Beg Bastard Series 5 Book Pdf Download- বেগ বাস্টার্ড সিরিজ Pdf
আজকের দারুণ এ পোস্টে পাবে মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর বেগ বাস্টার্ড সিরিজ pdf download | Beg Bastard Series Pdf Download by MOHAMMAD NAZIM UDDIN: নেমেসিস, কন্ট্রাক্ট, নেক্সাস, কনফেশন, করাচি হচ্ছে বেগ বাস্টার্ড সিরিজের ৫টি বই।
বেগ বাস্টার্ড সিরিজ pdf download করুন | All Beg Bastard Series Pdf ডাউনলোড
নিচে এই বইগুলো পাবেনঃ-
- ১। নেমেসিস মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন pdf download
- ২। কন্ট্রাক্ট মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন pdf download
- ৩। নেক্সাস pdf download লিংক – Nexus by nazim uddin pdf
- ৪। করাচি PDF Download লিংক – Karachi by Nazim Uddin PDF
- ৫। কনফেশন pdf download- Confession by nazimuddin pdf
করাচি বই রিভিউঃ মুখবন্ধ গোঙানীটা যে এতো তীব্র হবে সে জানতো না। এখন মনে হচ্ছে ওটাকেগাড়ির বুটে রাখলেই ভালো হতো । এটা যে মাথায় আসে নি তা নয়-সত্যিবলতে প্রথমে তাই ভেবেছিলো, পরে বাতিল করে দিয়েছে । এর কারণক্লায়েন্টের অদ্ভুত একটি শর্ত-ওটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে ।কেনজানি তার মনে হয়েছিলো বুটের এঁ ছোট্ট পরিসরে দীর্ঘক্ষণ রেখেদিলে ওটা মরে ভূত হয়ে থাকবে । এখন অবশ্য তা মনে হচ্ছে না। আসলেমানুষ এতো সহজে মরে না। কঠিন অবস্থায়ও টিকে থাকার বিস্ময়কর ক্ষমতারয়েছে তার । আর অমানুষদের সেই ক্ষমতা থাকে আরো বেশি!রাতের এ সময়ে রাস্তাটা একদম ফাঁকা ।
যতোদূর চোখ যাচ্ছে কোনোযানবাহন দেখা যাচ্ছে না । ডানহাতে স্টিয়ারিংটা ধরে পেছন ফিরলো । সিটেরনীচে হাত-পা-মুখ বাধা এক হারামজাদা হাঁসফাঁস করছে। বন্দীর প্যান্টেরজিপারের দিকে নজর গেলো, তারপরই হলো চোখাচোখি । তাকে দেখেইবরফের মতো জমে গিয়ে বিস্কারিত “চোখে চেয়ে রইলো প্রাণীটি ।বামহাতের তর্জনী ঠোঁটের কাছে এরনৈ চুপ থাকার ইঙ্গিত করলো সে । কিছুএকটা বলতে গিয়েও বললো না । ফিরে তাকালো রাস্তার দিকে । তার ঠোঁটেআবারো ফুটে উঠলো বাঁকাহাসি |
পেছনের সিটে যে আছে সে চুপ মেরে গেছেবলে হাসছে না, ভয়ে প্রত্রাব করে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলেছে ওটা!ভয়ঙ্কর খারাপ লোকদেরকে ভয়ে-আতঙ্কে মরে যেতে দেখলে তার মধ্যেএক ধরণের ভালো লাগার অনুভূতি তৈরি হয় । ওদের চোখ দেখে তার মধ্যেকখনও মায়া জেগে ওঠে না, বরং নিজের ভেতরে আটকে রাখা হিংস্রতা যেনোবন্ধনমুক্ত হয়ে পড়ে । ফলে তার জন্যে বাকি কাজটা করা আরও সহজ হয়েযায় । তবে আজকে এসবের কোনো দরকার হবে না । তার কাজ বলতে গেলেশেষ!সামনে, মহাসড়ক থেকে ডানদিকে চলে গেছে একটি ইট বিছানো রাস্তা,সেই রাস্তা ধরে এগিয়ে চললো সে । বিশাল বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল গেটটার সামনেআসতেই গাড়িটা থামিয়ে দিলো । হর্ন বাজাবে কিনা বুঝতে পারলো না।
গাড়ির হেডলাইটের আলোয় স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে বন্ধ গেটের আশেপাশে কেউনেই । একটু অপেক্ষা করলো । কারোর টিকিটাও দেখা যাচ্ছে না । বাধ্য হয়েইপর পর দু-বার হর্ন বাজালো সে । তারপর আবারো অপেক্ষা । দ্বিতীয়বার যখনহর্ন বাজাতে যাবে দেখতে পেলো গেটটা ঘরঘর শব্দ করে বেশ আস্তে আস্তেখুলে যাচ্ছে । হেডলাইটের আলোয় বলিষ্ঠ দেহের কালোমতো দারোয়ানকেদেখতে পেলো । হাত নেড়ে ভেতরে আসতে বলছে তাকে ।গাড়িটা নিয়ে এগিয়ে যেতেই পেছন থেকে আবার গোঙানি শুরু হলোকিন্তু এটা আমলেই নিলো না । পারলে ওটা ইচ্ছেমতো চিৎকার করুক, এখনআর সমস্যা নেই ।গেট দিয়ে ঢুকতেই দেখতে পেলো প্যান্ট-শার্ট আর মাথায় টুপি দেয়ামাঝবয়সী এক লোক দাঁড়িয়ে আছে । তাকে সামনের ডানদিকে চলে যাবারজন্য ইশারা করলো সে।ভদ্রলোক বললো ।ফ্যান্টরির ভেতরটা বেশ আলোকিত-॥ হেডলাইট বন্ধ করে দিলো সে।
ডানদিকে মোড় নিতেই উঁচু ছাদের ,গঁড়াউনের বিশাল চত্বরে ঢুকে পড়লো ।চারপাশে বড় বড় সাইজের অসংখ্য-বাক ভ্তপ করে রাখা । মাঝখানে বেশফাঁকা একটি জায়গা । সুট-টাই পরা এক জদ্বলোক মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছেসেখানে ।ক্লায়েন্ট ।আধা-কাঁচাপাকা চুল আর চাপদাড়ি ৷ চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা | রাতেরএ সময়েও ঝকঝকে পরিপাটী সুট-টাই পরে আছেন । তিনদিন আগে যখনতার সাথে দেখা হয়েছিলো তখনও এই পোশাকেই ছিলেন ভদ্রলোক |ক্লায়েন্টের খুব কাছেই গাড়িটা থামালো সে । ভদ্রলোকের চোখমুখ একদমনির্বিকার, তাতে কোনো অভিব্যক্তি থাকলেও সেটা সফলতার সাথেই পুরোপুরিআড়াল করতে পারছেন তিনি ।কারোর পায়ের শব্দ শুনে বাস্টার্ড পেছন ফিরে তাকালো । গেটের ভেতরেযে লোকটাকে দেখেছে সে হস্তদত্ত হয়ে ছুটে আসছে তাদের দিকে ।“আপনার আর লোকজন কোথায়?” জানতে চাইলো বাস্টার্ড ।ভুরু কুচকে তাকালেন ক্লায়েন্ট । “লোকজনের কি দরকার?” বেশ গণ্ভীরকণ্ঠেই প্রশ্নটা করলেন তিনি মুচকি হেসে কাধ তুললো সে।“স্যার…” হাফাতে হাফাতে ছুটে এসে টুপি পরা ভদ্রলোক বললো ।“ওটা কোথায়?”“পেছনের সিটে ।”দিকে ছুটে গেলো সে।
পেছনের দরজা খুলে একটু থমকে গেলো, যেনোকাচুমাডু খেলো একটু । ফিরে তাকালো মনিবের দিকে ।“স্যার, আরেকজনকে ডাকি?”“না ।” সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন ক্লায়েন্ট ।জদ্রলোক আর কোনো কথা না বলে উপুড় হয়ে সিটের নীচ থেকে ওটাকেটেনে-হিচড়ে নামাতে লাগলো | হাত-পা-মুখ বাধা যুবকের দিকেভাবলেশহীনভাবে চেয়ে থাকলেন ক্লায়েন্ট ।টুপি পরা ভদ্রলোকের একার পক্ষে এরকম একজন মানুষকে টেনে-হিচড়েগাড়ি থেকে নামানোটা একটু কষ্টকরই হলো কারণ বন্দী উদভ্রান্তের মতোহাত-পা ছোড়ার চেষ্ট করছে; চিৎকার-দিচ্ছে প্রাণপণে; কিন্তু মুখ বন্ধ থাকারকারণে সে-আওয়াজ চাপা পড়ে যাচ্ছে?বাস্টার্ড চুপচাপ দেখতে লাগলো২সে জানে বন্দী কেন এমন আচরণকরছে। গাড়ি থেকে বের করতেই হারামজাদা দেখে ফেলেছে র্রায়েন্টকে ।সঙ্গে সঙ্গে এক ঘণ্টা ধরে ঘুরপাক খেতে থাকা সেই প্রশ্নটার জবাব পেয়ে গেছেসে-অচেনা এক লোক কেন তাকে পিস্তলের মুখে হাত-পা-মুখ বেধে গাড়িতেকরে অজানা পথে পাড়ি দিচ্ছে! এখন তার কাছে সব কিছুই পরিস্কার ।
এমনকি নিজের পরিণতিটাও!“ওর মুখটা খুলে দাও,” ক্লায়েন্ট বেশ শান্তকণ্ঠে বললেন ।ভদ্রলোক একমুহূর্ত ভেবে ঢোক গিলে কর্তার নির্দেশ পালন করলো ।“বাঁচাও! বাঁচাও! এরা আমারে মাইরা ফালাইবো! আমারে মাইরাফালাইবো! বাঁচাও!”হারামজাদার আর্তচিৎকার বিশাল গোডাউন প্রকম্পিত করলেও ক্রায়েন্টেরনির্বিকার মুখে কোনো পরিবর্তন আনতে পারলো না।“আমার কাছে নিয়ে আসো ।”জদ্রলোক সঙ্গে সঙ্গে বন্দীর কলার ধরে টেনে নিয়ে এলো ক্লায়েন্টেরপায়ের শরীরটা, পরমুহূর্তেই আবার সোজা করে গড়াতে চাইছে । সে যা বোঝার বুঝেগেছে । কোনো কথাই তাকে শান্ত করতে পারবে না এখন । কোনো চোখরাঙানিতেও সে দমবে না।উপভোগ করছে যদিও মুখের অভিব্যক্তিতে এর কোনো প্রতিফলন নেই ।ক্লায়েন্ট এক পা পিছিয়ে গিয়ে টুপি পরা জদ্বলোকের দিকে তাকালেন ।চাকরিদাতার মনোভাব বুঝতে একটুও বেগ পেলো না কর্মচারি ।
হারামজাদারমাথার চুল শক্ত মুঠোয় ধরে একটা ঝাকুনি দিলো সে ।“চুপ! একদম চুপ থাক । স্যারের সামনে একটুও হাউকাউ করবি না!”তারপর দাঁতমুখ খিচে বললো, “শুয়োরেরবাচ্চা!”বন্দী দম ফুরিয়ে ফ্যালফ্যাল চোখে চেয়ে রইলো র্লায়েন্টের দিকে ।বাস্টার্ড চুপচাপ এই নাটকীয় দৃশ্য দেখছে । এখনকার নাটকে তারকোনো ভূমিকা নেই । সে কেবলই দর্শক ।“মণিরাম কোথায়?” বেশ শান্তকণ্ঠেই প্রশ্নটা করলেন ক্লায়েন্ট ।বন্দী নিশ্চুপ । এখনও হাফাচ্ছে“শুয়োরেরবাচ্চা, বল্!” চুলের সুঠিং ধরে প্রবলভাবে ঝাঁকি দিলো টুপি পরাজদ্বলোক । “তোকে বলতেই হবে ।নাবলে কোনো উপায় নেই এখন 1”তারপরও বন্দীর মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হলো না।বাস্টার্ড অবাক হলো তার ক্লায়েন্ট এখনও শান্ত আছে বলে । সে যতোটুকুজানে এই হারামজাদাকে হাতের মুঠোয় পেয়ে এরকম শান্ত থাকাটা স্বাভাবিকনয় । ন্যায়বিচারের আশায় দীর্ঘ ছয় বছর তিনি অপেক্ষা করেছেন, তারপরবিচার যখন পেলেন দেখলেন তার কিশোরী মেয়েকে খালি বাড়িতে যারা ধর্ষণকরে হত্যা করেছে সেই হাসান আর মণিরাম বেকসুর খালাস পেয়ে গেছে ।কয়েক মুহূর্ত কেটে গেলো । টুপি পরা ভদ্রলোকের দীতমুখ খিচে হুমকি-ধামকিতে কাজ হলো না।
ক্রায়েন্টের অসহায়ত্ব ঝুঝতে পারলো বাস্টার্ড।কোমর থেকে সাইলেন্সার পিস্তলটা বের করে বন্দীর কপালে তাক্ করলো ।খেয়াল করলো ক্লায়েন্ট আর তার কর্মচারি আকে উঠেছে । মুচকি হাসলো সে,সঙ্গে সঙ্গে ভোতা একটি শব্দ । কাছ থেকে কেউ যেনো সজোরে থুতু ফেলেছে!ভদ্রলোক আর ক্লায়েন্ট চমকে উঠলো একটু ।“আ-আ-আ-আ!” হারামজাদার আর্তনাদে ভরে উঠলো গোডাউনেরবিশাল এলাকাটি গুলি করার আগে কপাল থেকে পিস্তলটা বন্দীর বাম হাটুর একটু উপরেরদিকে তাক্ করে গুলি চালিয়েছে সে । গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে সেখানথেকে । মুহূর্তেই গোডাউনের মেঝে রক্তে লাল হয়ে গেলো । রক্ত দেখেহারামজাদার চুলের মুঠি আলগা করে দিলো ভদ্রলোক । গুলিবিদ্ধ বন্দীমেঝেতে গড়াগড়ি খেতে শুরু করলো এবার ।এই প্রথম বাস্টার্ড দেখতে পেলো তার ক্লায়েন্টের অভিব্যক্তিতে পরিবর্তনএসেছে । জদ্বলোক বিস্ফারিত চোখে তার দিকে চেয়ে আছেন । সম্ভবত এরআগে কখনও ভাবলেশহীনভাবে কোনো মানুষকে গুলি করতে দেখেন নি ।আবারো পিস্তল তাক্ করলো সে । “আমি তিন গুনবো…এরমধ্যে.উনারপ্রশ্নের জবাব দিবি…নইলে এবার তোর ডান হাটতে গুলি করবো,” একেবারেনির্বিকার ভঙ্গিতে বললো বাস্টার্ড | “এক…দুই…”“মিরপুরে! মিরপুরে!” যন্ত্রণাকাতর কণ্ঠে বলে উঠলো গুলিবিদ্ধ বন্দী ।বাস্টার্ড তাকালো ক্লায়েন্টের দিকে তারপর আবারো পিস্তল তাক্ করলো ।“মিরপুরের কোথায় থাকে, বল্?”ব্যথায় কোঁকাতে লাগলো আহত লোকটি ।“মণিরামের ঠিকানা বলে দিলে তোকে আর গুলি করবো না ।”লোকটার মুখ দিয়ে কেবল গোঙানি আর আর্তনাদই বের হচ্ছে।“কাজটা তোরা দু-জনে মিলে করেছিস…তুই মরবি আর মণিরাম বেঁচেথাকবে…” মাথা দোলালো আফসোসের ভঙ্গি করে |
“…এটা হয় না।”আহত জানোয়ার কাঁপতে কাঁপতে বাস্টার্ডের দিকে তাকালো ।“তোর সাথে সাথে মণিরামেরও মরা উচিত…এরচেয়ে কঠিন শাস্তি পাওয়াউচিত…কি বলিস?”লোকটা অঝোরে কাঁদতে লাগলো ।“ওর ঠিকানাটা দিয়ে দে…তোকে আর টর্চার করবো না ।”বুঝতে পারলো না। বাস্টার্ড হাটু ভেঙে বসে লোকটার মাথা ধরে তার কানেরকাছে নিয়ে এলো ।ায়েন্ট আর তার কর্মচারি বিস্মিত হয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে।উঠে দাঁড়ালো সে । “ওর সাথে আমার কাজ শেষ 1”আলতো করে মাথা নেড়ে সায় দিলেন ক্লায়েন্ট ৷ “এবার জানোয়ারটাকেমেরে ফেলো ।”
বেগ বাস্টার্ড সিরিজ Pdf
“না! না!” চিৎকার দিলো হাত-পা বাধা যুবক ।বাস্টার্ড তার পিস্তলটা শেষবারের মতো তাক্ করলো বন্দীর দিকে ।“দাঁড়ান,” টুপি পরা ভদ্রলোক হাত তুলে থামার ইশারা করে চাকরিদাতারউদ্দেশ্যে বললো, “স্যার, এই শুয়োরটাকে এতো সহজে মেরে ফেলা ঠিক হচ্ছেনা।”ভূরু কুচকে তাকালেন র্রায়েন্ট । বাস্টার্ড পিস্তল উচিয়ে রেখেই অপেক্ষাকরলো ।“ওকে আরো কঠিনভাবে মারা উচিত 1”বুন্দী যুবক চিৎকার থামিয়ে ভয়ার্ত চোখে তাকালো ভদ্রলোকের দিকে ।“কিভাবে?” আস্তে করে জানতে চাইলেন ক্লায়েন্ট । .“ইয়ে মানে,” একটু দ্বিধা দেখা গেলো জদ্রলোকের মধ্যে | মাথার টুপিটাখুলে হাতে রাখলো । “বলছিলাম কি, আমাদের ফ্যাক্টরির বানরিটা আছে“না! না! না!” বন্দী আবারো চিৎকার দিতে শুরু করলো ।র্লায়েন্টের চেহারা যথারীতি ভাবলেশহীন থাকলেও মনে হচ্ছে বিষয়টাভেবে দেখছেন । তবে বাস্টার্ড বুঝে গেলো সিদ্ধান্তটা কি হতে পারে । পিস্তলটাকোমরে গুঁজে নিলো সে । তাকে এটা করতে দেখে ক্লায়েন্ট সপপরশন দৃষ্টিতে চেয়েরইলেন ।“উনার আইডিয়াটা ভালো । লাশ ডাম্পিং করা খুব ঝামেলার কাজ।তাছাড়া ওর লাশ পাওয়া গেলে আপনাকেই সবাই সন্দেহ করবে ।”“লাশ পাওয়া না গেলে কি সন্দেহ করবে না?” একদম স্বাভাবিক কণ্ঠেজানতে চাইলেন তিনি ।“তখনও সন্দেহটা আপনার দিকে থাকবে কিন্তু আরো কিছু অপশন তৈরিহয়ে যাবে ।”“বাঁচাও! বাঁচাও! এরা আমারে মাইরা ফালাইবো! বাঁচাও!” বন্দী তারচিৎকার অব্যাহত রাখছে ।“ওর মুখটা বন্ধ করো 1”ক্লায়েন্টের কথা শুনে জদ্বলোক বন্দীর মাথার চুল শক্ত করে ধরে হাতেরটুপিটা দলা পাকিয়ে মুখের ভেতর ঢুকিয়ে দিলো । এবার চাপা গোঙানী ছাড়াআর কিছুই শোনা যাচ্ছে না । বন্দী এখন কংক্রিটের মেঝেতে উদন্রান্তের মতোগড়াগড়ি খাচ্ছে। .
একব্রাডি’“কি রকম অপশন তৈরি হবে?”প্রথমত সে পুলিশের খাতায় নিখোঁজ হিসেবে থেকে যাবে । আর নিখোঁজকাউকে নিয়ে পুলিশ খুব একটা মাথা ঘামায় না। ওরা হয়তো আপনাকেসন্দেহ করবে কিন্তু লাশ না পাওয়া পর্যন্ত আপনার বিরুদ্ধে শক্ত কোনোঅভিযোগ আনতে পারবে না ।”বাস্টার্ডের দিকে চেয়ে রইলেন ররায়েন্ট ।“স্যার, উনি ঠিকই বলেছেন,” জদ্রলোক বললো । “লাশ পাওয়া গেলেইঝামেলা বেশি হয়। একে আমি এ বার্নারে ঢুকিয়ে একদম ভ্যানিশ করেদেবো । একটুও ট্রেস থাকবে না ।”মনে হলো আরেকটু ভেবে দেখছেন ক্লায়েন্ট । অবশেষে বিশ্বস্ত কর্মচারীরদিকে তাকিয়ে বললেন, “তাহলে মণিরামকেও একইভাবে ভ্যানিশ করে দিতেহবে ।”“জি, স্যার । ওদের জন্য একটু কঠিন মৃত্যুই দরকার,” বললো সে।“আগুনে পুড়ে মরার মতো কঠিন মৃত্যু আর হয় না…এজন্যেই আল্লাহপাকদোযখে আগুনের ব্যবস্থা করেছেন ।”ক্লায়েন্ট গড়াগড়ি খাওয়া বন্দীর দিকে তাকিয়ে আস্তে করে মাথা নেড়েসম্মতি দিলেন। “জল্দি করো ।” বুটের হাতা সরিয়ে রোলেক্স হাতঘড়িটাদেখে নিলেন | “রাত অনেক হয়েছে! আমাকে ঢাকায় ফিরে যেতে হবে ।”ভদ্রলোকের মুখে প্রচ্ছন্ন হাসি ফুটে উঠলো । “স্যার, আরেকটা কথাবলি?”ক্লায়েন্ট কিছু বললেন না শুধু তাকিয়ে থাকলেন কর্মচারির দিকে ।“বানরিটা ফুল-ফেইজে চালু না করে এই শৃয়োরটাকে ওটার ভেতরঢুকিয়ে দিয়ে তারপর চালু করবো…তাহলে আস্তে আস্তে, তিলে তিলে মরবে ।একেবারে দোযখের মতো মনে হবে!”বাস্টার্ড স্থিরদৃষ্টিতে চেয়ে রইলো লোকটার দিকে । সে একটু অবাকইহয়েছে কারণ একে দেখে মনে হয় নি এতোটা পৈশাচিক চিন্তা করতে পারে ।ক্লায়েন্ট খুবই আস্তে করে মাথা নেড়ে সায় দিলেন ।“কিন্ত আরেকজনকে ডাকতে হবে, স্যার…আমি একা এইটাকে বানারেতুলতে পারবো না ।”দীর্ঘশ্বাস ফেললেন র্রায়েন্ট ৷ “ঠিক আছে, ডাকো । যা করার জলদি করো ।”