বুদ্ধি বৃত্তির নতুন বিন্যাস Pdf Download আহমেদ ছফা – Buddhibrittir Natun Binyas Pdf
বুদ্ধি বৃত্তির নতুন বিন্যাস PDF আহমেদ ছফা
Book | সাম্প্রতিক বিবেচনা : বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস |
Author | আহমদ ছফা |
Publisher | খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি |
ISBN | 9844081378 |
Edition | 2nd Published, 2017 |
Number of Pages | 93 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা, Pdf Download |
দেশ গঠনে বুদ্ধিজীবীদের কী করণীয় ছিল আর তারা কি করতে পেরেছেন,অথবা তাদের অবদানের পেছনে লুকানো দুরভিসন্ধিমূলক মনোভাবের কোন রকম রাখ ঢাক না রেখেই খুরধার লেখনীর মাধ্যমে দেখিয়েছেন আহমদ ছফা তার এই বইটিতে। বইটি পড়ে পাঠক যেমন নিগূঢ় সত্য উপলব্ধি করতে পারবে,তেমনি পারবে সত্যের আড়ালে লুকিয়ে থাকা কিছু অসত্য বয়ান যা আমরা সত্য বলেই যেনে এসেছিলাম। বইটিতে উঠে এসেছে বুদ্ধিজীবীদের দ্বী-মুখি আচরণের বিষয়ে যারা ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের আগে এক ধরনের আদর্শ ধারন করত এবং স্বাধীনতার পরে হঠাৎই বদলে গিয়েছিল তাদের আদর্শ।
আহমেদ ছফা ছিলেন ‘‘অসম্ভব শক্তিধর লেখক’’ অসংখ্য সাহিত্যিকের জন্মদাতা এবং মেন্টর আহমেদ ছফা বুদ্ধি বেঁচে খাওয়া সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে অস্ত্রের মত ধারালো কলম ধরতে কুণ্ঠাবোধ করেনি। আর দুর্দান্ত সাহসিকতার সাথে কাজটি করেছেন বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস গ্রন্থে।
গ্রন্থটিতে আহমদ ছফা বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের মানচিত্র অঙ্কন করেন এবং বাংলাদেশি বুদ্ধিজীবীদের সুবিধাবাদিতার নগ্ন রূপ উন্মোচন করেন তথা বুদ্ধিজীবীদের সত্যিকার দায়িত্বের স্বরূপ ও দিকনির্দেশনা বর্ণনা পূর্বক তাঁদের সতর্ক করে দিতে বুদ্ধিজীবীদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের কী দুর্দশা হতে পারে তা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেন।
ডক্টর আহমদ শরীফ এই বইটি নিয়ে মন্তব্য করেছেন,
“সুবিধাবাদীর Life is a compromise তত্ত্বে ছফার আস্থা নেই। তিনি আরও বলেন আজকের বাংলাদেশে এমনি স্পষ্ট ও অপ্রিয় ভাষী আরো কয়েকজন ছফা যদি আমরা পেতাম তাহলে পথটা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠত।”
আহমদ ছফার এই বিখ্যাত বইটি নিয়ে আমাদের সমাজের বিখ্যাত ব্যক্তিরা বিভিন্ন দিক বর্ণনা করেছেন তেমনি বাদ যাননি বদরুদ্দিন ওমরও।
আহমদ ছফার এই বইটিতে মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে সুবিধাবাদের একটা ঝোঁক যে তাদের শ্রেণীগত বৈশিষ্ট্য এ বিষয়ে যে কিছুমাত্র সংশয় নেই সেটা তার লেখায় সুস্পষ্ট ফুটে উঠেছে।
আহমদ ছফা তার এই বিখ্যাত বইটি লিখেছেন ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের উপর ভিত্তি করে। কিন্তু তিনি তখনকার সময় অন্যরকম বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলেন তাই তো দীর্ঘ ৫০ বছর পরেও বইয়ের প্রতিটি লাইন বর্তমান সময়ের প্রাসঙ্গিক।
অাহমদ ছফা বলেন, সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবীরা ‘প্রয়োজনে-ঠেলায়’ পড়ে বিশেষ বিশেষ ঘটনার আগে যে ধরনের বক্তব্য-বিবৃতি দেন, ঘটনার পরে লেখেন তার উল্টো কাসুন্দি। ফলে তাদের কোনো চিন্তা-কর্ম-উপদেশ সমাজের বিশেষ কোনো কাজে আসে না।তাই ছফা বলেন, বুদ্ধিজীবীরা যা বলতেন, শুনলে বাংলাদেশ স্বাধীন হত না। এখন যা বলছেন, শুনলে বাংলাদেশের সমাজ-কাঠামো আমূল পরিবর্তন হবে না।
“আজ এই দাস্য মনোভাবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। তা নইলে আমাদের স্বাধীনতা মিথ্যা হয়ে যাবে। কিন্তু এই মানসিক দাসত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কাজটা হৈ হৈ করে হওয়ার কথা নয়। এতে প্রয়োজন সুন্দরতম ধৈর্য, মহত্তম সাহস, তীক্ষ্ণতম মেধা এবং প্রচণ্ড কুলছাপানো ভালোবাসা, যার স্পর্শে আমাদের জনগণের কুঁকড়ে যাওয়া মানসিক প্রত্যঙ্গে আশা-আকাঙ্ক্ষা জাগবে এবং সাহস ফণা মেলবে।”