দাদা ভগবান কে – আধ্যাতিক বই pdf Download
বইয়ের নাম: দাদা ভগবান কে (Dada Bhagwan ke?)
লেখকের নাম: Dada Bhagwan
ধরণঃ Bengali Spiritual Books
ক্যাটাগরি: Novels
প্রকাশনী: Dada Bhagwan Aradhana Trust
১ম প্রকাশঃ 2006 সাল
Total pages: 86 পৃষ্ঠা
PDF Size: 01 Mb
ভাষাঃ বাংলা (Bangla/Bengali)
রিভিউ:
দ্রব্য, ক্ষেত্র, কাল, ভাব থেকে অপ্রতিবদ্ধ
বীতরাগীরা বলেছেন, কি যে দ্রব্য, ক্ষেত্র, কাল, ভাব থেকে নিরন্তর অপ্রতিবদ্ধ ভাবে বিচরণ করে, এমন জ্ঞানী পুরুষ-এর চরণারবিন্দ-এর ভজনা করলে সমাধান আসে। কোন দ্রব্য তাকে বাঁধতে পারে না, কোন কাল তাকে বাঁধতে পারে না, কোন ভাব-এ সে বাঁধা পড়ে না আর না কোন ক্ষেত্র তাকে বাঁধতে পারে। সংসারে এই চারটি বস্তুই আছে, যা নিয়ে সংসার খাড়া হয়েছে। যে দ্রব্য, ক্ষেত্র, কাল আর ভাব থেকে নিরন্তর অপ্রতিবদ্ধ ভাবে বিচরণ করে এমন জ্ঞানী পুরুষের চরণারবিন্দ- -এর সেবা করার জন্য ভগবান বলেছেন।
রাগ-দ্বেষ, না ত্যাগত্যাগ
জ্ঞানী পুরুষ কার নাম যে যার ত্যাগ অথবা অত্যাগ সম্ভব নয়, সহজ ভাবে থাকে। সে রাগ-দ্বেষ করে না। ওনার বিশেষ বিলক্ষণতা। কি যে রাগ-দ্বেষ হয় না, এটাই বিলক্ষণতা।
দৃষ্টি হলাে নির্দোষ, দেখি জগত নির্দোষ
সারা জগতে আমি কাওকে দোষী দেখি না। আমার পকেট কাটে তবুও আমি দোষী দেখি না। তার উপর করুণা হয়। দয়া আমার ভিতরে নাম মাত্র হয় না। মানুষের ভিতরে দয়া হয়, এর ভিতরে দয়া হয় না। সে দ্বন্দ্ব থেকে মুক্ত হয়ে যায়। আমার দৃষ্টিই নির্দোষ হয়ে গেছে। অর্থাৎ তত্ত্বদৃষ্টি হয়, অবস্থা সৃষ্টি হয় না। সবার মধ্যে সরাসরি আত্মাই চোখে পড়ে। (২) বাল্যাবস্থা মার থেকে পেয়েছি অহিংসা ধর্ম আমার মা আমার থেকে ছত্রিশ বছরের বড়। এক দিন মা কে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘ঘরে এত ছারপােকা হয়েছে, তােমাকে কামড়ায় ‘জ্ঞানী পুরুষ’-
?’ উত্তরে মা বলে, ” হ্যাঁ, বাবা, কামড়ায় তাে। কিন্তু তারা অন্যের মত তাে টিফিন নিয়ে আসে না, বলে কি আমাকে কিছু দিন, মাই- বাপ!’ এই বেচারারা তাে কোন বাসন নিয়ে আসে না, যতটুকু খাবার তত টুকু খেয়ে চলে যায় । আমি বললাম, ‘তুমি ধন্য মা ! আর তােমার এই ছেলের ও ধন্য ভাগ্য! আমি তাে ছারপােকাকেও রক্ত খেতে দিতাম যে এখানে যখন এসেছিস তাে ভােজন করে যা। কেননা আমার এই হােটেল (শরীর ) এমন যে এখানে যেন কারাের কোন কষ্ট না হয়, এই আমার ব্যবসায় ! সেইজন্য ছারপােকাকেও ভােজন করিয়েছি। এখন ওদেরকে ভােজন করালে সরকার কি আমাকে কোন দন্ড দিতাে ? না। আমার তাে আত্মা প্রাপ্তি করার ছিল ! সদৈব চৌবিহার (সূর্যাস্তের আগে ভােজন), সদৈব কন্দমূল ত্যাগ, সদৈব ফুটানাে জল, এই সবকিছু করতে কোন চেষ্টা বাকি রাখি নি! আর এইজন্য, দেখুন, এই প্রাকট্য হয়েছে, সম্পূর্ণ ‘অক্রম বিজ্ঞান প্রকট হয়েছে ! যে সমস্ত দুনিয়া কে স্বচ্ছ বানিয়ে দেয়, এমন বিজ্ঞান প্রকট হয়েছে!
মা-র সংস্কার মার খেতে শিখিয়েছে
আমার মা ও এমন ছিল তাে! মা তাে আমাকে সবসময় ভালটাই শেখাতাে। ছােট বেলায় একটি ছেলের সঙ্গে মারামারি করে ঘরে এসেছিলাম। ওই ছেলেটার রক্ত বেরিয়ে গিয়েছিল। মা এটা জানতে পেরে আমাকে প্রশ্ন করতে লাগলাে, ‘বাবা, এই দেখ, ওর রক্ত বেরিয়েছে । এমনি তােকে যদি কেউ মারে আর তাের রক্ত বেরােয় তাহলে আমাকেই তাে তােকে ঔষধ লাগাতে হবে কি না ? এই সময় ওই ছেলেটির মাকেও ওর ঔষধ লাগাতে হচ্ছে কি না ? আর ওই বেচারা কত কাঁদছে হয়তাে ? ওর কত কষ্ট হয়েছে ? সেইজন্য আজ থেকে তুই মার খেয়ে আসবি কিন্তু কাউকে মেরে আসবি না। তুই মার খেয়ে আসবি, আমি তােকে ঔষধ লাগিয়ে দেবাে।’ এখন বলুন, এমন মা মহাবীর বানাবে কি বানাবে না ? এমন উচ্চ সংস্কার মা দিয়েছে।