Books

Mizanur rahman azhari book pdf

Mizanur rahman azhari book pdf – ম্যাসেজ বই মিজানুর রহমান আজহারী পিডিএফ প্রথম বই তার।

আজহারি বই ডাউনলোড লিংক

বইঃ ম্যাসেজ,আধুনিক মননে দ্বীনের ছোঁয়া।
লেখকের নামঃ মিজানুর রহমান আজহারী।
প্রকাশনীর নামঃ গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স।
প্রকাশকঃ নূর মুহাম্মদ আবু তাহের।
কি ক্যাটাগরির বইঃ জ্ঞান মূলক ও বিশ্লেষণ ধর্মী।
ফিক্সড প্রাইসঃ ২৭৫ টাকা।
পৃঃ ২৯৬।

লেখক পরিচিতিঃ যিনি শব্দ চয়নে শিক্ষিত,মার্জিত,দক্ষ এবং ভদ্র।যিনি তরুণ প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখান৷ যিনি নারী কে ফিৎনা নয় বরং ভালবাসা, সৌন্দর্য্য, প্রেমের প্রতীক এবং সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখেন৷ যিনি এস,এস, সি ও এইস,এস,সি তে গোল্ডেন এ প্লাস পান। মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৮০ ভাগ নাম্বার নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন করেন কোরআন এবং তাফসির নিয়ে। গার্ডেন অফ নলেজ খ্যাত মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করেন এবং পি.এইচ.ডি ক্যান্ডিডেট হিসেবে মনোনীত হয়ে বর্তমানে গবেষণারত।

ম্যাসেজ বা বার্তা বা নাসিহাঃ
আধুনিক মননে দ্বীনের ছোঁয়া। ১২টি সুপরিচিত ম্যাসেজ যা নতুন করে, সহজ সরল ও প্রাঞ্জলতার সাথে, শৈল্পিকতার সাথে এবং প্রজ্ঞার সাথে তুলে ধরা হয়েছে।

ভূমিকাঃ বইটি একঘেয়ে বা অপ্রাসঙ্গিক নয়। একটি স্বর্নখচিত বিশ্লেষণ মূলক বই। যা দ্রুত পড়ে শেষ করা যাবে কিন্তু অনুধাবণ করতে সময় লাগবে ।

একনজরে সূচিপত্রঃ
১) কুরআনের মা
২) মুমিনের হাতিয়ার
৩) কুরআনিক শিষ্টাচার
৪) উমর দারাজ দিল
৫) ডাবল স্ট্যান্ডার্ড
৬) উসরি ইউসরাঃ কষ্টের সাথে স্বস্তি
৭) রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।
৮) শাশ্বত জীবন বিধান
৯) স্মার্ট প্যারেন্টিং
১০) মসজিদঃ মুসলিম উম্মাহর নিউক্লিয়াস
১১) আসমানি বরকতের চাবি
১২) বিদায় বেলা।

একনজরে বইটি বিস্তারিত নয়।

কুরআনের মাঃ

এটি একটি মানপত্র,দরখাস্ত,সারাংশ,প্রতিষেধক।এটিতে কুরআনের সারমর্ম ফুটে উঠেছে। সূরা ফাতিহার আক্ষরিক অর্থ সূচনা৷
এই সূরাটির বিভিন্ন নাম রয়েছে। সূরা ফাতিহা কে উম্মুল কুরআন বা কুরআনের মা বলা হয়। মা যেমন সন্তান কে স্বার্থক করে তেমনি সূরা ফাতিহা কুরআন কে পূর্ণতা দেয়।
সূরাতুদ দোয়া বা প্রার্থনার সূরা।
সূরাতুশ শিফা তথা আরোগ্য লাভের দোয়া।
আরেক নাম সাবউল মাসানি বা নিত্য পঠিত সাত বাক্য ।
প্রতিটি নামের স্বার্থক আলোচনা হয়েছে বইটি তে।
এই সূরার বক্তব্য তিন ভাগে বিভক্ত।
১)আল্লাহর প্রশংসা
২) আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক
৩) আল্লাহর কাছে দাবি দাওয়া।

মুমিনের হাতিয়ারঃ

দুআ,আত্মরক্ষার হাতিয়ার। দুআ নিজেই একটি ইবাদত।

আল্লাহর দৃষ্টিতে দোআর চেয়ে মহৎ কিছু নেই। ( সহিহ বুখারি ৫৩৯২)।
দোআ ইবাদাতের মগজ (আবু দাউদঃ ১৪৭৯)

তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব ( সূরা মুমিনঃ ৬০)।

দোআ একটি শিল্প। আর,এই শৈল্পিকথার কোন শেষ নেই। তাই দোআ করতে হবে শৈল্পিকতার সাথে। দোআ করতে হবে আবেগের সাথে।খেয়াল রাখতে হবে দোআ যেন রোবটিক না হয়। সবকিছু যেখানে শেষ দোআর ক্ষমতা সেখান থেকে শুরু।
ইংরেজিতে প্রবাদ আছেঃ

Everything is pre written but by supplication is re written.
দোআর সাথে দাওয়া মানে প্রচেষ্টা থাকতে হবে।
সাহাবীদের কাছে কেউ সাহায্য চাইলে প্রথমে দোআ করতেন,পরে সাহায্য করতেন শেষে আবার দোআ করতেন।
আমরা যদি কারো বিপদে শুধু দোআ করি তাহলে আল্লাহ আমাদের বিপদে শুধু দোআর ব্যবস্থা করে দিবেন।

আপনার দৃঢ় সিদ্ধান্ত,দৃঢ় দোআ,দৃঢ় প্রচেষ্টা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে।

কুরআনিক শিষ্টাচারঃ

প্রাণ থাকলে প্রাণী হয় কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হওয়া যায় না।তাই মানবসত্তাকে,মানবজাতিকে,মানব জীবনকে সফলতাপূর্ন করতে পারে শুধুমাত্র কুরআনিক শিষ্টাচার। একটি আদর্শ সমাজ গঠনের জন্য কুরআনিক শিষ্টাচারের কোন বিকল্প নেই।

প্রচলিত আছেঃ

একটি মানুষ দুই বছরে কথা বলতে শিখে,আর পরিস্থিতি বুঝে কথা বলতে শিখে সারাজীবন।

সূরা হুজরাত নাযিল হয়েছে মুসলিম আচরণ বিধি নিয়ে । এই সূরাটির অপর নাম সূরাতুন আখলাখ বা চরিত্র গঠনের সূরা।
আর,এই শিষ্টাচার ব্যক্তি পর্যায়ে না বরং সমাজ ও রাষ্ট্র সকল পর্যায়ে কার্যকর।
নৈতিকতা,শিষ্টাচার,শালীনতা,ভারসাম্যতা এই সূরার মূল বিষয় বস্তু ।

উমর দারাজ দিলঃ
রাসূল সাঃ তাঁর উপাধি দিয়েছিলেন ফারুক তথা সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। তিনি ছিলেন ইসলামের ২য় খলিফা, সফল রাষ্ট্র নায়ক।উওম চরিত্রের অধিকারী,আন্তরিক মানুষ,জিহাদে অগ্রগামী,একজন দাঈ,একজন আলিম, একজন রাজনীতিবিদ,একজন নেতা,একজন জ্ঞানের পূজারি,একজন চিন্তাবিদ,একজন ন্যায়বিচারক ইত্যাদি ক্ষেত্রে উদাহারণ হিসেবে অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে যায়।তাঁর শাসন আমলে ইসলামি সম্রাজ্যের সবচেয়ে বেশি জয়ী হয়। তার গঠন মূলক চিন্তার পক্ষে ১৭ থেকে ১৮ টি আয়াত নাযিল হয়।

ইসলাম গ্রহনের আগে মোটা দাগে ৩টি ঈমানি ধাক্কা ঈমানি ছোয়া তার অন্তরে ব্যাপকভাবে নাড়া দেয়।

১) রাসূল সাঃ এর দোআ।
২) সূরা হাক্কার মাধ্যম
৩) সূরাহ ত্ব হার ধাক্কা।

রসূল সাঃ বলেছেনঃ
আমার পরে যদি কেউ নবী হত,সে উমর হত। (জামে আত তিরমিজিঃ ৩৬৮০)।

এ থেকে বুঝা যায় উমর রাঃ এর যোগ্যতা,মর্যাদা,তাকওয়া দ্বীনদারিতা,বাগ্মীতা,প্রভাব কত উচু পর্যায়ে ছিল।বইটি পড়ে আপনাকে জানতে হবে বিস্তারিত।

ডাবল স্ট্যান্ডার্ডঃ

মরুভূমিতে একটি প্রাণী আছে,যার নাম আন নাফিকা।
প্রাণীটি তার ঘরে ২টি দরজা রাখে।যেন,শত্রু একটি দরজা দিয়ে ঢুকলে সে অন্য দরজা দিয়ে পালাতে পারে।আর,এই চরিত্রের সাথে মিল থাকায় দুমুখো লোকদের বলা হয়ে থাকে মুনাফিক। মানে দ্বৈত চরিত্রের লোক। দুনিয়াতে সবচেয়ে ঘৃণিত চরিত্র হলো এই দ্বিমুখী চরিত্রের বর্ণচোরা লোক। এরা সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রের ঘোরতর শত্রু। সময় ভেদে চেহারা বদলায় কিন্তু চরিত্র বদলায় না। ইসলামের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি এরা করেছে।
ইসলাম কে রুখে দেওয়ার জন্য এরা ষড়যন্ত্রের জাল বুনতেই থাকে৷ তারা ভাইরাসের মত। সমাজ কে শুধু ধ্বংস করতে থাকে ক্রমান্বয়ে।
মুনাফিকের আলামত ৪টি।
অত্যন্ত চমৎকার করে,ব্যাপকভাবে ৪টি আলামতের কথা বর্ণনা করেছেন লেখক।

উসরি ইউসরাঃ কষ্টের সাথে স্বস্তি ।

নানা বর্ণ ও গন্ধে পূর্ণতা পায় জীবনের পরিধি । জীবন বদলাবে,এটা বহমান নদীর মত। বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে জীবনের বহুমাত্রিক রুপের মধ্যে হতাশা একটি মাত্র রুপ,একমাত্র নয়। এটি জীবনে আসা যেমন বাস্তবতা তেমনি অবসান ঘটাও বাস্তবতা। আঁধার কেটে গেলে রাঙা প্রভাত আসবে।
তাই কষ্টের সাথে স্বস্তি এবং কষ্টের পরে সুখ এটাই জীবনের নিয়ম। অনেকেই মনে করেন বিষন্নতা ও হতাশা একই জিনিস কিন্তু তা নয়।
হতাশার মূল কারন হলো বস্তুগত দুনিয়ায় নিজেকে সপে দেওয়া। মুমিনরা দুনিয়া বশ করবে, তা হাতে থাকবে কিন্তু অন্তরে না।

রেগে গেলেন তো হেরে গেলেনঃ

রাগ মানুষের অন্যান্য সহজাত মানবীয় বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি। রাগ নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর।

Cambridge dictionary অনুযায়ীঃ

A strong feeling that makes your want to hurt someone or be unpleased because of something unfair or unkind that has happened.

তবে রাগের ইতিবাচক দিকও আছে যদি এর মাধ্যমে দৃঢ়ভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যায়। আল্লাহর বিধান লংঘনের সময় রেগে যাওয়া মুত্তাকির লক্ষণ। তবে এই রাগকে সঠিক ও নিয়ন্ত্রিত উপায়ে কাজে লাগাতে হবে নতুবা অকল্যাণ বয়ে আনবে। মানে রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। মনে রাখতে হবে মানসিক ক্ষত অনেক সময় শারীরিক ক্ষতের চেয়েও ভয়ংকর।

রসূল সাঃ বলেছেনঃ

সে প্রকৃত বীর না যে কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয় বরং সে প্রকৃত বীর যে ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। ( সহীহ বুখারীঃ ৫৬৮৪)।

শাশ্বত জীবন বিধানঃ

মানুষ যে পদ্ধতিতে জীবন যাপন করে তাকে দ্বীন বলে। আর, মুসলমানদের জন্য আল্লাহ নিজেই দ্বীনের কাঠামো নির্ধারণ করেছেন। এই দ্বীন কোন কালের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,এটি সর্বকালের,সর্বযুগের,সমগ্র মানবতার জন্য। যে দ্বীন আধুনিকতাকে সভ্যতার রুপ দিয়েছে। মানে এটি পরিপূর্ণ এবং ভারসাম্যপূর্ণ।

স্মার্ট প্যারেন্টিংঃ

ভ্রমর ছাড়া যেমন ফুল বাগানের রুপ পূর্ণতা পায় না তেমনি সন্তান ছাড়াও ঘরের সৌন্দর্য অপূর্ণ থেকে যায়। নবী রসূলগণ ও সন্তানহীনতার বিরহ থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়েছেন। কুরআনে সন্তানকে তিন ভাগে বিভক্ত করেছে।
১) সৌন্দর্যের প্রতীক
২) ফিৎনার প্রতীক
৩) শত্রু।
যদি আপনার সন্তান কে সৌন্দর্যের প্রতীক বানাতে চান তাহলে অবশ্যই নিজেকে ঢেলে সাজাতে হবে। সন্তান কে যে রুপে দেখতে চান নিজেকে সে রুপে গড়ে তুলতে হবে৷। লাগবে উত্তম প্যারেন্টিং।

মসজিদঃ

মুসলিমদের ঐক্যের সূতিকাগার হলো মসজিদ। সকল শ্রেণীর মুসলিমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামাজ পড়ে সাম্য ও মৈত্রী গড়ে তুলে। মসজিদ মূলত অমুসলিমদের মত উপাসনা গৃহ নয় বরং এটি উম্মাহর ব্যক্তিজীবন হতে শুরু করে সামাজিক,রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক জীবনের সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু। তাই মসজিদ শুধু মাত্র ইবাদতের জন্য না বরং অপবিত্রতা ও ইমেজ নষ্ট হয় এমন কর্মকান্ড ছাড়া সব হওয়া উচিত। মসজিদে দুনিয়াবি কথা বলা নিষেধ সম্পর্কিত সব হাদিস জাল, বানোয়াট ও মিথ্যা।
আল আসসার পৃঃ ২২৭।
আল মাসনু পৃঃ ১৪৭।
আলফাওয়া ইদঃ খ. ১ পৃঃ ৪৪।

আসমানি বরকতের চাবিঃ

দুনিয়াতে যাই করি না কেন জান্নাতের প্রশ্নে সবাই একমত। সবাই জান্নাতে যেতে চায়। আর এই জান্নাতে যাওয়ার প্রধান উপকরণ গুলোর একটি হলো হালাল রিজিক। আর অন্তরায় হলো হারাম রিজিক। একব্যাক্তির হারাম আয় মাসে ১০০০০০ টাকা। আর মাসে ব্যায় ১২০০০০ টাকা। ২০০০০ টাকা ঋণ হয়। এর প্রধান কারন হলো হারাম ইনকাম। তার হাসপাতালের বিল বেশি আসে রোগের কারনে, ছেলে মাদকাসক্ত,মেয়ে বেয়াড়া,স্ত্রী পরকীয়াতে লিপ্ত ইত্যাদি নানামুখী সমস্যা তাকে ঘিরে থাকে। অন্যদিকে স্বল্প আয়ের মানুষের সম্পদে প্রাচুর্যতা না থাকলেও বরকত থাকে। এটাই বরকত পূর্ণ ও বরকত হীন উপার্জনের মূল পার্থক্য।

বিদায় বেলাঃ

মৃত্যু একটি বাহন স্বরুপ যার মাধ্যমে আমরা ক্ষনস্থায়ী জীবন থেকে চিরস্থায়ী জীবনে প্রবেশ করি। পরকালীন জীবনের ভাগ্য নির্ধারিত হয় দুনিয়ার জীবনের উপর। তাই আমরা ভেজাল মুক্ত নিয়্যতে যদি কাজ করি ইহজীবনে তাহলে আল্লাহ বারাকাহ দিবেন পরজীবনে।

বইটির মূল্যায়নঃ

বইটির প্রচ্ছদ, হার্ড কাভার উত্তম ছিল। পুরুনো ১২টি ম্যাসেজ নতুন করে,বাস্তবতার নিরিখে,কুরআন-সুন্নাহর আলোকে,বিজ্ঞান ও সমসাময়িক বিষয়ের উদাহরণ টেনে বইটি পরিপূর্ণ করেছেন।
বইটিতে কিছু বানান ভুল আছে। যাকাত বানান টি বার,বার ভুল এসেছে।

বই টি কেন পড়বেনঃ

সূরা ফাতিহার একাদিক নামের স্বার্থকথা,প্রয়োজনীয়তা জানতে ও মানতে।
দুআর পথ ও পাথেয় জানতে।
সূরা হুজরাতের আচরণ বিধি জানতে।
উমর রাঃ আনহু এর সফলতাপূর্ণ জীবন বিধান জানতে।
মুনাফিকের যত রুপ আছে তা জানতে।
হতাশা ও বিষন্নতার পার্থক্য ও প্রতিষেধক কি তা জানতে।
তাওয়াক্কুলের পদ্ধতি কি তা জানতে।
রাগ নিয়ন্ত্রনের উপায়।
রাগের ভাল দিক খারাপ দিক।
উত্তম পিতা মাথা হওয়ার মত ও পথ।
মসজিদ শুধু ইবাদত কেন্দ্র না।
বিদায় বেলার পরবর্তী ধাপ ও করনীয় ।

যে কথা গুলো দাগ কেটে যায় অন্তরেঃ

যে চরিত্র সন্তানের মাঝে দেখতে চান সেই চরিত্রে নিজেকে ঢেলে সাজান। পৃঃ ২০৫।
নাম শুধু পরিচয় বহন করে না বরং ব্যক্তিত্ব ও অভিরুচির আয়নাস্বপরুপ। পৃঃ২১০।

যৌবন নামক নিয়ামত নবায়নযোগ্য নয়। পৃঃ ২২৬।

বড়দের নামাজি বানানো কঠিন কিন্তু ছোটদের মসজিদ মুখী করা সহজ। পৃঃ ২৪৭।

ইসলামি সভ্যতা নিদর্শনের দূর্গ হলো মসজিদ। পৃঃ ২৫৮।

হারাম উপার্জনের জন্য কারো না কারো অধিকার বঞ্চিত হয় যা সুস্পষ্ট যুলুম। পৃঃ ২৬৩।

মৃত্যু যখন এসে যায় তখন হুশ ফিরে কিন্তু সময়ের দরজা ততক্ষণে বন্ধ হয়ে যায়। পৃঃ ২৮৩।

আখিরাতের প্রশ্নপত্র আল্লাহ দুনিয়াতে ফাঁস করে দিয়েছেন,এর পরেও যদি আমরা ফেল করি তাহলে সমস্ত দায়ভার আমাদের।পৃঃ ২৮৬।

দুনিয়া পরিক্ষা কেন্দ্র তবে চূড়ান্ত নয়,আখিরাতের মূল পরিক্ষার প্রস্তুতি মাত্র। পৃঃ ২৮৬।

বইটির মোরালঃ

ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্র পর্যায়ে প্রতিক্ষেত্রে, সর্বহ্মেত্রে ইসলাম কিভাবে প্রতিষেদক হিসেবে কাজ করে তা তুলে ধরা হয়েছে ভিন্ন,ভিন্ন ১২টি ম্যাসেজ এর মাধ্যমে।

বইটি কাদের জন্যঃ

বইটি সবার জন্য। তবে তরুণ প্রজন্ম বেশি উপকৃত হবে নিজেদের গড়ে তুলতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিজেদের উদাহারণ হিসেবে দাঁড় করাতে।

পাঠকের জন্য পরামর্শঃ

বইটি পড়তে বিরক্তি লাগতে পারে,পড়তে অনীহা আসতে পারে তবে পড়া শেষে বিরক্তিভাব ও অনীহা কৃতজ্ঞতায় রুপ নিবে।

লেখকের প্রতি পরামর্শঃ

যেহেতু শৈল্পিকতার শেষ নেই তাই বইটি আরো সমৃদ্ধ করা যেত।১২টি অধ্যায় নিয়ে ১২ টি বই লিখার পরামর্শ রইলো বিশেষ করে উমর দারাজদিল।

রিভিউ লিখার উদ্দেশ্যঃ
পাঠককে বইটি পড়তে আগ্রহী করা এবং নিজেকে সমৃদ্ধ করা।

রেটিংঃ ৪.৮/৫

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!