হুজুরের বউ বই Pdf & রিভিউ (All Books)
হুজুর হয়ে হাসো কেন pdf রিভিউ – সন্ধান হুজুর হয়ে টিম pdf – হুজুরের বউ বই pdf
বই~হুজুর মিয়ার বউ পিডিএফ রিভিউ
“বাজার থেকে তােমার জন্য লাল চুড়ি আর বাদাম এনেছিলাম।
“তাহলে দেননি যে?
“চাঁদের আলােয় তােমাকে নিয়ে বিলের পাড়ে ঘুরতে যাবাে বলে দেইনি।
“রাতের বেলা বিলের পাড়ে! কেউ দেখে ফেললে?
“দেখবে কেমন করে? মুখটি তােমার চাদরে ঢেকে রাখবে। জানাে না বুঝি! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জোছনা রাতে আম্মাজান আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে নিয়ে মরুভূমিতে চলে যেতেন। খেলা করতেন। হাঁটতেন। তাহলে আমরা কি রাসূলের সুন্নাত আদায় করবাে না!
“অবশ্যই যাবাে। কিন্তু আমার চুড়ি আর বাদাম?
নূরে আলম পাঞ্জাবির পকেট থেকে চুড়ি বের করে মীমের হাতে পরিয়ে দিলাে। এবার দু’জনে গলাগলি করে বিলের পথে হাঁটতে লাগলাে। নূরদের বাড়ি থেকে বিলের দূরত্ব, পাঁচ মিনিটের রাস্তা। ক্ষিপ্রপদে হাঁটলে তিন মিনিটেই বিশাল এক বিলের দেখা মেলে। এই বিলের জল কখনাে শুকিয়েছে বলে কেউ সাক্ষ্য দিতে পারে না। গ্রামবাসী বলেন, বিলের মাঝখানে ঢের জায়গা জুড়ে পানির তলায় মৃত্তিকা নেই! সেখানের পানিটুকুও বর্ণহীন। সাংবাদিকরা বহুবার পর্যবেক্ষণেও এর কোনাে সমাধানে আসতে পারেনি।
আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ এই বিলের মাছেই বাঙালি হয়ে আছে। জেলেরা জীবিকা উপার্জনের পথ হিসাবে বিলটাকেই আপন করে নিয়েছে। বিলের অদ্ভুত একটি নামও আছে। আইলি বিল।
আমার খুব ইচ্ছে জাগে! কোনাে এক দিবােস কালো বর্ষায় নৌকাডুবি হয়ে ‘আইলি বিলের মধ্যান্যে যাবাে। বর্ণহীন জল আর পানির তলায় মাটি তালাশে মত্ত হবাে। জেলেরা আমায় দেখে চেঁচিয়ে বলবেন ‘ঐ দিকে যাইয়াে-না।…বিপদ হইবাে…’ তাদের ডাক কর্ণপাত করবাে না। আমার মতাে করেই এগিয়ে যাবাে। কারণ, কৌতূহলে পিছু শুনতে নেই। আমি যে দিবােস-কালাে মুহূর্ত বেছে নিয়েছি কেউ যেনাে পিছু না ডাকে আমায়। তবুও কেনাে ডাকছে? ওরা হয়তাে অবগত নয় যে, আমার একাকীত্ব বিলের জলে মিশাতে চাই; তাই ডাকাডাকির পাল্লা দিয়েছে। ওদেরকে এমন বর্ষা দিনে কাঁঠালের সাথে
ধানের খই খাইয়ে ঘুম পাড়ানাে উচিত।
জানি না আমার ইচ্ছা কখনাে পূর্ণতা দিবে কি-না, তবে ইচ্ছে-নদীতে সাঁতার কাটতে নেই মানা। তাছাড়া জীবনের সব ইচ্ছে পূর্ণ করতে নেই, তাহলে যে আফসােসের দরজায় খিল এঁটে যাবে!
বিলের পাড়ে এসে ঘেষাঘেষি হয়ে দাঁড়ালাে ওরা। অল্প সময় বাদে সবুজ ঘাসে পিঠাপিঠি বসলাে দু’জন। পা-জোড়া মেলে দিয়ে গল্পের হাড়ি পাতলাে জোছনা ধারায়। চাঁদের আলােয় রজনীকে দিবসের মতাে লাগছে। কোথাও কোথাও ঝিঁঝিঁ পােকার ডাক শােনা যাচ্ছে। মৃদু বাতাস বইছে। সেই বাতাসে বিলের
বুকে লগবগে ঢেউ উঠেছে। বিলের জলে দৃষ্টি দিলে মনে হয়- মরুর বুকে বালুকণা চিকচিক করছে! এক চাহনিতে দুটো চাঁদ দেখা যাচ্ছে। একটি গগনে অন্যটি জলের তলে। ঢেউয়ের সাথে চাঁদটিও তাল মিলিয়েছে। কখনাে বেঁকে, কখনাে-বা আবার হাসছে। সব মিলিয়ে মন্দ কোথায়! প্রভুর অপরূপ নিদর্শন অবলােকনে তাদের বেশ ভালােই লাগছে। বক্ষপিঞ্জরে খুশির জোয়ার বইছে।
আচমকা নূরের বাহু ধরে ঝাঁকুনি দিয়ে আফসােসের সুরে বললাে মীম- ‘ইশ, এই চাঁদনী রাতে যদি নৌকায় চড়তে পারতাম!’
রাত গভীরে নৌকা পাওয়ার চিন্তায় নিমগ্ন হলাে নূরে আলম। ভাবােন্মত্ত পথ বেশিদূর এগুতে হলাে না তার। আপন অস্তিত্ব মনে করিয়ে দিলাে, তাদের অদূরেই কয়েকটা বাড়ির কথা। সেই বাড়িতে নৌকার সন্ধান অনিবার্য। অবিলম্বে উঠে দাঁড়ালাে। মীম কিছু বুঝার পূর্বেই তাকে নিয়ে বাড়ির আঙিনায় পৌঁছে গেলাে। দরজায় কয়েকবার কড়াঘাতের পর এলাে চুলে মধ্যবয়সী একজন লােক বেরিয়ে এলেন। নূরে আলমকে দেখে অগাদ বিস্ময়ে তাকালাে। বেশ কিছু সময় অবাক নয়নে তাকিয়ে রইলাে। চোখদুটো কচলে স্মিতহাস্যে জিজ্ঞেস করলেন লােকটি-
“আফনে অতাে রাইতে আমার বাড়ি! কোনাে ঝামেলা হইলাে না-তাে?
জাজ্বল্যমান চেহারায় নূরে আলম জবাব দিলাে-
“না ঝামেলার কিছু না। আকাশে চাঁদ উঠেছে। তাই বউকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। বউ আমার ইচ্ছে করেছে, নৌকায় চড়বে। বিলের পাড়ে কয়েকটা নৌকা দেখলাম, একটা নৌকার প্রয়ােজন ছিলাে।
ব্যবস্থা করা যাবে কি?
“অতাে রাইতে নৌকা চালাইবেন?
“হুম, বউয়ের ইচ্ছে বলে কথা।
‘লগে আর কেডা?
“আর কেউ নেই। আমি আর বউ।
“কী কন! আফনেরা দুইজনে এই মাঝ-রাইতে…..
“হ্যাঁ। সাথে আমার বউ থাকবে ।
“এই বিলের মধ্যে আজির আছে। সমস্যা করবো।
“প্রতিটি বিলেই ‘জ্বীন’ থাকে। কোনো সমস্যা নেই। কুরআনের আয়াত দ্বারা আমারে মীর বন্ধ আছে। কোনো ক্ষতি করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
“এই রাইতের বেলা আইলি বিলে কেউ নৌকা চালায় না। কোনাে সমস্যা হইলে, এলাকার মানুষ আমারে ধরবো।
“আপনি কোনাে চিন্তা করবেন না। ইনশাআল্লাহ আমাদের কিছু হবে না। আপনি শুধু নৌকার বৈঠা দিন।
লােকটির আত্মা সায় দিলাে না। তবুও এবড়াে-খেবড়াে চেহারা করে ঘর থেকে বৈঠা এনে দিলাে নূরের হাতে। ছপাৎ ছপাৎ কণ্ঠে বললাে, ‘সাবধানে থাইকেন নূরে আলম হ্যাঁ সূচক মাথা ঝুকালাে। বৈঠা হাতে মীমের দিকে ফিরে দুষ্ট হাসি উপহার দিয়ে বললাে নূর-
“আমি কিন্তু নৌকা বাইতে পারি না। তাই নৌকা নিয়ে বেশি দূর যাওয়া যাবে না। আশপাশেই থাকতে হবে।
“এতদূর যেতে হবে না। নৌকায় উঠবাে আর আপনার কোলে বসে জল স্পর্শ করবাে। আপনি আমায় বাহুতে আবদ্ধ করে রাখবেন।
“তােমার ঐ মধুমাখা হাতে জল স্পর্শ করবে!
“জলের প্রাণিরা যদি শুভ্র আঙ্গুল কামড়ে ধরে?
“কেন ধরবে?
“কারণ, ইতিপূর্বে ওরা কখনাে এমন প্রেমপরায়ণ হস্ত দেখেনি।
“বলছে আপনারে?
“সব কথা বলতে হয় না, কিছু কথা আবেগে বলে ফেলে।
“এত বলতে হবে না, এখন নৌকাতে উঠেন।
“আচ্ছা ঠিক আছে। তবে আরেকটা কথা..
কী কথা?
“হাত বেশি সময় পানিতে রাখবে না।
“কেন?
“পানিতে ‘জোঁক আছে।
জোঁকের কথায় চমকে উঠলাে মীম। নূরের বাহুদ্বয় শক্ত করে ধরে উৎকণ্ঠার সুরে বললাে-
“তাহলে নৌকায় উঠবাে না। এখানে বসেই গল্প করি ।
নূরে আলম গঈবা নাড়িয়ে বিননি দুলিয়ে বললো-
“সাহসী ব্যক্তিরা ভয়ে কখনাে নিজের ইচ্ছাশক্তিকে
ঠেলে দেয় না। আমি জানি তুমি ভীষণ সাহসী। তাহলে চুপসে গেলেন মে?
উভয়ে নীরব। একজন ভয়ে, ওপরজন লজ্জায়। এভাবেই নৌকায় চড়ে বসলাে দুজন। নূরে আলম একপ্রান্তে আর মীম তার সামনে। বিলের কূল ঘেঁষে বৈঠা দিতে লাগলাে নূর। আমায় যদি প্রশ্ন করা হয়, কেমন মানিয়েছে তাদের?’ উত্তরে শুধু এটুকুই বলবাে, তাদের দেখে রাতের পরীরাও হয়তাে লজ্জানুভব করেছে।’
ডান হাতে শাপলা উঠিয়ে মীমের খোঁপায় গেঁথে দিলাে নূর। লােলুপতার চোখে নূরের দিকে তাকিয়ে বললাে মীম-
“ভালােবাসার উপহারগুলাে শুধু আপনি দিয়ে থাকেন। আপনাকে দেয়ার মতাে কিছুই নেই আমার কাছে। কী দিবাে বলেন-তাে?
“তুমি যা দিয়েছাে, এর চেয়ে বেশি আর কিছুই চাই না।
“কি এমন দিয়েছি যে, আপনার চাওয়ায় পূর্ণতা এনে দিলাে!?
“কি দেওনি তাই বললা! তােমার মা-বাবা, ভাই-বােন, আত্মীয়-স্বজন, সবাইকে রেখে একটা অচেনা, অজানা, অপরিচিত পাগলের কাছে পড়ে আছাে। তােমার জীবনটাই আমার সাথে জড়িয়ে রেখেছে। তােমার প্রেমালিঙ্গনে প্রতিটি মুহূর্তে আমায় ভাসিয়ে রাখছাে। তােমাকে আমায় বিলিয়ে দিয়েছে। এরচেয়ে চাওয়া-পাওয়ার আর কিই-বা হতে পারে!
লজ্জাবনিত চেহারায় মস্তক অবনত করে বললাে মীম-
“ধ্যাৎ! আপনি শুধু আমাকে লজ্জা দেন।
“লজ্জা তাে ওর পাওয়া উচিত।
“ওর পাওয়া উচিত বলতে! আমি ছাড়া এখানে আর কে আছে?
“যার জোছনায় আমরা স্নান করছি, সে আছে।
“চাঁদের সাথে বুঝি মানুষের তুলনা হয়?
“ভালােবাসার মানুটি কখনাে কি, অন্য কিছুর চেয়ে ভালাে দেখায়?
“তাই বলে চাঁদের সাথে আমি নগণ্য এক বান্দীর উপমা!
“জোছনা রাত হলাে ভালােবাসা বিলানাের অন্যতম একটি মাধ্যম। চাঁদ তােমার চেয়ে সুন্দর নয়। কেননা কুরআনে সূরা তিনের চার নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে- ‘শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্য দিয়ে মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে। লাইলি-মজনুর মতাে প্রতিটি প্রেমিক-প্রেমিকার চোখে, তার ভালােবাসার
মানুষটি শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্যের অধিকারী।
“হয়েছে, আর বলতে হবে না।
“আচ্ছা আর বলবাে না। তবে একটা কথা রাখতে হবে।
“কী কথা?
“আঁচলে তােমার মুখটি ঢেকো।
“কেন, কেন?
“তােমার রূপ-যৌবনে আসক্ত হয়ে যদি মেঘের আড়ালে চন্দ্র লুকিয়ে পড়ে, তাহলে পৃথিবী আঁধারে ঢেকে যাবে!
“আপনার যাদুময় কথা বন্ধ করেন, অন্যথায় রাতের পরীরাও আপনার পিছু নেবে।
“হিংসে হয় বুঝি?
“হওয়াটা স্বাভাবিক নয়-কি? কেউতাে চায় না, ভালােবাসার ভাগ অন্য কাউকে দিতে?
“তা অবশ্য চা-য়-না, কিন্তু আমি যদি আরাে একটা বিয়ে করি, তাহলে?
“আমি যদি আপনার চাহিদা পূরণে অক্ষমতা প্রকাশ করি, অথবা দ্বীনি প্রয়ােজন পড়ে, তাহলে অবশ্যই আপনি আরেকটা বিবাহ করবেন। কেননা ইসলামে এর বিধান রয়েছে।
“তুমি কি পূর্বে থেকেই জ্ঞানী, না পরবর্তীতে হয়েছ?
“আপনার ভালােবাসার সংস্পর্শে হয়ত জ্ঞান বৃদ্ধি পেয়েছে।
“আমার কথা আমাকেই ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে! বাদ দাও, এবার একটা গজল গাও।
“অবশ্য ঠিক বলেছেন। চাঁদনী রাত, নৌকার উপর দুটি হৃদয় প্রেমালিঙ্গনে মগ্ন। এই মুহূর্তে গজল শুনতে বড় ভালাে লাগবে। কিন্তু আপনার কি জানা নেই, রাতের স্তব্ধতায় নিম্ন আওয়াজও অধিক মনে হয়? আমি মেয়ে মানুষ, আমার কণ্ঠেরও পর্দা আছে। তাই গাইতে পারবাে না। যখন আমরা বাড়ি ফিরে যাবাে, তখন আপনি আমার উড়তে মাথা রেখে শুয়ে থাকবেন, চাঁদের আলাে এসে আপনার মুখে পড়বে,
আর সেই চাঁদমাখা মুখটি দেখে গজল গাইবাে।
“তাহলে এখনই বাড়ি চলাে?
“বড্ড সুখানুভব করছি। জোছনা রাতে নৌকার উপর ভালােবাসার মানুষটির বুকে মাথা রেখে গল্প করতে।
“তা অবশ্য ঠিক বলেছাে। তাহলে এখন কী করা যেতে পারে?
“আপনি গজল গাইবেন, আমি শুনবাে।
“আমার গলার যে অবস্থা… যদি গজল গাইতে শুরু করি, আশপাশের যত পশুপাখি ঘুমিয়ে আছে, স-ব ছুটে চলে আসবে।
“তাহলে তাে আরাে বেশি ভালাে হলাে! আপনার গজলের ওসিলায় বেশকিছু পশু-পাখির দেখা মিলবে।
“আমার গজল শ্রবণের পূর্বে, একটা গল্প শােনাে।
“জ্বী, বলেন।
“কোনাে এক চাঁদনী রাতে বাসার ছাদে হাঁটছিলাম। চাঁদের আলােয় বেশ ভালাে লাগছিলাে। তুমি তাে জানােই ‘চাঁদনীময় রাত আমার কাছে খােদার দেয়া অপরূপ নিদর্শননের মাঝে শ্রেষ্ঠ রজনী।’ ছাদের কিণারায় বসে গজল গাইতে শুরু করলাম।
আচমকা কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম! এদিক-সেদিক তাকিয়ে দেখি, পাশের বাসায় চাচি-মা কান্না করছেন। ভাবলাম! আমার গজল শুনে হয়তাে উনার খুব ভালাে লেগেছে, আর সেই খুশিতেই
চোখ বেয়ে জল নেমে এসেছে। চাচীর কাছে গেলাম। খুশি মনে জানতে চাইলাম-
‘কি-ও কাকিমা, কাঁদছেন কেন? আমার গজল শুনে অতীতের কথা মনে পড়ছে বুঝি?’ কাকিমা চোখের জল মুছতে মুছতে জবাব দিলেন- ‘হ্যাঁ বাবা! অতীতের কথাই মনে পড়ছে। আজ থাইকা বহুদিলেন- “হ্যাঁ বাবা! অতীতের কথাই মনে পড়ছে। আজ থাইকা বহু বছর আগে আমার একটা ছাগল হারাইয়া গিয়েছিলাে। তারে হারানাের দুঃখ, আজো আমি ভুলতে পারি না। ঘরে শুয়া অবস্থায় হঠাৎ-ই আমার কানে সেই সুরটা বাজলাে, যেই সুরে আমার
হারিয়ে যাওয়া ছাগলটা ডাকতাে। চিন্তা করলাম, বহুবছর পরে মনে হয় আমার আদরের ছাগল ফিইরা আসছে। তাই দৌড়াইয়া ছাদে আসলাম। আইসা দেখি তুমি গান গাইতাছাে। তােমার সুর
আমার ছাগলের কথা মনে করাই দিয়েছে।
মনে করাই দিয়েছে। তাই কান্না করতাছি।’ কাকিমার ঘটনার পর থেকে, আমার গান গাওয়া বন্ধ।
হাতের মুঠোয় এক-রতি পানি নিয়ে নূরের মুখে নিক্ষেপ করে হাসতে হাসতে বললাে মীম-
“আপনার সাজানাে-গােছানাে মিথ্যেগুলােও, অনেক ভালাে লাগে।
“আচ্ছা ঠিক আছে, তুমি বাড়িতে গিয়ে গজল শােনাবে, আমি এখন গল্প বলি?
“ওহাে, এখন গল্প শুনবাে না। বুকসেলফে বেশ কয়েকটি ডায়েরি দেখেছি আপনার। সেখানে শত শত কবিতা পড়েছি। প্লিজ আমার জন্য কয়েকটা
কবিতা বলেন না?
“কবিতা লেখা বা বলার জন্য একটা মুহূর্ত লাগে।
“চাঁদের আলােয় আপনার ভালােবাসার মানুষটি পাশে। এর চেয়ে রােমাঞ্চকর মুহূর্ত আর কিই-বা হতে পারে! নাকি অন্য কেউ আছে?
“ধুর, কি যে বলাে…. আচ্ছা তাহলে শােনাে আমি বলছি। আর হ্যাঁ, আমার এই কবিতাগুলােকে কবিদের কাতারে রেখে বিচার করাে না, তাহলে হয়তাে একটা বাক্যের’ও অস্তিত্ব টিকবে না। লিখা গুলাে তােমার ভালােবাসা দিয়ে বিচার করাে, তাহলে হয়তাে কবিতার মতাে লাগবে। বিয়ের পূর্বে এমনি লিখেছিলাম। তােমাকে দেখাব বলে।“তখন তাে আমি ছিলাম না, তাহলে আমার জন্য কেমনে লিখলেন?
“তা ঠিক, তুমি ছিলে না। তবে আমার হনেওয়ালা বিবির জন্য লিখেছিলাম; সে যেই হােক না কেন। বিবি যেহেতু তুমি হয়েছে, তাহলে যে তােমার জন্যই লিখা।
“ও আচ্ছা! তাহলে বলেন শুনি।
মীমের মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে লাগলাে নুর’-কবিতার নাম সুখের রাজ্য….