(Pdf) Rich dad poor dad bengali – রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড Pdf
রবার্ট টি কিয়োসাকির অনুবাদ বই রিচ ড্যাড পোর ড্যাড pdf download – Rich Dad poor Dad PDF free download bangla version – রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড রকমারি
Book | রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড |
Author | রবার্ট টি. কিয়োসাকি |
Publisher | মুক্তদেশ প্রকাশন |
file format | pdf download (পিডিএফ ডাউনলোড) , epub, mobi |
ISBN | 9789849264646 |
Edition | 1st Published, 2018 |
Number of Pages | 192 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড বই রিভিউ
বইয়ের নামঃ
রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড বইয়ের ধরণঃ আত্ম-উন্নয়নমূলক অনুবাদ গ্রন্থ # মূল লেখকঃ রবার্ট টি কিয়োসাকি # অনুবাদকঃ আখতার উজ্জামান সুমন # প্রকাশকঃ ইসমাইল হোসেন সবুজ, এশিয়া পাবলিকেশন্স #প্রকাশকালঃ বইমেলা-২০২১ # পৃষ্ঠা_সংখ্যাঃ ১৯১ পৃষ্ঠার ঝকঝকে বই # মুদ্রিত মূল্যঃ
৩০০.০০ টাকা
#আমি_কিনেছিঃ ২২৫.০০ টাকায় ২৫% ছাড়ে (রকমারি ডটকম থেকে)
# প্রারম্ভিকাঃ
লেখক ও অনুবাদক আখতার উজ্জামান সুমন’র অনুবাদগ্রন্থ “ইন্সপায়ারিং থটস অব এপিজে আবদুল কালাম” যখন পড়ি তখন মনে হয়েছে- এর চেয়ে ভালো অনুবাদ বোধহয় আর হতে পারে না। হয়তো ইংলিশ ভার্সনটা পড়েও এতোটা হৃদয়াঙ্গম করতে পারতাম না বা তৃপ্তি পেতাম না। সেই পরিপূর্ণ তৃপ্তি এবং স্বাদ গ্রহণের মনোবাসনা থেকেই অনুবাদকের এই “রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড” বইটি আমি রকমারি ডটকম থেকে সংগ্রহ করেছিলাম এবং বইটি পড়ে বইয়ের মূল থিম সম্পর্কে জানার পর বইটি আমি বারবার পড়েছিলাম।
রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড আলোচনাঃ
বইটি পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে অনুবাদক মূল বইয়ের যথেষ্ট সাবলীলভাবে অনুবাদ করেছেন। ফলে আমার পাঠোদ্ধার করতে তেমন কোনো বেগ পেতে হয়নি। ইচ্ছা থাকলেও আমি সাধারণত অনুবাদ বই পড়ি না। কারণ, আমি দেখেছি- অনুবাদ বইগুলোর সাধারণত যাচ্ছেতাই অবস্থা থাকে, পাঠোদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয়। সেই দিক থেকে আখতার উজ্জামান সুমন এর করা এই অনুবাদ বইটা একেবারেই ব্যতিক্রম। অনলাইনে আমি দেখেছি- এই বইয়ের আরো অনুবাদ বের হয়েছে। কিন্তু আমি নিশ্চিত বলতে পারি এই অনুবাদটাই সেরা।
রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড বইটির মূল উপজীব্যঃ
রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড বইটি পড়ে আর্থিকভাবে যেসব দিকে নিজেকে উন্নয়ন করা সম্ভব বলে আমার কাছে মনে হয়েছে, তা আমি নিম্নে ক্রমান্বয়ে তুলে ধরছি।
১। মানুষ বেঁচে থাকার জন্য তার সুপ্ত আর্থিক বুদ্ধিমত্তাকে জাগিয়ে তুলে কীভাবে সেই অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হয়।
২। টাকা শুধুমাত্র একটা ধারণা মাত্র। টাকাকে কীভাবে আপনার জন্য পরিশ্রম করাবেন এবং টাকার ক্ষমতাকে কীভাবে আপনার জন্য ব্যবহার করবেন।
৩। ধনী ও দরিদ্রের মাঝে ক্রমবর্ধমান পার্থক্যের কারণ।
৪। আপনার সন্তান বা যেকেউ কোন ফর্মুলা প্রয়োগের মাধ্যমে ধনী হতে পারে।
৫। আর্থিক বিষয়ে আপনি কীভাবে দক্ষ হয়ে উঠবেন এবং অল্প ঝুঁকিতে বিনিয়োগ করে কীভাবে বেশি রিটার্ন পাবেন।
৬। ধনী হওয়ার জন্য আপনাকে বেশি আয় করতে হবে- এই ধারনাকে রুপকথায় পরিণত করবে।
৭। আপনার বাড়িটি একটি সম্পদ- এই ধারনাকে চ্যালেঞ্জ করবে।
৮। মাতাপিতাকে বুঝিয়ে দেবে, সন্তানদের আর্থিক বিষয়ে শিক্ষা দেয়ার ব্যাপারে তাঁরা স্কুলের উপর নির্ভর করতে পারবে না।
৯। সম্পত্তি এবং দায়বদ্ধতাকে পরিপূর্ণভাবে ব্যাখ্যা করবে।
১০। পৃথিবীকে তোলপাড় করে দেয়ার মতো এমন সব দৃঢ় বক্তব্য বয়েছে, যা আপনাকে বিস্মিত করবে।
রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড বইটি কেন_সবার পড়া উচিৎঃ
“রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড” বইটি সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি বই। যারা ভবিষ্যতে তাদের আর্থিক বিষয়াদি নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় খুঁজছেন, তাদের জন্য এই বইটি একটি দিক নির্দেশনামূলক বই হতে পারে।
স্কুল কি বাস্তব পৃথিবীর জন্য শিশুদের প্রস্তুত করে তুলে? না, করে না। তাই বইটি ছোট-বড় ছেলে-মেয়ে সবারই পড়া উচিৎ।
মানুষ আর্থিক দিক থেকে সংগ্রাম করার প্রধান কারণ হলো- আর্থিক বিষয়ে তারা স্কুলে শিক্ষাগ্রহণ করেনা। তারা শিক্ষাগ্রহণ করে বাড়িতে, পিতা মাতার কাছ থেকে। ফলে মানুষ টাকার দাসে পরিণত হচ্ছে এবং এই কারণে ধনীরা ক্রমশঃ ধনী হচ্ছে, দরিদ্ররা আরো দরিদ্র হচ্ছে এবং মধ্যবিত্তরা ঋণের দায়ে সংগ্রাম করছে। টাকা সম্পর্কিত জ্ঞান খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই জ্ঞান আপনার সন্তানের সাথে শেয়ার করুন। শুরুটা তাড়াতাড়ি করুন এবং ভবিষ্যতে যে পৃথিবীটা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, আপনার সন্তানদের এর জন্য প্রস্তুত করে তুলার ক্ষেত্রে বইটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
সর্বোপরি আমি বলতে পারি- বইটি যেকারোর-ই আর্থিক দৃষ্টিভঙ্গি পালটে দেবে।
অনুবাদকের সার্থকতাঃ
অনুবাদগ্রন্থ পড়ার প্রতি আমার খুব একটা আগ্রহ কাজ করেনা। এর পেছনে মূল কারন হচ্ছে- অনুবাদ গ্রন্থগুলোর হ-য-ব-র-ল অবস্থা। অর্থাৎ মূল অভিব্যক্তিকে বাদ দিয়ে লেখক তার বক্তব্য ও নিজস্বতা দিয়ে ইচ্ছে মতো অনুবাদ করে ফেলেন। ফলে মূল বিষয়বস্তু হারিয়ে যায় গভীর অতলে এবং বই পড়ে যে একটা তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা যায়! সেটা আর হয়ে ওঠে না। অনুবাদক আখতার উজ্জামান সুমন এর অনুবাদগ্রন্থ “ইন্সপায়ারিং থটস” পড়ে তৃপ্তির সেই সর্বোচ্চ স্তরে যেন পৌঁছাতে পেরেছিলাম। তাই পরবর্তীতে যখন দেখলাম বিশ্বখ্যাত এই “রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড” বইটির অনুবাদক আখতার উজ্জামান সুমন, তখন তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার জন্য সোৎসাহে রকমারি থেকে বইটি সংগ্রহ করেছিলাম।
লেখক আখতার উজ্জামান সুমন বিশ্বখ্যাত এই বইটি সহজ,সাবলীলভাবে ভাষান্তর করার পাশাপাশি অনুবাদ এবং ভাষান্তরের মাঝে যে একটা সুক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে, তা খুব সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছেন বলে মনে হয়। শব্দের অর্থ মোতাবেক মূল কোনো অভিব্যক্তিকে ঠিক/হুবহু রেখে অন্য ভাষায় রুপান্তরে লেখক যে দক্ষতা দেখিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।পাঠকের বোধগম্যতাকে সহজিকরণ করার জন্য রবার্ট কিয়োসাকি’র বক্তব্যকে প্রমিত বাংলায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং কোনো বক্তব্যকে তিনি এড়িয়ে যান নি। অনেক ক্ষেত্রে তিনি শাব্দিক অর্থ ব্যতিরেকে পারিভাষিক এবং কিছু বাড়তি শব্দও ব্যবহার করেছেন, যা আজকাল অনেক অনুবাদগ্রন্থে পরিলক্ষিত হয় না।
#বইয়ের_ভৌত_আলোচনাঃ
এশিয়া পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত এই বইটি তারা এতটা যত্ন করে উন্নতমানের কাগজ ও হার্ড কাভারে বাঁধাই করেছে যে, অনুবাদ বইয়ে সাধারণত তা দেখা যায় না। এই দিক থেকে প্রকাশককে আমি একশ’তে একশই দিতে চাই।
#সমালোচনাঃ
বইটি পড়ে সমালোচনা করার মতো তেমন কোনো কিছু আমি পাইনি বলে এখানে আর তা উল্লেখ করলাম না।
কারণ, আমার ধারণা- গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস কিংবা কবিতার মাধ্যমে পাঠকের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করা আর অনুবাদগ্রন্থের মাধ্যমে পাঠকের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করার বিষয়টা এক নয়। অনুবাদগ্রন্থের মাধ্যমে পাঠকপ্রিয়তা অর্জন একজন অনুবাদকের জন্য একপ্রকার দূরহ কর্ম। পাঠকের বোধগম্যতাকে সহজ করার জন্য শব্দ ও বাক্যের যথাযথ প্রয়োগে লেখকের সুনিপুণ দক্ষতার প্রয়োজন, যা আখতার উজ্জামান সুমন এর অনুবাদগ্রন্থ “রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড” এ পরিলক্ষিত।
#রেটিংঃ ৯.৯০/১০
#শেষকথাঃ
অনুবাদগ্রন্থ পড়ে বুঝতে পারা অর্থাৎ হৃদয়াঙ্গম করতে পারার মাঝে এর সার্থকতা নির্ভর করে। বিশ্বখ্যাত “রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড” বইটি যে উপজীব্যকে কেন্দ্র করে লেখা, তা যদি উপলব্ধি করতে না পারি, তাহলে আর্থিক দিকনির্দেশনা ও পরামর্শমূলক এই বই তার কার্যকারিতা হারাবে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বলবো- অনুবাদক খুব সহজ, সরল ও প্রাঞ্জলভাবে বইটি অনুবাদ করতে সক্ষম হয়েছেন। আগামীতে এমনই কোনো সার্থক অনুবাদগ্রন্থের প্রত্যাশায় থাকবো।