দ্য সাইলেন্ট পেশেন্ট PDF download – The Silent Patient bangla PDF
দ্য সাইলেন্ট পেশেন্ট bangla pdf download – The Silent Patient bangla PDF
বইঃ দ্য সাইলেন্ট পেশেন্ট
লেখকঃ অ্যালেক্স মাইকেলিডিস
অনুবাদকঃ শোভন্ নবী
প্রকাশনীঃ ভূমি প্রকাশ
অ্যালিসিয়া বেরেনসন একজন প্রতিষ্ঠিত চিত্রশিল্পী। তাঁর স্বামী একজন নামি দামী ফ্যাশন ফটোগ্রাফার। নাম গ্যাব্রিয়েল । একদিন কোন অজানা কারনে স্বামীকে সে খুন করে বসে। ঠিক এর পর থেকে তাঁর মুখ দিয়ে কোন শব্দ বের হয়নি। শুধু একটা ছবি পাওয়া যায়, যার নিচে লেখা ছিল “আলসেসিস্ট”
থিও ফেবার একজন ক্রিমিনাল সাইকোথেরাপিস্ট। সে নিজে মিসেস বেরেনসনের দায়িত্ব নেয়। কেন সে মৌনব্রত পালন করছে সেটা খুঁজতে চায়। আর এ কারনে সে গ্রোভ নামের এক হসপিটালে এসে উপস্থিত হয়। যেখানে বহু বছর ধরে লুকিয়ে রয়েছে অ্যালিসিয়া। আসলে লুকিয়ে রাখা হয়েছে, মিডিয়া থেকে দূরে। তাঁর পরিবারের কেউ তাঁর সাথে যোগাযোগ রাখেনা, রাখতে চায়না। কিন্তু কেন?
থিও এর অতীত ইতিহাস রয়েছে। সে কেন এই সাইকোথেরাপিস্ট হবার রাস্তা বেছে নিল? কেন অ্যালিসিয়ার কেইসের প্রতি তাঁর এত বেশি আগ্রহ?
একের পর এক বেরিয়ে আসতে লাগল অনেক অজানা তথ্য। থিও যতটা অবাক, তাঁর চাইতেও অবাক পাঠক। সব রহস্যের গোলকধাঁধায় পথ হারিয়ে ফেলল থিও। এই পথ থেকে সে কি আদৌ বের হতে পারবে? গল্পের শুরুটা যেভাবে হল, কিন্তু শেষটা এরকম হবে কেউ কল্পনা করতে পেরেছে? যদি পারত, তাহলে কি এই কেইসে সে এত আগ্রহী হত? নাকি এর পেছনে অন্য কোন রহস্য আছে?
ইদানিং সময়ে বই এর গ্রুপগুলো তে বেশ জনপ্রিয় এই বইটি। ২-৩ টা অনুবাদ রয়েছে। আমি বহুদিন খুঁজে পেতে এই অনুবাদ পাইছি। যায়হোক, গল্পে আসি। অনুবাদ মোটামুটি ভালো ছিল। কিছু জায়গাতে আক্ষরিক অনুবাদ লেগেছে, বিশেষ করে ১১ নাম্বার অধ্যায় আমার কাছে বেশ চোখে লেগেছে। প্রথম পেইজ বিশেষ করে প্রথম কিছু লাইন। এর আগে পরে অতটা লাগে নি। আবার বই এর শেষ এর দিকের কিছু লাইন এলোমেলো অনুবাদ লেগেছে। আর টুকটাক বানান ভুল।
এর পরে ভালো কথায় আসি। অনুবাদ বেশ সাবলীল ছিল। উপরের ত্রুটি তো বলেই দিলাম। এর বাইরে বাকি অনুবাদ বেশ ভালো ছিল।
টুইস্ট এবং টার্নসগুলো আসলেই সুন্দর ছিল। থিও এর চরিত্রটা অবশ্যই ভালো লাগার মত। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিরক্তি লেগেছে। ক্যাথির চরিত্র ইন্টারেস্টিং ছিল। তবে, তাঁর চরিত্র আরো একটু ইম্প্রুভ করা যেতে পারে। অ্যালিসিয়া কে নিয়ে বেশি কিছু বলার নাই।সেই যেহেতু গল্পের মূল চরিত্র, খুব সুন্দর করে তাঁর চরিত্র লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন।
অন্যদিলে থিও চরিত্রটা আসলেই অন্যরকম। একজন সাইকোথেরাপিস্ট যে এভাবে একটা রহস্যে জড়িয়ে ফেলবেন নিজেকে সেটা খুব সুন্দর করে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন। থিও চরিত্রটা এতো সুন্দর করে প্রাধান্য পেয়েছে যে অনেক সময় ভূলে গেছি কে মূল চরিত্র।
প্রতিটা টুইস্ট অসাধারন, তবে খুব শান্ত মাথায় পড়তে হবে, কারন এখানে বেশ অনেক গুলো ঘটনা আছে। অনেক গুলো সময়ের কথা আছে। অনেক সময় মিশে যেতে পারে। কখন কার গল্প চলছে, কখন কে গল্পে আসছে, অথচ এইটাই সবচাইতে মজার। পড়লে সময় কোন দিকে যাবে কেউ জানে না। অদ্ভুত রহস্য, মস্তিষ্কের খাদ্য।