ইসলামিক বই Pdf Download (All)
আউলিয়া কেরামের হাজার ঘটনা pdf download
বইয়ের নাম: আউলিয়া কেরামের হাজার ঘটনা pdf download(Auliya Karam ghotona PDF)
এক নজরে আল্লামা সৈয়দ তৈয়্যব শাহ (রহ.)
১৩৩৬—১৪১৩ হিজরী ।
১৯১৬—১৯৯৩ ইংরেজী ।
“হায়াতে তৈয়্যবা”— ৭৭ বৎসর।
# নামঃ হযরত সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ রাহমাতুল্লাহি তা’আলা আলাইহি।
# পিতা: হযরত সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি। রাহমাতুল্লাহি তা’আলা আলাইহি ।
# মাতাঃ হযরত সৈয়দা খাতুন (রাহঃ)
প্রকাশঃ মায়ী সাহেবা ।
# জন্মস্থানঃ দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া । সিরিকোট শরীফ, হাজারা জেলা,পাকিস্তান ।
# জন্মসালঃ ১৯১৬ সাল ।
মোতাবেক ১৩৩৬ হিজরী ।
# হযরত রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এঁর ৪০ তম বংশধর।
# পূর্বপুরুষঃ >সিরিকোট শরীফ > আফগানিস্তান > বাগদাদ শরীফ মদিনা শরীফ > মক্কা শরীফ।
# শাহান শাহে সিরিকোটের প্রতি হযরত চৌহরভী’র ঘোষণা “ইয়ে পাক চীজ তুমনে লে লো” হলেন তিনি ।
# শিশু বয়সে দুধ পান না করার যে নির্দেশ হযরত চৌহরভী দিয়েছেন, তা পালন করেন ।
# স্বীয় পিতার ন্যায় মাত্র চার বছর বয়সে। নামাজে আল্লাহ কে দেখতে চান ।
# ১৯২৪ সালে মাত্র আট বছর বয়সে তাঁর পিতার সাথে আজমীর শরীফ জিয়ারতে গেলে সেখানে হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজের সাথে সরাসরি মোলাকাত ও কথোপকথন হয়।
# ১৯২৭ সালে মাত্র ১১ (মতান্তরে ৮) বছর বয়সে হেফজ শেষ করেন ।
# প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় হরিপুর দারুল উলুম ইসলামুয়া রহমানিয়া মাদরাসা থেকে ।
# উল্লেখ যোগ্য শিক্ষক মহোদয়, হাফেজ আল্লামা আবদুর রহমান (রহ.) হাফেজ মাওলানা আবদুল হামিদ (রহ.)
# ১৯৪৩ সালে তিনি শিক্ষার সর্বশেষ সনদ অর্জন করেন ।
# সহধর্মিণী হলেন, হযরত সৈয়দা সাঈদা বেগম ।
# দুই পুত্র সন্তান, এক কন্যা । তাঁরা হলেন, হযরত সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ.) হযরত সৈয়দ মুহাম্মদ সাবের শাহ (ম.জি.আ.) হযরত সৈয়দা খদিজা বেগম ।
# তাঁর পীর সাহেব কেবলা হলেন, হযরত সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহ.)।
# তিনি ছিলেন, সুন্নি, কাদেরী, হানাফি
# ১৯৪২ সালে সর্বপ্রথম চট্টগ্রাম আগমন ।
# ১৯৫৬ সালে তাঁর আম্মাজানকে সাথে নিয়ে হজ্ব পালন করেন ।
# ১৯৫৮ সালে ৪২ বছর বয়সে স্বীয় পীর মুর্শিদ আব্বাজান তাঁকে “সিলসিলায়ে আলিয়া কাদেরিয়া”-র প্রধান খলিফা মনোনীত করেন ।
# ১৯৬১ সালে ১শাওয়াল ১৩৮০ হিজরীতে প্রথম বারের মতো স্বীয় পিতার উপস্থিতিতে ঈদের নামাজের ইমামের দায়িত্ব পালন করেন
# ১৯৬১ সালে পীর হিসেবে প্রথম চট্টগ্রাম আগমন ।
# ১৯৬১-১৯৭০ সাল পর্যন্ত নিয়মিত চট্টগ্রাম আগমন।
# ১৯৬৮ সালে ঢাকার মুহাম্মদপুরে “কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদরাসা” প্রতিষ্ঠা করেন ।
# ১৯৭৪ সালে দরবারে সিরিকোট শরীফ থেকে চট্টগ্রাম আনঞ্জুমানকে নির্দেশ দেন “পবিত্র জশনে জুলুছ” আয়োজন করতে ।
# ১৯৭৬—১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক চট্টগ্রাম আগমন ।
# ১৯৭৬ সালে প্রথম আসেন, স্বাধীন বাংলাদেশে ।
# ১৯৭৪ সালে প্রবর্তন করেন “১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ।
# ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন,
“ইসলামিয়া তৈয়্যবিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা” হালিশহর, চট্টগ্রাম ।
# ১৯৭৫। সালে প্রতিষ্ঠা করেন,
“মাদরাসায়ে-এ তৈয়্যবিয়া হাফেজিয়া”
কালুরঘাট, চট্টগ্রাম ।
# ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন,
“মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া করাচী”
আওরঙ্গী টাউন, পাকিস্তান ।
# ১৯৭৬ সালে চন্দ্রঘোনা “তৈয়্যবিয়া অদুদিয়া সুন্নিয়া ফাজিল মাদরাসা” প্রতিষ্ঠা ।
# ১৯৭৬ সালে খেলাফত দান করেন,
তাঁর দুই সাহেবজাদাকে ।
# ১৯৭৬ সালে তিনি নিজে প্রথম
জশনে জুলুছের নেতৃত্ব দান ।
# ১৯৭৮ সালে অাহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মুখপত্র “তরজুমান-এ অাহলে সুন্নাত” প্রতিষ্ঠা ।
# ১৯৭৯ সালে পুত্র হযরত সাবের শাহকে নিয়ে হজ্ব পালন করেন ।
# ১৯৭৯ সালে বাগদাদ শরীফ জিয়ারতে যান ২২ জনের একটি কাফেলার রাহবার হয়ে ।
#১৯৭৯ সালে জিয়ারতের সময় রাত ১২টা গাউসে পাক থেকে নির্দেশ পাই
“আলমগীর খানকা” প্রতিষ্ঠার ।
# ১৯৮২ সালে ৫০০০ কপি প্রকাশ করেন,”মাজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রাসুল” সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ।
# ১৯৮২ সালের ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম “মুসলিম ইন্সটিটিউট হল”-এ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সেনা কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, “ইয়ে হামারী ঈমানী ফৌজ হ্যায় । ইয়ে আউলিয়ায়ে কেরাম কী ফৌজ হ্যায়” ।
# ১৯৮৫ সালে বার্মা সফর করেন । সে সময়ে ঐখানকার অসংখ্য লোক তাঁর হাতে বায়াত গ্রহণ করে ধন্য হন।
# ১৯৮৫ সালে বার্মার অধিবাসী ইসমাইল মুহাম্মদ দাউদজী বাগিয়া সাহেবকে খেলাফত প্রদান করেন ।
# বার্মার রেঙ্গুনে প্রতিষ্ঠা করেন,
“মাদরাসা-এ আহলে সুন্নাত”
# ১৯৮৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে সর্বশেষ
পবিত্র জশনে জুলুছ ।
# ১৯৮৬ সালে এই দেশে সর্বশেষ সফর ।
# ১৯৮৬ প্রতিষ্ঠা করেন,
“গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ”।
# পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠা করেন,
“মজলিশ-এ গাউসিয়া সিরিকোটিয়া”
# ১৯৮৬ প্রতিষ্ঠা করেন, “আনওয়ারে মোস্তফা” যা উর্দু ভাষায় মজলিশে গাউসিয়া সিরিকোটিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ।
# ১৯৮৬—১৯৯৩ সাল পর্যন্ত চিঠিপত্রের মারফতে সিরিকোট শরীফ থেকে দেশ বিদেশের সকল অনুগামীদের সাথে যোগাযোগ রেখে সুন্নিয়তের কাজের গতি অব্যাহত রাখেন ।
# ১৯৮৮ সালে সকল সুন্নি ওলামা মাশায়েখকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য জামেয়ার ময়দানে “ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন আয়োজন করেন ।
# ১৯৯৩ সালের ৭ জুন মোতাবেক
১৪১৩ হিজরী ১৫ জিলহজ্ব রোজ
সোমবার রাত ৯টায় ওফাত হন ।
# পর দিন অর্থাৎ ১৯৯৩ সালের ৮ জুন তাঁকে তাঁর পিতার শাহান শাহে সিরিকোটের মাজার শরীফের একই গম্বুজের নিচে দরবারে সিরিকোট শরীফে দাফন করা হয় ।
# প্রতি বছর ১৫ জিলহজ্ব দরবারে সিরিকোট শরীফ, চট্টগ্রাম জামেয়া ময়দান এবং ঢাকা সহ দেশে বিদেশে অগণিত জায়গায় তাঁর ওরস মোবারক পালন করা হয় ।
# তাঁর ফয়েজাতের নহর যেন সর্বদা আমাদের জীবনে প্রবাহমান থাকে,
মহান আল্লাহর কাছে সে প্রার্থনা ।
হে আল্লাহ ! পিয়ারা নবীর (দঃ) সদকায় কবুল করুন—। আমিন।।
(সূত্রঃ আনজুমান ট্রাষ্ট)