গণিতের জেমস বন্ড Pdf Download (Full)

আদর্শ হিন্দু হোটেল

মানুষ তার সপ্নের সমান বড়।এই কথার সত্যতা এই বইতে ভালভাবেই পাওয়া যায়।সপ্ন দেখতে হয় অনেক বড়।নাহলে জীবনের প্রকৃত সত্য উপভোগ করা যায় না।সপ্নের সাথে বাস্তবতার মিশেলেই আমাদের এই জীবন। তাই আমাদের সপ্ন দেখতে হবে এবং পাশাপাশি সপ্নকে সত্যি করার জন্য পরিশ্রমও করতে হবে…!!!

গল্পের নায়ক হাজারী ঠাকুর।রানাঘাটের বেচু চক্কোত্তির আদর্শ হিন্দু হোটেলের রান্নার ঠাকুর সে।পদে পদে জীবনের লাঞ্চনা,বঞ্চনা ভোগ করতে করতে সে অভ্যস্ত হয়ে যায় সবকিছুতে।হাজারী ঠাকুরকে খুব শক্ত কোন চরিত্রের মধ্যে ধরতে পারা যায় না শুরুতে।এই হোটেলে কাজ করতে গিয়ে তাকে নিয়মিত অবহেলায় পড়তে হয়।তার রান্নার সুখ্যাতি অনেক।তার রান্না খাওয়ার জন্য মানুষ ছুটে আসে বেচু চক্কোত্তির হোটেলে।খেয়েদেয়ে একগাল প্রশংসা করে যায় হাজারী ঠাকুরের।হাজারীর এই রন্ধনের জোরেই চক্কোত্তির হোটেল বেঁচে থাকে।কিন্তু কখনোই চক্কোত্তি স্বীকার করতে চায় না।গুনীর মূল্য সে দেয় না।সে সবসময় নিজের হোটেলের খ্যাতি চায়।পদ্মঝি নামক এক হিংসুটে,ঝগড়ুটে চরিত্রের দেখা মেলে এই হোটেলে যে সবসময় ঠাকুরকে নিচু করে দেখে আর চক্কোত্তির মন রেখে চলে।নীরবেই থেকে যায় হাজারীর রান্নার গুন।দিনে দিনে হাজারী এই অস্বীকৃতির দায় থেকে বেরিয়ে আসতে চায়।বয়সের সাথে সাথে তার মাথায় ঘুরতে থাকে তার সারাজীবনের সপ্ন নিজের একটা হোটেল।একটা হোটেল খুলবে যে হোটেলের মালিক হবে সে নিজে।

সামান্য একজন বামুন হয়ে হোটেলের মালিক হওয়াটা আকাশকুসুম চিন্তা হলেও হাজারী ঠাকুর তার সততা,নিষ্ঠা এবং সপ্ন থেকে কখনো দূরে সরে আসেনি।আস্তে আস্তে করে তার কাছের অনাত্নীয়দের থেকে একটু একটু করে টাকা জোগাড় করে নিজের কিছু সঞ্চয় থেকে নিজের মালিকানায় এক হোটেল খুলে বসে।হাজারীর আদর্শ হিন্দু হোটেল।এরপরে তার জীবন চলতে থাকে।বইটিতে অনেক জিনিস খুব গভীরভাবে চিন্তা করতে হয়।একজন মানুষের অসহায়ত্ব, সততা এবং শত্রুকে শত্রু মনে না করেও তার সাথে সহনশীল থাকা,মালিক ভৃত্যের সম্পর্ক, সমাজের শ্রেনীবিশেষে আচার আচরন।একটা হোটেলের সবগুলা মানুষ,খদ্দেরের আসা যাওয়া,হোটেলের উত্তরোত্তর বৃদ্ধি সবকিছু খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।মনস্তাত্ত্বিক বিষয় গুলো গভীরভাবে চিন্তার খোরাক যোগাবে।একজন হাজারী ঠাকুরের জীবনের প্রতিটা ধাপের চড়াই উতরাই পেরিয়ে সপ্নের দ্বারে পৌছানোর ধাপ এবং শেষ মুহূর্তের সেই সাফল্য সবটুকু মিলিয়ে অসাধারণ একটি বই।সবশেষে বলতে চাই সপ্ন দেখতে হবে এবং সে সপ্নকে সত্যি করে তোলার জন্য সপ্নের দেখাশোনা করা লাগবে,সপ্নকে ভালোবাসতে হবে।তবেই না অধরা সপ্ন ধরা দেবে

বি দ্র : রানাঘাটে আসলেই আদর্শ হিন্দু হোটেলের অস্তিত্ব আছে.