অর্ধবৃত্ত উপন্যাস Pdf | Ordhobritto book pdf free download
অর্ধবৃত্ত উপন্যাস সাদাত হোসাইন pdf free download | Ordhobritto sadat hossain book pdf download:
সাদাত হোসাইনের লেখা অর্ধবৃত্ত উপন্যাসে মূল চরিএ হলো মুনিয়া। মুনিয়ার জীবনের বিভিন্ন ভালো খারাপ বণনা করা হয়েছে।এই আলোচনায় চলে আসে আরও নতুন চরিএ আফজাল হোসেন,মজিদা বেগম,রাফি,সেলিনা,সুমি,দিপু,শফিক আরও অন্যান্য চরিএ। সুমির মারা যাওয়াটা অনেক দুঃখের।নাদিয়ার শেষ পরিনিতি অনেক দুঃখজনক ছিল।কিন্তু শেষ মুহূর্তে নাদিয়া ও শফিকের মিল টা অপ্রতাশীত ছিল।মুনিয়াকে বাচাতে গিয়ে রাফির খুন করতে হয়।পরবর্তীতে রাফির ফাসি হয়।লেখক এই উপন্যাসে দেখিয়েছেন জীবন কখনো বৃত্ত সয়,অর্ধবৃত্ত হয়ে রয়ে যায়।
অর্ধবৃত্ত উপন্যাস এর বিবরণ:
বইয়ের নাম: | অর্ধবৃত্ত |
লেখকের নাম: | সাদাত হোসাইন |
রেটিং : | ৮/১০ |
ফাইল ফরম্যাট: | Pdf free Download(পিডিএফ ডাউনলোড) |
অর্ধবৃত্ত সাদাত হোসাইন উক্তি বা quotes:
এই উপন্যাসের বেশ কয়েকটা উক্তি আমার ভলো লেগেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো_
১।
“আমাকে হারাতে দিলে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিতে ছেয়ে যাবে তোমার শহর”।
২।
“আমি একদিন নিখোঁজ হবো,উধাও হবো রাত প্রহরে,সড়ক বাতির আবছা আলোয়, খুজবে না কেউ এই শহরে।ভাববে না কেউ,কাপঁবে না কেউ,কাদঁবে না কেউ একলা একা।এই শহরের দেয়ালগুলোয়,প্রেমহীনতার গল্প লেখ”।
৩।
“জীবন যেখানেই থামুক,সে কখনো পরিপূর্ণ হতে পারে না।সে সবসময় অপরিপূর্ণ অবস্থায় থামে।এ জন্য জীবন কখনো বৃত্ত নয়।জীবন মূলত অর্ধবৃত্ত”।
৪।
“সে এসে বসুক পাশে,
যেমন করে অসুখ আসে।
তারপর হয়ে যাক যন্ত্রনা অনায়াসে।
তবুও আসুক সে,জানুক
প্রিয়তম অসুখ সে।”
–সাদাত হোসাইন(অর্ধবৃত্ত)
অর্ধবৃত্ত উপন্যাস রিভিউঃ
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাথে দমকা হাওয়া। বারান্দায় একটা উইন্ডচাইম দুলছে। উইন্ডচাইমের টুংটাং শব্দে মুনিয়ার ঘুম ভেঙে গেল। একবার পাশ ফিরে তাকাল সে। জাফর ঘুমাচ্ছে। ঘুমানাের আগে বারান্দার দরজাটাও বন্ধ করতে ভুলে
গেছে জাফর। এখন এই মাঝরাতে উঠে গিয়ে মুনিয়াকেই দরজা বন্ধ করতে হবে। ‘জাফর?’ মুনিয়া ডাকল। জাফর সাড়া দিল না। সামান্য গােঙানির মতাে শব্দ করল কেবল। সাথে মৃদু নাকও ডাকছে সে। মুনিয়া বালিশের পাশ থেকে মােবাইল ফোনটা নিল। যা আশঙ্কা করেছিল তা-ই। উনিশটা মিসড কল! সে জানালা দিয়ে বাইরে তাকাল। মাঝরাত। সােডিয়াম লাইটের আলােয় নিঃসঙ্গ একা এক শহর। এই সময়ের সােডিয়াম লাইটের আলােটা অদ্ভুত। সবকিছু কেমন অপার্থিব মনে হয়। বিভ্রমাত্মক মনে হয়। মনে হয়, এই যেন হুট করে চোখের সামনে দেখা দৃশ্যটা এখুনি কোথাও মিলিয়ে যাবে। তারপর রয়ে যাবে অনন্ত শূন্যতা। সুতীব্র হাহাকার। মুনিয়া আলগােছে বিছানা ছেড়ে নামল। খুব সাবধানে, সতর্ক পা ফেলে সে বারান্দার দরজাটার কাছে এসে দাঁড়াল। এক পশলা শীতল বাতাস এসে ঝাপটা মেরে গেল তার চোখে মুখে। রাস্তার ঠিক উল্টোপাশেই একটা ল্যাম্পপােস্ট। ল্যাম্পপােস্টের নিচে একটা ছায়ামূর্তি। ছায়ামূর্তির মুখ দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু মুনিয়া জানে, রাফি দাঁড়িয়ে আছে। তার হাতে কবিতার খাতা। এই মাঝরাতে সে
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাথে দমকা হাওয়া। বারান্দায় একটা উইন্ডচাইম দুলছে। উইন্ডচাইমের টুংটাং শব্দে মুনিয়ার ঘুম ভেঙে গেল। একবার পাশ ফিরে তাকাল সে। জাফর ঘুমাচ্ছে। ঘুমানাের আগে বারান্দার দরজাটাও বন্ধ করতে ভুলে গেছে জাফর। এখন এই মাঝরাতে উঠে গিয়ে মুনিয়াকেই দরজা বন্ধ করতে হবে। ‘জাফর?’ মুনিয়া ডাকল। জাফর সাড়া দিল না। সামান্য গােঙানির মতাে শব্দ করল কেবল। সাথে মৃদু নাকও ডাকছে সে। মুনিয়া বালিশের পাশ থেকে মােবাইল ফোনটা নিল। যা আশঙ্কা করেছিল তা-ই। উনিশটা মিসড কল! সে জানালা দিয়ে বাইরে তাকাল। মাঝরাত। সােডিয়াম লাইটের আলােয় নিঃসঙ্গ একা এক শহর। এই সময়ের সােডিয়াম লাইটের আলােটা অদ্ভুত। সবকিছু কেমন অপার্থিব মনে হয়। বিভ্রমাত্মক মনে হয়। মনে হয়, এই যেন হুট করে চোখের সামনে দেখা দৃশ্যটা এখুনি কোথাও মিলিয়ে যাবে। তারপর রয়ে যাবে অনন্ত শূন্যতা। সুতীব্র হাহাকার।
মুনিয়া আলগােছে বিছানা ছেড়ে নামল। খুব সাবধানে, সতর্ক পা ফেলে সে বারান্দার দরজাটার কাছে এসে দাঁড়াল। এক পশলা শীতল বাতাস এসে ঝাপটা মেরে গেল তার চোখে মুখে। রাস্তার ঠিক উল্টোপাশেই একটা ল্যাম্পপােস্ট।
ল্যাম্পপােস্টের নিচে একটা ছায়ামূর্তি। ছায়ামূর্তির মুখ দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু মুনিয়া জানে, রাফি দাঁড়িয়ে আছে। তার হাতে কবিতার খাতা। এই মাঝরাতে সে মুনিয়াকে কবিতা না শুনিয়ে যাবে না। মুনিয়া বুঝতে পারছে না, তার কি আনন্দিত হওয়া উচিত? না বিরক্ত?
রাফি কম করে হলেও তার চেয়ে আঠারাে বছরের ছােট বেশিও হতে পারে। ঋদ্ধির বান্ধবীর বড় ভাই সে। ইউনিভার্সিটিতে ফাইনাল ইয়ারে পড়ে। আর মুনিয়া ইউনিভার্সিটি শেষ করেছে সতেরাে বছরেরও বেশি! এভাবেই কাহিনী আগাতে থাকে………………