হ’স্ত মৈ’থু’নের ক্ষতিকর প্রভাব + এ থেকে বাচার উপায়❤️
হেলো পাঠকপ্রিয় বন্ধুরা, আশাকরি সবাই সুস্থ আছ. আজকে আমরা হ’স্ত মৈ’থু’নের ক্ষতিকর প্রভাব ও এ থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। হ’স্ত মৈ’থু’নের ক্ষতিকর প্রভাব জানা খুবই বেশি প্রয়োজন। প্রত্যেক পুরুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে যৌ ‘ ন উ’ত্তে’জনা বৃদ্ধি পায়। এই সময় বিভিন্ন সঙ্গের কারণে হ’স্ত মৈ’থুন নামক ভয়ানক অভ্যাসটি গড়ে উঠে।
- ১. মানসিক সমস্যা
- ২. শারীরিক সমস্যা
হ’স্ত মৈ’থু’নের ক্ষতিকর প্রভাব ইসলাম যা বলে
ইবনে কাছিরের মতে, ইমাম শাফেয়ি এবং যারা তার সাথে একমত পোষণ করেছেন তারা সবাই এ আয়াত দিয়ে হ’স্ত’মৈ’থু’ন হারাম হওয়ার পক্ষে দলিল দিয়েছেন।
“আর যারা নিজেদের যৌ’না’ঙ্গ’কে হেফাযত করে। নিজেদের স্ত্রী বা মালিকানাভুক্ত দা’সী’গণ ছাড়া; এক্ষেত্রে (স্ত্রী ও দা’সীর ক্ষেত্রে) অবশ্যই তারা নিন্দিত নয়। যারা এর বাইরে কিছু কামনা করবে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।”
— [সূরা মুমিনুন, আয়াত: ৫-৬]
ইমাম শাফেয়ি ‘নিকাহ অধ্যায়ে’ বলেন:
‘স্ত্রী বা দাসী ছাড়া অন্য সবার থেকে ল’জ্জা’স্থান হেফাযত করা’ উল্লেখ করার মাধ্যমে স্ত্রী ও দাসী ছাড়া অন্য কেউ হারাম হওয়ার ব্যাপারে আয়াতটি সুস্পষ্ট। এরপরও আয়াতটিকে তাগিদ করতে গিয়ে আল্লাহ্ তাআলা বলেন (ভাবানুবাদ): “যারা এর বাইরে কিছু কামনা করবে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।” সুতরাং স্ত্রী বা দাসী ছাড়া অন্য কোন ক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গ ব্যবহার করা বৈধ হবে না, হ’স্ত’ মৈ’থু’নও বৈধ হবে না। আল্লাহ্ই ভাল জানেন।
— [ইমাম শাফেয়ি রচিত ‘কিতাবুল উম্ম’]
হ’স্ত মৈ’থু’নে’র ক্ষতিকর প্রভাব:
- ১. অকাল বী’র্য’পাত ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে পুরোপুরি সক্ষম হয় না। ফলে বৈবাহিক সম্পর্কে অশান্তি নেমে আসে।
- ২. বিজ্ঞান ভাষায়, কোনো পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শু’ক্রা’ণু বের হয় তাহলে সেই পুরুষ সন্তানের জন্ম দিতে পারবে না। মাত্রাতিরিক্ত হ’স্ত’মৈ’থু’ন পুরুষের যৌ’না’ঙ্গ একেবারেই দুর্বল হয়ে যায়।
- ৩. Nervous system, heart, digestive system, urinary system এবং বিভিন্ন রকম system ক্ষতিগ্রস্ত হয় । সমস্ত শরীর একেবারেই দুর্বল হয়ে যায় ও শরীরের রোগ-বালাইয়ের জাদুঘর হয়ে যায়।
- ৪. বী’র্য’ পাতলা হলে বী’র্যে’র শু’ক্রাণুর সংখ্যা একেবারেই কমে যায়। তখন বী’র্যে’র শুক্রাণু সংখ্যা হয় ২০ মিলিয়নের কম। যার ফলে সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ৫. চোখের সমস্যা হয়।
- ৬. কানে কম শুনা।
- ৭. নাকের ঘ্রাণ শক্তি কমে যায়।
- ৮. স্মরণ শক্তি পুরোপুরি কমে যায়।
- ৯. মাথা ব্যথা ও বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়।
- ১০. সামান্য উত্তেজনায় যৌ’না’ঙ্গ থেকে তরল জাতীয় পদার্থ বের হয়। ফলে শারীরিক ব্যথা ও মাথা ঘোরা ইত্যাদি।
- ১১. যৌ’ন’ ক্রিয়ার সাথে জড়িত স্নায়ুতন্ত্রগুলো একেবারেই দুর্বল হয়।
- ১২. শরীরের বিভন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গের সমস্যা হয়। যেমন- হজম ও প্রসাব প্রক্রিয়া ইত্যাদি। দ্রুত বী’র্য’ বের হওয়ার প্রধান কারণ মাত্রাতিরিক্ত হ’স্ত’ মৈ’থু’ন।
হ’স্ত মৈ’থু’নের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাচার উপায়
- ১। যতটা সম্ভব নিজেকে কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত রাখুন।
- ২। হ’স্ত’ মৈ’থু’ন খারাপভাবে এডিক্টেড হলে কখনোই একা একা থাকবেন না। ঘরে সময় কাটাবেন কম ও বাইরে সময় কাটাবেন বেশি। যেমন- বাইরে জগিং করা ও সাইকেল নিয়ে ঘুরা ইত্যাদি করতে পারেন। ছাত্র হলে ক্লাস বন্ধুদের সাথে পড়াশুনা করতে পারেন। লাইব্রেরি বা কফি দোকানে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন।
- ৩। ভিডিও গেমস খেলতে পারেন। এই ভিডিও গেমস হ’স্ত’মৈ’থু’নের কথা পুরোপুরি ভুলিয়ে দেবে।
- ৪। সন্ধ্যায় সময় কখনই ঘুমাবেন না। কিছু করার না থাকলে ছবি দেখুন বা বই পড়ুন।
- ৫। কোন সময়গুলোতে হ’স্ত’মৈ’থু’ন বেশি করেন, সেই সময়গুলো মার্ক করুন। বাথরুমে বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, হঠাৎ কোনও সময়ে যদি হ’স্ত মৈ’থু’নের ইচ্ছে জাগে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই কোনো না কোনো শারীরিক পরিশ্রমের কাজে বা ব্যায়াম করতে লেগে যান। যতক্ষণ পর্যন্ত শরীর ক্লান্ত না হয়, অর্থাৎ হ’স্ত’মৈ’থু’ন করার মত শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্তই কোনো কাজ বা ব্যায়াম করুন।স্নান বা গোসল করার করার সময় হ’স্ত’মৈ’থু’নে’র ইচ্ছে জাগলে শুধুমাত্র ঠাণ্ডা জল ব্যবহার করুন এবং দ্রুত সময়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসুন।
- ৬। ধৈর্য সময় ধরতে হবে। একদিনে হ’স্ত’মৈ’থু’ন নেশা থেকে মুক্তি পাবেন, এমনটা কিন্তু না। একাগ্রতা থাকলে আস্তে আস্তে এই নেশা থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসা যায়। মাঝে মধ্যে ভুল হয়ে যাবে। তখন সব হাল ছেড়ে দেবেন না। চেষ্টা সবসময় করে যাবেন।
- ৭। খারাপ যেকোনো জিনিস একেবারেই এড়িয়ে চলবেন
- ৮। ছোট ধরণের টার্গেট সেট করুন। ধরে নিন, প্রথম টার্গেট টানা ২-৩ দিন হ’স্ত’মৈ’থু’ন করবেন না। ২-৩ দিন না করে পারলে আস্তে আস্তে সময় বাড়াতে থাকবেন।
- ৯। হঠাৎ বিছানায় যাবেন না। কোথাও বসলে অন্যদের সঙ্গে নিয়ে বসবেন।
- ১০। বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সাথে বেশি বেশি সময় কাটান।
- ১১। ধ্যান বা যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।
- ১২। ফোনে খারাপ কাজ করা থেকে বিরত থাকা।
- ১৩। বিকাল বেলার পরে উত্তেজক ও গুরুপাক জাতীয় খাবার কখনই খাবেন না।
“যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী জিনিস (জিহ্বার) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী জিনিস (যৌ’না’ঙ্গ) নিশ্চয়তা দেবে আমি তার বেহেশতের নিশ্চয়তা দিব।” (বুখারী ও মুসলিম)