কৃষ্ণপক্ষ PDF Download (হুমায়ূন আহমেদ)+রিভিউ
হুমায়ূন আহমেদ কৃষ্ণপক্ষ PDF Download – Krishnapakkho Book Pdf download and review:
book | কৃষ্ণপক্ষ |
Author | হুমায়ূন আহমেদ |
Publisher | সুবর্ণ |
ISBN | পিডিএফ ডাউনলোড |
Number of Pages | 84 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
কৃষ্ণপক্ষ বই রিভিউ:
শুরুটা বিয়ে দিয়ে, মুহিব বেকার যুবক বোন দুলাভাইয়ের সাথে থাকে, উপন্যাসের নায়িকা হলেন অরু, তারা গোপনে বিয়ে করল। অথচ অরুর বিয়ে ঠিক হয়ে আছে আবরার নামক একজন চিকিৎসকের সাথে। বিয়ে করতে মুহিব হলুদ পাঞ্জাবি পরে, যেটা অরুর পছন্দ হয়নি। বিয়ের পরে মুহিবের বন্ধু বজলুর বাসায় গিয়ে উঠে, সে রাতেই মুহিবের দুলাভাই তাকে চাকরির জন্য জরুরি ভিত্তিতে যেতে বলে। এবং সে রাতেই মুহিবের চাকরি কনফার্ম হয় পরদিন সকালেই চট্টগ্রাম যেতে হবে পিকআপ ঠিক করা থাকে। দুলাভাইয়ের অফিস থেকে ফিরে বন্ধু বজলুর বাসায় গিয়ে দেখে অরু একাই, বন্ধু বজলুর স্ত্রী ঝগড়া করে ভাইয়ের বাসায় চলে গেছে বজলু তাকে আনতে গেছে। মুহিব অরুকে অনেক হাসির গল্প শোনায় খেতে খেতে, অরু একসময় বলে পাঞ্জাবি খুলো পুড়িয়ে ফেলবো, আগেই বলে রেখেছিল যে এটাই আমাদের বাসর রাতের স্মৃতি হিসেবে থাকবে বাসর রাতে পাঞ্জাবি পুড়িয়েছি। কিন্তু পাঞ্জাবি পুড়ানো হয় না, মুহিব বলে আজ সারারাত জেগে থাকবো কিন্তু সে নিজেই ঘুমিয়ে পড়ে।
পরদিন সকাল হওয়ার আগেই মুহিব বেড়িয়ে পড়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে। ড্রাইভার কিছু যাত্রী তুলেছিল ভাড়ার বিনিময়ে, লীনা নামের একটি ছোট্ট মেয়ে ছিল যে মুহিবের কোলে বসে মামা ডাকে আর ছড়া শোনায় একটার পর একটা, পিছনে ছিল লীনার মা বাবা।
এদিকে অরু সকাল হলে বাসায় ফেরে, তার ভিতরে রয়েছে বিভিন্ন ভয়, কেননা তার বাবা অলরেডি দুবার স্ট্রোক করেছে কি জানি কি হয়েছে বুক টা দুরু দুরু করছিল অরুর, যেহেতু সে তার বড় আপু মীরুর টেবিলে বিয়ে সম্পর্কিত চিঠি লিখে রেখে গেছিল। এতক্ষণে কত কি হুলস্থুল কান্ডই না ঘটে গেছে কে জানে। কিন্তু অরু বাসায় গিয়ে দেখে সব কিছুই স্বাভাবিক ভাবে চলতেছে মীরু তার চিঠি পড়েই নি, অরু ভাবে তাড়াতাড়ি চিঠিটা সরিয়ে ফেলতে হবে, দু চার দিন পরে জানাজানি হলে বিষয় টা আরো সহজ হবে।
চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে একটা ট্রাক পিছনের সবগুলো গাড়িকে সাইড দিচ্ছিল শুধুমাত্র মুহিবদের গাড়িকে সাইড দিচ্ছিল না। ড্রাইভার মহসিন অনেক ক্ষেপে গালাগাল দেয় ট্রাক ড্রাইভার কে কিন্তু সাইড পাচ্ছিলেন না, তাকে সাইড না দিয়ে একধরনের মজা করছিল ট্রাকের হেল্পার ড্রাইভার। এ দেখে মুহিব বলে যে চায়ের তৃষ্ণা পেয়েছে তার চেয়ে কোথাও একটু থামিয়ে চা খেয়ে নিলে ওদের থেকে দূরত্ব বাড়বে। মহসিনের ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও দাঁড়ায় সে মনে মনে ভাবতেছিল তারা থামলে ট্রাকটাও সামনে কোথাও দাড়িয়ে তাদের অপেক্ষা করবে সে গিয়ে দেখবে সামনে আবার সেই ট্রাক, আসলেও তাই-ই ঘটে।
কিছুদূরে যাওয়ার পরে সাইড দেয় সেই ট্রাক কিন্তু ওভারটেক করতে গিয়ে মহসিন দেখেন সামনে আসছে বাস তার আর কিছুই করার থাকে না এক্সিডেন্ট করে মুহিবদের গাড়ি।
অরু বাড়িতে একদিন ডাক্তার আবরার আসেন, অরু তাহার সহিত গল্প করে ডাক্তার অরুকে দেখে আর অবাক হয় কত সুন্দর করে কথা বলে মেয়েটা। অরুর বাড়িতে রয়েছে মা বাবা বড় বোন মিরু আর দুলাভাই থাকেন প্রবাসে আর রয়েছে মীরুর ছেলে। অরুর বাবাই আবরার কে পছন্দ করেছেন সুতরাং অরুর কিছুই করার নেই।
এক্সিডেন্টে গাড়ির কারো কিছু হয় না শুধু মাত্র মুহিবই জ্ঞান হারিয়ে অচেতন হয়ে যায়। তাকে ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অবস্থা খুবই আশংকাজনক। মুহিবের বোন জেবা ছুটে আসেন হাসপাতালে মুহিবের বন্ধু বান্ধব সকলে চলে আসে। অরুকেও খবর দেয়া হয় টেলিফোনে কিন্তু মীরু ফোন ধরে অরুকে জানাবে বলে ভুলে যায় যে অরুর একটা জরুরি ফোন এসেছিল।
কিছু সময় পরে মুহিবের বোন জেবা- দুলাভাই শফিকুর রহমান ও ভাগ্নি সারা বাসায় ফিরেন যেহেতু তাদের কারোরই খাওয়া দাওয়া কিছুই হয়নি। সারাকে মুহিব ডাকতো প্রিয়দর্শিনি নামে দুলাভাই শফিকুর রহমান সেটা পছন্দ করতেন না। মুহিবের কোন কিছুই শফিকুর রহমান পছন্দ করতেন না। বাসায় ফিরে জেবা তার স্বামীর প্রতি জমে থাকা সকল ঘৃনা প্রলাপের মত বকতে থাকে, শফিক সাহেবকে সারজীবনের জন্য ছেড়ে যাচ্ছেন বলে বেড়িয়ে হাসপাতালে চলে আসেন।
অরুকে আবার ফোন করা হয় রাতে, অরু সাথে সাথে হাসপাতালে চলে আসে। মুহিবের পাশে থেকে কিছু সময় কথা বলতে চাইলে ডাক্তাররা অরুকে ভিতরে যেতে দেয়। মুহিব অচেতন হয়ে পরে আছে শুধুমাত্র শ্বাস দেখে বোঝা যাচ্ছে যে সে বেচে আছে। অরু- মুহিব তুমি এভাবে চুপ করে থাকতে পারো না, পৃথিবীর সব কিছুর বিনিময়ে তোমাকে চেয়েছি, পেয়েছি। কিন্তু এভাবে আমাকে ছেড়ে তুমি যেতে পারো না।
পচিশ বছর পরের কথা
ডাক্তার আবরারের সাথে বিয়ে হয়েছিল অরুর
আজ অরুর বড় মেয়ে রুচির বিয়ে, ধুমধাম করে আয়োজন করা হয়েছে। রুচির বাসর হবে এ বাড়িতেই, আত্মীয় স্বজনের ভীড় কমে গেছে আস্তে আস্তে। অরুর খারাপ লাগছিল তাই ঘরে গিয়ে বসে আবরারও ঘরে, এমন সময় অরুর ছোট মেয়ে কান্তা এসে বলে, আপা করছে কি দুলাভাইয়ের পাঞ্জাবী আগুন দিয়ে পুড়াচ্ছে। ‘বন ফায়ার‘ হবে সবার সামনে আগুন দিয়ে পুড়ানো হবে। (বর হলুদ পাঞ্জাবি পড়ে এসেছিলেন)।
অরুর চোখে জল এসে যাচ্ছে। তিনি সেই জল সামলাবার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। আজ তাঁর মেয়ের বিয়ে। এমন আনন্দের দিনে কি আর চোখের জল ফেলতে আছে?
(ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ)
নেক্সট -(শাপমোচন -ফাল্গুনি মুখোপাধ্যায়)
কৃষ্ণপক্ষ PDF Download link-