[Pdf] রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেন নি Pdf Download – rabindranath ekhane kokhono khete asen ni pdf
বাতিঘর প্রকাশনী এর থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেন নি Pdf Download মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর বইটি বেশ সাড়া ফেলেছে। জলদি নিজ থেকে ডাউনলোড করে নিন অথবা এখানে পড়ে নিন। rabindranath ekhane kokhono khete asen ni pdf book and web series story summary by mohammad nazim uddin.
book | রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেন নি (খেতে ) ১, ২, ৩ |
Author: | মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন |
Publisher | বাতিঘর প্রকাশনী |
ISBN no, ই–বই maker(collect form Fb) | 9789848729755, মোহাম্মদ আবুল খায়ের |
last Edition | 16th Print, 2020 |
Number of Pages | Total 271 |
Country | বাংলাদেশ |
Language, format | বাংলা, pdf, epub, kindle mobi download ( পিডিএফ ডাউনলোড) |
বিঃদ্রঃ প্রথম বইটি এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন, আর দ্বিতীয় বইটি এখানে পড়ে নিতে পারবেন।
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি pdf links:
Link :-1 | Link :-2 | Link :-3
link1 – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক সমূহ pdf
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের জনপ্রিয় উপন্যাস রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি-র দ্বিতীয় উপাখ্যান রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি-র প্লট বিস্তৃত হয়েছে ঢাকা-সুন্দরপুর ছাড়িয়ে কলকাতা অবধি। মুশকান জুবেরির প্রহেলিকাময় জগতে প্রিয় পাঠককে আরেকবার স্বাগত।
(বইটি ভালো লাগলে একটি বই কিনে সংগ্রহে রাখবেন…এতে করে আপনার সংগ্রহে একটি মূল্যবান বই যোগ হবে)
সম্পূর্ণ বই এখানে পড়তে পারেন (রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেন নি):
এ বইটি যাঁকে উৎসর্গ করব বলে ভেবে রেখেছিলাম তাঁর আকস্মিক মৃত্যু আমাকে একটা উপলব্ধি দিয়ে গেছেঃ প্রিয় মানুষের জন্য কিছু করতে চাইলে অপেক্ষা না করাই ভালাে।
বড়ো বােনের স্বামী হিসাবে নয়, তিনি ছিলেন আমার অভিভাবক, বড়ােভাই এবং অবশ্যই বন্ধু। অসম্ভব ভালাে আর নরম মনের মানুষ, অন্যের প্রতি যাঁর ছিল অপরিসীম মমতা, সেই সাব্বির আহমেদ নাজমীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
আমার কাছে আপনার স্মৃতি অম্লানই থাকবে।
*****তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মুশকান জুবেরিকে খুঁজে যাচ্ছে নুরে ছফা। তবে সে একা নয়, প্রবল ক্ষমতাময় আরেকজনও মরিয়া হয়ে উঠেছে রহস্যময়ী এই নারীকে খুঁজে পেতে। সেই ক্ষমতাবানের সাহায্য নিয়ে নতুন উদ্যমে নেমে পড়ে ছফা। দ্রুতই আবিস্কার করে মুশকান সম্পর্কে এতদিন যা জানত।
সবটাই মিথ্যে! অনুভব করে এখনকার গল্পটি অনেক বেশি যৌক্তিক আর বাস্তব সত্য-মিথ্যার এক গােলকধাঁধায় ঢুকে পড়ে সে। কিন্তু তার কোনাে ধারণাই নেই মুশকানের মুখােমুখি হলে কোন সত্যটি জানতে পারবে। এতদিন এই রহস্যময়ী কোথায় ছিল — এ প্রশ্নের থেকেও বড়ো হয়ে ওঠে, কীভাবে ছিল। আর পাঠক যখন সেটা জানবেন তখন আর একবার শিহরিত হয়ে
আবিস্কার করবেন মুশকানের প্রহেলিকাময় জগত।
মুখ বন্ধ
শব্দটাই প্রথমে তাকে সম্মােহিত করে ফেলল।
দূর থেকে শত শত নারী-পুরুষের কণ্ঠ ভেসে আসছে বসন্তের বাতাসে, সেই সঙ্গে বয়ে নিয়ে আসছে উদ্যানের নাম-জানা না-জানা অসংখ্য ফুলের মিষ্টিঘ্রাণ। দিনের প্রথম আলাে ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে, ছড়িয়ে দিচ্ছে উদ্যানের ঘাসের উপরে মিষ্টি রােদের প্রলেপ।
নুরে ছফা বুকভরে সেই ঘ্রাণ আর রােদের গন্ধ নিল। কিন্তু ভেসে আসা সুর তাকে সম্মােহিত করে নিয়ে চলল শব্দটার উৎসের দিকে। ধীরপায়ে এগিয়ে গেল সে। গুঞ্জন থেকে সুর। সুর থেকে কথা। শতকণ্ঠের আমন্ত্রণ শুনতে পাচ্ছে এখন।
আয়, আয়, আয়। সে তোমায় খুঁজে যায়। তাহার মৃদঙ্গরবে করতালি দিতে হবে।
ঘােরগ্রস্ত সম্মােহন ভেঙে দৃঢ় পদক্ষেপে, কঠিন সঙ্কল্প নিয়ে আর-একবার চোখ বােলাল চারপাশে। শত শত নারী-পুরুষও সম্মােহিত হয়ে একদিকেই ধাবিত হচ্ছে যেন। সহস্র কপালে সহস্র লাল সূর্য! কালাে মেঘপুঞ্জে চেপে বসেছে শ্বেতশুভ্র ফুলের মেঘ! সেই ফুলের গন্ধে ম-ম করছে চারপাশ।
সূর্যের তেজবাড়ছে ধীরে ধীরে, ছফা টের পেল তার কপাল ঘেমে উঠেছে, সেই ঘেমে ওঠা কপালে হাত রেখে রােদ আড়াল করে দেখতে লাগল এবার। কিন্তু দৃশ্যের চেয়ে শব্দটাই প্রকট তার কাছে।
এসাে এসাে হে তৃষ্ণার জল, কলকল ছলছল ভেদকরাে কঠিনের ক্রুর বক্ষতল কলকল ছলছল
তৃষ্ণার্ত ছফা এগিয়ে চলল আরও সামনের দিকে। বেলিফুলের সৌরভ তার আশেপাশে। হাঁটতে হাঁটতেই চারপাশটা দেখে নিল তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে, এমন এক মুখ খুঁজে বেড়াচ্ছে যেটা তার আধাে-ঘাের আর আধাে-জাগরণের মাঝে দুলছে বিগত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে।
তুমি যে খেলার সাথী
সে তােমারে চায়।
তাহারি সােনার তান
তোমাতে জাগায় গান.
সামনেই দেখতে পেল বিশাল বটবৃক্ষের নীচে জড়ো হওয়া মানুষের দল। লাল-সাদার সমারােহ।তবলার বােল। করতালের টুংটাং।হারমােনিয়ামের বিভ্রান্তিকর স্বর! সঙ্গীতের মূর্ছনা গ্রাস করে নিয়েছে চারপাশ। হাজার হাজার নারী-পুরুষ ঘাসের উপরে বসে কয়েকশাে নারী-পুরুষের সমবতে কণ্ঠের গান শুনছে।
এসাে হেপ্রবল কলকল ছলছল।
বৈশাখের প্রথম দিনে নুরে ছফা আবারও ধন্দে পড়ে গেল। একে একে দেখতে লাগল সবাইকে। তার মন বলছে, এই ভিড়ের মধ্যে সে আছে। কিন্তু তার যুক্তিবুদ্ধি তাতে সায় দিচ্ছেনা। বিগত তিন বছর ধরে হন্যে হয়ে খুঁজে যাচ্ছে একটা মুখ। যেখানেই যায়, যখনই সুযােগ পায়, এই একটা মুখই খোঁজে। গতকাল রাতে হুট
করে তার মনে পড়ে যায়, পরদিন পহেলা বৈশাখ। ঢাকার বৈশাখ মানেই ছায়ানট। রমনার বটমূল। সুরে সুরে রবীন্দ্রনাথের আমন্ত্রণ সঙ্গীত : এসে হে বৈশাখ, এসাে এসাে! আমি আসলেই রবীন্দ্রনাথের ভক্ত। সেই ছােটোবেলা থেকে। আমার মা খুব ভালাে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইত..আমাকেও শিখিয়েছিল। ছায়ানটের প্রথমদিকে ছাত্র ছিলাম আমি ৬২-তে যখন পাকিস্তানী শাসকগােষ্ঠীর চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে রবীন্দ্র-জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হল, সেই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অনেকের সঙ্গে আমিও ছিলাম কথাগুলাে ছফার মস্তিষ্কে অনুরণিত হতে থাকে তখন।তার অন্তরাত্মা বলে ওঠে, সে আসবে। নিদেন পক্ষে, আসার সম্ভাবনা আছে!
গতরাতেউত্তেজনার চোটে ঠিকমতাে ঘুমাতেও পারেনি, ভাের হতেই বিছানা ছেড়েছে সে, ছুটে এসেছে এখানে-রমনার এই সবুজ চত্বরে।
নুরে ছফা এমন একটি মুখ খুঁজে বেড়াচ্ছে, যে মুখটি তার নিজের কাছেই ঘােলাটে, অস্পষ্ট। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে সেই মুখটি খুঁজে বের করা রীতিমতাে পাগলামি বলেই মনে হচ্ছে এখন।
ঘণ্টাখানেক পর কোলাহল থেকে সরে গিয়ে একটা সিগারেট ধরাল সে। মিষ্টি রােদ এখন মাথার তালুতে আঁচ দিচ্ছে, বিদ্ধ করছে দুচোখ। পায়ের নীচে ঘাসগুলাে হাজার হাজার পদভারে পিষ্ট হচ্ছে। সবুজ চত্বরটি এখন লাল-সাদা-নীল-হলুদ রঙে ছেয়ে গেছে। সঙ্গীতের মিষ্টিধ্বণি ছাপিয়ে প্রবল হতে শুরু করেছে মানুষের কোলাহল।
নিজেকে বেমানান লাগছে এখানে। অন্যদের মতাে পায়জামা-পাঞ্জাবি নয়, ক্রিম রঙের পােলো শার্ট, গাঢ় নীলের গ্যাবাডিনের প্যান্ট আর পায়ে মােকামিস পরে আছে সে।
সিগারেটে টান দিয়ে আবারও জনসমুদ্রের দিকে তাকাল ছফা। খুঁজে খুঁজে তার চোখ ক্লান্ত। টের পেল, একটু ঘেমে উঠছে, কিন্তু এখনও হাল ছেড়ে দেবার কথা ভাবছে না।
সিগারেটটা শেষ করে রমনার বটমূলের দিকে পা বাড়াল সে। মানুষের ভিড় এখন জনস্রাতে পরিণত হয়েছে। বটমূলের সামনে বসে থাকা দর্শক-শ্রোতাদের দিকে চোখ বােলাল। রােদের হাত থেকে বাঁচার জন্য বেশির ভাগ নারী-পুরুষ মাথার উপরে রুমাল, কাপড়, সানগ্লাস আর সানক্যাপ দিয়ে রেখেছে। তাদের প্রায় সবার চোখ বটবৃক্ষের শান বাঁধানাে চত্বরে যে মঞ্চ বানানাে হয়েছে তার দিকে থাকার কথা কিন্তু অনেকের দৃষ্টিই অন্যদিকে নিবদ্ধ। উপস্থিত দর্শকদের বিরাট একটি অংশ হাতে মােবাইলফোন নিয়ে নিজেদের অহংকে তুষ্ট করার জন্য অদ্ভুত এক ভঙ্গিতে ছবি তােলায় ব্যস্ত।
সেলফি! তিক্ততায় একদলা থুতু ফেলল সে। কালের এই উন্মাদনাকে মেনে নিতে একটু কষ্টই হয় তার। মানুষ এখন নিজেদের প্রতিটি মুহূর্তকে ধরে রাখতে চায়, জানান দিতে চায় তার উপস্থিতিকে! তাদের মতাে ডিবি অফিসাররাও বড়ােসরাে কোনাে ক্রিমিনাল’কে ধরার পর সেলফি তুলে ফেসবুকে পােস্ট দেয় আজকাল। এ নিয়ে ডিপার্টমেন্টে প্রায়শই বচসা বাধে, আর সেটা সব সময় শুরু করে ছফা নিজেই।
সেলফি নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে সামনের দিকে তাকাল সে। বটবৃক্ষের শান বাঁধানাে চত্বরে বসে বিভিন্ন বয়সের শ-খানেক নারী-পুরুষ গান গেয়ে যাচ্ছে। সূর্যালােকের কারণে চোখের উপরে হাত রেখে মঞ্চে বসা মানুষগুলাের দিকে নজর দিল এবার।ভিড়ের মধ্যে কাউকে খোঁজার যে কৌশল সেটা তার জানা আছে। ধৈর্য ধরে এক এক করে দেখতে হয়। বিক্ষিপ্তভাবে দেখলে দৃষ্টি বিভ্রান্ত হবে।
হতাশার সঙ্গেই এবার ফিরে তাকাল মঞ্চের সামনে বসে থাকা হাজারখানেক দর্শকের দিকে। এক এক করে দেখতে শুরু করল সে। কিন্তু কয়েক মিনিট পরই তার দৃষ্টি চঞ্চল, অসহিষ্ণু আর উভ্রান্ত হয়ে উঠল। ক্রমশ হতাশা গ্রাস করল তাকে। তিক্তমুখে ঘুরে দাঁড়াল। আর-একটা সিগারেট ধরাবে কিনা সিদ্ধান্ত নিতে পারল না। তবে তার. ঠিকই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, ভিড় থেকে তাকে টেনে নিয়ে যেতে চাইছে সে।
এখানে হুট করে চলে আসাটা যে কত বড়ো পাগলামি হয়েছে, সেটা এখন টের পাচ্ছে। মুশকান জুবেরি এতটা বােকা নয় যে, হত্যা-গুমের অভিযােগ মাথায় নিয়ে পহেলা বৈশাখে ছুটে আসবে রমনার বটমূলে।
হাঁটতে হাঁটতেই পাশ ফিরে তাকাল সে। সমবেত কণ্ঠের গান থেমে গেছে সে হয়েছে একক পরিবেশনা।
নাইবা ডাকো রইব তােমার দ্বারে, মুখ ফিরালে ফিরবনা এইবারে
নিজেকে ভীষণ বােকা আর নাছােরবান্দা বলে মনে হচ্ছে তার। তবে মুশকান জুবেরির ব্যাপারে আর কতদিন হাল না ছেড়ে থাকতে পারবে, জানে না। সুন্দরপুর থেকে পালিয়ে যাবার পর তিন বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। ছফার যৌক্তিক মন জানে, ওই ভয়ংকর নারী দেশ ছেড়েছে, হয়তাে আর কখনও ফিরে আসবেনা।ভিনদেশেগিয়ে দিব্যি পুরুষ শিকার করে যাচ্ছে সে, আর নিজেকে করছে কালােত্তীর্ণ! ‘
মাঝে মাঝে সে ভাবে, নিজের অহংবােধকে তুষ্ট করার জন্যই সম্ভবত এখনও হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে মহিলাকে। এটা যে তার জন্যে প্রথম ব্যর্থ কেস হতে চলেছে, সেটা হয়তাে মেনে নিতে পারছে না। কিন্তু কথাটা পুরােপুরি সত্যি নয়, নিজের পেশার প্রতি দায়বদ্ধতাও
! “আশ্চর্য! চোখে দেখেন না নাকি!” বিরক্তিভরা একটি নারী কণ্ঠ বলে উঠল তাকে উদ্দেশ্য করে।আক্ষরিক অর্থেই প্রবলভাবে ঝাঁকি খেল নুরে ছফার ভাবনাগুলাে। বুঝতে পারল, আনমনা থাকার কারণে চলতে চলতে এক মহিলার সঙ্গে ধাক্কা লেগে গেছে। এখানে আসা অন্য সবার মতাে এই মহিলাও লালপেড়ের সাদা সুতির শাড়ি পরেছে, মাথায় বেলি ফুলের মালা, কপালে লাল টিপ। মহিলাকে কিছু বলতে গিয়ে থমকে গেল সে।
এখানে যে তাকে দেখতে পাবে ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি!
rabindranath ekhane kokhono asen ni pdf part 1,2,3 link read online
rabindranath ekhane kokhono asen ni pdf 4 to 20 online read
rabindranath ekhane kokhono asen ni pdf part 21 to 74 read link
rabindranath ekhane kokhono asen ni pdf part 75 to 97 read link
rabindranath ekhane kokhono asen ni pdf part 98 to last link