তালেবানের ইতিহাস Pdf Download (All)
তালেবান বই pdf
বর্তমানে তালেবানের সামরিক শক্তির অনেকটা এগিয়েছে। তারা আর পৃথিবীর বড় বড় রাষ্ট্রগুলোকে ভয় করে না। আমেরিকানও তালেবানদের এখন ভয় পায়। তালেবান কি সন্ত্রাসী? এই প্রশ্নটা অনেকে করে থাকেন। তাদের সম্পর্কে যদি আপনি সম্পূর্ণ বিস্তারিত জেনে থাকেন তবে তাদের কখনোই আপনি সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করবেন না এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।
তালেবান বা তালিবান (পশতু: طالبان, অনুবাদ ‘ছাত্র’) আফগানিস্তানের একটি দেওবন্দি ইসলামি আন্দোলন এবং সামরিক সংগঠন যারা বর্তমানে দেশের মধ্যে যুদ্ধরত (একটি বিদ্রোহ বা জিহাদ) আছে।[১][২] ২০১৬ সাল থেকে মৌলভি হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা তালেবান নেতা।[৩] ২০২১ সালের হিসাবে তালেবানের আনুমানিক ২,০০,০০০ যোদ্ধা রয়েছে।[৪] ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান আফগানিস্তানে ৪ ভাগের ৩ ভাগের ক্ষমতায় ছিলো।[৫]১৫ আগষ্ট ২০২১ গণির নেতৃত্ব আবারো আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে সংগঠনটি।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ অঞ্চল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং তারা সেখানে ইসলামি আইন (শরিয়ত) প্রণয়ন করেছিলো।[৬] ১৯৯৪ সালে আফগান গৃহযুদ্ধের অন্যতম প্রধান দল হিসেবে তালেবানের আবির্ভাব ঘটে। এই দলটি মূলত পূর্ব ও দক্ষিণ আফগানিস্তানের পশতুন এলাকার ছাত্রদের (তালিব) নিয়ে গঠিত হয় যারা ঐতিহ্যবাহী ইসলামি বিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করেছিলো এবং সোভিয়েত–আফগান যুদ্ধের সময় যুদ্ধ করেছিলো।[৭][৮] মোহাম্মদ ওমরের নেতৃত্বে, এই আন্দোলন আফগানিস্তানের বেশিরভাগ অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাত প্রতিষ্ঠিত হয় এবং আফগান রাজধানী কান্দাহারে স্থানান্তরিত হয়। ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর ২০০১ সালের ডিসেম্বরে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আক্রমণের পর ক্ষমতাচ্যুত না হওয়া পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ অংশ তালেবানের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছিলো মাত্র তিনটি দেশ: পাকিস্তান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। পরে এই দলটি আফগানিস্তান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কারজাই প্রশাসন এবং ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তা বাহিনীর (আইএসএএফ) বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি বিদ্রোহ আন্দোলন হিসেবে পুনরায় একত্রিত হয়।
আফগানিস্তান পরিচিতি: এশিয়া মহাদেশের একটি দেশ আফগানিস্তান। দেশটির আধুনিক কালের ইতিহাস সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতাপূর্ণ। বর্তমান বিশ্বের যে সব এলাকা বৃহৎ শক্তিগুলোর সামরিক তৎপরতায় সদা রক্তাক্ত আফগানিস্তান সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০১-এর সন্ত্রাসী হামলার পর সহ ০০ 1৬০29-এর যে আগ্রাসী নীতি ঘোষণা করেন তাতে 7410 এবং :বিশ্বের অন্যান্য দেশ বুশের আহ্বানে সাড়া দেয় এবং আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে।
গত এক দশক ধরে আফগানিস্তানে আমেরিকা সূচিত এই সামরিক ভৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাহিনীর সমর্থনপুষ্ট হামিদ কারজাই সরকার বর্তমান আফগানিস্তান শাসন করছে। কাবুল, কান্দাহার, হিরাত ইত্যাদি শহর সমূহ বহুজাতিক বাহিনী-ও আফগান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তালেবান বাহিনীর গ্রামাঞ্চলে যথেষ্ট তৎপর রয়েছে। পাক-আফগানিস্তান সীমান্তে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
তালেবান প্রধান মোল্লা ওমর অব্যাহতভাবে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন জুন, ২০১১-তে মার্কিন আক্রমণে নিহত হয়েছেন। তীর ডেপুটি আইমান আল জাহওয়ারি মার্কিন তথা পাশ্চাত্য বিরোধী তৎপরতা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় চোলকবিহীন বিমান) প্রতিদিনই তালেরান যোদ্ধা ও নিরীহ সাধারণ মানুষ নিহত হচ্ছে।
২০০১ সালে মার্কিন সামরিক ‘ অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার মার্কিন-ব্রিটিশ-ফরাসি সেনা তালেবানদের আক্রমণের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। বর্তমান আফগান পরিস্থিতি রাজনৈতিকভাবে উত্তেজনামুখর এবং সামরিক দিক দিয়ে সংঘাতপূর্ণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তবে তা পর্যায়ক্রমে হলেও কারজাই সরকার আফগান বাহিনীর মাধ্যমে তালেবানদের প্রতিরোধ করতে পারবেন কি না তাতে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। – ১৯৯০-এর দশকে সোভিয়েত আগ্ৰাসস যেমন আফগানিস্তানে রাজনৈতিক
স্থিতিশীলতা দিতে পারেনি তেমনি মার্কিন নেতৃত্বাধীন রক অভিযানও আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।
আধুনিক আফগানিস্তানের ধারাবাহিক ইতিহাস বর্ণণা করার পূর্বে আফগানিস্তানের ভৌগোলিক ও জাতিগত পরিচয় প্রদান করা প্রয়োজন। সেই সাথে দেশটির অতীত ইতিহাস সংক্ষেপে পর্যালোচনা করা আবশ্যক। ভৌগোলিক পরিচয় মধ্য এশিয়ার একটি রাষ্ট্র হিসেবে আফগানিস্তান পরিচিত ।
দেশটির উত্তরে রয়েছে প্রাক্তন সৌভিয়েত ইউনিয়নভূক্ত দেশ তুর্কিস্তান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তান রাষ্্রসমূহ। পশ্চিমে রয়েছে ইরান (পারস্য) এবং পূর্ব ও দক্ষিণে রয়েছে পাকিস্তান। এবং কাশ্মিরের হুন্জা। দেশটির আয়তন ২,৫০,০০০ বর্গমাইল (৬,৪৭,৫০০ বর্গকিলোমিটার)। লোকসংখ্যা প্রায় দুই কোটি, রাজধানী__কাবুল। মাজার-ই- শরীফ, হিরাত, গজনি, কান্দাহার ইত্যাদি প্রধান শহর। দেশটি পার্বত্যময় হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো যথেষ্ট পশ্চাৎপদ।
বড় শহরগুলোর সঙ্গে বিমান যোগাযোগ রয়েছে। আফগানিস্তান মূলত,একটি স্থল বেষ্টিত দেশ। আফগানিস্তানের মধ্যবর্তী পর্বতমীলা দেশটিকে পূর্ব ও পশ্চিমে বিভক্ত করে রেখেছে। পর্বতমালার পূর্বাংশ হিন্দুকুশ নামে পরিচিত। পর্বতমালার শূঙ্গসমূহ যথেষ্ট উচু । এইগুলোর উচ্চতা ২০,০০০ থেকে ২৫,০০০ ফুট । দেশটির আরো পশ্চিমে রয়েছে ১৫,০০০ ফুট উচ্চতার পাগমান পর্বতমালা । আরো পশ্চিম দিকে প্রধান পর্বতগুলোর মধ্যে রয়েছে কোহ্-ই-বাবা (১৬,৯০০ ফুট), বান্দ-ই-বয়ান (১২,৩০০ ফুট) এবং সাফেদ কোহ্ (১০,৪০০ ফুট)। আফগানিস্তানের মধ্যবর্তী ভৌগোলিক কাঠামো চারটি প্রধান নদী নির্ভর। আমুদরিয়া, হানরুদ, হেলমান্দ, আরগন্ধব, কাবুল সহ বেশ কিছু শাখা নদী আফগানিস্তানে প্রবাহিত রয়েছে। দেশটিতে রয়েছে প্রচুর বনজ সম্পদ । পার্বত্য এলাকায় দেওদার, সিডার ও পাইন গাছ প্রচুর জন্মায়।
links:
তালেবানের মেয়ে বই pdf bangla
তালেবান সৃষ্টির ইতিহাস (Click Open/খুলুন) –
আফগানিস্তানে আমি আল্লাহকে দেখেছি pdf link
আফগানিস্তান অতীত ও বর্তমান pdf
মোল্লা ওমর তালেবান ও আমি pdf – Link :-1 | Link :-2 | Link :-3 | Link :-4