চন্ডাল মহুয়া ঘোষ Pdf download
chondal mahua ghosh pdf book free download link and Review-
বইয়ের বিবরণঃ
বইয়ের নাম: চণ্ডাল PDf
লেখকের নাম: মহুয়া ঘোষ
ক্যাটাগরি: অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক উপন্যাস
ফাইল ফরম্যাট: Pdf free Download(পিডিএফ ডাউনলোড)
file সাইজ: হলকলদৈল
প্রকাশনী: মহুয়া ঘোষ
১ম প্রকাশঃ 2020 সাল
মোট পেজ সংখ্যাঃ 192 পৃষ্ঠা
রিভিউ:
সুদুরে গেছি হারিয়ে: একটু একটু করে যখন মনে পড়ছে তখন আমি পার্কের গাছতলায় । নিজেকে চিনতে কষ্ট হচ্ছে। এই আমি কী সেই আমি! না, এটা আমি নই। আমি সেই বার বছরের আমাকে দেখতে চাই, এই ব্রিশ-পয়ত্রিশ বছরের পাগলিকে নয়। মিমি-সঞ্জু-রিমি-মঞ্জু, সিরিয়াল ভাবে আমাদের জন্ম। অর্থাৎ মিমি-রিমি-সঞ্জু-মঞ্জু আমরা চার ভাই বোন। বাবা কাঠমিন্ত্রী আর মা গৃহিনী। বাবা কাঠমিস্তি হলেও মোটামুটি ভালই দিনকাল কেটে যাচ্ছিল। বার বছরের আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি, আমার চেয়ে দুই বছরের ছোট ভাই সঞ্জু ক্লাস থ্রিতে পড়ে, সঞ্জুর চেয়ে তিন বছরের ছোট রিমি সবে মাত্র ক্লাস_ওয়ানে ভর্তি হয়েছে আর পাঁচ বছরের সঞ্জু তখনো স্কুলের মুখ দেখেনি।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গভি পার হবার.আগেই হঠাৎ করে আমাদের উপর নেমে আসে অশান্তি। কাঠমিন্ত্রী বাবা দ্বিতীয়_বিয়ে করে বৌ ঘরে তুলেছে । কোন রকমে দিনাতিপাত করা সংসারটা হঠাৎ করেই যেন অচল হয়ে গেল। সৎ মা’কে বাসায় রেখে বাবা কাজে যায় না। ফলে খুব দ্রুত অভাব অনটন শুরু হলো। অভাব অনটনের সাথে আরো একটি জিনিস যুক্ত হয়েছে তা হলো নিয়মিত ঝগড়াঝাটি আর কোলাহল । ঝগড়াঝাটি দিন দিন এত ভয়ানক রূপ ধারণ করছে যে, রক্তারক্তি হতেও বাকি নেই।
প্রতিদিন ঝগড়াঝাটি আর অভাব-অনটন থেকে মুক্তি পাবার জন্যই বাবাকে নিয়ে পালিয়ে যায় সৎ মা। বাবা ছাড়া মা যেন অথৈ সাগরে ডুবতে বসেছে। তখন আমাদের লেখাপড়া তো দূরের কথা দু’বেলা পেটভরে আহার করাটাই দায় হয়ে পড়েছে। বাসা ভাড়া আর চার ভাইবোনের খাবার যোগাড় করতে গিয়ে মা হিমসিম খাচ্ছে । আমাদের এমন কোন আত্রীয়-স্বজনও নেই যার কাছে গিয়ে কোন রকমের উপকার পেতে পারি। দু’একজন আত্রীয়-স্বজন আছে বটে তবে তারা খুবই গরীব ।
আমাদের মতই দিন এনে দিন খাওয়ার মত অবস্থা । বড় সন্তান হিসেবে ছোট ভাইবোনদের জন্য কিছু করতে হয় বলেই বাধ্য হয়ে মানুষের বাসায় কাজ নেই। আমার উঠতি বয়সের বাড়ন্ত শরীরে যদিও যৌবনের লেশমাত্র নেই। তবুও আমার গৃহকর্তা রাক্ষসের মত আমার দিকে চেয়ে থাকে। চেয়ে থাকে গৃহকর্তার বড় ছেলেটিও। ওদের দিকে তাকাতে আমার ভয় লাগে। যেহেতু এ বাসায় কাজ করি, একবার না একবার হলেও ওদের দিকে তাকাতেই হতো। সকালে রুমে চা দিতে গিয়ে গৃহকর্তার বড় ছেলের রোষানলের শিকার হই। হঠাৎ করেই ছেলেটি আমার বুক চেপে ধরে। প্রচন্ড ব্যাথায় ছটফট করি। সহ্য করতে না পেরে চিৎকার শুরু করি। ওরা এগিয়ে এসে আমাকেই দোষারোপ করে। কোন টাকা পয়সা না দিয়েই লাথি দিয়ে বের করে দেয় আমাকে । আমি কীদতে কীদতে বাসায় ফিরি। ঘটনা শুনে আমার মা’ও আমাকে দোষারোপ করে- এ বাসার কাজ ছেড়ে আসাটা তোর বোকামি হইছে। আমি তো নিজে নিজে বের হয়ে আসি নাই। ওরাই তো আমাকে লাথি দিয়ে বের করে দিল। রর লাথি দিবে না তো কী করবে, তুই এমন চিন্লাপাল্লা না করলেই পারতি।
শরীরে কেউ এমন একটু-আধটু ধরলে “চিৎকার করতে হয় না। এ বয়সি ছেলেরা পাবি। এ বাসা থেকে আসার সময় তুই এই কয়দিনের বেতনটা নিয়ে আসিস নাই কেন? তুমি এমনভাবে বলছ যে এ বাসাটা আমার ওরা যদি কোন টাকা না দেয় তাহলে আমি কীভাবে আনব! ভাল করেছিস, এখন উপোস থেকে মর। বেতন না হোক পেটে ভাতে দিন তো কেটে যাচ্ছিল। অন্য কোন বাসায় যদি কাজ নেই তাহলে হয় না। কাজ পাওয়া এত €সাজা! ঢাকা শহরে তোর মত হাজার হাজার মানুষ হন্য হয়ে কাজ খুঁজছে । কোথাও কাজ নাই। আমাদের খাবার যোগাড় করতেই কষ্ট হয়, বাসা ভাড়া দিব কোথা থেকে? তাই আটশো টাকার বাসা ছেড়ে একশ বিশ টাকার বস্তি বাসায় উঠেছি আমরা চার ভাই বোন আর মা।
চন্ডাল মহুয়া ঘোষ pdf download link: click here
আরও পড়ুনঃ