Bengali to English Translation Book Pdf Download (All)
All কিশোর ক্লাসিক Pdf Download
Kishore Classic Bangla Pdf free Download – সেবা প্রকাশনী কিশোর ক্লাসিক Pdf Download – পাঞ্জেরী সচিত্র কিশোর ক্লাসিক সিরিজ pdf download
পিডিএফ ডাউনলোড কিশোর ক্লাসিক লিংক
- দ্য কার্সিকান ব্রাদার্স,
- প্রেশার ব্রেইন,
- বেন-হার- লিউ ওয়ালেস
বেউলফ ডিউক জন – Beowulf Duke John pdf
পিডিএফ ডাউনলোড
This Full Book 1
ফার্মার বয় pdf – লিটল হাউজ অন দ্য প্রেয়ারি pdf link –
Direct download link : – Link :-1 | Link :-2 | Link :-3| Link :-4| Link :-5
আরও পড়ুন-
বইয়ের নাম: ভ্রম সমীকরণ
“We all are a glitch in the matrix.”
ওয়েব সিরিজ “Dark” এর এই বিখ্যাত লাইন জানে না, সিরিজ লাভার এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। সময় পরিভ্রমণের কঠিন মারপ্যাঁচ দিয়ে শেষমেষ “Glitch”!
আবার, ক্রিস্টোফার নোলানের “Inception” দেখেননি এমন মানুষও হাতে গোনা কয়জন। কেমন হবে যদি আমাদের জীবনটাও Dark বা Inception এর মতো হয়? অথবা যদি আমি হই “Mr Nobody” মুভির সেই “Nobody”!
নাহ, থাক! এত কঠিন সমীকরণ, কাটখোট্টা থিওরি দিয়ে জীবন পার করার দরকার নেই। যেমন সহজ-সরল, অনাড়ম্বর জীবন-যাপন করছি এই ভালো।
ষোলো বছর বয়সী কিশোর রাসেল খন্দকার। আর দশটা ছেলের মতোই স্কুলে পড়ে। কিন্তু তারপরেও সকলের থেকে আলাদা। রাসেলের বাবা-মা পর্যন্ত মাঝে মাঝে অস্বস্তিবোধ করে রাসেলকে নিয়ে। আরণ্যক বসুর “পরের জন্মে বয়স যখন ষোলোই সঠিক, আমরা তখন প্রেমে পড়বো” ধরনের ছেলে নয় রাসেল। ভীষণ মেধাবী ও তুখোড় বুদ্ধিমান ছেলে। আইকিউ একেবারে আইনস্টাইন-হাইজেনবার্গের লেভেলে।
স্কুলের আইকিউ টেস্টে এই বিস্ময়কর তথ্য জানার পর শিক্ষকের পরামর্শে বাবা তাকে শহরে ভালো স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেন। ঠিক স্বাভাবিক জীবনের নিয়মেই চলছিল সবকিছু। এরপর?
চট্টগ্রামে মামার বিয়েতে যাওয়ার সময় ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার পর থেকেই বদলে গেল জীবনের সমীকরণ। ধীরে ধীরে রাসেল আবিষ্কার করতে থাকে তার মাঝে আরেকটা ক্ষমতা আছে। সে ভবিষ্যৎ দেখতে পায়। যেমনটা দেখেছিলাম “Next” মুভিতে। নায়কের বিশেষ ক্ষমতা সে ভবিষ্যৎ দেখতে পায়। আর সেখানে নায়ক সম্ভাব্য টেরোরিস্ট অ্যাটাক ঠেকানোর জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়। এরপর কি হয় তা অনেকেরই জানা। মুভির মতোই রাসেলও সম্ভাব্য একটা খুন রুখে দেয়। রাসেলের ধারণা ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকেই তার এই ক্ষমতা এসেছে।
কিশোর ক্লাসিক বই কেন পড়বেনঃ বিজ্ঞানমনা রাসেল কোন ধরনের অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা বা কুসংস্কারে বিশ্বাসী না। তাই নিজেই একটা সারমর্ম দাড় করায় ঘটনার। সারমর্ম হলো, তার সাথে “প্রিমোনিশন” ঘটছে। অভিধানের ভাষায় যাকে বলা যায়, “ভবিষ্যতে ঘটতে যাওয়া ঘটনার সম্ভাব্য পূর্বাভাস “। আর এই ঘটনা ইতিহাসের পাতায় বহু আছে।
রাসেলের প্রথম প্রিমোনিশনের পর কেটে যায় এক বছর। অপেক্ষা করতে থাকে পরবর্তী ঘটনার। এই ঘটনা নিয়ে সে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে চায়। এসেও যায় সেই সময়। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রিমোনিশন। দাবা টুর্নামেন্টে হারিয়ে দেয় গ্র্যান্ডমাস্টার জিব্রানকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র জিব্রান আহমেদ। জিব্রানকে হারানোটাই ছিল রাসেলের দ্বিতীয় প্রিমোনিশনের ফল। সাইকোলজির ছাত্র জিব্রান ঠিকই ধরে ফেলতে পেরেছিল রাসেলের এই ক্ষমতা। নিজের ক্ষমতায় দ্বিধাগ্রস্ত রাসেল বিশ্বাসী কাউকে পাচ্ছিল না ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করার। আর শেষমেষ এসে পেয়ে গেল জিব্রানকে। জিব্রানের থেকে সে জানতে পারে “ডিএমটি” নামক এক রাসায়নিক পদার্থের ব্যাপারে। আর আগ্রহী হয়ে ওঠে নিজের মধ্যে থাকা ক্ষমতার একদম মূলে পৌঁছাতে। এরমধ্যেই ঘটে তার তৃতীয় প্রিমোনিশন।
বছর পেরিয়ে যায়। রাসেল কলেজের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠে। আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে থাকে। লেখাপড়া, ক্যারিয়ার বিল্ডাপ নিয়ে দিন চলতে থাকে। কিন্তু, তখনই ঘটে যায় তার চতুর্থ প্রিমোনিশন। জীবন বদলে যায় আরেক দফা। তার এই ক্ষমতার একটা ব্যাখ্যা পেয়ে যায় সে। একটা সমীকরণ। কী ছিল সেই সমীকরণ? তার এই ক্ষমতার পিছে কলকাঠি নাড়ছে এমন কেউ কি আছে? অদৃশ্য কোন সত্তা কি তার এই ক্ষমতার অপব্যবহারের চেষ্টায় মত্ত?
এরপর ঘটে রাসেলের পঞ্চম প্রিমোনিশন। সে সূত্র ধরে পাড়ি জমায় নেপাল। ঐখানেই পরিচয় ঘটে এমন কিছু মানুষের সাথে, যারা ঠিক তার মতোই। ঠিক রাসেলের মতো করেই ভবিষ্যতের পূর্বাভাস। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বেশ কিছু বিদেশিদের নিয়ে সখ্যতা হয়। ভিন্ন ভিন্ন কর্ম দক্ষতায় এগিয়ে চলে সবাই।
তাদের নিয়ে এবং তাদের প্রতিভাগুলো নিয়ে পৃথিবী বদলে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন একজন এখন আমেরিকান বিজ্ঞানী। আর তারপর? রহস্যময়ে সেই সমীকরণের কূল কিনারা কী পেয়েছিল? কী হয়েছিল শেষ বেলায় এসে? এমন ভাবেও ভ্রম সম্ভব? না-কি পুরোটাই সত্যি? কিংবা হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে দেখা যাবে, যা ছিল সব স্বপ্ন?
#পাঠ প্রতিক্রিয়া:
ভালো দিক:
সাই-ফাই জনরা নিয়ে বই পড়া শুরু করেছি সেই ছোটোবেলা থেকে। তাই এর প্রতি একটা টান কাজ করে। ৯৫ পৃষ্ঠার ছোট্ট একটা বইতে বিজ্ঞানের কঠিন বিষয়গুলো দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন লেখক। এক অধ্যায় পড়ে মনে হচ্ছে এটা মনে হয় Inception ধরনের কিছু, আবার মনে হয় Next মুভির মতো। এরপর মনে হয় পিছে বিশাল ক্রাইম আছে। মনে হয় Minority Report এর মতো। কিন্তু আসলে অবস্থা ছিল “রুকো যারা, সাবার কারো” টাইপ। শেষ দিক পড়ার পর আমার হাল ছিল এমন “বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই, এমন কিছু হবে ভাবিও নাই”। মেদযুক্ত কোন লেখা চোখে পড়েনি। একদম যা দরকার ঠিক তাই লিখেছেন।
বইয়ের বাইন্ডিং যথেষ্ঠ ভালো। বানান ভুল, টাইপো চোখে পড়েনি।
খারাপ দিক:
আলাদা ভাবে কোন চরিত্রের বিল্ডাপ ছিল না। বিশেষ করে জিব্রান চরিত্রটা আরেকটু বড়ো হোক আশা করেছিলাম।
এত ছোটো বইয়ের রিভিউ লিখতে গিয়ে যাই লিখি স্পয়লার হয়ে যায় অবস্থা হয়েছে। রিভিউ লেখা শেষ করে মনে হচ্ছে বইয়ের থেকে রিভিউ-ই বেশি বড়ো হয়ে গেছে।