী চিন্তা-ধারা এবং নারী মুখ্য হয়ে উঠলেও পরবর্তীতে ইসলামী ভাবধারাও প্রবল হয়ে উঠে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগে এবং পরে – এ সময়ের মাঝে তাঁর মতাদর্শে ব্যাপক পরিবর্তন হয়। আল মাহমুদের কবিতায় মুক্তিযুদ্ধের আগে বাম ধারা দেখা গেলেও ১৯৭৪ সালের পর থেকে তাঁর কবিতায় ইসলামী ভাবধারাও লক্ষ্য করা যায়।
কবির নিজের ভাষায়-
আমি এক বছর বিনা বিচারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকার সময় একখানা পবিত্র কুরআন আমার স্ত্রী আমাকে জেলখানায় দিয়ে এলে আমি তা অর্থসহ আদ্যোপ্রান্ত পাঠ করা শুরু করি। আর প্রথম পাঠেই আমার শরীর কেঁপে ওঠে। এর আগে কোনো গ্রন্থ পাঠে আমার মধ্যে এমন ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়নি। যেন এক অলৌকিক নির্দেশে আমার মস্তক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
মূলত এরপরই কবি মার্ক্সবাদী দর্শন ত্যাগ করে ইসলামী জীবনদর্শনে উদ্বুদ্ধ হন কবি। ইতিহাসে বামপন্থা থেকে ডানপন্থায় কনভার্টেড হওয়ার দৃষ্টান্ত খুব বেশি নেই। সেই হিসেবে কবির এই প্রত্যাবর্তন অনেকটা অপ্রত্যাশিত এবং অকল্পনীয়ই বটে। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে যে বামপন্থী চিন্তাচেতনা তিনি আকড়ে ধরে ছিলেন সেটা ত্যাগ করে হয়ে হয়ে গেলেন পুরোদস্তুর ডানপন্থী! তবে তার এই পরিবর্তন দেশের সেক্যুলার সমাজ স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিতে পারেনি। তারা আল মাহমুদকে বর্জন করতে লাগল। আর বামপন্থীদের বিরাদভাজন হয়ে কোন কবি-সাহিত্যিকই টিকে থাকতে পারেন না। অধিকাংশ সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেল বামপন্থী ভাবাদর্শে বিশ্বাসী হওয়ার কারনে মিডিয়াতে কবিকে দীর্ঘদিন ধরে ব্ল্যাকলিস্টেড করে রাখা হয়েছে। নতুন প্রজন্ম যাতে তার সম্পর্কে জানতে না পারে সেজন্য পাঠ্যবই থেকেও তার কবিতা অপসারন করা হয়েছে।
আবার আরও একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন ,
আল মাহমুদ : দাড়ি রাখলে আর ধর্মভীরু হলেই যদি মৌলবাদী হয়, তবে অবশ্যই আমি মৌলবাদী। কিন্তু জামায়াত-শিবিরের সভায় যাই বলে আমাকে যদি মৌলবাদী বলা হয়, তাহলে অবশ্যই অন্যায় হবে।
এখানে একটা কথা না বললেই নয়, বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে আল মাহমুদ ছিলেন সাম্যবাদী বামপন্থী দলের সমর্থক। ১৯৭৪ সালে জাসদ সমর্থিত ‘দৈনিক গণকণ্ঠ’-এর সম্পাদক থাকা অবস্থায় রক্ষীবাহিনী এবং বঙ্গবন্ধু সরকারের সমালোচনা করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কারাগার জীবনটা তার জন্য শাপে বর হয়ে দেখা দেয়। ঐ সময়ই তিনি ডানপন্থী হিসেবে কনভার্টেড হয়ে যান।প্রথমদিকে সেক্যুলার হওয়ার কারনেই হয়তো অধিকাংশ সাহিত্য অশ্লীলতা দোষে দুষ্ট। পরবর্তীতে ডানপন্থায় কনভার্টেড হওয়ার পরও তিনি সেই অভ্যাসটা পুরোপুরি ত্যাগ করতে পারেননি। একটা সময় এগুলো লিখেই তিনি বামপন্থীদের কাছে প্রচন্ড জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। কিন্তু এখন তাকে নিয়ে কোন মাতামাতি নেই।
‘সোনালি কাবিন’ খ্যাত এ কবি ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
বাংলা সাহিত্যে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা কবি হওয়া সত্ত্বেও কেবলমাত্র বামপন্থা থেকে ইসলামপন্থী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার কারনে আজ তাকে বাতিলের খাতায় ছুড়ে ফেলা হয়েছে।
credit:
Masum Billah Arafat