মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস PDF Download❤️(full)
অনুবাদকের কথা
ভারতে মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা (১৫২৬ খ্রি.) উপমহাদেশের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা । উপমহাদেশের ইতিহাসে আর কোনো রাজবংশ এমন প্রলম্থিত হয়নি ।
ভারতে প্রকৃতপক্ষে মোগল ইতিহাসের সূচনা হয়েছিল বাবুরের পঞ্চম উর্ধ্বতন আমির তাইমুরের দিল্লি বিজয়ের মধ্য দিয়ে । কিন্তু দিল্লির সাম্রাজ্য তার জন্য মঞ্জুর ছিল না। এ নিয়ে একটি আধ্যাত্মিক ঘটনাও প্রচলিত আছে।
তাইমুরের পঞ্চম অধস্তন জহীরউন্দীন মুহন্মদ বাবুর ভারতকে তার সাম্রাজ্যিক উত্তরাধিকার বলে গণ্য করতেন এবং ভারতবিজরকে তিনি তাঁর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বলে স্থির করে নিয়েছিলেন । তারপর সকল বাধা-বিপর্তি অতিক্রম করে তিনি তাঁর কাঙ্ফিত লক্ষ্যে পৌছে গিরেছিলেন ।
১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দে দিল্লিতে প্রতিষ্ঠিত হয় তার কাজ্ফিত সাম্রাজ্য । এ ছিল এক যুগান্তকারী বিজয় । এই বিজয়ের মাধ্যমে ভারতের সুলতানি যুগের পতন হয় আর বাঁদশাহী যুগের অভ্যুদয় ঘটে । তারপর-এক,প্রলদ্বিত সাম্রাজ্যের ধারাবাহিক ইতিহাস শুরু হর এবং ইতিহাসের সুদীর্ঘ কাল অতিত্রম্“করে ১৮৫৮ হষ্টাব্দে তার পরিসমাণ্তি ঘটে ।
বাবুর, হুমায়ুন, আকবর, জাহাঙ্গীর, শাহজাহান ও আওরঙ্গজেব (১৫২৬-১৭০৭)। ইতিহাসে এরা গ্রেট মোগল নামে সুপরিচিত । তারপর, ১৭০৭ থেকে মোগল আন্রাজ্য বিকেন্দ্রীভূত হতে শুরু করে এবং ১৮৫৮-র এসে শেষ হরে যার ।
সে হিসেবে ১৫২৬ থেকে ১৮৫৮ অবধি প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের সময়কালকে ইতিহাসে মোগল ঘুগ বলে ধরা হয় ।
এই সময় কালে বাবুর থেকে ছ্তীয় বাহাদুর শাহ অবধি মোগল সাম্রাজ্যের সেনা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা-হয়েছে বক্ষ্যমান গ্রন্থে । এই বিষরের গভীরে এই গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হযেছে প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের সময়কালে মোগল প্রশাসনের আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক-সামরিক ব্যবস্থার এক মনোজ্ঞ ইতিহাস যা পাঠককে ওই যুগকালকে জানতে, বুঝতে এবং অনুধাবন করতে প্রাণিত করবে ।
ভারতের যোগল ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় এটি একটি গুরুতৃপূর্ণ সংযোজন ।
বাবর মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন মধ্য এশিয়ার তুর্কো-মঙ্গোল বংশোদ্ভূত শাসক। বাবার দিক থেকে তিনি তৈমুর লং ও মায়ের দিক থেকে চেঙ্গিস খানের বংশধর ছিলেন।[২৮] মধ্য এশিয়া থেকে বিতাড়িত হয়ে বাবর ভারতে ভাগ্য নির্মাণে নিয়োজিত হন। তিনি নিজেকে কাবুলের শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এবং আফগানিস্তান থেকে খাইবার পাস হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।[২৮] পানিপথের যুদ্ধে বিজয়ের পর বাবরের সেনাবাহিনী উত্তর ভারতের অধিকাংশ এলাকা জয় করে নেয়।[২৮] তবে শাসন পাকাপোক্ত করতে অনেক সময় লেগে যায়।
অস্থিতিশীলতা তার ছেলে হুমায়ুনের সময়ও ছড়িয়ে পড়ে। হুমায়ুন দিগ্বিজয়ী সেনাপতি শেরশাহ কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারত থেকে পারস্যে পালিয়ে যান।[২৮] হুমায়ুনের সাথে পারস্যের সাফাভিদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় এবং মুঘল সাম্রাজ্যে পারসীয় সাংস্কৃতিক প্রভাব বৃদ্ধি পেতে থাকে। সাফাভিদের সহায়তায় হুমায়ুন মুঘলদের ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। কিছুকাল পর নিজস্ব গ্রন্থাগারে ঘটা এক দুর্ঘটনায় হুমায়ুনের মৃত্যু হলে[২৮] তার ছেলে আকবর অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় সিংহাসনে বসেন। আকবরের অভিভাবক বৈরাম খান ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত্তি মজবুত করতে আকবরের সহায়তা করেছেন।
বুক | মোগল সাম্রাজ্যের সেনা ব্যবস্থা |
Author | রাজু রাজ |
Publisher | ঐতিহ্য |
ISBN | 9789847763866 |
Edition | 1st Published, 2018 |
Number of Pages | 208 |
Country | বাংলাদেশ |
ফরম্যাট | পিডিএফ |
বইটি আমি একনাগাড়ে ১২ দিন পড়ে শেষ করেছি সম্মোহিতের মত। তবে লেখকের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ যে তিনি যেন পরবর্তী সংস্করণে তারিখ সম্পর্কিত ভুলগুলোর প্রতি একটু নজর দেন। যেমন কোন জায়গায় “১৬০৫” -এর স্থলে ছাপা রয়েছে “১৯০৫” এছাড়াও এক জায়গায় সম্রাট আলমগীরকে বলা হয়েছে শাহজাহানের সপ্তম সন্তান আবার কোন জায়গায় তৃতীয়। আশাকরি লেখক পরবর্তী সংস্করণে এই ভুলগুলোর প্রতি একটু মনোযোগ দেবেন। পরিশেষে বলতে চাই মোঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসের দলিল হিসেবে বইটি সংরক্ষণের অধিকার রাখে। যারা এই সাম্রাজ্য সম্পর্কে জানতে চায় তাদের অবশ্যই বইটি পড়ে দেখা উচিৎ।
আরও জানুন-
মুঘল সাম্রাজ্যের প্রশ্ন উত্তর
মুঘল যুগের ইতিহাসের উপাদান
মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন
মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস mcq
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ কি
মুঘল সাম্রাজ্যের পতন হয় কত সালে
মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট কে
যুদ্ধ ও কূটনীতির মাধ্যমে আকবর সাম্রাজ্যকে সবদিকে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন। তিনি ভারতের সামাজিক গোষ্ঠীর সামরিক অভিজাতদের থেকে তার প্রতি অনুগত নতুন অভিজাত শ্রেণী গড়ে তোলেন। তিনি উন্নত সরকার ব্যবস্থা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অবদান রেখেছেন।[২৮] আকবর ইউরোপীয় বাণিজ্য কোম্পানিগুলোর সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করেছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পার্থক্য দূর করার জন্য আকবর দীন-ই-ইলাহি নামক নতুন ধর্ম তৈরি করেছিলেন। তবে এই ধর্ম প্রসিদ্ধ হয়নি। আকবরের ছেলে সম্রাট জাহাঙ্গীর সমৃদ্ধির সাথে শাসন করেছেন। তবে জাহাঙ্গীর মাদকাসক্ত ছিলেন। তার রাষ্ট্রীয় কাজে অনীহা দেখে দরবারের প্রভাবশালীরা তার সন্তান খুররম ও শাহরিয়ারের পক্ষ নিয়ে দু’দলে বিভক্ত হয়ে বিদ্রোহ করে। বিদ্রোহীদের প্রভাবে পড়ে যান জাহাঙ্গীর। অবশেষে খুররম শাহজাহান হিসেবে মুঘল সিংহাসনে আরোহণ করেন[২৮] শাহজাহানের শাসনকাল মুঘল দরবারের জাকজমকের জন্য প্রসিদ্ধ। এসময় অনেক বিলাসবহুল ইমারত নির্মিত হয় যার মধ্যে তাজমহল অন্যতম।[২৮] এসময় দরবারের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ রাজস্ব আয়ের চেয়ে বেশি ছিল।[২৮