বাংলা পিডিএফ বই সমগ্র (all)
অপরাজিতা উপন্যাস Pdf download
Aparajito pdf – অপরাজিতা উপন্যাস pdf download
Book | অপরাজিত |
Author | বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় |
Publisher | দে’জ পাবলিশিং (ভারত) |
ISBN | 9788128511904 |
Edition | 2nd Edition, 2014 |
Number of Pages | 336 |
Country | ভারত |
Language, format | বাংলা, পিডিএফ ডাউনলোড, Pdf download |
ফাইল ফরম্যাট (file format): | Free Bangla Pdf book Download (পিডিএফ ডাউনলোড), epub, kindle MOBI |
অপরাজিতা পিডিএফ ডাউনলোড link:
আরও পড়ুনঃ
বইঃ দুইশো তেরোর গল্প
অসম্ভব সুন্দর, অসাধারণ, অতুলনীয় – কোনো বিশেষণই হয়তো ‘দুইশো তেরোর গল্প’ এর জন্য যথেষ্ট নয়।
‘দুইশো তেরোর গল্প’ উপন্যাসটি আপনাকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের ২১৩ নম্বর রুমের বাসিন্দা ইফা এবং তার খুব কাছের কয়েকজন বন্ধুর মেডিকেল জীবনের গল্প শোনাবে।
উচ্চশিক্ষা লাভের প্রয়াসে আমাদের মাঝে অনেককেই পরিচিত গণ্ডির বাইরে বেরিয়ে পা ফেলতে হয় নতুন পরিবেশে, খাপ খাওয়াতে হয় অচেনা সব মানুষের সাথে। ইফার ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছিল। দীর্ঘদিনের চেনা পরিবেশের মায়া কাটিয়ে পাড়ি জমাতে হয়েছিল সিলেটে।
ইফার বাবা-মা ইফাকে হোস্টেলে রেখে অশ্রুসজল চোখে যখন বাড়ির পথ ধরছিলেন,তখন অজান্তে আমার চোখও ভিজে উঠছিলো। জীবনের প্রথম আঠারো বছর বাসাতে কাটানোয় বাবার আদর-সোহাগমাখা ডাকে ঘুম ভাঙা এবং মায়ের হাতে ভাত খাওয়ার অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল ইফার। তাই, অ্যালার্মের কর্কশ শব্দ শুনে ঘুম থেকে ওঠা এবং ক্যান্টিনে দু’বেলা প্লেট হাতে দাঁড়িয়ে থাকা তার কাছে ক্রমেই অসহ্য লাগতে থাকে। তবে, এর মাঝেই ধীরে ধীরে হলরুমের বেশ কিছু মেয়ের সাথে ইফার ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। হোস্টেলের প্রথম দিনে যারা ছিলো নিতান্তই অপরিচিত,তারাই হয়ে ওঠে সবচেয়ে আপন।
ইফার বন্ধুদের মাঝে রিচি,বিভা,তরু,অদ্রিজা,রূপার নাম আলাদাভাবে উল্লেখ করতেই হয়। পরবর্তীতে অভি,শিপলু,আহনাফ,নুরাত,মায়া সহ আরো অনেকেই ইফার বন্ধুতালিকায় যুক্ত হয়।
হলরুমে ওঠার বেশ কিছুদিন পরেই ইফারা নিজেদের রুম পায়,যে রুমের নম্বর ছিলো ‘দুইশো তেরো’। ইফার রুমমেট ছিল বিভা,তরু এবং রিচি। এই ‘দুইশো তেরো’ নম্বর রুমটিই কালক্রমে হয়ে ওঠে ইফাদের সুখ-দুঃখময় নানান অনুভূতির সাক্ষী।
‘দুইশো তেরোর গল্প’ উপন্যাসের কিছু অংশ পড়ে যেমন হাসির দমকে লুটোপুটি খেয়েছি,তেমনি কিছু কিছু অংশ পড়ে মুখ বেজার করে কেঁদেছি। আবার, কিছু অংশ পড়ে আনন্দাশ্রু ঝরাতেও কার্পণ্য করিনি।
অতিরিক্ত চাপে অদ্রিজার অজ্ঞান হয়ে যাওয়া,তরুর ফোন হারানো,চৌদ্দ বছরের কিশোরীর পোস্ট মর্টেম,পরিবারের অবহেলায় রূপবতী মেয়ের মৃত্যু প্রভৃতি ঘটনা যেমন আমাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়েছে, তেমনি প্রথমবারের মতো ইফার টিউশনি পাওয়া, সব বন্ধুর একসাথে এমবিবিএস পাশ করা এবং কস্মিনকালের জন্মের মতো ঘটনাগুলো আমাকে প্রচুর আনন্দ দিয়েছে।
ফাইনাল প্রফে পাশ করার পর ইফা যখন তার বাবা-মাকে একসাথে বসিয়ে বলে, ‘আমি পাশ করসি,আমি ডাক্তার হয়ে গেসি!’ – ইফার তখনকার আবেগ যেন আমাকেও স্পর্শ করেছিল।
ইফার ইন্টার্ন লাইফের গল্পগুলো যেন আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছিলো ডাক্তারদের সকল ত্যাগের কথা। আদর্শ ডাক্তাররা কখনো নিজেদের আরাম-আয়েশের কথা ভাবেন না। প্রচন্ড গরমে ঘামতে ঘামতে,মাটিতে হাঁটু গেঁড়ে বসে তাঁরা দিব্যি রোগী দেখে যান। রোগীর দুঃখ-কষ্টের সামনে, তাঁদের নিজেদের দুঃখ-কষ্ট নিতান্তই নগন্য। একজন আদর্শ ডাক্তার গরীব রোগীর চিকিৎসার জন্য নিজের পকেট থেকে টাকা ব্যয় করতেও পিছপা হন না।
সত্যি বলতে, উপন্যাসটির প্লট অতি সাধারণ। তবে, এই সাধারণ প্লটকেই সুলেখিকা তাসনিয়া আহমেদ তার দক্ষ লেখনীর জোরে অসাধারণ এক উপন্যাসে পরিণত করেছেন। এটিই যে লেখিকার প্রথম উপন্যাস তা বোঝার কোনো উপায় নেই! অসংখ্য শুভকামনা লেখিকার জন্য।
এবার আসি প্রোডাকশন কোয়ালিটি নিয়ে। সতীর্থ প্রকাশনার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, ‘দুইশো তেরোর গল্প’ এর প্রোডাকশন কোয়ালিটি তাদের অন্যান্য বইগুলোর ঊর্ধ্বে হতে চলেছে, হয়েছেও তাই। চোখের শান্তি বলে একটা ব্যাপার আছে,বইটি পড়ে সত্যিই শান্তি লেগেছে। তাছাড়া, আমার পড়া সতীর্থের পূর্বের বইগুলোতে টুকটাক বানান এবং ব্যকরণগত ভুল থাকলেও এই বইটিতে কোনো ভুল চোখে পড়েনি-যা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
তাই যারা মেডিকেলে পড়েছেন, পড়ছেন বা মেডিকেলে পড়ার ইচ্ছা আছে তাদের বইটি পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আপনি হতাশ হবেন না,তা হলফ করে বলতে পারি!